রমনা কালী মন্দির ধংসে মাঠে নেমেছে ...
by:Jago Hindu - জাগো হিন্দু
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দক্ষিণ প্রান্তে পুকুরের পাশে শ্রীশ্রী রমনা কালীমন্দির। মন্দিরটি গড়ে উঠেছে দুই একর ২২ শতাংশ জায়গা নিয়ে। সামনের পুকুরটিও ব্যবহূত হচ্ছে প্রতিমা বিসর্জনসহ মন্দিরের বিভিন্ন কাজে।
রমনায় বহুকাল আগে থেকেই একটি কালীমন্দির ছিল। সেটি ছিল মাঠের উত্তর দিকে। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনারা মন্দিরটি ভেঙে দেয়। কালীমন্দিরটি পুনর্নির্মাণের দাবি করে আসছিলেন হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতারা সত্তরের দশক থেকেই।
১৯৯৯ সাল থেকে এখানে মন্দির করে পূজা শুরু হয়েছে। মন্দিরের সম্প্রসারণও চলছে। এখন কালীমন্দিরের পাশে ‘দুর্গা মন্দির’, ‘রাধাগোবিন্দ মন্দির’, ‘বাবা লোকনাথ ব্রহ্মচারী আশ্রম’, ‘মা আনন্দময়ী আশ্রম’ ও ‘হরিচাঁদ ঠাকুর মন্দির’ নির্মাণ করা হয়েছে। এসব মন্দির নির্মাণের জন্য গণপূর্ত বিভাগের কাছে কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি। এ নিয়ে মামলা চলছে।
এ ব্যাপারে মন্দির কমিটির সম্পাদক দয়াময় বিশ্বাস জানান, ব্রিটিশ সিএস খতিয়ানে রমনা কালীমন্দিরের নামে এক একর সাত শতাংশ এবং আনন্দময়ী আশ্রমের নামে এক একর ১৫ শতাংশ—এই দুই একর ২২ শতাংশ জায়গা ছিল। আগে যেখানে মন্দির ছিল সেখান থেকে সরিয়ে দক্ষিণ দিকে মন্দির করা হয়েছে। এ নিয়ে মামলা চলছে। হরিমন্দির ও আশ্রমের সম্প্রসারণের ব্যাপারে আদালত থেকে মৌখিক নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
এদিকে এসএ খতিয়ানে এক একর ৫৯ শতাংশ জায়গার উল্লেখ রয়েছে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আবুল কাশেম তালুকদারকে সভাপতি করে এ বিষয়ে একটি কমিটি করা হয়েছে।
প্রকল্প পরিচালক মিজান-উল-আলম জানান, মন্দির কমিটির নেতাদের সঙ্গে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য আলোচনা হয়েছে। শিগগিরই মন্দিরের জায়গা নিয়ে সৃষ্ট সমস্যা মিটে যাবে। এ ছাড়া উদ্যানে ঢাকা ক্লাবের যে গলফ কোর্সটি আছে তার মালিকানা ক্লাবের নয়। এটি তাদের বন্দোবস্ত দেওয়া হয়েছিল। পরে তা বাতিল করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) নির্বাহী পরিচালক সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান প্রথম আলোকে বলেন, আসলে সরকারের হাতে কোনো উন্মুক্ত স্থানই নিরাপদ নয়। নানা ধরনের প্রতিষ্ঠানের নামে উন্মুক্ত স্থানে সরকার স্থাপনা নির্মাণ করছে। উদ্যানটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব বিবেচনা করে সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণা করে এটিকে বিশেষভাবে সংরক্ষণ করা প্রয়োজন। মন্দির বা এ ধরনের প্রতিষ্ঠানকে বিকল্প জায়গা দিয়ে উদ্যানটিকে রক্ষার ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
http://www.prothom-alo.com/detail/date/2013-06-15/news/360540
by:Jago Hindu - জাগো হিন্দু
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দক্ষিণ প্রান্তে পুকুরের পাশে শ্রীশ্রী রমনা কালীমন্দির। মন্দিরটি গড়ে উঠেছে দুই একর ২২ শতাংশ জায়গা নিয়ে। সামনের পুকুরটিও ব্যবহূত হচ্ছে প্রতিমা বিসর্জনসহ মন্দিরের বিভিন্ন কাজে।
রমনায় বহুকাল আগে থেকেই একটি কালীমন্দির ছিল। সেটি ছিল মাঠের উত্তর দিকে। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনারা মন্দিরটি ভেঙে দেয়। কালীমন্দিরটি পুনর্নির্মাণের দাবি করে আসছিলেন হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতারা সত্তরের দশক থেকেই।
১৯৯৯ সাল থেকে এখানে মন্দির করে পূজা শুরু হয়েছে। মন্দিরের সম্প্রসারণও চলছে। এখন কালীমন্দিরের পাশে ‘দুর্গা মন্দির’, ‘রাধাগোবিন্দ মন্দির’, ‘বাবা লোকনাথ ব্রহ্মচারী আশ্রম’, ‘মা আনন্দময়ী আশ্রম’ ও ‘হরিচাঁদ ঠাকুর মন্দির’ নির্মাণ করা হয়েছে। এসব মন্দির নির্মাণের জন্য গণপূর্ত বিভাগের কাছে কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি। এ নিয়ে মামলা চলছে।
এ ব্যাপারে মন্দির কমিটির সম্পাদক দয়াময় বিশ্বাস জানান, ব্রিটিশ সিএস খতিয়ানে রমনা কালীমন্দিরের নামে এক একর সাত শতাংশ এবং আনন্দময়ী আশ্রমের নামে এক একর ১৫ শতাংশ—এই দুই একর ২২ শতাংশ জায়গা ছিল। আগে যেখানে মন্দির ছিল সেখান থেকে সরিয়ে দক্ষিণ দিকে মন্দির করা হয়েছে। এ নিয়ে মামলা চলছে। হরিমন্দির ও আশ্রমের সম্প্রসারণের ব্যাপারে আদালত থেকে মৌখিক নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
এদিকে এসএ খতিয়ানে এক একর ৫৯ শতাংশ জায়গার উল্লেখ রয়েছে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আবুল কাশেম তালুকদারকে সভাপতি করে এ বিষয়ে একটি কমিটি করা হয়েছে।
প্রকল্প পরিচালক মিজান-উল-আলম জানান, মন্দির কমিটির নেতাদের সঙ্গে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য আলোচনা হয়েছে। শিগগিরই মন্দিরের জায়গা নিয়ে সৃষ্ট সমস্যা মিটে যাবে। এ ছাড়া উদ্যানে ঢাকা ক্লাবের যে গলফ কোর্সটি আছে তার মালিকানা ক্লাবের নয়। এটি তাদের বন্দোবস্ত দেওয়া হয়েছিল। পরে তা বাতিল করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) নির্বাহী পরিচালক সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান প্রথম আলোকে বলেন, আসলে সরকারের হাতে কোনো উন্মুক্ত স্থানই নিরাপদ নয়। নানা ধরনের প্রতিষ্ঠানের নামে উন্মুক্ত স্থানে সরকার স্থাপনা নির্মাণ করছে। উদ্যানটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব বিবেচনা করে সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণা করে এটিকে বিশেষভাবে সংরক্ষণ করা প্রয়োজন। মন্দির বা এ ধরনের প্রতিষ্ঠানকে বিকল্প জায়গা দিয়ে উদ্যানটিকে রক্ষার ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
http://www.prothom-alo.com/detail/date/2013-06-15/news/360540
No comments:
Post a Comment