Wednesday, June 26, 2013

卐 卐 মাধ্যাকর্ষণ শক্তি আবিস্কারের রহস্য! 卐 卐

卐 卐 মাধ্যাকর্ষণ শক্তি আবিস্কারের রহস্য! 卐 卐

বিস্তৃত আপেল বাগান । প্রতিটি গাছে রয়েছে সুন্দর টকটকে আপেল । কোঁকড়ানো চুলভর্তি এক ভাবুক বিজ্ঞানী কোন এক আপেল গাছের নীচে বসে ভাবনায় নিমগ্ন । হঠাৎ এক আপেল বৃন্ত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে সরাসরি তার মাথায় এসে পড়ল । তৎক্ষণাৎ তার মনে প্রশ্ন জাগল, আপেলটি গাছ থেকে উপরের দিকে না গিয়ে মাটিতে পড়ল কেন ? এ ভাবনা থেকে আবিস্কৃত হল মাধ্যাকর্ষণ শক্তি বা অভিকর্ষ এবং মহাকর্ষ । সেই বিজ্ঞানী হলেন নিউটন ।

অপরদিকে প্রাচীন ভারতীয় এক বি
জ্ঞানী ও গণিতবিদ ভাস্করাচার্য বৈদিক শাস্ত্র গভীরভাবে অধ্যয়ন করতে লাগলেন । গভীরভাবে অধ্যয়ন শেষে তার মনে ভাবনা জাগল এই পৃথিবী ও ভিন্নগ্রহগুলি একে অপরের সাথে কেমন আকর্ষনে আবদ্ধ আছে । ১২০০ শতকে তিনি এ সকল ভাবনা ও বৈদিক শাস্ত্রের নির্ভুল তথ্যের সাহায্যে রচনা করলেন “সিদ্ধান্ত শিরোমনি' নামক গ্রন্থে । এই গ্রন্থে তিনি পরিপূর্ণভাবে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কথা প্রথম উল্লেখ করেন এবং ব্যাখ্যা করেন । এখানে ১ম ঘটনাটি আমাদের অনেকেরই জানা কিন্তু ২য় ঘটনাটি হয়ত আমাদের অনেকেরই জানা নেই । অর্থাৎ নিউটনের মাধ্যাকর্ষণ শক্তি আবিষ্কারের অন্তত ৫০০ বছর পূর্বেই ভাস্করাচার্য তা ব্যাখ্যা করেছেন বৈদিক শাস্ত্র থেকে ।

শুধু তাই নয়, সেই বৈদিক যুগ থেকেই বৈদিক শাস্ত্রবিদগণ আলোর গতিবেগ সম্পর্কে জানতেন। বৈদিক শাস্ত্রে উল্লেখ আছে আলোর গতিবেগ অর্ধ নিমেষে ২২০২ যোজন দূর । বৈদিক শাস্ত্র মতে এক যোজন হচ্ছে ৯.০৬ মাইলের সমান এবং অর্ধ নিমেষ সময়কাল বর্তমান ১ সেকেন্ডের ১০ ভাগের ১ ভাগ সময়ের সমান । এই গাণিতিক প্রক্রিয়া হুবহু বর্তমান আধুনিক আলোর গতিবেগের সমান ।


 সম্প্রতি ভারতে বিখ্যাত টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিস একটি গ্রুপ এক ব্যাঙ্গালুরুর এনজিও ‘সংস্কৃত ভারতী’ নামক প্রতিষ্ঠান একত্রে বৈদিক ঐতিহ্য ও ব্যাপ্তি বিষয়ক এক প্রদর্শনীর আয়োজন করে । প্রদর্শনীতে ১৫০ টি পোষ্টার রাখা হয় যাতে উন্নত বিজ্ঞানভিত্তিক বৈদিক সভ্যতার পরিচয় দেওয়া হয় । এই প্রদর্শনীতে উল্লেখ্য ছিল পাশ্চাত্যের জনগণকে উন্নত প্রাচীন বৈদিক সভ্যতা সম্পর্কে পরিচিতি ঘটানো । বিশ্ববাসী জানে যে, ইংরেজি সংখ্যা জিরো বা শূন্য এসেছে, মূলত বৈদিক শাস্ত্র তথা ভারতীয়দের মাধ্যমে । প্রাচীন ভারতীয় বিজ্ঞানী ও গণিতবিদ ভাস্করাচার্য, বৌদ্ধজন, অপস্তম্ভ এবং লীলাবতী প্রভূতি, গণিতশাস্ত্রে এবং বিজ্ঞানে বহু অবদান রেখেছেন । সেই সময় শুধুমাত্র বৈদিক শাস্ত্র অধ্যয়ন করে তারা বিজ্ঞানের বহু সূত্র আবিষ্কার করেছিলেন । সুতরাং ভগবান কর্তৃক মানবসমাজের কল্যাণে দেওয়া বৈদিক শাস্ত্রের ব্যাপকতা যে কত বিশাল তা সহজেই অনুমেয় ।

http://veda.wikidot.com/great-indians
http://veda.wikidot.com/bhaskaracharya
http://hinduawaken.wordpress.com/2012/04/page/3/

Courtesy:Science & Sonaton Dharma

No comments:

Post a Comment