সিলেট সিটিতে সংখ্যালঘুদের ভোট পেয়েছেন আরিফ
সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে সংখ্যালঘুদের ভোট পেলেন বিএনপির প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী। কিন্তু তাদের ভোট পেতেন সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান। যে ভোট একসময় তার বাক্সে নির্বিঘ্নে এসে পড়তো। এবার তা স্বচ্ছন্দে চলে গেছে আরিফুল হক চৌধুরীর বাক্সে।
সংখ্যালঘুদের মধ্যে হিন্দু সম্প্রদায় ছাড়াও মণিপুরিদের ভোট বরাবরই পেতেন কামরান। কিন্তু নির্বাচনের ফলাফল অনুযায়ী, মণিপুরি ভোটের বড় অংশ পেলেন আরিফুল হক। যার ফলে বিপুল ব্যবধানে হেরে গেলেন কামরান।
অথচ এর আগে ২০০৮ সালের নির্বাচনে কামরান এক লাখ ১৫ হাজার ৪১৬ ভোট পেয়ে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী আ ফ ম কামালকে পরাজিত করেছিলেন।
শনিবারের নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণে জানা গেছে, হিন্দু এবং মণিপুরী অধ্যুষিত কেন্দ্রগুলোতে নিজ ভোট ব্যাংক ধরে রাখতে পারেননি কামরান। সে ব্যাংকের ভোট নিয়ে গেছেন আরিফ।
সিলেট ইনক্লুসিভ স্কুল অ্যন্ড কলেজ কেন্দ্রে সংখ্যালঘুদের ভোটে এগিয়ে থাকতে পারেননি কামরান। একেন্দ্রে আরিফ পেয়েছেন ১২৭১ ভোট এবং কামরান পেয়েছেন ৯৮৪ ভোট।
ঘাষিটোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছিল মনিপুরী ভোট। কিন্তু সে কেন্দ্রেও জয় হয়েছে আরিফের। আরিফের প্রাপ্তি ছিল এ কেন্দ্রে ১১১৯ ভোট। কামরান পেয়েছেন ৪৩৯ ভোট।
তবে মির্জাজাঙ্গাল কেন্দ্রের সংখ্যালঘু ভোটাররা হতাশ করেননি কামরানকে। আরিফ পেয়েছেন ৫৭১ ভোট। কামরান পেয়েছেন ১৩০২ ভোট। তবে ভোটাররা বলছেন, এ পার্থক্য আরো বেশি হওয়ার কথা ছিল।
সমাজকল্যাণ কমপ্লেক্স বাগবাড়ীসহ সংখ্যালঘু অধ্যুষিত শিবগঞ্জসহ কয়েকটি এলাকায় আরিফুল হক প্রতিদ্বন্দ্বী কামরানের চেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন।
সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে এবার হিন্দু জনগোষ্ঠী ছিল অন্যতম ফ্যাক্টর। ৬০ হাজার এ জনগোষ্ঠীর ভোট যিনি পাবেন তিনিই মেয়র হবেন বোঝা যাচ্ছিল। তাই তাদের ভোট পেতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীরা রাত-দিন দৌড়-ঝাঁপ করেছেন।
এর কারণ হিসেবে রাজনৈতিক বোদ্ধারা বলছেন, “জোট সরকারের আমলে হিন্দু জনগোষ্ঠীর লোকজনকে নানাভাবে সহযোগিতা করা হয়েছে। মন্দির সংস্কারসহ খাদ্য ও অর্থ দিয়ে সাহায্য করেছে জোট সরকার। আর এসব প্রয়াত অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানের মাধ্যমে আরিফুল করেছিলেন।”
নির্বাচন কমিশন থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সিলেট মহানগরীর ভোটারের সংখ্যা ২ লাখ ৭২ হাজার। এর মধ্যে হিন্দু ভোটারের সংখ্যা ৬০ হাজার। উপজাতীয় ভোটারের সংখ্যা ৫ থেকে ৬ হাজার। নন-সিলেটি ভোটার ৯৬ হাজার। শিক্ষিত ও সচেতন ভোটার ২৫ হাজার। নিম্নবিত্ত, হকার ও শ্রমিক শ্রেণীর ভোটারের সংখ্যা ৭০ হাজার। বাকি এর বাইরের ১৫ হাজার সাধারণ ভোটার।
কৃতজ্ঞতা: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
২০ জুন ২০১৩
সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে সংখ্যালঘুদের ভোট পেলেন বিএনপির প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী। কিন্তু তাদের ভোট পেতেন সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান। যে ভোট একসময় তার বাক্সে নির্বিঘ্নে এসে পড়তো। এবার তা স্বচ্ছন্দে চলে গেছে আরিফুল হক চৌধুরীর বাক্সে।
সংখ্যালঘুদের মধ্যে হিন্দু সম্প্রদায় ছাড়াও মণিপুরিদের ভোট বরাবরই পেতেন কামরান। কিন্তু নির্বাচনের ফলাফল অনুযায়ী, মণিপুরি ভোটের বড় অংশ পেলেন আরিফুল হক। যার ফলে বিপুল ব্যবধানে হেরে গেলেন কামরান।
অথচ এর আগে ২০০৮ সালের নির্বাচনে কামরান এক লাখ ১৫ হাজার ৪১৬ ভোট পেয়ে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী আ ফ ম কামালকে পরাজিত করেছিলেন।
শনিবারের নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণে জানা গেছে, হিন্দু এবং মণিপুরী অধ্যুষিত কেন্দ্রগুলোতে নিজ ভোট ব্যাংক ধরে রাখতে পারেননি কামরান। সে ব্যাংকের ভোট নিয়ে গেছেন আরিফ।
সিলেট ইনক্লুসিভ স্কুল অ্যন্ড কলেজ কেন্দ্রে সংখ্যালঘুদের ভোটে এগিয়ে থাকতে পারেননি কামরান। একেন্দ্রে আরিফ পেয়েছেন ১২৭১ ভোট এবং কামরান পেয়েছেন ৯৮৪ ভোট।
ঘাষিটোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছিল মনিপুরী ভোট। কিন্তু সে কেন্দ্রেও জয় হয়েছে আরিফের। আরিফের প্রাপ্তি ছিল এ কেন্দ্রে ১১১৯ ভোট। কামরান পেয়েছেন ৪৩৯ ভোট।
তবে মির্জাজাঙ্গাল কেন্দ্রের সংখ্যালঘু ভোটাররা হতাশ করেননি কামরানকে। আরিফ পেয়েছেন ৫৭১ ভোট। কামরান পেয়েছেন ১৩০২ ভোট। তবে ভোটাররা বলছেন, এ পার্থক্য আরো বেশি হওয়ার কথা ছিল।
সমাজকল্যাণ কমপ্লেক্স বাগবাড়ীসহ সংখ্যালঘু অধ্যুষিত শিবগঞ্জসহ কয়েকটি এলাকায় আরিফুল হক প্রতিদ্বন্দ্বী কামরানের চেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন।
সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে এবার হিন্দু জনগোষ্ঠী ছিল অন্যতম ফ্যাক্টর। ৬০ হাজার এ জনগোষ্ঠীর ভোট যিনি পাবেন তিনিই মেয়র হবেন বোঝা যাচ্ছিল। তাই তাদের ভোট পেতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীরা রাত-দিন দৌড়-ঝাঁপ করেছেন।
এর কারণ হিসেবে রাজনৈতিক বোদ্ধারা বলছেন, “জোট সরকারের আমলে হিন্দু জনগোষ্ঠীর লোকজনকে নানাভাবে সহযোগিতা করা হয়েছে। মন্দির সংস্কারসহ খাদ্য ও অর্থ দিয়ে সাহায্য করেছে জোট সরকার। আর এসব প্রয়াত অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানের মাধ্যমে আরিফুল করেছিলেন।”
নির্বাচন কমিশন থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সিলেট মহানগরীর ভোটারের সংখ্যা ২ লাখ ৭২ হাজার। এর মধ্যে হিন্দু ভোটারের সংখ্যা ৬০ হাজার। উপজাতীয় ভোটারের সংখ্যা ৫ থেকে ৬ হাজার। নন-সিলেটি ভোটার ৯৬ হাজার। শিক্ষিত ও সচেতন ভোটার ২৫ হাজার। নিম্নবিত্ত, হকার ও শ্রমিক শ্রেণীর ভোটারের সংখ্যা ৭০ হাজার। বাকি এর বাইরের ১৫ হাজার সাধারণ ভোটার।
কৃতজ্ঞতা: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
২০ জুন ২০১৩
No comments:
Post a Comment