Thursday, June 27, 2013

সংগ্রহঃ তবে পিনাকী দার সাথে ফোনে কথা বলে এর সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছি।

সংগ্রহঃ তবে পিনাকী দার সাথে ফোনে কথা বলে এর সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছি।
____________________________________________________________
আজ ২৫শে জুন মঙ্গলবার দুপর চট্রগ্রামের মহেশখালীর পুইছাড়াগ্রামে জমি-জমা বিরোধকে কেন্দ্র করে বিবাদের সৃষ্টি হয় হিন্দু-মুসলমান দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে। এতে দুপর ১ঃ৩০ মিনিটে মুসলিম সম্প্রদায়ের এক ব্যাক্তি নিহত হন। সন্ধ্যে ৯টার দিগে গ্রামের মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজন দল বেধে হিন্দু সম্প্রদায়ের ৯টি বাড়িতে এলোপাথালি আক্রমন চালিয়ে কুপিয়ে জখম করে। এমনকি মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজন রাতে ঘটনা স্থলে শপথ গ্রহন করে এই বলে যে উক্ত গ্রামে আর কোন হিন্দু রাখবে না। গ্রাম বাসী নিকটবর্তী থানাতে খবর দিলে থানা অফিসার ঘটনা স্থলে আসেন। সনাতন ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে কতৃপক্ষ নামাজে ব্যস্ত আছেন বলে উওর দেন। গ্রাম বাসিরা আজ রাতে পুইছাড়া গ্রামে একটা বড়ধরনের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় নিরীহ মানুষের প্রান হানি হতে পারে বলে উতকন্ঠায় আছে। সনাতন ফাউন্ডেশনের সাধারন সম্পাদক শ্রী পিনাকী দাস টেলিফোনে দেশ ও বিদেশের সকল সচেতন বাঙ্গালীর দৃষ্টি আকর্ষন করে আবেদন জানান।
থানা অফিসারের টেলিফোন নাম্বারঃ ০১৭১৩৩৭৩৬৬৯
_____________________________________________________

আহব্বানঃ সনাতন সংগঠন থেকে

বিষয়টা খুব গুরুত্ব পূর্ণ। আজ ওরা বিপদে পরেছে কাল আমরা পরবো। আজ যদি আমরা ওদেরকে সাহায্য করতে না পারি তবে কাল আমাদের জন্য কে এগিয়ে আসবে? === আমি আমার হাতে যত সোর্স রয়েছে তা পিনাকী দা কে দিয়েছি। আপনাদের পরিচিত যদি প্রভাবশালী কেউ থাকে যিনি সয়ায়তা করতে পারবেন এই বিষয়ে তবে আমাকে জানান আমি পিনাকী দার কাছে পৌছে দিব খবরটা। বিশেষ করে রামকৃষ্ণ মিশন ও ইস্কনের সহযোগিতা প্রয়োজন।

পাকিস্তান বারবারই ভারত বিরোধী কার্য কলাপে লিপ্ত

পাকিস্তান বারবারই ভারত বিরোধী কার্য কলাপে লিপ্ত এবং পাকিস্তান এ হিন্দু বিরোধী একটা প্রবনতা সমাজের সব স্তরে দেখতে পাওয়া যাই । এইটা কোনো নতুন বাপার নই পাকিস্তানের বিদ্যালয়ের পাঠ্য পুস্তকে ভারত বিরোধী এবং হিন্দু ধর্ম কে খুব নিন্দে মান্দা করা হই । ছোটবেলা থেকেই এই পরিবেশে তারা মানুষ হই এবং যার ফলে আমরা দেখতে পাই আজমল আমির কাসব, মৌলানা মাসুদ আজহার , হাফিজ সায়ীদ , জাকিউর রহমান লাখ্বি , এবং এদের মত অনেক  জঙ্গি কে । পাকিস্তান ই প্রথম সত্রু সম্পত্তি আইয়ীন প্রণয়ন করে বাংলাদেশে । পাকিস্তানে ২০০১ সালে ১৭ ডিসেম্বর তারিখে " মূসা খান " নামের একটা হিন্দু বিরোধী ফিল্ম রিলিস করে এখানে তার কিছু ফটো এবং ইউটুব ক্লিপ্পিনগ্স দেওয়া হলো ।আপনাদেরকে অনুরোধ পাকিস্তানের এই সব কার্য কলাপের উপর খেয়াল রাখুন ।










http://www.youtube.com/watch?v=_qmg2MfHM5g
http://www.youtube.com/watch?v=M1QUhuDtFJg
http://www.youtube.com/watch?v=Kzhv1Rb-_i8
http://www.youtube.com/watch?v=bSxavLA04XI
http://www.youtube.com/movie?feature=related&v=z5BI2mfveos


ভারত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী অঞ্চলের গ্রামের সংখালঘু হিন্দু এবং অনান্য সম্প্রদায়ের মানুষেরা নিরাপাত্তাহিনাতায় ভুঘছেন



ভারত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী অঞ্চলের  গ্রামের  সংখালঘু   হিন্দু  এবং অনান্য সম্প্রদায়ের মানুষেরা নিরাপাত্তাহিনাতায় ভুঘছেন । এই কঠিন এবং  ভয়ংকর বাস্তব  সত্য  টাকে পশ্চিম বাংলা তথা ভারতের অনেক প্রধান পত্রিকা এবং টেলিভিশন চ্যানেল গুরুত্ত দিল এইটা সম্ভব হলো হিন্দু সম্হাতি নামের পশ্চিম বঙ্গের একটা হিন্দু সংঘটন এবং ভিবিন্ন আন্তর্জাতিক সংঘঠনের যৌথ প্রয়াসের ফলে । বাংলা তথা গোটা ভারতবর্ষের হিন্দু এবং সমস্ত অমুসলমান দের আবার ভাবার সময় এসেছে  যে তারা কি ১৯৪৭ সালের মত আবার রেফিউজি হতে চায় না সম্মানের সাথে বাচতে চাই ? এই প্রশ্নের উত্তর হয়ত আগামী দিন ভারত একটা ইসলামী রাস্থ্র হবে না ভারত একটা গণতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ঠ্র হবে না হিন্দু রাষ্ঠ্র হবে তার মধেই দিয়েই প্রমান পাব, তবে একথা নিশ্চিত ভাবে বলা যাই যে ভারতবর্ষের ১৯৪৭ সালের দেশ সাধীন হবার পর ভারত বিরোধী শক্তির উত্থান হয়েছে এবং পাকিস্তান পন্থী একটা হাওয়া ভিবিন্ন রাজ্যে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে যেমন কেরালা , পশ্চিমবঙ্গ , অসম , নর্থ ইস্ট , জম্মু ও কাশ্মির , উত্তরপ্রদেশ , হ্য্দেরাবাদ(য়াকূব্নাগার , চারমিনার, দরগাহ ) , বিহার , মুম্বাই( আজাদ ময়দান ) , মেরাজ , দেগঙ্গা , ক্যানিং , এবং আরো হাজার হাজার অঞ্চলে । পৃথিবীর হিন্দু রা কি মানুষ না খ্রীষ্টান দের জন্য ৮০ তা টা দেশ আছে , মুসলমানদের জন্য ৬২ টা দেশ আছে , বোদ্ধ দের জন্য ১৫ টা দেশ আছে তাহলে কেন ১০০ কোটির অধিক হিন্দুদের জন্য একটা দেশ থাকতে পারেনা ?  


গ্রামে থাকার সাহস পাচ্ছেন না কৈজুড়ির মানুষ
গ্রা ছাড়ছেন কৈজুড়ির বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার কৈজুড়ি গ্রামে গরু পাচারকারীদের এক মহিলাকে ধর্ষণ ও খুনের চেষ্টা ও অন্য এক মহিলাকে অপহরণের চেষ্টার পর কৈজুড়িকে আর নিরাপদ ভাবছেন না স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় সূত্রে খবর, গত দু’দিনে প্রায় দশটি পরিবার গ্রাম ছেড়েছেন।
শুক্রবার কৈজুড়ি গ্রাম পরিদর্শনে গিয়েছিল সিপিএমের এক প্রতিনিধি দল। কিন্তু নির্যাতিতা বা তাঁর পরিবারের সদস্যকারওই দেখা পাননি তাঁরা। সূত্রের খবর, গ্রাম ছেড়েছেন নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবার।
ভিটেমাটি ছেড়ে চলে যাওয়া মানুষের দলে রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা দিবাকর সরকার, খগেন গাইন, রমেশ মণ্ডলেরা। গ্রাম ছাড়লেন কেন? সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে দিবাকরবাবুর গলায় দলা পাকিয়ে আসে ভয়“কার ভরসায় কী ভাবে গ্রামে থাকব বলতে পারেন? সন্ধ্যা নামতেই এখানে দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব শুরু হয়ে যায়। ফসলের খেতের উপর দিয়ে গরু নিয়ে যায় গরু পাচারকারীর দল। গোয়ালঘর থেকে গরু চুরি তো সামান্য ঘটনা, এখন ধর্ষণের ঘটনাও ঘটছে।” গ্রাম ছাড়া রমেশবাবুর কথায়, “পরিবারের শিশু, মহিলাদের উপর হামলা হচ্ছে। সম্মান বাঁচাতে গ্রাম ছেড়েছি। এলাকায় নিজের কিছু জমি আছে। সকালে গিয়ে চাষ করব। কিন্তু রাতে ওই গ্রামে আর থাকব না।”
উত্তর ২৪ পরগনার পুলিশ সুপার সুগত সেন বলেন, “কৈজুড়ির ঘটনায় দোষীদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। সীমান্তবর্তী এলাকায় অনেক সমস্যা রয়েছে। তবে কৈজুড়ির ঘটনার পর গ্রামবাসীরা এলাকা ছেড়ে চলে যাচ্ছেন এমন খবর পাইনি।” তবে সমস্যার কথা মানছেন স্বরূপনগরের তৃণমূল বিধায়ক বীণা মণ্ডল। তিনি বলেন, “সীমান্ত এলাকায় মহিলাদের উপর অত্যাচার ক্রমশ বাড়ছে। কিন্তু সীমান্তে বিএসএফের গুলি চালানোর নির্দেশ নেই। কেন্দ্রের উচিত বিএসএফকে সীমান্ত এলাকায় গুলি চালানোর নির্দেশ দেওয়ার।”
কেন কৈজুড়িকে নিরাপদ ভাবছেন না স্থানীয় বাসিন্দারা? কৈজুড়ি হল ভারত-বাংলাদেশের সীমান্তের গ্রাম। বেশিরভাগ জায়গায় কাঁটাতার নেই। অন্ধকার নামলে সীমান্তে আলো জ্বলে বটে, কিন্তু তাতে চোরাচালান আটকায় না। প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্ধ্যা নামলেই কৈজুড়ি ও তার আশাপাশের এলাকায় চলে আসে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা। আশ্রয় নেয় গ্রামে। চলে শাসানি ও অত্যাচার। স্থানীয় বাসিন্দা ৭২ বছরের বৃদ্ধা সুবলা গাইন বলেন, ‘‘এখানে মানুষের জীবন ও জীবিকা বিপন্ন। প্রায় প্রতিদিনই মহিলাদের উপর অত্যাচার চলে। কিন্তু অর্ধেকের বেশি ঘটনার কথা কেউ জানতেও পারে না।” এলাকারই বাসিন্দা রত্না মণ্ডলের কথায়, “দুষ্কৃতীদের অত্যাচার এতই বেড়েছে যে সন্ধ্যার পরেই ঘরে ঢুকে পড়তে হয়।” স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সীমান্তবর্তী গ্রামে তাঁদের অনেক অত্যাচার সহ্য করে থাকতে হয়। পুলিশে অভিযোগ করলে দুষ্কৃতীরা অত্যাচারের মাত্রা বাড়ায়।
স্থানীয় বাসিন্দা রমেন গাইনের অভিযোগ, “বিএসএফকে ডাকলে আসে না। স্থানীয় থানা গ্রাম থেকে দশ কিলোমিটার দূরে। কোনও ঘটনা ঘটলে পুলিশ আসার আগেই পালায় দুষ্কৃতীরা।” স্বরূপনগর থানার এক পুলিশ কর্তা বলেন, “কৈজুড়ি গ্রাম ছেড়ে বাংলাদেশী দুষ্কৃতীর ভয়ে কিছু মানুষ অন্যত্র চলে যাচ্ছেন বলে শুনেছি। কিন্তু পুলিশের তেমন কিছু করার থাকে না। বিষয়টি বিএসএফের দেখার কথা।” সীমান্ত পাহারায় থাকা এক বিএসএফ কর্তা বলেন, “ওপার থেকে বাংলাদেশিরা দল বেঁধে আসে। ওদের কাছে অস্ত্র থাকে। কিন্তু গুলি চালানোর নির্দেশ নেই।”
অপরাধীর শাস্তি, ঘরের ছেলেদের আবার ঘরে ফেরাআপাতত অপেক্ষায় কৈজুড়ি।
পুরনো খবর:  http://www.anandabazar.com/21pgn3.html





















Wednesday, June 26, 2013

হতভাগিনী শিপ্রা ঘোষ -----

হতভাগিনী শিপ্রা ঘোষ -----

রিজওয়ানুর কান্ডে সারা কোলকাতার ছাত্র সমাজ , বুদ্ধিজীবী, সবাই প্রতিবাদে ঝাঁপিয়ে পরেছিল। তখন পুরো পার্কস্ট্রিট জুড়ে বিশেষ করে সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের সামনে কলকাতার সমস্ত এলিট ছাত্র ছাত্রীরা মোমবাতি জ্বালিয়ে আলো ঝলমল করে দিয়েছিল। তখন সমস্ত অফিস কাছারি, ট্রাম, বাস, ট্রেনে ওই ঘটনার আলোচনা হত প্রতিবাদ হত।

কিন্তু এবার সেই প্রতিবাদ কোথায় ???

বুদ্দিজিবীরা, ফিল্ম আর্টিস্টরা, গায়করা, চিত্রশিল্পী রা দু একজন বাদে সবাই চুপ। পার্ক স্ট্রিট বা অন্য কোথাও মোমবাতি জ্বলছেনা কেন?

ট্রেনে বাসে চাপছি কারও মধ্যে কোন হেলদোল নেই। অনেকে তো কিছুই ঘটেনি মনে করে ট্রেনে তাস খেলছে, গল্প করছে। আরে অন্তত আলোচনা তো হোক যে এটা জঘন্য ঘটনা হয়েছে। যেন এইরকম হতেই পারে বা এমন তো কতই হয় বা আরও কত হবে।

কলকাতার এইরকম উদাসীন ভাব দেখে খুব খারাপ লাগছে। প্রতিবাদ য়া হচ্ছে তা ওর নিজের গ্রাম থেকে হচ্ছে। এতো বড় ঘটনা সমস্ত শিক্ষিত সমাজ পুরো চুপ যেন এ ব্যাপারে কিছু বলা যাবে না। সাবাস sickullar কলকাতা !!

# শ্রী সন্জয় চেীধুরী , কলকাতা
by-Ami Hindu (আমি হিন্দু )

বিজ্ঞানে হিন্দুদের অবদান :: আজ খাকল সার্জারির জনক মহাঋষি সুশ্রুতর এর কথা....

বিজ্ঞানে হিন্দুদের অবদান ::
আজ খাকল সার্জারির জনক মহাঋষি সুশ্রুতর এর কথা....

টিপু সুলতান বনাম ইংরেজ, লড়াইয়ে এক নেটিভ সেপাই ধরা পড়ল। টিপুর বাহিনী তার নাকটি কেটে ছেড়ে দিল। এক দিশি বৈদ্য নতুন নাক তৈরি করে দিলেন। ব্রিটিশ জার্নালে সে খবর পড়ে সার্জন জে সি কার্পু পরীক্ষানিরীক্ষা শুরু করলেন। ১৮১৬: আধুনিক চিকিৎসায় শুরু হল ‘প্লাস্টিক সার্জারি’। কিন্তু বৈদ্যের গুরু কে? সুশ্রুত। তাঁর পদ্ধতিতে দু’হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে অস্ত্রোপচার চলছিল ভারতে। তার রচিত গ্রন্থ সুশ্রুত সংহিতা।

কিন্তু চিকিৎসাশাস্ত্র ও রসায়নের এমন রচনা বিশ্বে বিরল। ১২০ রকমের সার্জারির যন্ত্রের উল্লেখ রয়েছে, তার ৫৬টির বিশদ বর্ণনা। ব্যবহারের আগে যন্ত্রগুলি জলে ফুটিয়ে নেওয়া হত, রোগীকে অজ্ঞান করা হত নানা মদিরা দিয়ে। ১৪ রকম পদ্ধতিতে ১৫ রকম ফ্র্যাকচার সারানোর কথা বলা হয়েছে। আধুনিক বিজ্ঞান এ সব পদ্ধতির পুনরাবিষ্কার করেছিল উনিশ শতকে।

উল্লেখ্য, প্রাচীন ভারতে বিশেষ করে বাংলা অঞ্চলে শল্য চিকিৎসারও ব্যাপক প্রসারের খোঁজ পাওয়া যায়। চরকের মতো সশ্রত নামে একজন শল্য চিকিৎসক ‘সশ্রত সংহিতা‘ রচনা করেন, যিনি কাশীর অধিবাসী ছিলেন বলে ধারণা করা হয়। তাকে ভারতবর্ষের সার্জারির জনক বলে বিবেচনা করা হয়। তার বইটিও আরবি, ফার্সিসহ জার্মান ভাষাতেও অনূদিত হয়। বিস্ময়ের ব্যাপার হচ্ছে সশ্রত তার বইয়ে শতাধিক সার্জারির প্রক্রিয়ার বর্ণনা দিয়ে গেছেন, সেই সঙ্গে দিয়েছেন অসংখ্য সার্জিকাল যন্ত্রপাতির বিবরণ।

কামারদের কাছ থেকে কী করে অতি সূক্ষ সেসব যন্ত্র বানিয়ে নিতে হবে, তারও উপদেশ রয়েছে তার বইয়ে। প্রাচীনকালে শাস্তিস্বরূপ অনেকের নাক কেটে দেয়া হতো। সশ্রত দেহের অন্য অংশ থেকে চামড়া এনে সেই নাক মেরামতের বর্ণনা দিয়েছেন। একে আধুনিক প্লাস্টিক সার্জারির আদি রূপ
বলা যেতে পারে।

ছবি :হায়দারাবাদে মহাঋষি সুশ্রুতর আবক্ষ মূর্তি
----------------------
Maharishi Sushruta : father of surgery

wikipedia : Reconstructive surgery techniques were being carried out in India by 800 BC.[4] Sushruta, the father of Surgery,[5] made important contributions to the field of plastic and cataract surgery in 6th century BC.[5] The medical works of both Sushruta and Charak originally in Sanskrit were translated into the Arabic language during the Abbasid Caliphate in 750 AD.[6] The Arabic translations made their way into Europe via intermediaries.[6] In Italy the Branca family[7] of Sicily and Gaspare Tagliacozzi (Bologna) became familiar with the techniques of Sushruta.[6]

http://en.wikipedia.org/wiki/Plastic_surgery

অভ্রান্ত বৈদিক জ্ঞান আমরা কেন বেদসমূকে সত্য বলে স্বীকার করব? By: Jago Hindu - জাগো হিন্দু

অভ্রান্ত বৈদিক জ্ঞান
আমরা কেন বেদসমূকে সত্য বলে স্বীকার করব?
By: Jago Hindu - জাগো হিন্দু
বেদসমূহ হচ্ছে সরাসরি ভগবানের বাণী, যা সৃষ্টির প্রারম্ভে প্রকাশিত হয়েছিল । যখন আপনি একটি মোটর সাইকেল কেনেন, তখন তার সঙ্গে একটি ইন্স্ট্রাক্শন ম্যানুয়াল বা ব্যবহার-বিধি নির্দেশিকা থাকে, যাতে ব্যাখ্যা করা থাকে কিভাবে ঐ মোটরসাইকেলটি ব্যবহার করা যেতে পারে । ঠিক তেমনি, সৃষ্টির সময়ে ভগবান আমাদেরকে বৈদিক শাস্ত্র প্রদান করেন, যাতে ব্যাখ্যা করা থাকে এই জগত কেমন, কোথা থেকে উদ্ভূত, কিভাবে এই জগতে আচরণ করা উচিত ।

কয়েকটা দৃষ্টান্তের মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারি কিভাবে বৈদিক জ্ঞান অভ্রান্ত । স্মরণাতীত কাল পূর্বে রচিত হলেও এমন সব তথ্য বেদে বর্নিত হয়েছে, বিজ্ঞান যা অতি সম্প্রতি আবিষ্কার করতে শুরু করেছে ।

১. ডালটন পরমানু আবিষ্কার করেছেন দু’শো বছরও হয় নি । আজ থেকে ৫০০০ বছর পূর্বে রচিত শ্রীমদ্ভাগবতের মূল শ্লোকে পরমানু অবিভাজ্য ক্ষুদ্রতম কণা – এই তথ্য দেওয়া হয়েছে । ব্রহ্মসংহিতাতেও(৫/৩৫) বলা হয়েছে যে, শৃঙ্খলাযুক্ত জড় পদার্থের বিন্যাসে বৃহত্তম ইউনিট বা একক হচ্ছে ব্রহ্মান্ড, ক্ষুদ্রতম একক হচ্ছে পরমাণু (অন্ডান্তরস্থপরমাণুচয়া-অন্তরস্থং) । এইরকম সর্ববৃহৎ
ইউনিট বা ব্রহ্মান্ড একটি নয়, কোটি কোটি (একোহপ্যসৌরচয়িতুং জগদন্ডকোটিং – ব্রহ্মসংহিতা ৫/৩৬) ।

২. পাঁচশো বছর আগে ইউরোপের অধিকাংশ অঞ্চলেই এই বিশ্বাস প্রচলিত ছিল যে, পৃথিবী সমতল – গোল নয় । বেদে (যা সময়ের আদি থেকে বিদ্যবান এবং পাঁচ হাজার বছর আগে যা লিপিবদ্ধ হয়েছে) সুস্পষ্টভাবে উল্লেখিত হয়েছে যে পৃথিবী গোল – ‘ভূ-গোল’ ।

৩. ক্রিস্টোফার কলম্বাস পাঁচশো বছর আগে জানতেন না যে পৃথিবীতে সাতটি মহাদেশ রয়েছে । রয়েছে সাতটি মহাসাগর । কিন্তু বৈদিক শাস্ত্রে স্মরণাতীত কাল থেকে এই সব তথ্য রয়েছে ।

৪. আইনস্টাইন স্থান ও কালের আপেক্ষিক সম্পর্ক বা আপেক্ষিকতাবাদ আলোচনা করেছেন মাত্র কিছু বছর আগে । কিন্তু ভাগবতপুরাণে ৫০০০ বছর পূর্বেই কুকুদ্মি মুনির আপেক্ষিকতা বিষয়ক অভিজ্ঞতা বর্ণিত হয়েছে ।

৫. জড় বিজ্ঞান এখনো মন কি তা জানাতে পারছে না; আজ থেকে ৫০০০ বছর পূর্বে বৈদিক শাস্ত্রে বলা হয়েছে যে স্থূল-শরীর কঠিন(ভূমি), তরল(জল), গ্যাসীয়(বায়ু), তাপ(অগ্নি), আকাশ – ইত্যাদি পাঁচটি স্থূল উপাদানে তেরী, এবং মন, বুদ্ধি ও অহংকার – এই তিনটি সূক্ষ উপাদানে তেরী সূক্ষ শরীর । অর্থাৎ মন একটি জড় উপাদান (ভ.গী. – ৭/৪) ।

৬. বলা হয় যে শতকের গুণনীয়কের হিসাব ২/৩ হাজার বছর পূর্বে উদ্ভাবিত হয়েছে । অথচ বেদে অজস্র স্থানে শতকের গুণনীয়ক সংখ্যায় সহস্র-লক্ষ-কোটি-অর্বুদ-পরার্দ্ধের পর্যন্ত উল্লেখ রয়েছে । যেমন ৮৪ লক্ষ জীব প্রজাতির হিসাব (চতুর্লক্ষশ্চ মানবাঃ), আত্মার আয়তন (কেশাগ্রের ১০০০০ ভাগের এক ভাগ), কোটি কোটি ব্রহ্মান্ডের হিসাব (একোহপ্যসৌ রচয়িতুং জগদন্ডকোটিং/কোটিষ্বশেষ বসুধাদি বিভূতি ভিন্নম্ - ব্রহ্মসংহিতা ৫/৩৬) ইত্যাদি ।
গত শতাব্দীর ৯০ এর দশকে যখন বিশ্বের গণিতবিদ্ বিজ্ঞানীরা একটি অংকের কোণোভাবেই সমাধান করতে পারছিলেন না, দক্ষিণ ভারতের ক্ষণজন্মা গণিতবিদ্ (৩২ বছরে মারা যান) রামানুজম্ বৈদিক গণিতের সাহায্যে দুইভাবে সেই জটিল অংকের সমাধান বের করে গণিতবিদদের বিস্মিত করেন ।

৭. এমন কি চিকিৎসাবিদ্যার সঙ্গে সম্পর্ক-রহিত, সম্পূর্ণ অপ্রাকৃত মহাগ্রন্থ শ্রীমদ্ভাগবত এও আমরা মানব ভ্রূণবিদ্যা বা গাইনিকোলজির এক উজ্জল বিবরণ দেখতে পাই, যেখানে মাতৃগর্ভে ১ম মাস থেকে ১০ম মাস পর্যন্ত মাসানুযায়ী ভ্রূণদেহের বিকাশের পরযায়ক্রমিক বিশদ ও পূর্ণাঙ্গ বর্ণনা প্রদত্ত হয়েছে । আজ অত্যাধুনিক জটিল যন্ত্রপাতির সাহায্যে যা জানা যাচ্ছে বৈদিক শাস্ত্রে তা হাজার হাজার বছর পূর্বেই বর্ণিত হয়েছে ।

৮. বেদে বলা হয়েছে যে উদ্ভিদ, প্রাণী ও মানুষ – সকল জীবের দেহের মধ্যে রয়েছে প্রাণ, জীবনী শক্তি বা আত্মা । অথচ বিজ্ঞানীরা দীর্ঘকাল ধরে এই বিশ্বাস প্রচার করতেন যে উদ্ভিদের প্রাণ নেই – যতদিন না জগদীশ চন্দ্র বসু তাঁর পরীক্ষার মাধ্যমে প্রমাণ করে দেখলেন যে উদ্ভিদেরও প্রাণ আছে ।

 ৯. বেদ দাবী করেন যে এমনকি আগুনের মধ্যেও জীব রয়েছে । কিন্তু বিজ্ঞানীরা ভাবতেন যে, ফোটানো জলে বাঁচতে পারে না ব্যকটেরিয়া (সে জন্যই তাঁরা জল ফোটানোর মাধ্যমে নির্জীবকরণ করতেন) । কিন্তু সাম্প্রতিক চিকিৎসা গবেষনায় দেখা গিয়েছে যে, এক ধরনের জীবানু রয়েছে যারা আগুনের মধ্যেও বাঁচতে সক্ষম, তাঁরা এর নাম দিয়েছেন ‘আগুন ব্যকটেরিয়া’ (Fire Bacteria) । এছাড়া বহু প্রাকৃতিক উষ্ণ প্রস্রবণে এবং এমনকি আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখেও তাঁরা ব্যকটেরিয়ার সন্ধান পেয়েছেন ।

১০. বেদে বিভিন্ন অবতারসমূহ বা মহাপরুষগনের বিশদ বিবরন-সহ ভবিষ্যতে তাঁদের আবির্ভাবের নির্ভুল ভবিষ্যদ্বাণী প্রদত্ত হয়েছে । শ্রীমদ্ভাগবতে এরকম সাত জন ব্যক্তিত্বের আবির্ভাবের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছেঃ- বুদ্ধদেব – শ্রীমদ্ভাগবতঃ- ১/৩/২৪, শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু – শ্রীমদ্ভাগবতঃ- ১১/৫/৩২, মহাভারত – ১২৭/৯২/৭৫; চাণক্য –শ্রীমদ্ভাগবতঃ- ১২/১/১১; চন্দ্রগুপ্ত এবং সম্রাট অশোক – শ্রীমদ্ভাগবতঃ- ১২/১/১২, যীশু – ভবিষ্যপুরাণ

১১. মেডিকেল বিজ্ঞানে এখন উন্নতর মানের সার্জারী আমরা দেখতে পাই কিন্তু আমাদের শাস্ত্রে তা আগে বর্ণনা করা হয়েছে যেমনঃ- ঘনেশের মাথায় হাতির মাথা সংযোজন, দক্ষের মাথায় ছাগলের মাথা সংযোজন ইত্যাদি ।

১২. আজকাল দেখা যাচ্ছে টেষ্টটিউব বেবি উৎপাদন হচ্ছে যা আমাদের শাস্ত্রেও বনর্ণা করা হয়েছে যেমনঃ- দ্রোনাচার্য, গান্ধারির ১০০ পুত্র ইত্যাদি ।

১৩. বেদে উল্লেখ আছে সব মল অপবিত্র কিন্তু গরুর গোবর পবিত্র, তাই যে কোন পূজাপার্বণে বা মাটির ঘরে গোবর লেপন করা হয় । বিজ্ঞানীরা ১৯৪০ সালে গোবরের মধ্যে প্রতিষেধক গুনাবলি আবিষ্কার করেন ।
১৪. বর্তমানে আমরা যে মেডিটেশন বা বিভিন্ন মেথড দেখতে পাই তা আমরা বেদ থেকেই পেয়ে থাকি ।

১৫. গণিতশাস্ত্রে যে পাটিগণিত ও জ্যামিতি দেখতে পাই তা আগে যজুর্বেদে বনর্ণা করা রয়েছে ।

১৬. গোবিন্দ স্বামী নিউটনের ১৮০০ বছর পূর্বেই ‘ইন্টারপোলেশন ফর্মূলা’ (Interpolation formula) আবিষ্কার করেন । ভটৈশ্বরাচার্য নিউটনের ১০০০ বছর পূর্বেই ‘ব্যাকওয়ার্ড ইন্টারপোলেশন ফর্মূলা’ (Backward Interpolation formula) আবিষ্কার করেন । নীলকান্ত মুণি নিউটনের ৮০০ বছর পূর্বেই ‘সমধর্মী ক্রম’ (Infinite Geometric Progression convergent series) আবিষ্কার করেন ।

১৭. পরমেশ্বরাচার্য লুইলারের ৪০০ বছর পূর্বেই ‘লুইলার ফর্মূলা’ আবিষ্কার করেন ।

১৮. ইতিবাচক ও নেতিবাচক (Positive and Negative) সংখ্যা প্রথম লেখা হয় ব্রহ্মগুপ্ত কতৃক রচিত ‘ব্রহ্মস্পুত সিধান্তে’ গ্রন্থে । তাও হাজার বছর আগে ।


১৯. কোপার্নিকাসের চেয়ে কমপক্ষে ১০০০ বছর পূর্বে আর্যাভট্ট ‘নিগূঢ় তত্ত্ব’ আবিষ্কার করেন ।

২০. বৈদিক শাস্ত্রে পৃথিবীর ব্যাস হল ৭৮৪০ মাইল আর বিজ্ঞানীদের মতে পৃথিবীর ব্যাস ৭৯২৬.৭ মাইল । বৈদিক শাস্ত্রে লেখা আছে পৃথিবী থেকে চাঁদের দুরত্ব ২৫৩০০০ মাইল দূরে আর বিজ্ঞানীদের মতে পৃথিবী থেকে চাঁদের দুরত্ব ২৫২৭১০ মাইল ।

২১. বোদ্ধায়ন কতৃক সর্বপ্রথম পাই "pi" এর মান গনণা করা হয় এবং তিনি পিথাগোরাস তত্ত্বের ধারনা ব্যাখ্যা করেন । ইউরোপিয় গনিতবিদদের পূর্বে ৬ষ্ঠ শতকে তিনি এটি আবিষ্কার করেছিলেন । ব্রিটিশ পন্ডিতগন কতৃক ১৯৯৯ সালে তা পরীক্ষিত হয় ।

২২. ভারত থেকে বীজগণিত, ত্রিকনোমিতি এবং ক্যালকুলাস এসেছে । একাদশ শতকে শ্রীধরআচার্য কতৃক দ্বিঘাতের সহসমীকরন (Quadratic equations) নির্ণীত হয় ।

২৩. গ্রীক ও রোমানদের দ্বারা ব্যবহৃত সবচেয়ে বড় সংখ্যা ছিল ১০৬ যেখানে বৈদিক সময়ে খ্রিষ্টপূর্ব ৫০০০ বছর শুরুর দিকে হিন্দুরা সুনির্দিষ্ট নাম সহ 1053 এর মতো বড় । এমনকি বর্তমানেও সবচেয়ে বড় ব্যবহৃত সংখ্যা হচ্ছে টেরাঃ 1012।

কৃতজ্ঞতাঃ সুশান্ত বান্দা
সনাতন ভাবনা ও সংস্কৃতি

রমনা কালী মন্দির ধংসে মাঠে নেমেছে ... by:Jago Hindu - জাগো হিন্দু

রমনা কালী মন্দির ধংসে মাঠে নেমেছে ...
by:Jago Hindu - জাগো হিন্দু
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দক্ষিণ প্রান্তে পুকুরের পাশে শ্রীশ্রী রমনা কালীমন্দির। মন্দিরটি গড়ে উঠেছে দুই একর ২২ শতাংশ জায়গা নিয়ে। সামনের পুকুরটিও ব্যবহূত হচ্ছে প্রতিমা বিসর্জনসহ মন্দিরের বিভিন্ন কাজে।
রমনায় বহুকাল আগে থেকেই একটি কালীমন্দির ছিল। সেটি ছিল মাঠের উত্তর দিকে। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনারা মন্দিরটি ভেঙে দেয়। কালীমন্দিরটি পুনর্নির্মাণের দাবি করে আসছিলেন হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতারা সত্তরের দশক থেকেই।

১৯৯৯ সাল থেকে এখানে মন্দির করে পূজা শুরু হয়েছে। মন্দিরের সম্প্রসারণও চলছে। এখন কালীমন্দিরের পাশে ‘দুর্গা মন্দির’, ‘রাধাগোবিন্দ মন্দির’, ‘বাবা লোকনাথ ব্রহ্মচারী আশ্রম’, ‘মা আনন্দময়ী আশ্রম’ ও ‘হরিচাঁদ ঠাকুর মন্দির’ নির্মাণ করা হয়েছে। এসব মন্দির নির্মাণের জন্য গণপূর্ত বিভাগের কাছে কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি। এ নিয়ে মামলা চলছে।
এ ব্যাপারে মন্দির কমিটির সম্পাদক দয়াময় বিশ্বাস জানান, ব্রিটিশ সিএস খতিয়ানে রমনা কালীমন্দিরের নামে এক একর সাত শতাংশ এবং আনন্দময়ী আশ্রমের নামে এক একর ১৫ শতাংশ—এই দুই একর ২২ শতাংশ জায়গা ছিল। আগে যেখানে মন্দির ছিল সেখান থেকে সরিয়ে দক্ষিণ দিকে মন্দির করা হয়েছে। এ নিয়ে মামলা চলছে। হরিমন্দির ও আশ্রমের সম্প্রসারণের ব্যাপারে আদালত থেকে মৌখিক নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

এদিকে এসএ খতিয়ানে এক একর ৫৯ শতাংশ জায়গার উল্লেখ রয়েছে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আবুল কাশেম তালুকদারকে সভাপতি করে এ বিষয়ে একটি কমিটি করা হয়েছে।
প্রকল্প পরিচালক মিজান-উল-আলম জানান, মন্দির কমিটির নেতাদের সঙ্গে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য আলোচনা হয়েছে। শিগগিরই মন্দিরের জায়গা নিয়ে সৃষ্ট সমস্যা মিটে যাবে। এ ছাড়া উদ্যানে ঢাকা ক্লাবের যে গলফ কোর্সটি আছে তার
মালিকানা ক্লাবের নয়। এটি তাদের বন্দোবস্ত দেওয়া হয়েছিল। পরে তা বাতিল করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) নির্বাহী পরিচালক সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান প্রথম আলোকে বলেন, আসলে সরকারের হাতে কোনো উন্মুক্ত স্থানই নিরাপদ নয়। নানা ধরনের প্রতিষ্ঠানের নামে উন্মুক্ত স্থানে সরকার স্থাপনা নির্মাণ করছে। উদ্যানটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব বিবেচনা করে সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণা করে এটিকে বিশেষভাবে সংরক্ষণ করা প্রয়োজন। মন্দির বা এ ধরনের প্রতিষ্ঠানকে বিকল্প জায়গা দিয়ে উদ্যানটিকে রক্ষার ব্যবস্থা করা যেতে পারে।

http://www.prothom-alo.com/detail/date/2013-06-15/news/360540

ভোলার লালমোহনে মন্দিরে হামলা, প্রতিমা ভাঙচুর

ভোলার লালমোহনে মন্দিরে হামলা, প্রতিমা ভাঙচুর

ভোলা: ভোলার লালমোহন উপজেলার রমাগঞ্জ ইউনিয়নের রায়চাঁদ বাজারে একটি দুর্গমন্দিরে হামলা চালিয়ে তিনটি প্রতিমা ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা।

শনিবার রাত পৌনে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সাধারণ হিন্দুরের মাঝে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

মন্দির কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোন্দকার মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, রাতের আধারে রমাগঞ্জ ইউনিয়নের রায়চাঁদ বাজারের ৬নং ওয়ার্ডের ঠাকুর বাড়ি সার্বজনীন দুর্গ মন্দিরে একদল দুর্বৃত্ত হামলা চালায়।

এ সময় ওই মন্দিরের একটি দুর্গা প্রতিমা, একটি কালী মাতা ও একটি স্বরসতি প্রতিমা ভাঙচুর করে পালিয়ে যায়। তবে কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা বিস্তারিত জানা যায়নি। পুলিশ তদন্ত করে জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চালাবে।

উল্লেখ্য, এরকিছু দিন আগে পাশ্ববর্তী ইউনিয়ন লর্ডহাডিঞ্জ এ একটি কালী মন্দিরে হামলা চালিয়ে ৫টি প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। একের পর এক মন্দির ভাঙচুরের ঘটনায় ওই এলাকার হিন্দুরের মাঝে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
http://www.banglanews24.com/detailsnews.php?nssl=c9cf7b139ec7ce0dcc58e5c7cbd6a465&nttl=16062013204181

হিন্দু ভাই ও বোনেরা ............... আমরা হিন্দু ধর্মের প্রচারে কাজ করি।

হিন্দু ভাই ও বোনেরা ............... আমরা হিন্দু ধর্মের প্রচারে কাজ করি। দুঃখজনক হলেও সত্য বর্তমানে অনেক হিন্দুই তাদের নিজ ধর্ম সম্পর্কে উদাসীন। হিন্দু ধর্ম সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান থাকার অভাবে অনেক হিন্দু ভাই ও বোনেরা আজ অন্য ধর্মের মিসনারিদের অপপ্রচারে পরে নিজ ধর্ম ত্যাগ করে ভিন্ন ধর্ম গ্রহন করছে। তাই আমরা হিন্দু ধর্মের জ্ঞান প্রচারের মাধ্যমে সকলকে সচেতন করার চেষ্টা করছি। একজন হিন্দু হিসেবে আমাদের পেজকে লাইক দিয়ে হিন্দু ধর্মের প্রচারে আমাদের সাহায্য করুন। আমাদের পেজকে লাইক করতে এই লিঙ্কে যান - www.facebook.com/Alokito.Manush.Knowledge

প্রাচীন বৈদিক গ্রন্থসমূহে 'নিমিষার্ধ' নামক একটি শব্দ ব্যবহৃত হয়ে থাকে।এর অর্থ 'নিমেষের অর্ধেক'।সংস্কৃতে নিমেষ চোখের পলক ফেলার সময় হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

আলোর গতি

প্রাচীন বৈদিক গ্রন্থসমূহে 'নিমিষার্ধ' নামক একটি শব্দ ব্যবহৃত হয়ে থাকে।এর অর্থ 'নিমেষের অর্ধেক'।সংস্কৃতে নিমেষ চোখের পলক ফেলার সময় হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

ড. এস এস দে এবং ড. পি ভি বর্তক এর ঋগবেদ এ আলোর গতি সম্বন্ধে করা একটি হিসেব নিচে দেয়া হল-

ঋগবেদ ১.৫০.৪ এ বলা হয়েছে তরনির বিশ্ববদর্শত জ্যোতিষ্কর্দশী সূর্য।
বিশ্বমা ভাসিরোচনম।।

অনুবাদ-সকল শুভময় বস্তুর কর্তা,হে জাজ্বল্যমান পরমাত্মা,তুমিই সকল দিককে আলোময় কর।

এই মন্ত্রের ভাষ্যে বর্তমান কর্ণাটকের বিজয়নগর রাজ্যের কোটাল সায়নাচার্য লিখেন(চতুর্দশ শতকে),
"তথ চ স্মর্যতে যোজনম।
সহস্রে দ্বি দ্বিশতে দ্বি চ যোজনে একেনা নিমিষার্ধেনা ক্রমমান।।

যার অর্থ আলো প্রতি নিমিষের অর্ধেকে ২২০২ যোজন পরিভ্রমন করে।

বেদে যোজন হল দূরত্বের একটি একক এবং নিমিষ হল সময়ের একটি একক।

নিমিষ কি?
মহাভারতের শান্তি পর্বের মোক্ষ ধর্ম অধ্যয়ে সময়ের এককগুলো বর্ননা করা হয়েছে এভাবে।

নিমিষ-১ কষ্ঠ
৩০ কষ্ঠ- ১ কাল
৩০.৩ কাল-১ মূহুর্ত
৩০মূহুর্ত- ১ দিবা-রাত্রি

আমরা জানি যে এক দিবারাত্রি হল ২৪ ঘন্টা।তাহলে ২৪ ঘন্টা বলতে আমরা পাই,
২৪ ঘন্টা= ৩০x৩০.৩x৩০x১৫ নিমিষ=৪০৯০৫০ নিমিষ

আবার আমরা জানি যে
১ ঘন্টা= ৩৬০০ সেকেন্ড
সুতরাং ২৪ঘন্টা= ২৪x ৩৬০০ সেকেন্ড=৮৬৪০০ সে.

অর্থাত্‍,৮৬৪০০ সে.= ৪০৯০৫০ নিমিষ
সুতরাং ১ নিমিষ= .২১১২ সে.
তাহলে নিমিষার্ধ বা নিমিষের অর্ধ=.১০৫৬সে.

এখন আসি যোজন এর হিসেবে।

বিষ্ণুপুরান এর ষষ্ঠ খন্ডের প্রথম অধ্যয়ে বলা হয়েছে-

১০ পরমানু= ১ পরাসুক্ষ্ম
১০ পরাসুক্ষ্ম= ১ ত্রসরেনু
১০ ত্রসরেনু= ১ মহীরজ
১০ মহীরজ= ১ বালাগ্র
১০ বালাগ্র= ১ লিক্ষা
১০ লিক্ষা = ১ যুক
১০ যুক= ১ যবোদর
১০ যবোদর= ১ যব
১০ যব = ১ অঙ্গুলি(প্রায় ৩/৪ ইঞ্চি)
৬ অঙ্গুলি= ১ পদ
২ পদ = ১ বিতস্তি
২ বিতস্তি = ১ হস্ত
৪ হস্ত = এ ধনু, ১ দন্দ অথবা পৌরুষ অথবা নারীকা= ৬ ফুট,২০০০ ধনু= ১ গব্যুতি = ১২০০০ ফুট
৪ গব্যুতি= ১ যোজন= ৯.০৯ মাইল

গননা-
তাহলে এখন আমরা গননা করতে পারি যে আলোর গতি কত।
২২০২ যোজন অতিক্রম করে ১/২ নিমিষে
অর্থাত্‍, ২২০২x ৯.০৯ বা ২০০১৬.১৮ মাইল অতিক্রম করে .১০৫৬ সেকেন্ডে।

তাহলে প্রতি সেকেন্ডে অতিক্রম করে,
১৮৯৫৪৭ মাইল।

বর্তমানে আলোর গতিকে ধরা হয় ১৮৬০০০ মাইল প্রতি সেকেন্ডে।অর্থাত্‍ বৈদিক মতের প্রায় সমান!

উল্লেখ্য যে আমরা যদিও ১ অঙ্গুলি= ৩/৪ ইঞ্চি ধরেছি তবে তা পুরোপুরি তা নয়।এজন্য হিসেবে সামান্য পার্থক্য হয়েছে।
-VEDA, The infallible word of GOD
ওঁ শান্তি শান্তি শান্তি

জগন্নাথদেবকে কেন্দ্র করে দুটি জনপ্রিয় কাহিনি প্রচলিত আছে।

জগন্নাথদেবকে কেন্দ্র করে দুটি জনপ্রিয় কাহিনি প্রচলিত আছে। প্রথম কাহিনি অনুসারে, কৃষ্ণ তাঁর ভক্ত রাজা ইন্দ্রদ্যুম্নের সম্মুখে আবিভূর্ত হয়ে পুরীর সমুদ্রতটে ভেসে আসা একটি কাষ্ঠখণ্ড দিয়ে তাঁর মূর্তি নির্মাণের আদেশ দেন। মূর্তিনির্মাণের জন্য রাজা একজন উপযুক্ত কাষ্ঠশিল্পীর সন্ধান করতে থাকেন। তখন এক রহস্যময় বৃদ্ধ ব্রাহ্মণ কাষ্ঠশিল্পী তাঁর সম্মুখে উপস্থিত হন এবং মূর্তি নির্মাণের জন্য কয়েকদিন সময় চেয়ে নেন। সেই কাষ্ঠশিল্পী রাজাকে জানিয়ে দেন মূর্তি নির্মাণকালে কেউ যেন তাঁর কাজে বাধা না দেন। বন্ধ দরজার আড়ালে শুরু হয় কাজ। রাজা ও রানি সহ সকলেই নির্মাণকাজের ব্যাপারে অত্যন্ত আগ্রহী হয়ে ওঠেন। প্রতিদিন তাঁরা বন্ধ দরজার কাছে যেতেন এবং শুনতে পেতেন ভিতর থেকে খোদাইয়ের আওয়াজ ভেসে আসছে। ৬-৭ দিন বাদে যখন রাজা বাইরে দাঁড়িয়েছিলেন এমন সময় আওয়াজ বন্ধ হয়ে যায়। অত্যুৎসাহী রানি কৌতুহল সংবরণ করতে না পেরে দরজা খুলে ভিতরে প্রবেশ করেন। দেখেন মূর্তি তখনও অর্ধসমাপ্ত এবং কাষ্ঠশিল্পী অন্তর্ধিত। এই রহস্যময় কাষ্ঠশিল্পী ছিলেন দেবশিল্পী বিশ্বকর্মা। মূর্তির হস্তপদ নির্মিত হয়নি বলে রাজা বিমর্ষ হয়ে পড়েন। কাজে বাধাদানের জন্য অনুতাপ করতে থাকেন। তখন দেবর্ষি নারদ তাঁর সম্মুখে আবির্ভূত হন। নারদ রাজাকে সান্ত্বনা দিয়ে বলেন এই অর্ধসমাপ্ত মূর্তি পরমেশ্বরের এক স্বীকৃত স্বরূপ।

দ্বিতীয় কাহিনিটির অবতারণা করা হয়েছিল পূর্বোল্লিখিত উপখ্যানটির ব্যাখ্যা ও সংশয় নিরসনের উদ্দেশ্যে। বৃন্দাবনে গোপীরা একদিন কৃষ্ণের লীলা ও তাঁদের কৃষ্ণপ্রীতির কথা আলোচনা করছিলেন। কৃষ্ণ গোপনে সেই সকল কথা আড়ি পেতে শুনছিলেন। কৃষ্ণভগিনী সুভদ্রাকে নিয়োগ করা হয়েছিল গোপীরা যখন কৃষ্ণের কথা আলোচনা করেন তখন কৃষ্ণ যেন তাঁদের নিকটবর্তী না হতে পারে সেদিকে নজর রাখার জন্য। কিন্তু গোপীদের কৃষ্ণপ্রীতি দেখে পরিতুষ্ট সুভদ্রা তাঁদেরই কথা শুনতে শুনতে বিমোহিত হয়ে গেলেন। দেখতে পেলেন না যে তাঁদের দুই দাদা কৃষ্ণ ও বলরাম এগিয়ে আসছেন। শুনতে শুনতে দুই ভাইয়ের কেশ খাড়া হয়ে উঠল, হাত গুটিয়ে এল, চোখদুটি বড় বড় হয়ে গেল এবং মুখে আনন্দের উচ্চ হাসির রেখা ফুটে উঠল। এই কারণেই জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার এইপ্রকার রূপ। বৈষ্ণবরা কৃষ্ণের এই বিমূর্ত রূপটিকে পূজা করেন।
(share & tag)

আমাদের হিন্দু ধর্ম সাম্যবাদী ধর্ম। তাহলে কেন এই বর্ণ প্রথা?

আমাদের হিন্দু ধর্ম সাম্যবাদী ধর্ম। তাহলে কেন এই বর্ণ প্রথা?

আসুন তার উত্তর আমরা জানি শ্রী গোবিন্দ চন্দ্র বাঞ্চাপ্রিয় রচিত “ হিন্দু ধর্মের রূপরেখা” বই অবলম্বনে। তার বইের “চতুর্বর্ণ” অধ্যায় থেকে ব্যাখ্যা করছি।

বর্ণ শব্দের অর্থ “রং”। হিন্দু ধর্মে যে ত্রিগুন স্বীকৃত তা এই বর্ণ নির্ভর বলে ধারনা করা হয়। সত্যগুণ, রজগুন, তমোগুণ এই গুন তিনটি হল মানুষের মৌলিক গুন। এসব গুনকে ভিত্তি করেই আদিযুগে প্রচলন ঘটানো হয়েছিল কর্ম বিভাজনের। কর্ম বিভাজনের সময় মানুষকে ৪ টি ভাগে ভাগ করা হয় যেটা চতুর্বর্ণ হিসেবে পরিচিত। কর্মক্ষেত্রের প্রকান্তরে এই বিভাজন সৃষ্টি করা হয়েছিল এবং তা ছিল আত্যন্ত যুক্তিযুক্ত । যারা অধ্যাপনা, জ্ঞানদান এবং সমাজের বিভিন্ন কল্যাণকর কর্ম সম্পাদন করতেন তাদের বলা হত ব্রাহ্মণ। এরা ছিল সত্যগুণ প্রধান।
তেমনি যাদের সত্যগুণ কম ছিল এবং রজগুন বেশি ছিল তাদের নিয়োগ করা হত রাজকার্যে। তাদের বলা হত ক্ষত্রিয়।
রজগুন বেশি থেকেও যাদের স্বল্প তমগুন থাকত তাদের কর্মস্থল ছিল কৃষি ও বানিজ্জাদি। এদেরকে বলা হত বৈশ্য।
আর যারা ছিল জ্ঞানের দিক থেকে তমাচ্ছন্ন বা অলস প্রকৃতির তারা জীবিকা নির্বাহের জন্য নিয়োজিত হত ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রীয় ও বৈশ্যের সেবামূলক পেশায় তারাই শূদ্র।
এই কর্ম ভিত্তিক বিভাজনকেই বলা হয় কর্ম বিভাজন/ চতুর্বর্ণ।
একই পরিবারে থাকত বিভিন্ন বর্ণের লোক এমনকি চতুর্বর্ণের লোকও। এক পিতামাতার চার সন্তানের কেউ হত ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রীয়,বৈশ্য অথবা শূদ্র। একই পিতা-মাতারই চার সন্তানের মেধার ও কর্ম প্রচেষ্টার বিভিন্নতা বাস্তবতার অতীত নয়। তাই একই পরিবারের বিভিন্ন সন্তান নিয়োজিত হত বিভিন্ন বর্ণের কর্মে। এতে কোন দোষেরও কিছু ছিল না, ছিল না ঘৃণারও। আর বর্ণ প্রথা ছিল না গোষ্ঠী ভিত্তিক, অঞ্চলভিত্তিক বা দলভিত্তিক। অর্থাৎ হিন্দু ধর্মে তখন চতুর্বর্ণের উপস্থিতি থাকলেও একে ভিত্তি করে এ ধর্মের মানুষের মধ্যে কোন বিভেদ ছিল না।
মহাভারতের ধর্মরাজ যুধিষটির মতামত, ভৃগু- ভরদ্বাজ সংবাদে মহর্ষি ভৃগুর বর্ণভেদের উৎপত্তি বিষয়ক উক্তি , উমা- মহেশ্বর সংবাদে মহাদেবের বক্তব্য থেকে একথা স্পষ্ট যে হিন্দু ধর্মের বর্ণভেদ সম্পূর্ণ মানুষের চরিত্র নির্ভর, বংশ পরম্পরায় নয়। কাজেই ব্রাহ্মণের পুত্র যে ব্রাহ্মণই হবে অথবা শূদ্রের পুত্র যে শূদ্রই হবে এমন কোন নিয়ম নেই সনাতন ধর্মে। পূর্বে কাজের পরিধি ছিল সীমিত, কিন্তু আজ তা বিস্তৃত।
আজ দেখা যায়, কৃষকের ছেলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করছেন। আর আজকে যে আমরা কায়স্ত, মাতুয়া, নমশূদ্র, হাইয়ার কাস্ট নামে যে সকল বর্ণের কথা শূনতে পাই তার অস্তিত্ব সনাতন ধর্মের কথাও নেই। এগুলা স্বার্থন্যাসী মানুষেরই সৃষ্টি। তাই আমাদের উচিত সকল ভেদাভেদ ভুলে এক সনাতন ধর্মের অনুসারী হিসেবে নিজেদের সমাজে প্রতিষ্ঠা করা। আমাদের বড় পরিচয় আমরা হিন্দু।

সংগ্রহীত

হিন্দু ধর্মের উদারতার একটি বড় প্রমান হিন্দুরা কখনই বলে না তাদের ধর্ম অন্য ধর্ম থেকে শ্রেষ্ঠ

“জীবে প্রেম করে যেই জন, সেইজন সেবিছে ঈশ্বর”-স্বামী বিবেকানন্দ।

“সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই”-চন্ডীদাস।

“মানুষ আপন টাকা পর, যত পারিস মানুষ ধর”-শ্রী শ্রী ঠাকুর অনকুলচন্দ্র।

উপরের বাক্য তিনটি হিন্দু ধর্মের তিনজন মাহামানবের বলা। হিন্দু ধর্মের অসংখ্য মহামানব এরকম হাজার হাজার বানী দিয়ে গেছেন যা কোন বিশেষ ধর্মের মানুষের জন্য নয় বরং সমগ্র মানব জাতিকে উদ্দেশ্য করে। হিন্দুরা সত্যই বিশ্বাস করে প্রত্যেক জীবের মধ্যে ঈশ্বর আছেন আর তাই তারা যখন কারো সাথে পরিচিত হয় তাকে মাথা নিচু করে নমষ্কার জানায় কারণ প্রত্যেকের ভিতরে থাকা ঈশ্বরকে তারা শ্রদ্ধা করে। হিন্দু ধর্মের উদারতার একটি বড় প্রমান হিন্দুরা কখনই বলে না তাদের ধর্ম অন্য ধর্ম থেকে শ্রেষ্ঠ। কারণ তারা বিশ্বাস করে “আপনাকে যে বড় বলে বড় সে নয়, লোকে যারে বড় বলে বড় সেই হয়”। হিন্দুরা প্রত্যেক মানুষকে সমানভাবে শ্রদ্ধা করে বলেই কোন হিন্দু মহামানব কখনই অন্য ধর্মের কোন মানুষকে হিন্দু ধর্ম গ্রহনের জন্য প্রভাবিত করে না বা এই রকম প্রলভন দেখায় না যে হিন্দু ধর্ম গ্রহন করলে তার জন্য স্বর্গ নিশ্চিত। হিন্দু ধর্মের মহামানবরা বলেন না যে, “একজন হিন্দু আরেকজন হিন্দুর ভাই” বরং হিন্দুরা প্রার্থনার শুরুতে বলে,

“সর্বে ভবন্ত সুখিন,

সর্বে সন্ত নিরাময়া,

সর্বে ভদ্রানি পশ্যন্ত,

মা কশ্চিদ দুঃখভোগে ভবেত।।

অর্থাৎ জগতের সকলেই সুখি হউক, সকলেই নিরাময় লাভ করুক, সকলেই মঙ্গল লাভ করুক, কেহ যেন দুঃখ ভোগ না করে।

এই ভাবেই হিন্দুরা পৃথিবীর সকল মানুষ এবং জীবের মঙ্গল কামনা করে। হিন্দু ধর্মে এই উদারতা আছে বলেই একে বলা হয় সনাতন ধর্ম যার অর্থ এটি সৃষ্টির শুরু থেকে ছিল, আছে এবং থাকবে। হিন্দু ধর্মের মানুষের মাঝে উদারতা আছে বলেই তাদের মন্দিরে যে কোন মানুষের অবাধ বিচরণ করার অধিকার রাখে।
সংগ্রহ: বাঙালী হিন্দু সিধু

শ্মশান ঘাট এর নাম শুনলে ভয়ে আঁতকে ওঠেন । ভয় পাবারই কথা । যেখানে আধপোড়া কাঠ , মৃতের বস্ত্র , চিতা ধূম , মাচা , ভস্ম , ভাঙ্গা কলসি পড়ে থাকে

শ্মশান ঘাট এর নাম শুনলে ভয়ে আঁতকে ওঠেন । ভয় পাবারই কথা । যেখানে আধপোড়া কাঠ , মৃতের বস্ত্র , চিতা ধূম , মাচা , ভস্ম , ভাঙ্গা কলসি পড়ে থাকে । রাতে যেখানে নাম না জানা না কত অজানা জীব জন্তু...র ডাক , নিশাচর পাখীড় হাড় হিম ডাক , শেয়ালের মড়া নিয়ে টানাটানি । কোন মাতৃ সাধকের কন্ঠে মেঘ গম্ভীর ‘জয় তারা’ স্মর – সাথে হরি ধ্বনি করে নিয়ে আসা কোন দেহ । এর সাথে জুড়ে দেওয়া হয় ভূত- প্রেত – পেত্নীর গল্প । মা কালী কিন্তু এই শ্মশানই থাকেন । তাঁর এক নাম শ্মশান বাসিনী । আসুন এঁবার অন্য কিছু জানি ।

কেন মা শ্মশান ভালোবাসেন ? যেখানে এত বিভীষিকা ? শ্মশান কিন্তু তপ ভূমি । ভগবান শিবের ভূমি । শ্মশান খুবুই পবিত্র স্থল । সবাই কেই আসতে হবে একদিন । কারোর রেহাই নেই । দুদিন আগে কেউ দুদিন পরে । ভূমিষ্ঠ হবার পর মানুষের শেষ গতি ঐ শ্মশান । নিস্তার নেই । শ্মশান এ এই দেহ পোড়ানো হবে । মিলে যাবে পঞ্চ ভূতে । পঞ্চ ভূতের শরীর পঞ্চ ভূতেই বিলীন হবে । আমাদের শরীর এ কামনা বাসনা আছে । সুন্দরতার ভক্ত আমরা । আত্মার এই কামনা বাসনা নেই । আত্মা কে কামনা বাসনা স্পর্শ করতে পারে না । কামনা বাসনা দেহের । শ্মশান এই কামনা বাসনার আখরা শরীর টি আগুনে ভস্মীভূত হচ্ছে । সমস্ত কামনা বাসনার শেষ এই শ্মশান । তাই মায়ের প্রিয় স্থান শ্মশান । কামনা বাসনা দূর না হলে মায়ের সাধনা পূর্ণ হয় না ।

অমুকে সুন্দর । অমুকে স্লিম ফিগার । অমুকে জীমে গিয়ে ইয়া বডি বানিয়েছে । অমুকের সুন্দর চুল । অমুকের সুন্দর রূপ । এই যে সুন্দর , মাসেল বানানো , সুন্দর চুল- এগুলি সব দেহের । আত্মার সাথে এগুলির কোন সম্পর্ক নেই । একজন সুন্দর তরুণীর যদি অকাল মৃত্যু হয় – তাকে শশানে পোড়ালে এক মুষ্টি ছাই হবে , একজন কুৎসিত কে পোড়ালেও এক মুষ্টি ছাই বের হবে । কোথায় যায় তখন এই সুন্দরতা ,


চুলের টেরি , মাসেল , দামী সুগন্ধির গন্ধ ? শশানে এই সব অহংকার আগুনে ছাই হয়ে যায় । এখানে অহংকার এর নাশ হয় । তাই শশান মায়ের প্রিয় । সব দেহই শশানে হয় ছাই । গরীব ধনী , বৃদ্ধা , সুন্দর , কুৎসিত সবাই । মৃত্যুর কাছে কোন ভেদাভেদ নেই । সে নিজের নিয়মে চলে ।

শ্মশান বৈরাগ্য ভূমি । মানুষ নানা গয়না গাটি , কেশ বিন্যাস , সুগন্ধি , মাসেল বানিয়ে নিজের দেহ কে সাজায় । মৃত্যুর পর শশানে ক্রিয়া কর্মের পর – এসব কিছুই থাকে না । সব ভস্ম । মানুষের মাটির শরীর । রক্ত , মাংস , হাড় – এই নিয়ে মানুষের কত অহংকার । মানুষ জন্মাচ্ছে , মাটির শরীর , ইহ লীলা সমাপন হলে তার দেহ শশানে এক মুষ্টি ছাই । মানুষ আসে একা , যায় একা । যা নেয় এখানেই নেয় , যা দেয় এখানেই দেয় । একটা কাপড়ের টুকরো সে নিয়েও আসে না , নিয়েও যায় না । শ্মশান বসে থাকলেও বৈরাগ্য জন্মে । বৈরাগ্য ভক্ত কে ভগবানের কাছে নিয়ে যায় । তাই মা শ্মশান প্রিয়া ।

মন্দিরে শাস্ত্র পড়ে যে শিক্ষা পাওয়া যায় । শ্মশান কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলে তার উদাহরণ দেখা যায় । মানুষ জন্মাচ্ছে , মড়ছে । কামনা বাসনার প্রতীক দেহ পুড়ে ছাই হচ্ছে । তাই সাধক সাধিকা গন সাধনার স্থান হিসাবে এই শশান কেই বেছে নেন । যারা মনে করেন শশান অপবিত্র স্থান - তারা মূর্খের রাজত্বে বাস করেন । শ্মশান খুবুই পবিত্র স্থান । যে স্থানে কামনা , বাসনা , অহংকার পুড়ে ছাই হয় , যে স্থান বৈরাগ্য সৃষ্টি করে – সে স্থান অপবিত্র কি ভাবে হতে পারে ? তাই মা শশানে থাকেন । এ স্থান বড়ই পবিত্র ।

এই রুপের গর্ব , এই সৌন্দর্য , এই মাসেল , এই কেশ বিন্যাস , এই দামী জামা কাপড় , নানান দামী সুগন্ধি , এই চেহারা কিছুই থাকেনা । আর মানুষ এগুলো কে নিয়েই লাফায় । ভাবুন এই দেহের শেষ পরিণতি কি ?
-আত্মজ্ঞানই জীবের মুক্তি। ( Share & tag) with friends

আমাদের সনাতন ধর্মে প্রতিমাপূজা আরাধনার সূচনাপর্বের বিষয়। প্রথমেই বলে রাখি; আমাদের পূজা “মূর্তি পূজা” নয়, বরং এর উচ্চারণ হবে “প্রতিমাপূজা”।

আমাদের সনাতন ধর্মে প্রতিমাপূজা আরাধনার সূচনাপর্বের বিষয়। প্রথমেই বলে রাখি; আমাদের পূজা “মূর্তি পূজা” নয়, বরং এর উচ্চারণ হবে “প্রতিমাপূজা”। আমরা কখনোই মূর্তিকে পূজা করি না; মূর্তির মধ্য প্রাণ প্রতিষ্ঠা করে তাকে ঈশ্বর জ্ঞানে পূজা করি। প্রতিমার মাধ্যমে ঈশ্বরের পূজা করার অর্থ হল ঈশ্বরের প্রতি নিজের বিশ্বাসকে দৃঢ় করা।

বেদ যখন রচিত হয় তখন মানুষের মধ্য তেমন কোন কর্মচঞ্চলতা ছিল না। যজ্ঞানুষ্ঠানই ছিল ঋষিদের প্রধান কর্ম। যজ্ঞের মাধ্যমে হোমানল জ্বালিয়ে তখন দেবতাদের আহ্বান করা হত, অগ্নির মাধ্যমেই দেবতাদের উদ্দেশ্য দেওয়া হতো পুষ্পাঞ্জলি । তাই, আমরা বেদে প্রতিমা পূজার উল্লেখ দেখতে পাই না।

এই কলিযুগে সনাতন ধর্মের নিরাকার উচ্চ স্তরের উপাসনা প্রায় অসম্ভব। কারণ, কলি যুগে আমাদের মন এতই চঞ্চল যে একে নিয়ন্ত্রণ করা দুঃসাধ্য ব্যাপার। মনকে নিয়ন্ত্রণ করার একটি সহজ উপায় হচ্ছে, চোখের মধ্য কোন বস্তুর ছবি ফেলা। পরবর্তীতে, ওই ছবিটি যদি নাও থাকে তবে চোখের সামনে তার প্রতিচ্ছবি ভেসে উঠবে। তাই, সাধারন মনোনিবেশ তথা চিত্তকে বিষয় বাসনা থেকে সরিয়ে একাগ্রচিত্তে ভগবানকে স্মরণ করার জন্য প্রতিমাপূজা একটি বিজ্ঞান সম্মত পদ্ধতি ।

একটি শিশুকে প্রথম পাঠদানের সময় অনেক রঙিন ছবি সম্বলিত বই দেওয়া হয় যাতে ঐ বইটির প্রতি শিশুর আকর্ষণ বাড়ে। এখানে ছবি মুখ্য নয়, মুখ্য হচ্ছে বর্ণমালা। ঠিক তেমনি আমাদের চঞ্চল মন প্রতিমার মাধ্যমে ঈশ্বরের প্রতি আকৃষ্ট হয়। এখানে, ঈশ্বরের করুণা লাভই হচ্ছে মুখ্য বিষয়।

সবাই শেয়ার করুন ##

 ------------------------------
কৃতজ্ঞতা : শ্রী জয় রায়

শাঁখা, সিঁদুর ও লোহা ব্যবহারের তিনটি কারণ আধ্যাত্মিক, সামাজিক ও বৈজ্ঞানিক।

শাঁখা সিঁদুর আমাদের হিন্দু বিবাহিত নারীরা পরে আসছে অনেক আগে থেকে ।। তবে বর্তমানে এগুলা না পরা অনেকটা আধুনিকতার স্বারুপ হয়ে দারাচ্ছে কারো কারো কাছে তাই আসুন আজ আমরা দেখে নেই শাঁখা সিঁদুর পরার কারন আর কেন এটা পরা উচিত...........

শাঁখা, সিঁদুর ও লোহা ব্যবহারের তিনটি কারণ আধ্যাত্মিক, সামাজিক ও বৈজ্ঞানিক।

আধ্যাত্মিক কারণ : শাঁখার সাদা রং- সত্ত্ব, সিঁদুরের লাল রং -রজঃ এবং লোহার কাল রং- তম গুণের প্রতীক। সংসারী লোকেরা তিনটি গুণের অধীন হয়ে সংসারধর্ম পালন করে।

সামাজিক কারণ : তিনটি জিনিস পরিধান করলে প্রথম দৃষ্টিতেই জানিয়ে দেয় ঐ রমণী একজন পুরুষের অভিভাবকত্বে আছেন। সে কারণেই অন্য পুরুষের লোভাতুর, লোলুপ দৃষ্টি প্রতিহত হয়। স্বামীর মঙ্গল চিহ্ন তো অবশ্যই।

বৈজ্ঞানিক কারণ : রক্তের ৩টি উপাদান শাঁখায় ক্যালসিয়াম, সিঁদুরে মার্কারি বা পারদ এবং লোহায় আয়রণ আছে। রক্তের ৩টি উপাদান মায়েদের মাসিক রজঃস্রাবের সাথে বের হয়ে যায়। তিনটি জিনিস নিয়মিত পরিধানে রক্তের সে ঘাটতি পূরণে সহায়তা করে। আর্য ঋষিগণ সনাতন ধর্মের প্রতিটি আচার অনুষ্ঠানেই বৈজ্ঞানিক প্রয়োজনীয়তাকে প্রাধান্য দিয়ে আচার বা অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করেছেন।

লক্ষ্য করবেন -

* সিঁদুর দেয়ার সময় মায়েরা নিচের দিকে নয়, ঊর্ধ্বায়ণ করে। কেন? সিঁদুর ঊর্ধ্বায়ণের মাধ্যমে রমণীগণ নিয়ত তার স্বামীর আয়ু বৃদ্ধির প্রার্থনা করে।

*শুভ বিজয়াতে বা বিভিন্ন পূজা পার্বণে মায়ের দেবী দুর্গাকে সিঁদুর ছোঁয়ান বা একে অন্যে সিঁদুর পড়ান। কেন?
দুর্গা দেবীর কাছে প্রার্থনা করেন সিঁথির সিঁদুর যেন অক্ষয় থাকে। একে অন্যকে পড়ান সে বাসনাতেই।

Courtesy by : Gauromohon das dada .

## scientific reason of using sindoor :

Sindoor contains mercury, in it which is the only metal found in liquid form. When sindoor is applied in the hair-parting, mercury present in it, acts as a medicine because it is known for removing stress and strain and keeps the brain alert and active also.

The mercury in the sindoor helps in cooling her down, bringing to her the mental peace .Hence sindoor having mercury in it works as a therapeutic medicine to deal with the pressures of new life by keeping the mind calm, composed and poised. http://www.indiatribune.com/index.php?option=com_content&view=article&id=6019%3Awhy-do-married-women-apply-sindoor-&catid=147%3Awedding-special-2011&Itemid=527
------------------
শেয়ার করে সবাইকে জানিয়ে দিন

খুলনায় অপহৃতা কন্যাকে ফিরে পেতে বাবার আকুতি

খুলনায় অপহৃতা কন্যাকে ফিরে পেতে বাবার আকুতি
লনার বটিয়াঘাটা উপজেলার ডেউয়াতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী রাখি রায়কে (১২) ফিরে পেতে চান তার বাবা অজিত কুমার রায়। গত বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় খুলনা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে এ দাবি জানান।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ৭ জুন দুপুর আড়াইটার দিকে তার মেয়েকে বাড়ির পাশ থেকে ডেউয়াতলা গ্রামের মিয়া বাড়ির আবদুর রহিম, সাকিব শেখ, সালাম মিয়া এবং হাফিজুর রহমান অপহরণ করে। অপহরণকারীরা খুলনা জেলা আ'লীগের সভাপতি এবং জেলা পরিষদের প্রশাসক হারুনুর রশিদের আত্মীয়। এ ঘটনা তাকে জানালে তিনি কোন সমাধান দেননি।

অপহরণকারী আবদুর রহিমের পিতা সালাম মিয়া রাখিকে ফেরত দেয়ার কথা বললেও ফেরত দেননি। এ ঘটনায় উপরোক্ত ৪ জনকে আসামি করে বটিয়াঘাটা থানায় মামলা দায়ের করা হয়।

সম্মেলনে আরও বলা হয়, এর আগেও সালাম মিয়ার পুত্র আবদুর রহিম রাখি পঞ্চম শ্রেণীতে পড়া অবস্থায় উত্তক্ত করত। ওই সময় তার পিতা-মাতার কাছে বললেও তারা তার কোন বিচার করেনি। মিয়া বাড়ির লোকজন সংখ্যালঘু সমপ্রদায়ের ৪ মেয়েকে গৃহবধূ বানিয়েছে।

৪ জন আসামির মধ্যে সাকিব ও হাফিজুর রহমান জামিনে ছাড়া পেয়ে আমাদের নামে মিথ্যা মামলা করার হুমকি এবং ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। এ অপহরণের প্রতিবাদে মঙ্গলবার বটিয়াঘাটা উপজেলা সদরে গঙ্গারামপুর ইউনিয়নবাসীর উদ্যোগে এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। তিনি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

আজ জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা উৎসব -------------------------------------------------------------------------- জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা কি ?

আজ জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা উৎসব
--------------------------------------------------------------------------
জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা কি ?

রথ যাত্রার ১৬দিন পূর্বের পূর্ণিমায় ভগবান জগন্নাথদেবকে স্নান করানো হয়। তারপর ভগবান ১৪দিন অসুস্থ লীলা করেন । সেই দিন থেকে ভগবানকে রথ যাত্রার আগ পর্যন্ত বিশেষভাবে মন্দিরে ভক্তদের দর্শন দান করেন না ।

স্নানযাত্রা কেন ?
ব্রহ্মার পুত্র স্বয়ম্ভুর মনু পৃথিবীতে ভগবানকে দর্শন করবার জন্য একটি মহাযজ্ঞের আয়োজন করেন,সেই যজ্ঞের প্রভাবে জগন্নাথদেবের আগমন ঘটে । সেই দিনটি ছিল জ্যৈষ্ঠ মাসের পূর্ণিমা তিথি ।সেইজন্য এইদিনটিকে বলা হয় জগন্নাথদেবের আবির্ভাব তিথি ।

শ্রীজগন্নাথদেব স্বয়ম্ভুর মনুকে বলেন যে তারা যেন সবাই মিলে পবিত্র জলে শ্রীজগন্নাথদেবকে স্নান করান ।এতে মন-প্রাণ শুদ্ধ হবে, এবং সত্‍ইচ্ছা পূর্ণ হবে।

এই জন্য এই স্নানদিবসে সুসজ্জিত স্নানবেদীতে জগন্নাথকে মহাসমারোহে স্নান করানো হয়ে থাকে।

তথ্যসূত্র : রথ যাত্রা

বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ বিনোদনের উত্তম মাধ্যম হয়ে গিয়েছে। এখানে মহিলা সাংসদরা যে নোংরা ভাষায় একে অন্যকে আক্রমণ করছেন তা রীতিমত লজ্জাজনক। পুরাতন কিছু নিয়ম মেনে ধর্মকে টেনে এনেছেন তারা।

বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ বিনোদনের উত্তম মাধ্যম হয়ে গিয়েছে। এখানে মহিলা সাংসদরা যে নোংরা ভাষায় একে অন্যকে আক্রমণ করছেন তা রীতিমত লজ্জাজনক। পুরাতন কিছু নিয়ম মেনে ধর্মকে টেনে এনেছেন তারা।

১। খালেদা জিয়ার বাবা ইহুদী আর মা মারমা হলে অপু উকিলের সমস্যা টা কী? তার মত একজন হিন্দু নারীর কাছ থেকে আমরা এধরণের কথা আশা করতে পারি না। বর্তমান বিশ্বে ইহুদীদের দেখতে পারে না একটি বিশেষ ধর্মীয় সম্প্রদায়। তারা নিজেরা আরব বিশ্ব থেকে ইহুদীদের উৎখাত করেছে এই কথা কোনদিনও বলবে না আর এক ফিলিস্তিন নিয়ে কাঁদে। এরা আসলে বিশ্বের কোন সম্প্রদায়কেই দেখতে পারে।

http://en.wikipedia.org/wiki/Jewish_exodus_from_Arab_and_Muslim_countries

হিন্দুরা ইহুদীদের মত নির্যাতিত। তারা কোন জাতিকে ঘৃণা করতে পারে না। তাই অপু উকিলের কাছ থেকে এই মন্তব্য অন্যায়। খালেদা জিয়াকে আমরা তার কর্ম দিয়ে বিচার করব। তার জন্ম দিয়ে নয়।

২। বিএনপির নারী সাংসদরা আগের মত হিন্দুদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছেন। গত শুক্রবার ওয়াকআউটের সময় বিএনপির মহিলা সদস্যরা চিৎকার করে হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে ‘হরে কৃষ্ণ হরে রাম, শেখ হাসিনার বাপের নাম’- এমন আপত্তিকর স্লোগান দিতে দিতে বেরিয়ে যেতে দেখা যায়। অধিবেশনের বাইরেও বিএনপির পাঁচ মহিলা এমপি ধর্মীয় উস্কানিমূলক ওই স্লোগান দিতে দেখা যায়।

http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=27&dd=2013-06-21&ni=139738

হরে কৃষ্ণ, হরে রাম, শেখ হাসিনার বাপের নাম এই কথার মানে কি? 'আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলে দেশ ভারত হয়ে যাবে', 'মসজিদে আজানের পরিবর্তে উলুধ্বনি শোনা যাবে', 'হরে কৃষ্ণ হরে রাম শেখ হাসিনার অপর নাম', 'জয় বাংলা জয় হিন্দ, লুঙ্গি খুলে ধুতি পিন্দ', 'বিসমিল্লাহ কায়েম রাখো, ধানের শীষে সিল মারো', 'হিন্দুদের গোলামি রুখতে বিএনপিকে ভোট দিন' এই স্লোগানগুলো তো আপনারাই দিয়েছিলেন তাই নয় কি? হিন্দুরা আওয়ামী লীগের ভোটব্যাংক হওয়ার কল্পিত অপরাধে ২০০১ সালের নির্বাচনপূর্ব ও উত্তর সময়কালে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীকে নির্মম শাস্তি দিতেও পিছপা হয়নি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দল বিএনপি ও সরকার। জাতীয় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের গবেষণা ও মূল্যায়ন বিভাগের গবেষক মোহাম্মদ রফি তাঁর গবেষণাগ্রন্থে দেখিয়েছেন, ২০০১ সালের নির্বাচনের মাস অক্টোবর থেকে ২০০২ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১২০টি উপজেলায় সংখ্যালঘুদের বিশেষ করে হিন্দুদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালনে বাধা দেওয়া হয়েছে। ১৯০টি উপজেলায় তারা চাঁদাবাজির শিকার হয়েছে। ১৩৭টি উপজেলায় সংখ্যালঘুদের দেশত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে। ১২৮টি উপজেলায় তাদের সহায়-সম্পদ লুটের ঘটনা ঘটেছে। ১৬২টি উপজেলায় সম্পত্তি ধ্বংস হয়েছে। ২০২টি উপজেলায় হিন্দুরা শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে। গবেষকদের ভাষায়, সরকার সংখ্যালঘুদের দেশত্যাগ বন্ধে কোনো উদ্যোগ নেয় না, বরং নিষ্ঠুর ও নির্বিকার আচরণ করে।

আমরা চট্টগ্রামে আর সিলেটে মেয়র নির্বাচনে আপনাদের ভোট দিয়েছি। কিন্তু হিন্দুদের প্রতি বিদ্বেষ আপনাদের যায় নাই।

ধিক আপনাদের।

বিএনপির একজন সংসদ সদস্যা শাম্মী আক্তার।যিনি সংসদে গিয়ে "চুতমারানি" শব্দ ব্যবহার করে সংসদকে অবমাননা করেছেন।কিন্তু এ বিষয়ে আমাদের কোন মাথাব্যাথা নেই

বিএনপির একজন সংসদ সদস্যা শাম্মী আক্তার।যিনি সংসদে গিয়ে "চুতমারানি" শব্দ ব্যবহার করে সংসদকে অবমাননা করেছেন।কিন্তু এ বিষয়ে আমাদের কোন মাথাব্যাথা নেই।কারণ আমরা তো আর দেশের নাগরিক নয় আমরা হলাম সংখ্যালঘু।
কিন্তু মাথাব্যাথা তখনি শুরু হল যখন তিনি "হরে কৃষ্ণ হরে রাম শেখ হাসিনার অপর নাম" বলে আমাদের ধর্মকে চরমভাবে অপমান করলেন।এছাড়া তাকে যখন সংবাদ সম্বেলনে এই বিষয়ে জিজ্ঞাস করা হল তখন তিনি বললেন "কৃষ্ণ করলে লীলা আর আমরা করলে দোষ।"
একজন এমপি যদি এইভাবে সংসদে দাড়িয়ে ধর্ম অবমাননা করার সাহস দেখাতে পারে তবে কেন হাজার হাজার মন্দির ভাঙা হবে না? কেন সংখ্যালঘুদের মেয়েরা গণিমতের মাল হবে না?
যে যেমন পারছে হিন্দু ধর্মকে অবমাননা করছে।কারণ তারা জানে এর কোনো বিচার বাংলাদেশে হবে না।কিন্তু ইসলাম ধর্ম অবমাননা করলে অবমাননাকারীর ফাঁসি চাওয়া হয়।আজ যদি কোনো হিন্দু এইভাবে নবী বা আল্লাহর সাথে খালেদা জিয়ার তুলনা করত তবে পরিস্হিতি কি দাড়াত?জাতির বিবেকের কাছে প্রশ্ন থাকল।

প্রাক্তন ইসলামী আলেম Abdula Hadi Palazzi নিজের ভুল বুঝতে পেরে শান্তি ও সত্তের পথ সনাতন ধর্ম গ্রহন করেন।

প্রাক্তন ইসলামী আলেম Abdula Hadi Palazzi নিজের ভুল বুঝতে পেরে শান্তি ও সত্তের পথ সনাতন ধর্ম গ্রহন করেন। হিন্দু হয়ে তিনি Shankar Nath babaji হয়ে ওঠে।
পোস্টটি লাইক ও শেয়ার করে স্বাগত জানান।(Share &Tag)
former islamist Abdula Hadi Palazzi who become Hindu due to the spiritual influence from Puri shankracharya and became shankar nath babaji.
“Hare Krishna”
http://www.loonwatch.com/2012/11/muslim-zionist-abdul-hadi-palazzi-now-hindu/

সকল সনাতনীদের জন্য জরুরী বার্তা অবশ্যই শেয়ার করবেন ♥♥ like & share

সকল সনাতনীদের জন্য জরুরী বার্তা অবশ্যই শেয়ার করবেন ♥♥ like & share

আপনি কি জানেন সরকার আমাদের সমস্থ মঠ মন্দির দখল করে মন্দির গুলোকে একটি ব্যবসা ক্ষেত্রে পরিনত করার পদক্ষেপ নিচ্ছে , শেয়ার করে নিজে জানুন অন্যকে জানান

মঠ-মন্দির ও দেবোত্তর সম্পত্তি রক্ষা ও পুনরুদ্ধার জাতীয় কমিটি
Vote for “Save Temple Property in Bangladesh”
বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক কালো আইন “দেবোত্তর সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা আইন-২০১৩” পাশ করার উদ্দোগ নেয়া হয়েছে যা সম্পূর্ণরূপে হিন্দু শাস্ত্র ও স্বার্থ বিরোধী। আইনটি পাশ করার মাধ্যমে আমাদের শেষ আশ্রয়স্থল মঠ, মন্দিরগুলো দখল করে এই দেশ থেকে হিন্দু/ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের চিরতরে বিতাড়িত করার একটি নীলনকশা।
অতএব যেকোন ভাবেই হোক এই অশুভ উদ্দেশ্য প্রতিহত করতেই হবে। গণ-স্বাক্ষরতার, গণমিছিল এর পাশাপাশি এ আইনের বিরুদ্ধে অনলাইনে স্বাক্ষর সংগ্রহের জন্য একটি পিটিশন পোস্ট করা হয়েছে। আপনারা এখানে স্বাক্ষর করে এর প্রতিবাদ করুন-
ঠিকানা:
http://www.petitions24.com/save_temple_property_in_bangladesh
অনলাইনে স্বাক্ষর করার নিয়ম:
১. উপর্যুক্ত ঠিকানায় ক্লিক করে ইন্টারনেটে প্রবেশ করুন।
২. Sign this petition ট্যাবে ক্লিক করুন।
৩. আপনার তথ্য পূরণ করে Sign this petition বাটনে ক্লিক করুন।
৪. এবার আপনার কমেন্ট লিখুন (optional)।
এ পর্যন্ত কতজন স্বাক্ষর করেছে জানতে Signature Tab ক্লিক করুন।

জনস্বার্থে: সচেতন হিন্দু সমাজ

বাংলাদেশে একজন হিন্দু আইনজীবীও কি নেই যিনি এই বক্তব্যের প্রতিবাদে ‘ধর্মানুভূতিতে আঘাতের’ অভিযোগে মামলা করতে পারেন????????

বাংলাদেশে একজন হিন্দু আইনজীবীও কি নেই যিনি এই বক্তব্যের প্রতিবাদে ‘ধর্মানুভূতিতে আঘাতের’ অভিযোগে মামলা করতে পারেন????????

“হরে কৃষ্ণ হরে নাম আওয়ামী লীগের বাপের নাম” - রেহেনা আক্তার রানু
___________________________________

জাতীয় সংসদের অধিবেশনে আবারো কথার তুবড়ি ছড়ালেন সংরক্ষিত আসনের বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্য রেহেনা আক্তার রানু।

তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে রানু বলেন, “ আওয়ামী লীগের পালানোর সময় হয়েছে। তারেক রহমান দেশে ফিরলে আওয়ামী লীগের দেশে থাকার কোনো উপায় থাকবে না। ‘হরে কৃষ্ণ হরে নাম’ করে আওয়ামী লীগ দেশ থেকে পালাবে।” তিনি বলেন, “ হরে কৃষ্ণ হরে নাম আওয়ামীলীগের বাপের নাম।”

বক্তব্য চলাকালে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী তাকে বারবার সতর্ক করলেও তিনি তাতে কর্ণপাত করেননি। এ সময় স্পিকার সাত বার মাইক বন্ধ করে দেন।

-কিউরিয়াস মাইন্ড ওয়ান্টস টু নো গয়েশ্বরের কি হবে গো ??

গত বৃহস্পতিবার সংরক্ষিত মহিলা সাংসদ নিলোফার চৌধুরী মণি ।
আর আজ আবার একই কথা বললেন সাংসদ রেবেকা বেগম রেণু ।
আমাদের অনুভূতি নেই তাই আঘাত লাগে না ।
রমনা কালী মন্দির ,ঢাকা,বাংলাদেশ

রমনা কালী মন্দির ভারতীয় উপমহাদেশের সবচেয়ে বিখ্যাত হিন্দু মন্দিরসমূহের মধ্যে অন্যতম ছিল। এটি রমনা কালীবাড়ি নামেও পরিচিত। এটি প্রায় এক হাজার বছরেরও পুরাতন বলে বিশ্বাস করা হয় এবং বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার রমনা পার্কের (যার বর্তমান নাম সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) বহির্ভাগে অবস্থিত।এই মন্দিরটিরও একটা গল্প আছে। একবার নাকি নেপাল থেকে দেবী কালীর একজন ভক্ত এসেছিলেন। তিনিই তৈরি করেছিলেন এই কালী মন্দির। ঢাকা শহরের অন্যতম পুরোনো আর বনেদি এই কালী মন্দিরটি পরে ভাওয়ালের রানী বিলাসমণি দেবী সংস্কার করেন।

শ্রী শ্রী রমনা কালী (ভদ্রা কালী) মন্দিরের এবং শ্রী শ্রী আনন্দময়ী আশ্রমের অতীত ও বর্তমান সম্পর্কে জানবার ইচ্ছে অনেকেই মনে করেন. রমনা কালী বাড়ীর নাম থেকে রমনা থানার নামটি হয়েছে, আদৌ ঘটনাটি সত্যি নয়। রমান শব্দের অর্থ ইংরেজীতে ল'ন, বাংলায়া ঠিক এর প্রতিশব্দ আছে কিনা জানি না, তবে রমনা শব্দটি ফার্সী শব্দ এবং এ শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন ১৬১০ সালে মোঘল সম্রাটের সেনাপতি ইসলাম খাঁ।

মোঘল আমলের শেষ দিকে মোঘল সেনাপতি মান সিংহের সহযোগিতা ও বার ভূঁইয়ার অন্যতম কেদার রায় এর অর্থে শাহবাজ মসজিদের উত্তর দিকে হরিচরণ গিরি ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন কৃপা সিদ্ধির আখড়া যা পরবর্তীতে ভদ্রাকালী বাড়ী এবং পর্যায়ক্রমে নামকরণ করা হয় রমনা কালী মন্দির হিসেবে। হরিচরণ গিরি ও কেদার রায় এবং গুরু ছিলেন গোপাল গিরি, গোপাল গিরি স্মরণেই রমনা (ভদ্রা) কালী মন্দির স্থাপন করা হয় মোঘল সম্রাটের পৃষ্টপোষকতায়। ঐতিহাসিক দানীর মতে, রমনা কালী মন্দির এলাকায় মোট ৩টি পুকুর ছিল্ৎ একটি বর্তমান শিশু পার্কের মধ্যে, একটি শ্রী মা আনন্দময়ী আশ্রমের নিকটে এবং তৃতীয়টি বর্তমানে বিদ্যমান আছে যা জনসাধারণ জানে রমনা কালী বাড়ির পুকুর হিসেবে। তখন থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের নিকট রমান কালী বাড়ী বা ভদ্রা দেবীর বাড়ী একটি তীর্থ ক্ষেত্র হিসেবে পরিচিতি পায় এবং বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, শ্রী লংকা, বার্মা থেকে অসংখ্য ভক্ত ভদ্রা দেবীর মন্দিরে আসতেন প্রার্থনা করতে। তৎকালে রমনা এলাকা শুধু হিন্দু বা মুসলিম সম্প্রদায়ের উপাসনালয় ছিল না। গ্রীকদের উপসনালয় ও গ্রীক কবর স্থান রমনা এলাকায় ছিল এবং যা বর্তমানে আছে। পাঠকবৃন্দ তিন নেতার মাজার থেকে বাংলা একাডেমীর পাশ দিয়ে কলা ভবনে যেতে দেখবেন ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্ররে গ্রীক স্মৃতি সৌধটি, এখনও যা মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে, যা আপনার দৃষ্টি আকর্ষন করবে।


 মোঘল সাম্রাজ্যের পতনের পর রমনা এলাকা হয়ে উঠে নিভৃত জঙ্গল ও বিরাণ অঞ্চল, শুধুমাত্র মসজিদে ও মন্দিরে লোকজনের আনাগোনা ছিল। এরপর ১৮২৫ খ্রিস্টাব্দে ঢাকার বৃটিশ কালেক্টর মি. ডয়েস ঢাকা শহরের উন্নয়নকল্পে কিছু বিশেষ পদক্ষেপ নেন। তখন থেকেই ঢাকা আবার পুরানো গৌরব ফিরে পেতে শুরু করে। আর সে সময়ই নগর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে রমনার কালী মন্দির ছাড়া অন্যান্য পুরোনো স্থাপনা সরিয়ে ফেলা হয়। আর জঙ্গল পরিষ্কার করে রমনাকে একটি পরিচ্ছন্ন এলাকায় রূপ দেয়া হয়। পুরোনো হাইকোর্ট ভবনের পশ্চিমে বর্তমানে অবস্থিত মসজিদ এবং সমাধিগুলো ডয়েসের নির্দেশে অক্ষত রাখা হয়। এই এলাকাটির নাম দেওয়া হয় রমনা গ্রিন। এবং এলাকাটিকে রেসকোর্স ময়দান বা ঘোড়দৌড়ের মাঠ হিসেবে ব্যবহারের জন্য কাঠের বেড়া দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়। তখন মাঠটির মাঝখানে ছিল মন্দির ।

রেসকোর্স ময়দানের নাম বদলে গেছে। পাশেই রয়েছে রমনা কালী মন্দির ও শ্রী শ্রী মা আনন্দময়ী আশ্রম। একাত্তরের সাথে যাদের রয়েছে নিবিড় সম্বন্ধ। ঊনিশশো একাত্তর সালের ছাব্বিশে মার্চ সকাল এগারোটার দিকে পাকিস্তানি সেনারা এই আশ্রমে প্রবেশ করে। পুরো আশ্রম ঘেরাও করে এরা লোকজনদের আটকে রাখে- বের হতে দেয় না কাউকে। সে সময় এই পিশাচদের সাথে ছিলো পুরোনো ঢাকা থেকে ১৯৭০ এর নির্বাচনে পরাজিত মুসলীম লীগ প্রার্থী পাকিস্তানি সামরিক জান্তার অন্যতম দোসর খাজা খায়েবউদ্দিন। প্রধানত এই হিংস্র জানোয়ারের তৎপরতায়ই ২৭ মার্চের গভীর রাতে রমনা কালী মন্দির ও শ্রী শ্রী মা আনন্দময়ী আশ্রমের হত্যাকান্ড ও ধ্বংসযজ্ঞ শুরু হয়।

২৭ মার্চ গভীর রাতে সান্ধ্য আইন চলাকালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী মন্দির ও আশ্রম ঘেরাও করে। সেনাবাহিনীর সার্চ লাইটের আলোতে গোটা রমনা এলাকা আলোকিতো হয়ে যায়। তারপরই শুরু হয় গুলিবর্ষণ। রমনা কালীমন্দিরে প্রবেশ করে প্রতিমা গুঁড়িয়ে দেয় এই অসভ্য বর্বর সেনাবাহিনী।মন্দির তারপর গোলাবর্ষণ করে- মন্দির ও আশ্রম পরিণত হয় এক ধ্বংসাবশেষে। 


 সেখানেই তারা হত্যা করে রমনা কালী মন্দিরের অধ্যক্ষ স্বামী পরমানন্দ গিরিকে। ইতিহাস পাঠে জানা যায়- এই সাধক মৃত্যুর আগে আশ্রমের অন্যান্যদের উদ্দেশে বলে গিয়েছিলেন- আমি তোমাদের বাঁচাতে পারলাম না, কিন্তু আশীর্বাদ করি- দেশ স্বাধীন হবেই। সব শেষে বোমা দিয়ে ধ্বংস করে দেয় পুরো মন্দির। (ছবিতে সাদাকালো অংশ ধ্বংস হবার আগের মন্দির)

রমনার কালী মন্দির ও মা আনন্দময়ী আশ্রমে একাত্তরের শহিদদের তালিকা:

১। শ্রীমৎ স্বামী পরমানন্দ গিরি

২। রঘু লাল দাস

৩। ধীরেণ লাল ঘোষ

৪। শ্রীমতি লক্ষ্মী চৌহান

৫। হীরা লাল পাশী

৬। বাবু লাল

৭। সূর্য

৮। রাম গোপাল

৯। সন্তোষ পাল

১০। সুনীল ঘোষ

১১। মোহন দাস

১২। রাম বিলাস দাস

১৩। জয়ন্ত চক্রবর্তী

১৪। বিরাজ কুমার

১৫। ভোলা পাশী

১৬। বাবু লাল দাস

১৭। গণেশ চন্দ্র দাস

১৮। সরষু দাস

১৯। বসুন্ত মালী

২০। শৈবল্লি

২১। কিশোরী ঠাকুর

২২। বারিক লাল ঘোষ

২৩। বাবুল দাস দ্রুপতি

২৪। বাদল চন্দ্র রায়

২৫। ত্রিদিব কুমার রায়

২৬। রামগতি

২৭। শিব সাধন চক্রবর্তী (সাংবাদিক)

২৮। পুরণ দাস




২৯। মানিক দাস

৩০। বিভূতি চক্রবর্তী

৩১। নান্দু লাল

৩২। সরোজ

৩৩। রাজকুমার

৩৪। গণে মুচি

৩৫। বলিরাম

৩৬। সুরত বল্লি

৩৮। রমেশ ধোপা

৩৯। বাবু নন্দন

৪০। হিরুয়া

এছাড়া ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকাটাও বেশ বড়ো।

পাক সেনাবাহিনী হামলা চালিয়ে ‘৭১’র রমনা কালি মন্দির ও মা আনন্দময়ী আশ্রমটি দুটি ধ্বংস করেছিল। কিন্তু তা আজও নির্মাণ হয়নি। এই মন্দিরটি হিন্দু সম্প্রদায়ের ২য় বৃহত্তর জাতীয় মন্দির। অবিলম্বে এই মন্দিরটির জায়গা ও মন্দিরটি পুনঃনির্মাণ করে দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবী জানাই।

ব্রেকিং নিউজ... “বাংলাদেশের সংসদ সদস্যরা হিন্দুধর্ম গ্রহণ করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।”

ব্রেকিং নিউজ...
“বাংলাদেশের সংসদ সদস্যরা হিন্দুধর্ম গ্রহণ করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।”

সম্প্রতি বাংলাদেশের সাংসদেরা হিন্দুধর্মের একটি জনপ্রিয় ধর্মবাক্য জানতে পারে-

“একবার কৃষ্ণ নামে যত পাপ হরে।
মানবের সাধ্য নাই তত পাপ করে।।”

এই বাক্য জানার পর থেকেই সাংসদগণ কৃষ্ণ নাম নিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। তারা কথার মাঝে মাঝেই কৃষ্ণ নাম উচ্চারণ করেন। এমনকি বাংলাদেশের বড় বড় মোল্লা-মাওলানারাও বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিলে ভগবানের পবিত্র কৃষ্ণ নাম উচ্চারণ করে থাকেন।

বন্ধুরা, অজামিলের কাহিনী মনে আছে নিশ্চয়? আপনি ভক্তিভরে ঈশ্বরকে উদ্দেশ্য করেই ডাকেন আর এমনি এমনিই ডাকুন না কেন, ভগবানের না উচ্চারণ করলেই তাতে কাজ হবে।

একবার কালেমা পাঠ করলে যদি কেউ মুসলমান হয়ে যায়, তবে একবার কৃষ্ণ নামেও যে কেউ হিন্দু হয়ে যাবে।

জয় শ্রীকৃষ্ণ

(সংসদে হিন্দুদের নামে কটূক্তির প্রতিবাদে)
-Hinduveer

卐 卐 মাধ্যাকর্ষণ শক্তি আবিস্কারের রহস্য! 卐 卐

卐 卐 মাধ্যাকর্ষণ শক্তি আবিস্কারের রহস্য! 卐 卐

বিস্তৃত আপেল বাগান । প্রতিটি গাছে রয়েছে সুন্দর টকটকে আপেল । কোঁকড়ানো চুলভর্তি এক ভাবুক বিজ্ঞানী কোন এক আপেল গাছের নীচে বসে ভাবনায় নিমগ্ন । হঠাৎ এক আপেল বৃন্ত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে সরাসরি তার মাথায় এসে পড়ল । তৎক্ষণাৎ তার মনে প্রশ্ন জাগল, আপেলটি গাছ থেকে উপরের দিকে না গিয়ে মাটিতে পড়ল কেন ? এ ভাবনা থেকে আবিস্কৃত হল মাধ্যাকর্ষণ শক্তি বা অভিকর্ষ এবং মহাকর্ষ । সেই বিজ্ঞানী হলেন নিউটন ।

অপরদিকে প্রাচীন ভারতীয় এক বি
জ্ঞানী ও গণিতবিদ ভাস্করাচার্য বৈদিক শাস্ত্র গভীরভাবে অধ্যয়ন করতে লাগলেন । গভীরভাবে অধ্যয়ন শেষে তার মনে ভাবনা জাগল এই পৃথিবী ও ভিন্নগ্রহগুলি একে অপরের সাথে কেমন আকর্ষনে আবদ্ধ আছে । ১২০০ শতকে তিনি এ সকল ভাবনা ও বৈদিক শাস্ত্রের নির্ভুল তথ্যের সাহায্যে রচনা করলেন “সিদ্ধান্ত শিরোমনি' নামক গ্রন্থে । এই গ্রন্থে তিনি পরিপূর্ণভাবে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কথা প্রথম উল্লেখ করেন এবং ব্যাখ্যা করেন । এখানে ১ম ঘটনাটি আমাদের অনেকেরই জানা কিন্তু ২য় ঘটনাটি হয়ত আমাদের অনেকেরই জানা নেই । অর্থাৎ নিউটনের মাধ্যাকর্ষণ শক্তি আবিষ্কারের অন্তত ৫০০ বছর পূর্বেই ভাস্করাচার্য তা ব্যাখ্যা করেছেন বৈদিক শাস্ত্র থেকে ।

শুধু তাই নয়, সেই বৈদিক যুগ থেকেই বৈদিক শাস্ত্রবিদগণ আলোর গতিবেগ সম্পর্কে জানতেন। বৈদিক শাস্ত্রে উল্লেখ আছে আলোর গতিবেগ অর্ধ নিমেষে ২২০২ যোজন দূর । বৈদিক শাস্ত্র মতে এক যোজন হচ্ছে ৯.০৬ মাইলের সমান এবং অর্ধ নিমেষ সময়কাল বর্তমান ১ সেকেন্ডের ১০ ভাগের ১ ভাগ সময়ের সমান । এই গাণিতিক প্রক্রিয়া হুবহু বর্তমান আধুনিক আলোর গতিবেগের সমান ।


 সম্প্রতি ভারতে বিখ্যাত টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিস একটি গ্রুপ এক ব্যাঙ্গালুরুর এনজিও ‘সংস্কৃত ভারতী’ নামক প্রতিষ্ঠান একত্রে বৈদিক ঐতিহ্য ও ব্যাপ্তি বিষয়ক এক প্রদর্শনীর আয়োজন করে । প্রদর্শনীতে ১৫০ টি পোষ্টার রাখা হয় যাতে উন্নত বিজ্ঞানভিত্তিক বৈদিক সভ্যতার পরিচয় দেওয়া হয় । এই প্রদর্শনীতে উল্লেখ্য ছিল পাশ্চাত্যের জনগণকে উন্নত প্রাচীন বৈদিক সভ্যতা সম্পর্কে পরিচিতি ঘটানো । বিশ্ববাসী জানে যে, ইংরেজি সংখ্যা জিরো বা শূন্য এসেছে, মূলত বৈদিক শাস্ত্র তথা ভারতীয়দের মাধ্যমে । প্রাচীন ভারতীয় বিজ্ঞানী ও গণিতবিদ ভাস্করাচার্য, বৌদ্ধজন, অপস্তম্ভ এবং লীলাবতী প্রভূতি, গণিতশাস্ত্রে এবং বিজ্ঞানে বহু অবদান রেখেছেন । সেই সময় শুধুমাত্র বৈদিক শাস্ত্র অধ্যয়ন করে তারা বিজ্ঞানের বহু সূত্র আবিষ্কার করেছিলেন । সুতরাং ভগবান কর্তৃক মানবসমাজের কল্যাণে দেওয়া বৈদিক শাস্ত্রের ব্যাপকতা যে কত বিশাল তা সহজেই অনুমেয় ।

http://veda.wikidot.com/great-indians
http://veda.wikidot.com/bhaskaracharya
http://hinduawaken.wordpress.com/2012/04/page/3/

Courtesy:Science & Sonaton Dharma

জাকির শিষ্যদের (ছাগুদের ) কিছু হাস্যকর মায়াকান্না এবং তার ইতিবৃত্ত

জাকির শিষ্যদের (ছাগুদের ) কিছু হাস্যকর মায়াকান্না এবং তার ইতিবৃত্ত

বিভিন্ন সময় যখন হিন্দুদের পেইজসমূহে হিন্দু ধর্মগ্রন্থগুলো সম্পর্কে দেয়া জাকির নায়েকের মিথ্যা রেফারেন্সগুলো পরিস্কারভাবে খন্ডন করা হয় তখন নিরুপায় ও পরাজিত জাকির শিষ্যরা সেখানে এসে ম্যত্‍কার শুরু করে এবং কিছু খোঁড়া যুক্তি দেখায়।দেখে নেই তাদের সেসকল যুক্তিসমূহের সার্থকতা কতটুকু।

যুক্তি ১.জাকির নায়েক তো হিন্দুদের গুরু শ্রী শ্রী রবিশঙ্কর এর সাথে বিতর্ক করেছে এবং জয়লাভ করেছে।রবিশঙ্কর তো আপনাদের চেয়ে বেশী জানেন।উনি যখন জাকির নায়েকের ভূল দেখাতে পারেনি তো আপনারা কে?

প্রতিযুক্তি- প্রথমেই আমাদের জানতে হবে যে শ্রী শ্রী রবিশঙ্কর কে। ১৯৫৬ সালে তামিল নাড়ু তে জন্ম নেয়া রবিশঙ্কর মূলত Art of living নামক পৃথিবীর বৃহত্তম "হিউমেনিটারিয়ান&এডুকেশনাল এনজিও" এর প্রতিষ্ঠাতা যিনি একজন যোগ বিশেষজ্ঞ এবং পতঞ্জলি যোগসূত্র দ্বারা উদ্বুদ্ধ একজন দার্শনিক নেতা। বজ্রাসন ও সুখাসন এর মাধ্যমে কৃত সূদর্শন ক্রিয়া এর একজন অনন্য পরিচালক তিনি যার মাধ্যমে তিনি পৃথিবীতে বিদ্যমান হানাহানি ও মূল্যবোধের অবক্ষয় এর অবসান ঘটাতে চান। তিনি কখনোই একজন হিন্দুধর্ম বিশারদ নন এবং একজন বেদজ্ঞানী তো নন বটেই!

দ্বিতীয়ত,জাকির নায়েকের সাথে শ্রী শ্রী রবিশঙ্করের আসলেই কোন বিতর্ক হয়েছিল কি? ভিডিওটি যারা দেখেছেন তারা জানেন যে সেটি ছিল "Concept of GOD in Hinduism&Islam" শীর্ষক আলোচনা সভা। কিন্তু ধূর্ত জাকির পুর্ব প্রস্তুতি অনুযায়ী সেখানে কাদিয়ানী লেখক মাওলানা আব্দুল্লা হক বিদ্যার্থীর বই থেকে হুবহু তোতা পাখির মত মুখস্ত উদ্ধৃতি দেন যে পবিত্র বেদ এ মোহাম্মদ এর কথা বলা আছে! অপরদিকে রবিশঙ্করের লেখা একটি বই দেখিয়ে তিনি বলেন যে ভবিষ্য পুরানে মোহাম্মদ এর কথা বলা আছে।
একজন ব্যক্তি যিনি বেদ সম্বন্ধে জ্ঞান রাখেন না তার সামনে তোতাপাখির মত রেফারেন্স আওড়ালে কিভাবে প্রমানিত হয় যে জাকির ঠিক বলেছেন?
অপরদিকে ভবিষ্য পুরানে মোহাম্মদ সম্পর্কে বলা হয়েছে ঠিক কিন্তু কি হিসেবে? 

 একজন 'অসুর' ,'পিশাচ' ও 'ধর্মদূষক' হিসেবে।

যুক্তি ২. জাকির শিষ্যরা বলে থাকে জাকির যদি ভূল ই হয় তবে হিন্দুধর্মীয় নেতারা তাকে ধরিয়ে দিচ্ছেনা কেন?

প্রতিযুক্তি. এবারে জাকিরের আসল ভন্ডামীটা ধরা পড়ে। বিখ্যাত বৈদিক সংগঠন আর্যসমাজ এর আজমীর পরোপকারিনী সভার পক্ষ থেকে ২০০৪ সাল থেকে এই পর্যন্ত চারবার অফিসিয়ালি ইমেইল এর মাধ্যমে IRF এর জাকির নায়েককে বিতর্কের জন্য আহবান জানানো হয়।কিন্তু ভীত ও ধূর্ত নায়েক জানেন যে বিখ্যাত বেদ গবেষনা সংগঠন আর্যসমাজের পন্ডিতগনের বেদ এর প্রতিটি অক্ষর পর্যন্ত মূখস্থ।তাঁদের সামনে বেদ নিয়ে অপপ্রচার চালানো সম্ভব নয়।

চতুর্থবার বিতর্কের চ্যলেন্জ জানানোর পর IRF এর পক্ষ থেকে মাওলানা আব্দুল্লাহ তারিক কে পাঠানো হয় বিতর্কে অংশগ্রহনের জন্য।তখন আর্য সমাজের পন্ডিত মাহেন্দ্র পাল আর্য (যিনি নিজেও ৩০ বছর আগে ইসলাম ধর্ম ত্যগ করে হিন্দুধর্মে ধর্মান্তরিত হন) আব্দুল্লাহ তারিককে শোচনীয়ভাবে পরাজিত করেন।
(জাকির নায়েকের প্রতিষ্ঠান IRF কে করা ইমেইলটি এখানে দেখুন-
http://www.aryasamaj.org/newsite/node/717)

এখন কথা হল IRF এর অনুষ্ঠানসমূহে ভন্ড জাকির যখন হিন্দুধর্ম সম্পর্কে বিভিন্ন দাবী করেন তখন সেখানে কোন হিন্দুশাস্ত্রবিশারদদের আমন্ত্রন জানানো হয়না কেন?তিনি কি জানেন না যে খালি মাঠে গোল দিলে তা কাউন্ট করা হয়না?

পরাজিত ও ভন্ড বরাহ জাকির এবং তার শাবকদের থেকে সতর্ক থাকুন।

সবাই শেয়ার করুন ##

কলকাতার দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়ি

কলকাতার দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়ি

১৮৫৫ সালে প্রসিদ্ধ মানবদরদি জমিদার রানি রাসমণি এই মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেন। এই মন্দিরে দেবী কালীকে "ভবতারিণী" নামে পূজা করা হয়। ঊনবিংশ শতাব্দীর বিশিষ্ট যোগী রামকৃষ্ণ পরমহংস এই মন্দিরে কালীসাধনা করতেন।

মন্দির প্রতিষ্ঠাকালে রামকৃষ্ণ পরমহংসের দাদা রামকুমার চট্টোপাধ্যায় রানিকে প্রভূত সাহায্য করেছিলেন। রামকুমারই ছিলেন মন্দিরের প্রথম প্রধান পুরোহিত। ১৮৫৭-৫৮ সালে কিশোর রামকৃষ্ণ পরমহংস এই মন্দিরের পূজার ভার গ্রহণ করেন। পরবর্তীকালে তিনি এই মন্দিরকেই তাঁর সাধনক্ষেত্ররূপে বেছে নেন।

এই সময় থেকে ১৮৮৬ পর্যন্ত প্রায় তিরিশ বছর শ্রীরামকৃষ্ণ এই মন্দিরে অবস্থান করেন। তাঁর অবস্থানের কারণে পরবর্তীকালে এই মন্দির পরিণত হয় একটি তীর্থক্ষেত্রে।

শেয়ালের কাছে মুরগি রক্ষার দায়িত্ব বনাম দেবোত্তর সম্পত্তি রক্ষায় সরকারি ব্যবস্থাপনার (কালো) আইন

শেয়ালের কাছে মুরগি রক্ষার দায়িত্ব
বনাম
দেবোত্তর সম্পত্তি রক্ষায় সরকারি ব্যবস্থাপনার (কালো) আইন

দেবতার কাছ থেকে মঠ-মন্দির-আশ্রমের সম্পত্তির মালিকানা নিয়ে নিচ্ছে প্রচণ্ড হিন্দুদরদী (!) বাংলাদেশ সরকার!
দেবতার পূজারীকে বেতনভূক্ত হয়ে পূজা করতে হবে ক্ষমতাশীল রাজনৈতিক দলের!
সাধু-সন্তগণ কাজ করবে ভগবানের ইচ্ছায় বা শাস্ত্রীয় বিধানে নয় সরকারি বিধান অনুসারে!
ভক্তের দান গ্রহণ করবে ভগবান বা মন্দির নয়, সরকারি কোষাগার!
সাধু-মহারাজ নয় রাজনৈতিক মহারাজদের ইচ্ছা-অনিচ্ছায় চলবে মন্দির-আশ্রম, নইলে চাকরি তথা আশ্রমচ্যুতি!
সন্ন্যাস-ব্রহ্মচর্য-ঈশ্বর সাধনা আর কোন ব্রত থাকবে না, এসব হবে চাকরির অধীন; রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত না মানলে বহিষ্কার!
মন্দির-আশ্রম বা তার জমি সরকার (রাজনৈতিক দল) ইচ্ছা করলেই বিক্রী করতে পারবে ও সরকারি সিদ্ধান্তে যেকোন উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে পারবে!
এ ব্যাপারে সরকারি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কোন প্রকার প্রতিবাদ বা মামলা গ্রহণ করা হবে না!
...... এ কি পরিহাস!!!!!!!!!
এমন আইন অন্য ধর্মাবলম্বীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নেই। যত যত্ন-আত্মি সব হিন্দুদের জন্য!

আজ পর্যন্ত হিন্দুদের একটি চাওয়াও সরকার পূরণ করেনি। অর্পিত সম্পত্তি আইন করেছে হিন্দুদের বাকি যা সম্পত্তি আছে তাও গ্রাস করার জন্য। পারিবারিক আইন করছে হিন্দুদের ঘরে ঘরে অশান্তি-বিশৃঙ্খলার আগুন জ্বালানোর জন্য! এবার করছে দেবোত্তর সম্পত্তি আইন - আমাদের শেষ আশ্রয়টুকু কেড়ে নেওয়ার জন্য!

এর চেয়ে ভাই বলে দেন...
শোন হিন্দুগণ, তোরা সব বরাহের সন্তান! তোদের কোন সম্পত্তি থাকতে নেই। তোদের ঘরে সুন্দরী মেয়ে-বউ থাকতে নেই! তোদের দেবালয় মিথ্যা! ওখানো কোন ঐশ্বর্য্য থাকতে নেই! তোরা এগুলো আদম সন্তানদের দিয়ে চলে যা! চলে যা!
..................
.............
.......
শুনে রাখ অসুরের দল,
হনুমানের লেজে আগুন ধরাস্ না।
তোদের স্বপ্নের লঙ্কা কিন্তু পুড়িয়ে ছাড়খাড় করে দেব। -হিন্দুবীর

সিলেট সিটিতে সংখ্যালঘুদের ভোট পেয়েছেন আরিফ

সিলেট সিটিতে সংখ্যালঘুদের ভোট পেয়েছেন আরিফ

সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে সংখ্যালঘুদের ভোট পেলেন বিএনপির প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী। কিন্তু তাদের ভোট পেতেন সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান। যে ভোট একসময় তার বাক্সে নির্বিঘ্নে এসে পড়তো। এবার তা স্বচ্ছন্দে চলে গেছে আরিফুল হক চৌধুরীর বাক্সে।
সংখ্যালঘুদের মধ্যে হিন্দু সম্প্রদায় ছাড়াও মণিপুরিদের ভোট বরাবরই পেতেন কামরান। কিন্তু নির্বাচনের ফলাফল অনুযায়ী, মণিপুরি ভোটের বড় অংশ পেলেন আরিফুল হক। যার ফলে বিপুল ব্যবধানে হেরে গেলেন কামরান।
অথচ এর আগে ২০০৮ সালের নির্বাচনে কামরান এক লাখ ১৫ হাজার ৪১৬ ভোট পেয়ে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী আ ফ ম কামালকে পরাজিত করেছিলেন।
শনিবারের নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণে জানা গেছে, হিন্দু এবং মণিপুরী অধ্যুষিত কেন্দ্রগুলোতে নিজ ভোট ব্যাংক ধরে রাখতে পারেননি কামরান। সে ব্যাংকের ভোট নিয়ে গেছেন আরিফ।
সিলেট ইনক্লুসিভ স্কুল অ্যন্ড কলেজ কেন্দ্রে সংখ্যালঘুদের ভোটে এগিয়ে থাকতে পারেননি কামরান। একেন্দ্রে আরিফ পেয়েছেন ১২৭১ ভোট এবং কামরান পেয়েছেন ৯৮৪ ভোট।
ঘাষিটোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছিল মনিপুরী ভোট। কিন্তু সে কেন্দ্রেও জয় হয়েছে আরিফের। আরিফের প্রাপ্তি ছিল এ কেন্দ্রে ১১১৯ ভোট। কামরান পেয়েছেন ৪৩৯ ভোট।
তবে মির্জাজাঙ্গাল কেন্দ্রের সংখ্যালঘু ভোটাররা হতাশ করেননি কামরানকে। আরিফ পেয়েছেন ৫৭১ ভোট। কামরান পেয়েছেন ১৩০২ ভোট। তবে ভোটাররা বলছেন, এ পার্থক্য আরো বেশি হওয়ার কথা ছিল।
সমাজকল্যাণ কমপ্লেক্স বাগবাড়ীসহ সংখ্যালঘু অধ্যুষিত শিবগঞ্জসহ কয়েকটি এলাকায় আরিফুল হক প্রতিদ্বন্দ্বী কামরানের চেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন।
সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে এবার হিন্দু জনগোষ্ঠী ছিল অন্যতম ফ্যাক্টর। ৬০ হাজার এ জনগোষ্ঠীর ভোট যিনি পাবেন তিনিই মেয়র হবেন বোঝা যাচ্ছিল। তাই তাদের ভোট পেতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীরা রাত-দিন দৌড়-ঝাঁপ করেছেন।
এর কারণ হিসেবে রাজনৈতিক বোদ্ধারা বলছেন, “জোট সরকারের আমলে হিন্দু জনগোষ্ঠীর লোকজনকে নানাভাবে সহযোগিতা করা হয়েছে। মন্দির সংস্কারসহ খাদ্য ও অর্থ দিয়ে সাহায্য করেছে জোট সরকার। আর এসব প্রয়াত অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানের মাধ্যমে আরিফুল করেছিলেন।”
নির্বাচন কমিশন থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সিলেট মহানগরীর ভোটারের সংখ্যা ২ লাখ ৭২ হাজার। এর মধ্যে হিন্দু ভোটারের সংখ্যা ৬০ হাজার। উপজাতীয় ভোটারের সংখ্যা ৫ থেকে ৬ হাজার। নন-সিলেটি ভোটার ৯৬ হাজার। শিক্ষিত ও সচেতন ভোটার ২৫ হাজার। নিম্নবিত্ত, হকার ও শ্রমিক শ্রেণীর ভোটারের সংখ্যা ৭০ হাজার। বাকি এর বাইরের ১৫ হাজার সাধারণ ভোটার।
কৃতজ্ঞতা: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
২০ জুন ২০১৩

রথযাত্রা উত্‍সব শুরু হলো কিভাবে?

রথযাত্রা উত্‍সব শুরু হলো কিভাবে?

বৈষ্ণবীয় দর্শন মতে, একদা দ্বারকায় মহিষীগণ রোহিনী মাতাকে জিজ্ঞাসা করলেন, ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে এত সেবা করার পরও তিনি যেন শ্রীদাম-সুদাম, কখনও মা যশোদা-নন্দ বা কখনও ব্রজবাসীগণ বলতে মুর্ছা যান। তার কারণ কি? তখন শ্রীকৃষ্ণ বলরামের অজান্তে সুভদ্রা দেবীকে একটি কক্ষের দ্বারে রেখে নিভৃত কক্ষাভ্যন্তরে রোহিনী মাতা মহিষীদের কাছে ব্রজবাসিদের কৃষ্ণ বিরহের কথা বলতে শুরু করলেন। শ্রীকৃষ্ণের অনুপস্থিতিতে বৃন্দাবনের বৃক্ষরাজী, তরুলতা শ্রীকৃষ্ণ বিরহে ফুলে ফলে সুশোভিত হয় না। গো, গো-বৎস এবং সখাগণ অনাহারে অনিদ্রায় কালাতিপাত করছে। মা যশোদা, পিতা নন্দ প্রতিদিন ছানা-মাখন নিয়ে গোপাল গোপাল বলে কাঁদতে কাঁদতে অন্ধ হয়ে গেছেন। কৃষ্ণবিহনে ব্রজগোপীগণ প্রাণান্তপ্রায়। এদিকে ভগিনী সুভদ্রা দেবীকে একটি কক্ষের দ্বারে দেখতে পেয়ে কৃষ্ণ এবং বলরাম তাঁর নিকটে এসে দাঁড়ালেন। কক্ষাভ্যন্তর থেকে ভেসে আসা ধ্বনি, রোহিনী মাতা কর্তৃক বর্ণিত ব্রজবাসীদের কৃষ্ণ-বিরহ কথা শ্রবণ করতে করতে কৃষ্ণ, বলরাম এবং সুভদ্রা বিকারগ্রস্ত হতে লাগলেন।তাদের হস্ত-পদ শরীরাভ্যন্তরে প্রবিষ্ট হতে লাগল। চক্ষুদ্বয় বিস্ফারিত হতে লাগল। এমতাবস্থায় সেখানে নারদ মুনি উপস্থিত হয়ে সেই রূপ দর্শন করলেন। তখন নারদ মণি ভগবান শ্রীকৃষ্ণের নিকট প্রার্থনা করলেন, হে ভগবান, আমি আপনার যে রূপ দর্শন করলাম, যে ভক্ত বিরহে আপনি স্বয়ং বিকারগ্রস্ত হয়ে থাকেন, সেই করুণার মূর্তি জগতবাসীর কাছে প্রকাশ করুন। নারদ মুণির প্রার্থনায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তাঁকে প্রতিশ্রুতি দিলেন যে, দারুবৃক্ষ (জগন্নাথ) রূপে শ্রীক্ষেত্র বা পুরীতে আমি এই রূপে আবির্ভূত হবো।
তথ্যসূত্র রথ যাত্রা

আমেরিকার বিচারপতি হলেন সনাতন ধর্মাবলম্বী শ্রীকান্ত শ্রীনিবাসন

আমেরিকার বিচারপতি হলেন সনাতন ধর্মাবলম্বী শ্রীকান্ত শ্রীনিবাসন

শ্রীনিবাসন প্রথম কোনো দক্ষিণ এশীয়, যিনি আমেরিকার কোর্টে বিচারপতি হিসেবে যোগ দিতে যাচ্ছেন। ১৮-০ ভোটে শ্রীনিবাসনের নাম বিচারপতি হিসেবে গৃহীত হয়। ভোটদাতাদের প্যানেলে ছিলেন রিপাবলিকান এবং ডেমোক্র্যাট দলের প্রতিনিধিরা।

৪৬ বছর বয়সী এ আইন বিশেষজ্ঞ ভারতের চণ্ডীগড়ে জন্মগ্রহণ করেন। স্ট্যানফোর্ড আইন কলেজের ছাত্র শ্রীনিবাসন ২০০২ সালে ইউনাইটেড স্টেট সলিসিটার জেনারেল অফিসে যোগ দেন। এর পর তিনি তার কাজের জন্য খ্যাতি লাভ করেন গোটা আমেরিকায়।

২০০৩ সালে তিনি অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাওয়ার্ড ফর এক্সিলেন্স এবং ২০০৫ সালে অফিস অফ দি সেক্রেটারি অফ ডিফেন্স পুরস্কার পান।


### এই কীর্তিমান হিন্দুর জন্য কয়টি লাইক = স্যালুট ??

Saturday, June 22, 2013

হিন্দু ধর্ম ও সমাজ পতনের মুলে এবং দুই থেকে আড়াই হাজার বৎসর ধরে দলে দলে হিন্দুরা অন্য ধর্মে যাবার পিছনে যাদের বিশেষ অবদান সংক্ষেপে তাদের কিছু কথা

হিন্দু ধর্ম ও সমাজ পতনের মুলে এবং দুই থেকে আড়াই হাজার বৎসর ধরে দলে দলে হিন্দুরা অন্য ধর্মে যাবার পিছনে যাদের বিশেষ অবদান সংক্ষেপে তাদের কিছু কথা ---
(১)যাজ্ঞবল্কের পরিচয় –
ঋষি বইস্পায়নের শিস্য যাজ্ঞবল্ক্য , অসাধারন মেধাবি ও পণ্ডিত কিন্তু খুব অহংকারী ছিলেন। তার ওহঙ্কারের জন্য গুরু তার উপর খুব বিরক্ত ছিলেন।এই অহংকার দেখে গুরু একদিন তাকে বললেন গুরুর সব শিক্ষা ফিরিয়ে তিনি বাধ্য তাই দিতে বললেন। এটা শুনে যাজ্ঞবল্ক্য গুরু প্রদত্ত সব জ্ঞান বমি করে দিলেন। কিন্তু এই জ্ঞান এতই পবিত্র ও মুল্যবান যে তা নষ্ট হতে দেয়া জায় না গুরু তার অন্যান্য শিশ্যদের মাটিতে পরে থাকা জ্ঞান খেতে , শিস্যরা তাই করলেন তিতির পাখির রুপ ধরে সে জ্ঞান খেয়ে ফেললেন। এই ঘটনা দিয়ে বুঝানো হয়েছে যে জ্ঞান সব সময়ই পবিত্র। তাই এই উপনিষদের নাম তৈতরিও উপনিষদ। পরে তিনি বেদের এই জ্ঞান পুনরায় লাভের জন্য সূর্যের উপাসনা করে সূর্যের মত পবত্র হন। তিনি দায়ভাগ নীতির কথা বলে গেছেন। (তিনি কোন যাজ্ঞবল্ক্য)
যাজ্ঞ বল্কের মতে পুত্র কত প্রকার – ঔরস , কশেত্রজ,পুত্রিকা,গুরজ,কানিন, পউনরভব, দত্তক,ক্রিত, ক্রিত্তিম, সবন-দত্ত, সহুরজ, অপবিদ্ধ আবার সুদ্র দাসীর গর্ভেও পুত্র উৎপাদন করা যায়। তার এই নিতির কারনে পুত্র সন্তান অনিবার্য হয়ে পরে । পুরুষ তন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ভদ্রলোক ছিলেন এক পায়ে খাড়া।
নারীজাতির প্রতি অবিচার ---
এক। স্ত্রী যদি মদ্যপ, দীর্ঘ রোগগ্রস্ত, ধূর্ত, বন্ধ্যা, অর্থ নাশিনী , অপ্রিয় ভাষিণী, কন্যা সন্তান প্রসবিনী অথবা পুরুষ দ্বেষিণী হয় এই আট প্রকার হলেই সেই স্ত্রীর স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করবে।
এটা বিশ্লেষণ করলে বুঝা যায় সে সময় সমাজে মদের অবাধ প্রচলন ছিল, অসুস্থ স্ত্রী দ্বারা গৃহ কর্ম বা পুত্র সন্তান উৎপাদন সম্ভব নয় তাই অপ্রয়োজনীয় দাসি বর্জন , সন্তান উৎপাদনই স্ত্রীর কাজ তাই বন্ধ্যা নারী বর্জন, ধূর্ত , বুদ্ধিমতি , স্ত্রী নির্যাতন করা কঠিন তাই বর্জন । অর্থ নাশিনী অর্থাৎ ব্যায়বহুল দাসি রাখা কোন কালেই সম্ভব নয়।অপ্রিয়ভাষী বা স্পষ্ট বাদী ও পুরুষ বিদ্বেষী নারি – এতে বুঝা যায় তখনও কোন কোন নারি প্রতিবাদি ছিল, প্রতিবাদি নারি কোন কালেই পুরুষ পছন্দ করে না বরং ভয় পায় তাই বিদায়। কন্যা সন্তান জন্ম দিলে ভাগে কম পরবে তাই বর্জনীয়। নারীকে পরাস্ত করার জন্যই তার এত উঠে পরে লাগা।
দুই। হীন বর্ণের সংসর্গে গর্ভ হলে ,ভ্রুন হত্যা , স্বামী হত্যা, মহাপাতক বা শিস্য সংসর্গ করলে তাকে পরিত্যাগ করাই বাঞ্ছনীয়। এগুলি ছাড়া যদি কেউ স্ত্রী পরিত্যাগ করে তবে সেই স্ত্রীকে পূর্ববৎ ভরন পোষণ দিতে হবে। রাজা ঐ স্ত্রীকে স্বামী ধনের এক তৃতীয়াংশ দেওয়াবেন। সম্ভবত তখনো নারীর শিক্ষা লাভের সময়তা পুরাপুরি শেষ হয়নি। স্বামী, ভাই, পিতা, শ্বশুর শ্বাশুরি , দেবর এবং অন্যান্য আত্মীয়েরা অলঙ্কার ও অন্যান্য ভোজ্য দ্রব্য দিয়ে স্ত্রীদেরকে পরিতুষ্ট করবে। জাতে নারী বিদ্রোহ করতে না পারে। *স্ত্রীগণ ঘর গুছানো , বাড়ির সকল কাজে তৎপর থাকবে, সর্বদা হাসিমুখে থাকবে, অধিক ব্যয় করবে না ,শ্বশুর শ্বাশুরির চরন বন্দনা করবে,সব সময় স্বামীর বসে থাকবে। * স্বামী বিদেশ গেলে স্ত্রী খেলা ধুলা করবে না শরীর সংস্কার , সভা দর্শন , হাস্য ও পরগৃহে গমন পরিত্যাগ করবে। একেবারে ১৪৪ ধারা জারি ? * স্ত্রী জাতিকে কন্যাকালে পিতা, বিবাহের পর ভর্তা ও বৃদ্ধ কালে পুত্র রক্ষা করবে। এই প্রকার রক্ষক না থাকলে জ্ঞাতি গন রক্ষা করবে কারন স্ত্রী জাতি কখনোই স্বাধীন থাকবে না । এটা ইসলামী অনুশাসনের বাইরে নয় মেয়েরা একা হজ্জ পর্যন্ত করতে পারবে না। পতিহীনা স্ত্রী পিতা,মাতা,পুত্র,ভ্রাতা,শ্বশুর শ্বাশুরি বা মামার আশ্রয়ে থাকবে । গৃহবন্দী যাকে বলে , এখানে বৈদিক ধর্মের কি আছে বুঝলাম না । * কোন ব্যাক্তির স্ব বর্ণ স্ত্রী থাকতে অন্য বর্ণের স্ত্রীকে দিয়ে ধর্ম করাবে না ,-- মুসলমানের মত পুরুষের বহু বিবাহ দাসত্ব প্রথা আর বর্ণ বাদের মারাত্মক অবস্থা।
বিশেষ লক্ষণীয় - * ধনাধিকারি উইল করে যাকে সম্পত্তির অধিকার দেবে তাকেই সেই ধনাধিকারির ঋণ পরিশোধ করতে হবে। * বিবাহিতা অথচ সেই স্বামীর সাথে যৌন সম্পর্ক হয় নাই এই মেয়েকে স্বামীর অবর্তমানে কেউ বিয়ে করলে শেষ বিবাহ কর্তা। * একজনের বিবাহিতা যুবতী পত্নি বিশেষ বিপদে পরে যদি অন্যকে আত্ম সমর্পণ করে তাহলে ঐ পাত্র। * বহু ধন সম্পন্না বা অপত্য বতী স্ত্রী যে পুরুষকে আশ্রয় করে সে ( মুহাম্মদের মত) ? কোন বেশ্যা শুল্ক গ্রহন করার পর সহবাসে রাজি না হলে ঐ শুল্ক দাতা পুরুষকে দ্বিগুণ জরিমানা দিতে হবে আর অর্থ গ্রহন না করলে শুধু মুখে মুখে অঙ্গীকার করলে শুল্ক সমান অর্থ দণ্ড দিতে হবে । অর্থাৎ পুরুষের জন্যই তার আইন ।
এটা ৩-৪ শতকের মধ্য সময়ে রচিত তাই মনে প্রস্ন জাগে তিনি কোন যাজ্ঞবল্ক অবশ্যই বৈদিক যুগের নন , মুহম্মদ কি তারই শিস্য ?
, দান ও অধ্যয়ন এই তিন তপস্যা, কৃষি , বানিজ্য, গো রক্ষা ও কুসীদ এই চারটা জীবিকা।* শুদ্রের দ্বিজ সেবাই তপস্যা, শিল্প কর্ম জীবিকা । যারা নিজ নিজ ধর্ম পরিত্যাগ করবে রাজা তাদের শাস্তি দিয়ে স্বর্গের ভাগীদার হবে। * পিতা যদি জীবিত পুত্রের মুখ দেখেন তাইলে সাথে সাথে পিতৃ ঋণ হতে মুক্ত হবেন। বহু পুত্র কামনা করতে হবে আরও অনেক পুন্য লাভের জন্য। * অশৌচে –ব্রতধারী , রাজা,ব্রাম্মন ইচ্ছানা হলে অশৌচ পালন করবেনা। অন্যদের জন্য ব্রাহ্মণদের ১০ দিন, ক্ষত্রীয়ের ১২ দিন , বৈশ্য ১৫ দিন, শুদ্র এক মাস । এটা মৃত অশৌচের ব্যাপারে , জন্মটাও এরকমই জাতী ভেদে। বল এতা কি কোন বেদের কথা ? * স্বামী জীবিত থাকতে যে নারী উপবাস করে ব্রত করে সে নারী স্বামীর আয়ু হরন করে ও নরকে গমন করে । * কোন নারী তীর্থ স্থানে যেতে চাইলে স্বামী , শিব বা বিষ্ণুর পা ধোয়া জল খেলেই পরম স্থান লাভ করবে । - তার অর্থ নারীর জন্য ঈশর আরাধনা নয়। * নারী সর্বদাই সুচি , স্ত্রী উপপতি করলেও দুষ্টা হবেনা । নারীগণকে প্রথমেই চন্দ্র, গন্ধর্ব, বহ্নি প্রভৃতি স্বর্গবাসী গন ভোগ করেন পরে মনুষ্য গন , তারা কোন রুপ মানসাদি সামান্য পাপে দুষ্ট হতে পারে না । * জোর পূর্বক ধর্ষণে নারী দুষ্টা হয় না। * দীর্ঘকাল ব্যাপী তপস্যারত নারী রজঃ হলেও ব্রত ভঙ্গ হবে না। * ব্রাম্মন যদি
উসট্রি ,গরধবি,মানুশি দুগ্ধ পান করে তবে তপ্ত ক্রিচ্ছ স্রাধ কড়তে হবে । --- কি ভয়ানক কথা ? * স্ত্রীলোকের আচরিত কাজে শুচির বিচার নাই অর্থাৎ পবিত্র। * ব্রাম্মন উলঙ্গ হয়ে স্নান করবে না। ( মুসলমানদেরও উলঙ্গ হয়ে স্নান করা নিষেধ) অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় ব্রাম্মন আর মুসলমানদের অনেক মিল।
--------------------------------------০--------------------------------
(২) অত্রি – সংহিতা প্রনেতাদের একজন –
তার প্রথম পরিচয় ঋকবেদের একজন মন্ত্র দ্রষ্টা ঋষি হিসাবে। পুরানে ব্রম্মার মানস পুত্র এবং দত্তাত্রেয় , চন্দ্র ও দুর্বাসার পিতা । আসলে অত্রি একটা বংশ বা পরিবার তাই বেদের অত্রি আর সংহিতা প্রনেতা অত্রি এক নন অত্রি প্রনিত সংহিতা সংক্ষিপ্ত ।
১ম শিক্ষা গুরুর মহিমা ,১১-২১ শ্লোকে বর্ণ প্রথা,২২-২৮ শ্লোকে রাজার কর্তব্য , ২৯-৫১ সুচি,দান ইত্যাদি এভাবে ২২৬ শ্লোক পর্যন্ত আছে । নারী জাতি সম্পর্কে অন্যদের মত এত নিষ্ঠুর আইন সে চালু করে নি তবে রাজতন্ত্র , ব্রাম্মন্য বাদ আর জাতি ভেদ প্রথার প্রবর্তক ও প্রচারক এটা সত্যি । তার প্রবর্তিত আইনে বেদের কোন নাম গন্ধও নাই , সে মনুর আগের আইন প্রনেতা তাই নারী সম্পর্কে তেমন বলে নাই অথবা ভারতেরই অন্য প্রান্তে যেখানে মনুর নারী বিদ্বেষী প্রভাব তেমন ছিল না , তবে বৈদিক যুগের নয়। অত্রি প্রনিত আইনের কিছু বিবরন --- * ব্রাম্মনের ৬ টা কাজ , -যজন ,দান ও অধ্যয়ন এই তিনটা তপস্যা প্রতিগ্রহ , অধ্যাপনা, যাজন এই তিনটা জীবিকা। * ক্ষত্রীয়ের ৫ টা কাজ যজন , দান , অধ্যয়ন এই তিন তপস্যা, অস্ত্র ব্যাবহার ও প্রানি রক্ষা দুইটা জীবিকা।* বৈশ্যের যজন , দান ও অধ্যয়ন এই তিন তপস্যা, কৃষি , বানিজ্য, গো রক্ষা ও কুসীদ এই চারটা জীবিকা।* শুদ্রের দ্বিজ সেবাই তপস্যা, শিল্প কর্ম জীবিকা । যারা নিজ নিজ ধর্ম পরিত্যাগ করবে রাজা তাদের শাস্তি দিয়ে স্বর্গের ভাগীদার হবে। * পিতা যদি জীবিত পুত্রের মুখ দেখেন তাইলে সাথে সাথে পিতৃ ঋণ হতে মুক্ত হবেন। বহু পুত্র কামনা করতে হবে আরও অনেক পুন্য লাভের জন্য। * অশৌচে –ব্রতধারী , রাজা,ব্রাম্মন ইচ্ছানা হলে অশৌচ পালন করবেনা। অন্যদের জন্য ব্রাহ্মণদের ১০ দিন, ক্ষত্রীয়ের ১২ দিন , বৈশ্য ১৫ দিন, শুদ্র এক মাস । এটা মৃত অশৌচের ব্যাপারে , জন্মটাও এরকমই জাতী ভেদে। বল এতা কি কোন বেদের কথা ? * স্বামী জীবিত থাকতে যে নারী উপবাস করে ব্রত করে সে নারী স্বামীর আয়ু হরন করে ও নরকে গমন করে । * কোন নারী তীর্থ স্থানে যেতে চাইলে স্বামী , শিব বা বিষ্ণুর পা ধোয়া জল খেলেই পরম স্থান লাভ করবে । - তার অর্থ নারীর জন্য ঈশর আরাধনা নয়। * নারী সর্বদাই সুচি , স্ত্রী উপপতি করলেও দুষ্টা হবেনা । নারীগণকে প্রথমেই চন্দ্র, গন্ধর্ব, বহ্নি প্রভৃতি স্বর্গবাসী গন ভোগ করেন পরে মনুষ্য গন , তারা কোন রুপ মানসাদি সামান্য পাপে দুষ্ট হতে পারে না । * জোর পূর্বক ধর্ষণে নারী দুষ্টা হয় না। * দীর্ঘকাল ব্যাপী তপস্যারত নারী রজঃ হলেও ব্রত ভঙ্গ হবে না। * ব্রাম্মন যদি
উসট্রি ,গরধবি,মানুশি দুগ্ধ পান করে তবে তপ্ত ক্রিচ্ছ স্রাধ কড়তে হবে । --- কি ভয়ানক কথা ? * স্ত্রীলোকের আচরিত কাজে শুচির বিচার নাই অর্থাৎ পবিত্র। * ব্রাম্মন উলঙ্গ হয়ে স্নান করবে না। ( মুসলমানদেরও উলঙ্গ হয়ে স্নান করা নিষেধ) অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় ব্রাম্মন আর মুসলমানদের অনেক মিল।
(৩) বিষ্ণু সংহিতা ---
বিষ্ণু , বেদে পুরানে ধর্ম শাস্ত্রে সর্বত্র অত্যন্ত শ্রদ্ধার সাথে উল্লেখিত। কিন্তু এই বিষ্ণু আর সংহিতাকার অর্থাৎ আইন প্রনেতা বিষ্ণু এক নন। তার আইনে –১০০ তা অধ্যায় এখানে বিচার ব্যাব্যস্থা ,ধন ভাগ , পুত্র বিতরন,স্ত্রী ধর্ম ,ঘরের কাজ , দাত মাজা , মল মুত্র ত্যাগ করলে মাটির ব্যাবহার সবই আছে মনে হবে আরেকটা কুরান , এই আইনও মনুর সমসাময়িক ।
যেমন কিছু বলছি –* অর্থ , যুদ্ধ, উগ্র কাজ ও স্ত্রীলোকের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ক্লিব দিগকে নিযুক্ত করবে। * বালক , অনাথ, স্ত্রীলোকের সম্পত্তি রাজা রক্ষণাবেক্ষণ করবেন । * লিখিত সাক্ষ্য দলিলের কথা আছে বর্তমান সময়ের মতই বিচার ব্যাবস্থা শুধু রাষ্ট্রের বদলে রাজা । ব্যাকরণ আছে * পুত্রের শ্রেণীবিভাগ যাজ্ঞ বল্কের মতই । * সম্পত্তিতে মেয়েদের অবস্থা মনু আর যাজ্ঞ বল্কের মতই । * তার আইনে একজন ব্রাম্মন পুরুষের , ব্রাম্মন, ক্ষত্রিয়ের, বৈশ্য ও শূদ্র এই চার বর্ণের ৪ টা স্ত্রী থাকতে পারে , ক্ষত্রীয়ের ৩ টা , বৈশ্যের ২ টা কিন্তু সুদ্রের মাত্র ১ টা বউ থাকতে পারবে । * স্ত্রীলোকের মুখ নিত্য সুদ্ধ। এই আইনে স্বয়ংবরের কথা আছে , দশবিধ সংস্কারে কথা আছে । * প্রবিজ্যাবলম্বিনী নারী কথা আছে অর্থাৎ এই সময় পর্যন্ত নারী শিক্ষার প্রচলন ছিল। * পশু ও পুরুষ মৈথুন জাতিভ্রংশ জনক পাপ ।* এখানে নরকের শ্রেণী বিভাগ – তামিস্র, অন্ধ তামিশ্র,বউরব,মহাবউরব , কালসুত্র,মহানরক,সঞ্জিবন,অবিচী,তাপন,সম্প্রতাপন,সঙ্ঘাতক,কাকল,কুণ্ডল, কুটটান ,পুতিম্রিত্তিক,লউহশঙ্কু, ঋচীস, বিষম পন্থান, কণ্টকশাললী, দীপনদী, অসিপত্রবন,লুহচারক এই গুলি ভয়ানক সব নরকের কথা । আবার স্বর্গ লোক বিষ্ণু লোকের কথাও আছে * স্ত্রী লোক এবং সুদ্রকে একই পর্যায়ে রাখা হয়েছে। * ভগবান বাসুদেবের অর্চনার কথা ,* ব্রাম্মন ছাড়া ক্লিব হত্যা করলে এক ভার পলাল দেবে ( শাস্তির বিধান)। * পিয়াজ , রসুন, মুরগি খেলে প্রায়শ্চিত্ত কড়তে হবে।*ক্লিব , ব্যাভিচারি স্ত্রীলোক , ডাক্তার, ব্যাবসায়ী , গন,গনিকা সুদ্র সম্প্রদায় কারো ঘরে অন্ন ভোজন নিষিদ্ধ , * যজ্ঞে প্রানি বধ করে খাওয়া ছাড়া মাংস খাওয়া নিষেধ কারন ব্রম্মা স্বয়ং যজ্ঞের জন্যই পশুগনকে সৃজন করেছেন। যজ্ঞ ছাড়া মাংস খেলে মৃত্যুর পর ক্ষতিকর সব ঘটনা ঘটবে । * রাজাকে ট্যাক্স দেবার কথা , ভিক্ষা বৃত্তির উল্লেখ আছে।* লক্ষ্মী , রাম ,বাসুদেবের সবার কথাই আছে । এখানে যেটা বিশ্রী ভাবে উল্লেখ আছে তা জাতিভাদ , রাজা ও ব্রাম্মনের প্রাধান্য , এটা মনুর সমসাময়িক সময়ের ।
(৪) হারিত সংহিতা –
রাজপুতনার উদয়পুরের নিকটবর্তী হারিতের আশ্রম এখনো আছে ।
হারিত সংহিতায় সাতটি অধ্যায় (১) বর্ণাশ্রম পরিচয় (২) তাদের আচার (৩) ব্রম্মচারীর ধর্ম (৪) গার্হস্থ নিয়ম নীতি (৫) বানপ্রস্থ(৬) সন্যাসাশ্রম (৭) যোগ ধর্ম ।
নারী সমাজকে নিয়ে তেমন বাড়াবাড়ি নাই তবে রাজ তন্ত্র, ব্রাম্মন্যবাদ সর্বোপরি জাতিভেদ প্রথার সুচনা লগ্ন বলা জায়। সম্ভবত মনুর কিছু দিন আগের সময়।
(৫) উশনঃ সংহিতা –
উশনস বা উশনা পুরান প্রসিদ্ধ ঋষি ভৃগু মুনির পুত্র , তিনি কাব্য নামেও পরিচিত আবার তিনি দৈত্য গুরু শুক্রাচার্য হিসাবে পরিচিত । শুক্রাচার্যের নীতিশাস্ত্র এককালে চানক্য নীতি শাস্ত্রের সমতুল্য ছিল।
এই সংহিতা বক্তা উশনার পুত্র ঔশন । উশনঃ সংহিতা তৃতীয় শতাব্দীর পর রচিত হয় মাত্র ৯ টা অধ্যায় । (১) ব্রহ্মচারী হবার বিধি ও তার কর্তব্য (২) শৌচ আচার (৩) ব্রহ্মচর্যাশ্রমে থাকা কালিন কর্তব্য (৪-৫) শ্রাদ্ধ (৬) অশৌচ (৭) শ্রাদ্ধ । (৮-৯) প্রায়শ্চিত্ত বিষয়ে । তার মতে মাতার মত দৈব নাই পিতার মত গুরু নাই । *জাতিভেদ প্রথার প্রচলন ও বাড়াবাড়ি ।
এই আইনে নারী নিগ্রহের বাড়াবাড়ি নাই কিন্তু জাতিভেদ প্রথার মারাত্মক রুপ।
(৬) অঙ্গির সংহিতাঃ –
অঙ্গিরা মন্ত্র দ্রষ্টা ঋষি এবং সপ্তর্ষিদের একজন আবার তার নাম অঙ্গিরস । তিনি মুল গোত্র প্রবর্তক এর গোত্র তিনটি শাখায় বিভক্ত – কেবলাঙ্গিরস, গউতামাঙ্গিরস,ভরদবাজাঙ্গিরস। অঙ্গিরা জ্যোতিষ গ্রন্থের প্রনেতা ।
অঙ্গিরা সংহিতার মাত্র ৭২ টি শ্লোক পাওয়া গেছে , মুলত প্রায়শ্চিত্ত নিয়েই এখানে আলোচনা আছে। * নিল চাষ নিরুৎসাহিত করা হয়েছে * নারী সম্পর্কে মারাত্মক নয় * কঠোর জাতিভেদ প্রথা ।
তৃতীয় শতকে রচিত তাই সংহিতাকার অঙ্গিরা আর সপ্তর্ষি অঙ্গিরা এক নন ।
(৭) যম সংহিতাঃ –
তার পরিচয় অজ্ঞাত ,পুরান মতে যম ব্রম্মার নাতি ও সূর্যের পুত্র , সম্ভবত যম নামে কোন এক আইন প্রনেতা পণ্ডিত ছিলেন বা যমের নামে তা রচনা করেছিলেন। এখানে মত ৭৮ টি শ্লোক আছে প্রায়শ্চিত্ত সম্পর্কেই বলা আছে তবে জাতিভেদ প্রথার প্রচলন দেখা যায় , নারী বিদ্বেষ কম , এই সংহিতা অল্প আকারে পাওয়া গেছে।
(৮) আপস্তম্ব সংহিতাঃ-
ভারতের দক্ষিণ অঞ্চলে আপস্তম্ব মতাবলম্বীদের প্রাধান্য দেখে অনুমান করা যায় তিনি দাক্ষিণাত্যের অধিবাসী ছিলেন ।
এটা ৪-৫ শ খৃষ্টাব্দে রচিত ,১০ তি অধ্যায় , ১৯৭ টি শ্লোক আছে , নীল চাষ নিরুৎসাহিত করা হয়েছে , প্রায়শ্চিত্ত ও জাতিভেদ প্রথার মারাত্মক কড়াকড়ি লক্ষ্য করা যায়। নারী জাতি নিয়ে তেমন বাড়াবাড়ি নাই ।
(৯) সংবর্ত সংহিতা –
ঋষি অঙ্গিরার পুত্র , তেমন কিছু পাওয়া যায় নি তবে মেয়েদের বাল্য বিবাহ দিতে হবে নতুবা নরক বাস, ব্রাম্মন্যবাদ ব্রাহ্মণকে দান করার মাহাত্ম , জাতিভেদ প্রথা , বিবাহ সম্পর্কিত আর সুচিতাই প্রাধান্য পেয়েছে । সময়কাল বা বিশদ আকার পাওয়া জায় নাই।
(১০) কাত্যায়ন সংহিতাঃ-
মহর্ষি গভিলের পুত্র , সুত্রকার , প্রসিদ্ধ বৈয়াকরন, তার আরেক নাম পারস্কর । মহারাজ নন্দের সম সাময়িক ।
কিন্তু এই সংহিতা রচিত হয় খৃষ্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দীতে , এটা আইন গ্রন্থ রচনার প্রথম দিকের সংহিতা । এতে মোট ২৯ তি খণ্ড। এখানে গনেশ ও মাতৃ পুজার কথা বলা আছে । * জাতিভেদ প্রথার প্রচলন *ব্রাম্মন্য বাদ * পুরুষের বহু বিবাহ *নারীকে গৃহ বন্দির ব্যাবস্থা * সতিদাহ প্রথার মারাত্মক রুপ দিয়েছে । মনু সংহিতার মতই তবে এত বৃহৎ আকারে পাওয়া জায় নাই ।
এই সংহিতাকার কাত্যায়ন আর গভিলের পুত্র কাত্যায়ন কিভাবে এক হয় ? সময় হিসাব করলেই বুঝা যাবে।
(১১) বৃহস্পতি সংহিতা –
বৃহস্পতি অঙ্গির পুত্র দেবগুরু , এটা খ্রিষ্ট পূর্ব তৃতীয় শতাব্দীর রচনা , তাই সময় হিসাব করলে সংহিতাকার বৃহস্পতি আর দেবগুরু বৃহস্পতি অবশ্যই এক নয়।
*দণ্ড নীতির আলোচনা , বিচারপতির অভিমত নিয়ে রাজার দণ্ড দান, উত্তরাধিকার আইন যা অনেকের ধারনা মতে পরবর্তীতে মিতাক্ষরা আইন প্রচলিত হয় * জাতিভেদ প্রথার কড়াকড়ি * ৫ টা কারনে কোন নারী দ্বিতীয় বার বিয়ে কড়তে পারবে ।* ব্রাম্মন্যবাদ জোরে সোরে প্রতিষ্ঠা* নারীদেরকে অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু করা* সীমাহীন আচার বিচার। মনু সংহিতার মতই।
চলবে -----
(১২)পরাশর সংহিতাঃ-
পরাশর বসিসটের পৌত্র শক্তির পুত্র , মন্ত্র দ্রষ্টা ঋষি , এটা খৃষ্টীয় ৮ শতাব্দীতে রচিত আইন গ্রন্থ তাই বৈদিক মন্ত্রদ্রষ্টা ঋষি পরাশর আর এই সংহিতা রচয়িতা পরাশর অবশ্যই এক নন । কলিযুগে মানুষের আচরণীয় কর্তব্য সম্পর্কে লেখা।
তার আইন গ্রন্থ মনু আর যাজ্ঞ বল্কের মতই বিশাল ১২ টা অধ্যায় । পরাশরের আইনের আশ্রয়েই ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বিধবা বিবাহ আইন প্রবর্তন করতে পেরেছিলেন। পরাশরের মতে সত্যযুগে মনুর আইন, ত্রেতা যুগে গৌতমের আইন , দ্বাপর যুগে শঙ্খ লিখিত আইন আর কলি যুগে পরাশর লিখিত আইনেই চলতে হবে । মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত ধর্মীও অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পালন কিভাবে পালন করতে হবে তার সবই আছে। * প্রকট জাতিভেদ প্রথা * মহিলাদের দ্বারা নানাভাবে পুত্র সন্তান উৎপাদন। *৫ টা কারণে মহিলারা দ্বিতীয় বিয়ে করতে পারবে। * তার মতে কলিযুগে নারীর কাছে পুরুষ পরাস্ত হবে । * মেয়েদেরকে বাল্য বিবাহ দিতে হবে বয়স নির্ধারণ করে দেওয়া আছে নতুবা মা বাবা বড় ভাই তিনই নরকগামী হবে।* যে সকল ব্রাম্মন বেদ জানে না, সন্ধ্যা উপাসনা জানে না, গায়ত্রি জানে না ,অগ্নিতে হোম ক্রিয়া জানে না, কৃষি কাজ করে তারা নাম মাত্র ব্রাম্মন। অর্থাৎ তার কথায় ব্রাম্মনের ঘরে জন্ম নিলেই সে জন্ম সুত্রে ব্রাম্মন। * স্ত্রী ও ভুমি দুই এক রুপ তারা এক বারে দূষিত হয় না ।
*স্বামী বিদেশ গেলে, মৃত্যু হলে বা স্বামী ছেড়ে দিলে যদি কোন নারী উপপতি কত্রিক জারজ সন্তান নেয় তাইলে ঐ পতিত পাপকারিনি মহিলাকে ভিন্ন রাজ্যে পরিত্যাগ করে আসবে। * নারী কোন ভাবেই দশ দিনের বেসি বাড়ির বাইরে থাকতে পারবে না, নইলে তাকে নষ্টার শ্রেণীতে ফেলতে হবে।*বিপ্র গোমাংস বা চণ্ডাল অন্ন ভোজন করলে প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে।* যাজ্ঞ বল্কের মতই নানা জাতের পুত্র ।* প্রতি যুগে যে যুগধর্ম নিদ্রিষট আছে , যে সকল দ্বিজ সেই ধর্মেই নিরত থাকেন তাদের নিন্দা করা উচিৎ নয় কারন ব্রাহ্মণরাই যুগ রুপে অবতীর্ণ হইয়া থাকেন (ব্রাম্মন্য প্রথার উগ্র রুপ যা সনাতন ধর্ম নষ্টের অন্যতম কারনের একটা)। * যদি কেউ ব্রাম্মনের প্রতি হুঙ্কারতোলে ,তর্কে হারায় বা তৃণের দ্বারাও তারনা করে,গলায় বস্ত্র দেয় তবে স্নান করে সারা দিন তার ব্রাহ্মণকে প্রনাম দ্বারা অভিবাদন করে প্রসন্ন করতে হবে। * ব্রম্মা, বিষ্ণু , রুদ্র, সোম, সূর্য , অনিল এরা সকলেই ব্রাহ্মণের দক্ষিণ কর্ণে বাস করেন।
পরাশর নারী নির্যাতন কম করলেও ব্রাম্মনদের জন্য তার দীনতার সীমা নাই , কোঠর জাতিভেদ প্রথার প্রবর্তক ।
(১৩)ব্যাস সংহিতাঃ-
ব্যাস মহামুনি পরাশরের পুত্র মহাভারত রচয়িতা । কিন্তু এই সংহিতা প্রনেতা ব্যাস কে কারন এই সংহিতা রচিত হয় তৃতীয় শতাব্দীতে । ৪ টা অধ্যায় (১) সংস্কার বিধি (২) স্ত্রী লোকের আচার আচরন (৩) মানুষের নিত্য কর্ম (৪) দানের ফল ।
জাত কর্ম থেকে শুরু করে কর্ণ ভেদ পর্যন্ত যে ৯ টা সংস্কার বিধি আছে তাতে স্ত্রীলোকের মন্ত্র পাঠ নাই। শূদ্র জাতির ১০ টিতেই মন্ত্র পাঠ নাই । উপনয়নাদি ৬ টি সংস্কার স্ত্রী জাতি ও শূদ্র জাতির জন্য নিষিদ্ধ। * একজন উচ্চ বর্ণের পুরুষ ইচ্ছা করলে সব জাতের নারী বিয়ে কড়তে পারবে। উচু বংশের পুরুষ নিচু বংশের নারী যত ইচ্ছা বিএ করতে পারবে কিন্তু নিচু বংশের উচু বংশের নারী বিয়ে করতে পারবে না। * মনু আর যাজ্ঞ বল্কের মত মেয়েদের নাম , রুপ,অংগ বাছাই করে বিয়ে করবে। * স্বামীর সাথে স্ত্রী দাসীর মত ব্যাবহার করে চলবে।* স্বামী আদেশ দিলে স্ত্রী ভোজন করবে। * মৃত স্বামীর সাথে চিতায় গিয়ে মরবে নাহয় আজীবন ব্রহ্মচর্য পালন করবে। * নারীগন কখনই অরক্ষিত থাকবে না । ব্রাহ্মণকে প্রতিদিন দান করতে হবে ।* বেদ না জানলে সে নামে মাত্র ব্রাম্মন *নারীগন সারাদিন বাড়ির কাজ করবে,ব্যায় করবে না ।
ভয়ানক নারী বিদ্ধেসি , ব্রাম্মন্য বাদি , জাতিভেদ প্রথার প্রবর্তক ।
(১৪) শঙ্খ সংহিতাঃ- ১
শঙ্খ মহাভারতে উল্লেখিত একজন ঋষি , তার সম্পর্কে তেমন কিছু জানা জায় নাই। ১৮ টি অধ্যায় (১) চার বর্ণের কাজ (২-৪) দশবিধ সংস্কার (৫-৭) গারহস্ত, ব্রহ্মচর্য, বানপ্রস্ত আস্রমের আচার আচরন বিধি (৯-১০) শৌচ, সন্ধ্যা বিধি (১১)জপ বিধি (১২) তর্পণ বিধি (১৩-১৪) দান ও দানের ফলাফল (১৫) অশৌচ বিধি (১৬) দ্রব্যাদি সুদ্ধি (১৭) শ্রাদ্ধ (১৮) প্রায়শ্চিত্ত ।
• ব্রাম্মন, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য এই তিন বর্ণের উপনয়ন হবে সুদ্রের না। * ব্রাম্মন মাঙ্গল্য যুক্ত, ক্ষত্রিয় বল যুক্ত , বৈশ্য ধন যুক্ত আর শূদ্র জুগুস্পিত যুক্ত নাম রাখতে হবে। * ব্রাম্মনের নামের পর শর্মা , ক্ষত্রীয়ের পরে বর্মা, বৈশ্যের নামের পরে ধন ও শূদ্রের নামের পর দাস বলতে হবে । ( এটা জাত দিয়ে মানুষকে নিগৃহীত করার ফন্দি)* বিপদে পরলেও দ্বিজগণ শূদ্র কন্যা বিয়ে করবে না।* ব্রাম্মন পুরুষ শূদ্র ছাড়া সব বর্ণের কন্যা বিয়ে করতে পারবে । ক্ষত্রিয় ২ বর্ণের আর বৈশ্য ও শূদ্র শুধু তাদের জাতের কন্যা বিয়ে করতে পারবে।*স্ত্রীলোকের প্রভু স্বামী আর সকল বর্ণের প্রভু ব্রাহ্মণ । * একমাত্র স্বামী সেবাতেই স্ত্রীলোক স্বর্গ প্রাপ্ত হবে।* মুসলমানের অজু করার মত হাত পা মুখ ধোবে । * কেউ তার থেকে নিচু জাতের ঘরে অন্ন ভোজন করবে না ।

• (১৫)লিখিত সংহিতাঃ-
• শঙ্খ ঋষির ভাই লিখিত , তিনিও একজন ঋষি, মহাভারতে উল্লেখ আছে । তার সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানা যায় নাই। মাত্র ৯২ টা শ্লোক পাওয়া গেছে। প্রথমেই জলাশয় খননের মাহাত্ম * ৮ টি অধ্যায় , গয়া পিণ্ডি , বিভিন্ন ধরনের শ্রাদ্ধ, প্রায়শ্চিত্ত, বিবাহ বিধি, শুদ্ধি এই বিষয়গুলিই আছে।* জাতি ভেদ প্রথা , নারী অবহেলা বিদ্যমান , এটা সম্ভবত সম্পূর্ণ পাওয়া যায় নাই ।
• (১৬) দক্ষ সংহিতাঃ-

*ব্রম্মার মানস পুত্র দক্ষ কিন্তু এই সংহিতা প্রনেতা দক্ষের কোন পরিচয় পাওয়া যায় নাই। ৭ টা অধ্যায় (১-২) দ্বিজ গনের নিত্য কর্ম মানুষের কাজ ভাগ (৩) গৃহস্থের কাজ (৪) স্ত্রীলোকের কাজ ও কর্তব্য (৫) শৌচ (৬) অশৌচ (৭) ইন্দ্রিয় বিজয়
• *জাতিভেদ প্রথা না মানলে কি কি পাপের ভাগি হবে * অন্যান্যদের মতই ব্রাম্মন ক্ষত্রিয় বৈশ্যের উপনয়ন হবে , এরা ধর্ম কর্ম করবে আর শূদ্ররা এদের সেবা করবে।* স্ত্রীলোক স্বামীর বশে থাকবে , স্ত্রীলোককে যতই অলঙ্কারাদি দিয়ে রাখা হোক না কেন তারা সর্বদাই পুরুষগণের রক্ত শোষণ করে। * পুরুষ যতই বিয়ে করুক তার প্রথম স্ত্রীই ধর্ম পত্নি হবে* যে স্ত্রী সহমরনে যাবে সে স্বর্গ বাসী হবে। * স্ত্রী জাতি সর্বদা হাসি মুখে থাকবে , ব্যয় করবে না , সারাদিন বাড়ির কাজ করবে ।
• (১৭) গৌতম সংহিতাঃ-
• ন্যায় সুত্রকার অক্ষপাদের নাম গৌতম , মন্ত্র দ্রষ্টা গোত্র প্ররতক , অহল্যার স্বামী , ঋষি দীর্ঘতমার নামও গৌতম , ঋষি ভরদ্বাজের নামও ছিল গৌতম । গৌতমের ন্যায়সুত্র আর সংহিতার মধ্যে অমিল অনেক । তাই এই সংহিতা প্রণেতা গৌতম
• কে ? তার প্রনিত আইনে ২৯ টা অধ্যায় (১)ব্রাম্মনের বেশ ভূষণ (২) নিষিদ্ধ ও নিত্য কার্যাবলী (৩)চতুরাশ্রমের বিবরন (৪) বর্ণ সঙ্কর উৎপত্তি (৫) বেদাধ্যয়ন (৬) স্নাতক ব্রতাবলম্বির কার্যাবলী (৭) বর্ণ ভেদ (৮) কাজ ভেদ (৯) দণ্ড বিধি (১০)অশৌচ ও শ্রাদ্ধবিধি (১১) অনধ্যায় (১২) অভক্য নিরূপণ (১৩) স্ত্রী কর্তব্য (১৪) পাপ ও তদনুসারে রোগ (১৫) সংসর্গ নিরূপণ (১৬) প্রায়শ্চিত্ত (১৭) দায়ভাগ , এই ১৭ টা বিষয় নিয়ে ২৯ টা অধ্যায়ে লেখা হয়েছে । * ব্রাম্মনাদি চার বর্ণের সমাগমে যথাক্রমে কুশল , অনাময়, ক্ষেম এবং আরোগ্য প্রশ্ন করবে । ( এখানে বুঝা যায় মুসলমানরা অমুসলিমদের যে সম্ভাষণ করে সে রকম) * শূদ্র ও অব্রাহ্মণের অথিতি নাই , অব্রাম্মন যদি যজ্ঞে আমন্ত্রিত হয় ক্ষত্রীয়ের পর ভজন করাবে , ব্রাম্মন ভিন্ন অপর জাতিকে দয়া পরবশ হয়ে ভৃত্যের সাথে ভোজন করাবে । * মূর্খদের সভায় আর স্ত্রী পুরুষের মিলন স্থানে নমস্কারের কোন নিয়ম নাই * ব্রাম্মন ভিন্ন অন্য পুরবাসীকে অভিবাদন করিবে না * উচ্চ জাতি বয়সে ছোট হলেও শূদ্র তাকে অভিবাদন করবে * শূদ্র শ্রেষ্ঠ জাতির নাম রাখবে না , রাজার নাম কেউ গ্রহন করবে না * বিপদে পরলে অন্য জাতির নিকট থেকে বিদ্যা শিক্ষা নিতে পারবে * স্নাতক ব্রাম্মন ম্লেচ্ছ, অন্ত্যজ ও অধার্মিকের সাথে কথা বলবে না * অলংকারে সজ্জিত না হলে ঐ স্ত্রীর সাথে রমণ করবেনা , স্ত্রীর সাথে ভোজন করবে না, স্ত্রী সাজার সময় দেখবে না, * দ্বিজ মাত্রেই অধ্যয়ন, যজ্ঞ, দান এই তিনটার অধিকার আছে, * সংগ্রাম লব্ধ ধনে বিজয়ীরই অধিকার ( গনিমতের মাল ?) বাহন ও উদ্বৃত্ত ধনে রাজা অধিকারী * প্রজা মাত্রই রাজাকে কর দিতে বাধ্য * পশু ও স্বর্ণের পঞ্চাশ ভাগ কর দিবে ( জাকাত ?) কৃষকেরা আয়ের দশ , আট বা ছয় অংশ কর দিবে *দ্রব্যের খরিদ অপেক্ষা বাজার দর নরম হলে বনিকেরা রাজ কর দিবে না * অধিকলব্ধ বস্তুতে কেবল ব্রাহ্মণেরই অধিকার , বিজয় দ্বারা লব্ধ বস্তুতে ক্ষত্রীয়ের অধিকার , বানিজ্য দ্বারা লব্ধ বস্তুতে বৈশ্য আর দাস বৃত্তি হলে লব্ধ বস্তুতেই সুধু সুদ্রের অধিকার ।* ভুমি গর্ভে সঞ্চিত ধন যদি ব্রাম্মন পায় তবে সেটাতে রাজার অধিকার থাকবে না * রাজা ব্রাম্মন ছাড়া সকলের প্রভু * ব্রাম্মন ভিন্ন সকলে উচ্চাসনে বসা রাজাকে অধস্থিত হয়ে উপাসনা করবে * কঠিন বিচার কাজে রাজা ব্রাম্মনের মতামত নিবেন
• ( মুল্লা তন্ত্র?) * শূদ্র কোন দ্বিজাতির প্রতি তিরস্কার করে আঘাত করে তবে তার সেই অঙ্গ রাজা কেটে ফেলবে * দ্বিজাতির স্ত্রীর সাথে শূদ্র সংসর্গ করলে রাজা ঐ শূদ্রের লিঙ্গচ্ছেদের বিধান দেবেন ( শরিয়া আইন) * শূদ্র যদি বেদ শ্রবণ করে রাজা সীসা এবং জৌ গলাইয়া তার কানে ঢেলে কান বন্ধ করে দেবে , বেদ মন্ত্র উচ্চারন করলে তার জিহ্বা কেটে ফেলবে বেদ মন্ত্র অঙ্গে ধারন করলে সেই অঙ্গের ভেদ করবে ( কোঠর দাস প্রথা) * দ্রব্যের পরিমাপ , বন্ধক , ঋণ , সুদ, চক্রবৃদ্ধিহারে সুদ ( ব্যাঙ্কিং) জামিন লাভ প্রভৃতির উল্লেখে বুঝা যায় এটা নিকট অতীতের বৈদিক যুগের নয় । * পশু , ভুমি ও দাসী প্রভৃতি স্ত্রীর অত্যন্ত ভোগ না হলে এতে ভোক্তার আর অধিকার থাকে না * ব্রাম্মনের শারীরিক দণ্ড নাই * অব্রাহ্মণের বাক্য অপেক্ষা ব্রাম্মনের কথার মুল্য বেশী দিতে হবে * চোর, ক্লিব , পতিত , নাস্তিক, স্ত্রী যাজক ইত্যাদি এদেরকে স্রাদ্ধে ভোজন করাবে না * স্ত্রী কখনো স্বামীকে অতিক্রম করবে না , কখনো স্বাধীন হবে না * স্বামীর মৃত্যু হলে বাক , চক্ষু ও কর্মে সংযমী হয়ে আপন দেবর থেকে সন্তান লাভে অভিলাষী হবে , আপন দেবর না থাকলে সপিণ্ড বা সমগোত্রীয় দেবর * ঋতু দর্শনের পূর্বে কন্যা দান না করলে অভিভাবক পাপী হবে , না হলে কুমারী ৩ ঋতু অতিক্রম করলে পিতৃ দত্ত অলঙ্কার পরিত্যাগ করে স্বয়ং কোন আনন্দিত পাত্রের সাথে যুক্ত হবে * কোন উত্তম বর্ণের স্ত্রী অধম বর্ণের পুরুষের সাথে ব্যাভিচার করলে রাজা তাকে প্রকাশ্যে কুকুর দিয়ে খাওাবেন * পিতার মৃত্যুর পর পুত্রেরা পিতার ধন ভাগ করে নেবে* অবিবাহিত ও অপ্রতিষ্ঠিত কন্যারা মার স্ত্রিধন পাবে * অনপত্যের ধন স্ত্রীর হবে * মনু যাজ্ঞ বল্কের মত বিভিন্ন উপায়ে পুত্র লাভের উল্লেখ আছে *
• (১৮) শতাতপ সংহিতাঃ-
• একজন মুনি তার আর কোন পরিচয় পাওয়া যায় নাই । ৪ টা অধ্যায় পাওয়া গেছে (১) পাপ অনুসারে রোগের উৎপত্তি (২) প্রায়শ্চিত্ত (৩) পাতকানুজায়ী মৃত্যু (৪) দৈব নিহত ব্যাক্তির উদ্ধারের জন্য দান * জগন্নাথ ও বাসুদেব , শ্রী কৃষ্ণের মূর্তি তৈরি করে পুজার উল্লেখ * দ্রব্যের পরিমাপক পল * ব্রাহ্মণকে বস্ত্র , গাভী সোনা রূপা , রত্ন , ভুমি সব কিছুই দান করা * ৬ নিষ্ক দ্বারা ধন দাতা কুবেরের পুজা করে ব্রাহ্মণকে ২০ নিষ্ক দক্ষিণা দেবার কথা * সন্তান শূন্য অবস্থায় কেউ মারা গেলে তার আত্মার সদ্গতি হয় না। * পরিমাপের ব্যাবহার * গুটি পোকা দিয়ে কাপড় তৈরির কথাও বলা আছে । এতে রাম্মনকে দানের জন্যই আকুলতা বেশী ।
• (১৯) বশিষ্ঠ সংহিতাঃ-
• রামায়ন , মহাভারত , পুরান , ব্রম্মার মানস পুত্র , সপ্তর্ষির একজন , ঋক বেদের সপ্তম মণ্ডলের ঋষি অনেক যুগ ধরেই এই নাম ব্যবহার হয়ে আসছে , তবে এই আইন প্রনেতা বসিষ্ঠ কে ?
• ২০ টা বিষয় নিয়ে এই আইন তৈরি হয় , (১) ধর্ম নিরূপণ (২) রাজার কর গ্রহন (৩) ব্রাম্মনের নিষিদ্ধ কাজ (৪)সুদ নির্ধারণ
• (৫) দ্রব্যের সুদ্ধ্যশুদ্ধি নিরূপণ (৬) সপিণ্ড নিরূপণ (৭) অশৌচ বিধি (৮) রজঃস্বলা স্ত্রীর নিষিদ্ধ কাজ (৯) প্ররিব্রাজকের কাজ (১০) শ্রাদ্ধে ব্রাম্মন ভোজন (১১) উপনয়ন কাল (১২) স্নাতক ব্রত (১৩) অনধ্যায় (১৪) খাদ্যাখাদ্যের নিষেধ (১৫) দত্তক পুত্র বিধি (১৬) ব্যবহার (আইন বিষয়) (১৭) ১২ ধরনের পুত্র নিরূপণ (১৮) দায়ভাগ (১৯) রাজকার্য (২০) প্রায়শ্চিত্ত ।
• *হিমালয় পর্বতের দক্ষিণ ও বিন্ধ পর্বতের উত্তর ভাগে যে সকল ধর্ম ও আচার প্রচলিত আছে সেগুলিকেই ধর্ম মানতে হবে
• কেননা অন্যগুলি অতিশয় গর্হিত ধর্ম গঙ্গা যমুনার মধ্য বর্তী স্থানকে আরজাবরত বলা হয়। বেদে স্পষ্ট না থাকায় মনু জাতধর্ম, দেশ ধর্ম , কুল ধর্ম সম্পর্কে বলে গেছেন * বিদ্যা নষ্ট হলে পুনরায় পাওয়া যায় কিন্তু জাত নষ্ট হলে সর্বনাশ * বংশ মর্যাদা বলে অশ্বও সম্মানীয় অতএব সৎ বংশীয় রমণীকে বিয়ে করবে * তিন বর্ণই ব্রাম্মনের বশে থাকবে , ব্রাম্মন তাদের যে উপদেশ দিবেন রাজা তা প্রচলিত করবেন * ব্রাহ্মণ ছাড়া অন্য সব প্রজাই রাজাকে ষষ্ঠ-ষষ্ঠ অংশ কর দেবে , ব্রাহ্মণই দেবের আদি প্রকাশক , ব্রাহ্মণই আপত হতে উদ্ধার করেন, অতএব ব্রাম্মন অনাদি ও কর গ্রহনের অযোগ্য , চন্দ্র ব্রাম্মনের রাজা *বিনিময় প্রথা * নারী জাতিকে বাল্য অবস্থায় পিতা, যৌবনে স্বামী আর বৃদ্ধ অবস্থায় পুত্র রক্ষক হয় , স্ত্রীলোক কদাচ স্বাধীন হতে পারবে না * প্রস্রাব পায়খানা করলে মাটি ব্যাবহার করবে (মুসলমানের মতই নিয়ম ) * ম্লেচ্ছ ভাষা শিখবে না * এক অক্ষর ওম ই শ্রেষ্ঠ বেদ, প্রাণায়ামই শ্রেষ্ঠ তপস্যা * স্ত্রীর সাথে একত্রে ভোজন করবে না * স্ত্রীলোক পর পুরুষের সংসর্গীনি হইলেই পতিত হয় , অতএব স্বামী পুরুসান্তরের অনুপভুক্ত অন্য স্ত্রী গ্রহন করতে পারবে * দেবগন যার গৃহে উপপতি আছে আর স্ত্রিজিত ব্যক্তির ঘরে অন্ন গ্রহন করেন না * চিকিৎসক, শল্যধারি ,ক্লিব ইত্যাদি এদের ভিক্ষাও অগ্রাহ্য * স্বামীর অনুমতি ছাড়া স্ত্রীলোক দান বা প্রতিগ্রহ করবে না * রাজার মন্ত্রি সভার কাজ করবেন, * দলিল , সাক্ষী ও ভোগ (দখল)এই তিন দেখাতে পারলেই ধনি ধন পাবে * ঘর এবং ক্ষেত নিয়ে বিরোধে সামন্তদের কথা বিশ্বাস করতে হবে , সামন্ত দের বিরোধে দলিল বিশাস করতে হবে * দশ বৎসর দখলে থাকলেই দখল স্বত্ব প্রমান *স্ত্রীলোকের জন্য স্ত্রীলোক সাক্ষী, দ্বিজের জন্য দ্বিজ , শূদ্রের জন্য শূদ্র , অন্ত্যজ জাতির জন্য অন্ত্যজ * পুত্রবানদের জন্য অনন্তলোক শ্রুতি আছে অপুত্রের জন্য লোকাধিকার নাই *যে নারী ক্লিব , পতিত,উন্মত্ত স্বামী পরিত্যাগ করে বা স্বামী মরনে অন্য স্বামী আশ্রয় করে সে পুনর্ভূ * কন্যা ঋতুমতী হবার আগেই দান করতে হবে নাহলে পাপ , ঋতুমতী হয়ে গেলে কন্যা নিজেই স্বামী নিবে * ব্রাম্মন পুরোহিতরাই রাজ্য রক্ষা করেন অতএব রাজা পুরহিতকে দান করবেন
• * রাজা বরফের কর নেবেনা কারন বরফ অস্থায়ি* শিশু ও ভিক্ষুকের জন্য কর নাই *নিচ জাতের পুরুষ উচু জাতের নারীর সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক করলে ঐ নারীকে মাথা ন্যারা করে তাকে উলঙ্গ করে সারা গায়ে ঘি মেখে গরুর গারি বা গরধভের পিঠে চড়িয়ে মহাপথে ছেরে দেবে আর ওই পুরুষকে লোহার শিকল দিয়ে বেধে আগুনে ছেরে দেবে ( এটা কি ইসলামি আইনকেও হার মানাচ্ছে না ?)। রামায়ণ , মহাভারত আর ঋক বেদের সময় কাল আর দলিল লেখার সময়কাল অবশ্যই এক নয় ।তাই বলছি এটা কোন বশিষ্ঠ ? সে কে ?


রেফারেন্স বই – ঊন বংশ সনহিতা
পঞ্চানন তর্করত্ন


(২) মনু সংহিতা -----
মনু স্মৃতির মতে ব্রম্মা নিজ দেহকে দুই ভাগ করলেন, একভাগ পুরুষ অপর ভাগ নারী , সেই নারী থেকে সৃষ্টি করলেন বিরাজ , এই বিরাজ তপস্যা করে একটা পুরুষ সৃষ্টি করলেন , এই পুরুষই মনু সংহিতার প্রবক্তা মনু। সংখ্যা কারিকার (২৫) মতে মনু ব্রম্মার অবতারনা করেছেন।
মনুর ক্ষতিকর কিছু আইন ---- * কারো সাথে দেখা হলে , ব্রাহ্মণকে কুশল , ক্ষত্রিয়কে অনাময়, বৈশ্যকে ক্ষেম ও শূদ্রকে আরোগ্য বলতে হবে ( মুসলমানের আদাব সালাম)।* নারী স্বভাবই হল পুরুষদের দূষিত করা । বিদ্বান অবিদ্বান ব্যাক্তিকে স্ত্রীলোক বিপথে নিতে পারে । * মা , বোন বা মেয়ের সঙ্গে শুন্য গৃহাদিতে পুরুষ থাকবে না। যদি স্ত্রীলোক বা সুদ্র কোন মঙ্গল কাজ করে , তাইলে ব্রহ্মচারী সেই সব কাজ কর্ম মনোযোগী হয়ে করবে। * স্ত্রী , রত্ন , বিদ্যা , ধর্ম ,শুচিতা,হিতকথা ও নানা বিধ শিল্প কর্ম সকলের থেকে গ্রহনীয়। * কপিল বর্ণা, অধিকাঙ্গ বিশিষ্ট , রোগ গ্রস্থা, লোমহীন বা অধিক লোমি, বাচাল, পিঙ্গল বর্না , নক্ষত্র , বৃক্ষ, নদী, পর্বত, পক্ষী , সর্প, দাস এইগুলির নামধারি বা ভীতিজনক নাম যুক্তা কন্যাকে বিয়ে করা নিষেধ। * যে কন্যার ভাই নাই , পিতা অজ্ঞাত , বিজ্ঞব্যাক্তি পুত্রিকা ধর্মশঙ্কায় তাকে বিয়ে করা নিষেধ। * স্ত্রীর সঙ্গে আহার , স্ত্রীর আহার কালে দেখা নিষেধ। * স্ত্রীর হাচি , হাই তোলা বা আরাম করে বা অসংযত ভাবে বসা – দেখা স্বামীর নিষেধ। * যজ্ঞে স্ত্রী বা ক্লিব হোম করলে অনধীতবেদ ব্রাম্মন ভুজন করবে না । * চিকিৎসক, ব্যাভিচারি নারী , কুসিদজীবী ও লোহা বিক্রেতার অন্ন যথাক্রমে পুজ,শুক্র, বিষ্ঠা , মল, ভোজনের তুল্য।
স্ত্রীর কর্ম – * বাড়িতেও বালিকা, যুবতি বা বৃদ্ধা নারী স্বাধীনভাবে কিছু করবেনা। * (পিতা রক্ষতি কৌমারে,ভর্তা রক্ষতি যৌবনে, রক্ষতি স্থবিরে পুত্রা , ন স্ত্রী সবাতন্ত্রমরহতি ) বাল্যকালে পিতা, যৌবনে পতি ও পতি মৃত হলে বা বার্ধক্যে পুত্রদের অধীনে থাকবে, স্ত্রীলোক কখনোই স্বাধীন থাকবে না। * স্ত্রীলোক সদা আনন্দিত ও গৃহ কর্মে দক্ষ হবেন। ঘর বাড়ি পরিস্কার রাখবে , জিনিসপত্র পরিষ্কার রাখবে,মিতব্যায়ী হবে। * কখনই পিতা,পতি বা পুত্রের সাথে বিচ্ছেদ কামনা করবে না। * স্ত্রী লোককে পিতা বা পিতার অনুমতিক্রমে তার ভাই জার কাছে সম্প্রদান করবে , তাকে জিবিতাবস্তায় সেবা করবে , মারা গেলে ( ব্যভিচারি দ্বারা বা শ্রাদ্ধ তর্পণ না করে ) তাকে অপমানিত করবে না।* বিয়ের সময় যে প্রজাপতি যজ্ঞ করা হয় তা কন্যার উপর স্বামিত্ব জনক।* পতি দুশ্চরিত্র, কামুক বা গুনহীন হলেও তিনি সাধ্বী স্ত্রী কত্রিক সর্বদা দেবতার ন্যায় সেব্য। * পতির থেকে সতন্ত্র ভাবে স্ত্রীলোকের যজ্ঞ, ব্রত বা উপবাস নাই। তিনি যে পতিসেবা করেন তাতেই স্বর্গে তিনি পুজিতা হন। * পতিলোক কামী সাধ্বী নারী জীবিত বা মৃত পতির অপ্রিয় কিছু করবে না। * স্ত্রী বরং পবিত্র ফলমুল খেয়ে দেহ ক্ষয় করবেন, তথাপি পতির মৃত্যুর পর অন্যের নাম উচ্চারন করবেন না। * অন্য পুরুষ কত্রিক উৎপন্ন সন্তানের মালিক স্ত্রী নন, পরস্ত্রী গামি পুরুষেরও নয় , কখনও সাধ্বী নারীর দ্বিতীয় পতি উপদিষ্ট হয় না। * যে নারী নিজের নিকৃষ্ট পতি ত্যাগ করে উৎকৃষ্ট ব্যাক্তির ভজনা করে , সে পৃথিবীতে নিন্দনীয় হয় আর পরপূর্বা সংজ্ঞায় অভিহিত হন। * স্ত্রী স্বামীকে অবহেলা করলে ব্যাভিচারি হলে সংসারে নিন্দনীয় হয় , শৃগালের জন্ম প্রাপ্ত হয় , যক্ষ্মা, কুসট পাপ রোগের দ্বারা আক্রান্ত হয়, * কায়মন বাক্যে যে নারী পতিকে লঙ্ঘন করে সে পতিলক প্রাপ্ত হয় এবং সজ্জন দ্বারা সাধ্বী বলে পুজিত হয়। * কায়মন বাক্যে সংযত হয়ে এই নারী ধর্ম পালন করলে স্ত্রীলোক ইহলোকে শ্রেষ্ঠ কীর্তি , পরলোকে পতিলোক প্রাপ্ত হয়। ( পতিলোক ? কোথায় ?) * স্বামীর আগে স্ত্রী মারা গেলে স্বামী পুনরায় বিয়ে করবে।
রাজতন্ত্র ---- বিভিন্ন শাস্তি ...............
আইন – স্ত্রীলোকের সাক্ষী স্ত্রীলোক দিবে, দ্বিজের সাক্ষী হবে দ্বিজ , সুদ্র হবে সুদ্রের সাক্ষী , চণ্ডাল হবে চণ্ডালের সাক্ষী । এটা জাতিভেদ প্রথার মাধ্যমে বিভেদ সৃষ্টিকারী আইন । * স্ত্রী , পুত্র , দাস , মিস্র , সহোদর ভাই অপরাধ করলে রজু বা বংশ দণ্ড দিয়ে আঘাত করতে হবে ।* স্ত্রীলোক বিশেষ ভাবে রক্ষণীয় , অরক্ষণীয় স্ত্রীলোক পিতৃ মাতৃ উভয় কুলের দুঃখ জন্মায়। * সকল বর্ণের এই উৎকৃষ্ট ধর্ম লক্ষ করে দুর্বল পতিগণও স্ত্রীকে রক্ষা করতে চেষ্টা করেন। * স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ( শুক্র রুপে) প্রবেশ করে । *অর্থের সংগ্রহ , ব্যয় , শুদ্ধি, ধরম, অন্নপাক ও শয্যা পরিদর্শনে স্ত্রীকে নিযুক্ত করবে। * মদ্যপান , দুষ্ট লোকের সংসরগ, স্বামীর সঙ্গে ছারাছারি, ঘোরে বেড়ানো , অসময়ে নিদ্রা, পরগৃহে বাস এই ছয়টি নারীর ব্যাভিচারি দোষের কারন। এরা রুপ বিচার করে না, বয়স দেখেনা, রুপবান বা পুরুষ মাত্রেই তার সঙ্গে ভোগ করে তারা ব্যাভিচারি কুকর্ম করে । * ব্রম্মা কত্রিক এদের এরুপ
স্বভাব সৃষ্ট যেনে পুরুষ (স্ত্রীলোকের) রক্ষা বিষয়ে অতি যত্ন অবলম্বন করবে। * শয়ন , উপবেশন, অলংকার, কাম, ক্রোধ, কুটিলতা , পরহিংসা , মন্দ আচরন এইগুলি স্ত্রীলোক স্বভাব গত করে মনু সৃষ্টি করেছিলেন। * স্ত্রীলোকের মন্ত্র সহকারে সংস্কার নাই – এটা ধর্ম বিহিত। এরা ধর্মজ্ঞ নয়, মন্ত্রহীন এবং মিথ্যার ন্যার (অশুভ) – এই শাস্ত্রের নিয়ম। * নারী ক্ষেত্র স্বরূপ , পুরুষ বীজ স্বরূপ।
নারীর আপদধর্ম – * আপদকালে ভিন্ন নিযুক্ত হয়েও বড় ভাই বা ছোট ভাই একে অন্যের স্ত্রীতে গমন করলে পতিত হবে।
*সন্তানের অভাবে গুরুজনের সম্মতিতে স্ত্রীলোক দেবর বা সপিণ্ড থেকে সন্তান লাভ করবে। * বিধবাতে নিযুক্ত ব্যক্তি ঘৃতাক্ত দেহে মৌনী হয়ে রাত্রি বেলা একটি পুত্র উৎপাদন করবে, দ্বিতীয় পুত্র কখনই না। *অন্য পুরুষে নিজুক্তা নারী সনাতন ধর্ম নষ্ট করে । বিবাহ বিধায়ক শাস্ত্রে বিধবার পুনরায় বিবাহ উক্ত হয়নি (তা পশুধর্ম , অধার্মিক) । বেন রাজার রাজত্ত কালে এই প্রথা অনুমোদিত হয়েছিল। *স্ত্রীর জীবিকার ব্যবস্থা না করে স্বামী বিদেশে গেলে স্ত্রী সুতা কাটা , শুদ্ধ শিল্প কর্ম দ্বারা জীবন ধারন করবে। *যে স্ত্রী দ্যূতক্রীড়া , মদ্যপান,মত্ত,অসুস্থ(স্বামী সেবা করতে না পারে), অবজ্ঞা করে-তাকে স্বামী অলংকার ও বস্ত্রাদি থেকে বঞ্চিত করে তিনমাস পর্যন্ত পরিত্যাগ করবেন (সহবাস করবে না)। এটা কুরানের সুরা নিসার মত হুবহু।
* যে স্ত্রী নিবারিতা হয়ে বিবাহাদি উৎসবে মদ পান করে বা নৃত্য অনুষ্ঠানে , লোক সমাজে যান তিনি ছয় কৃষ্ণল দণ্ডনীয়া । (এটা কি দোররা নয় )। * সকল বর্ণের পতির শরীর শুশ্রূষা ও নিত্য কর্ম সবর্ণ স্ত্রী করবেন। *কন্যা বিবাহ জুগ্য না হলেও সবর্ণ পাত্রের কাছে বিধি অনুসারে সম্প্রদান করবে।* স্বয়ম্বরা কন্যা মা, বাবা, ভাই কারো থেকে অলঙ্কার গ্রহন করলে সে চোর হবে । * ৩০ বৎসরের পুরুষ ১২ বৎ, মেয়ে, ২৪ বৎসরের ছেলে ৮ বৎসরের মেয়ে বিয়ে করবে। (মুহম্মদের নীতি) * পতি দেবতা কত্রিক দত্ত স্ত্রী লাভ করবে নিজের ইচ্ছায় নয়। * সন্তান জন্ম দেবার জন্য স্ত্রীলোক আর সন্তান উৎপাদনের জন্য পুরুষ সৃষ্ট হয়েছে । সেই হেতু (অস্নাধানাদি ) সাধারন বেদে পত্নি সহ করনীয় বলা হয়েছে। * তিন বর্ণের দ্বিজগণ নিজ ধর্মে রত হয়ে বেদ অধ্যয়ন করবেন , এদের মধ্যে শুধু ব্রাম্মন অধ্যাপনা করবেন । * স্ত্রীলোকের জন্য পতিসেবা ব্রহ্মচর্যাশ্রমে গুরুগৃহে বাসের তুল্য * শূদ্র দ্বিজকে প্রহার করলে হাত কেটে ফেলা পা দিয়ে লাথি মারলে পা কেটে ফেলা এক কথায় শূদ্রের জন্য কোঠর সব শাস্তি * শূদ্রের তপস্যাই হচ্ছে সেবা করা * মনু ৭ প্রকার দাসের কথা উল্লেখ করেছেন ১। যুদ্ধে পরাজিত ২। ক্রীতদাসীর পুত্র ৩। ভক্তদাস ৪। ক্রীত দাস ৫। অপর ব্যাক্তি কত্রিক প্রদত্ত ৬। পৈতৃক সুত্রে প্রাপ্ত ৭। ক্ষতিপূরণ দিতে না পারার কারনে দাসত্ব বরন করা
দাসের নিজস্ব কোন সম্পত্তি রাখার কোন অধিকার ছিল না , ব্রাম্মন দাস সুদ্রের সম্পদ অবাধে নিজের কাজে ব্যয় করবে।
*মনু চণ্ডালদের অস্পৃশ্যদের মধ্যে নিকৃষ্টতম বলেছেন * মনু নানা ধরনের পুত্রের উল্লেখ করেছেন * যে অধিবিন্না নারী রাগ করে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যায় তাকে সঙ্গে সঙ্গে দড়ি প্রভৃতি দিয়ে বেধে রাখতে হবে নাহয় পিতার সামনে তাকে ত্যাগ করতে হবে ।
*পুত্র পিতাকে পুং নামক নরক থেকে উদ্ধার করে তাই ব্রম্মা স্বয়ং তাকে পুত্র বলেছেন
মনুর সময়কাল ২০০ খ্রিঃ পু -২০০ খ্রিঃ –কে এই মনু
রেফারেন্স বই – মনু সংহিতা
সুরেশ চন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
বিশ্লেষণ
ব্রাম্মন, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য এই তিন বর্ণ দ্বিজাতি তাদের প্রথম জন্ম মাতৃ গর্ভে দ্বিতীয় জন্ম উপনয়নে , ব্রাম্মনের কাজ । বিরাট পুরুষের মুখ ব্রাম্মন , বাহু ক্ষত্রিয় , উরুদ্বয় বৈশ্য আর শূদ্র চরন যুগল হতে উৎপন্ন এটাই জানবে । দ্বিজ-প্রত্যেক সংহিতা প্রনেতাই বলেছেন ব্রাম্মন , ক্ষত্রিয় , বৈশ্য এই তিন জাতির উপনয়ন করতে কিন্তু বর্তমানে দেখা যায় উপনয়ন প্রথায় শুধু ব্রাহ্মণদের এক চেটিয়া অধিকার । রজঃস্বলা – এটা মেয়েদের মেয়েদের প্রাকৃতিক একটা দৈহিক নিয়ম এটা নিয়ে এতো বাড়াবাড়ি কেন তার কোন তাৎপর্য বোধগম্য নয় , কোঠর জাতিভেদ প্রথা- এর ফলে সমাজের এক বৃহৎ জনগোষ্ঠীকে অবহেলা আর নির্যাতনের মধ্যে ফেলা হয় যার ফলে নিজেদেরকে মানুষ হিসাবে বাঁচিয়ে রাখার জন্য তারা যখন যে ধর্ম মতবাদ তাদেরকে মানুষ হিসাবে গ্রহন করবে বলে ডাক দিয়েছে তখনই দলে দলে তাদের ধর্ম গ্রহন করেছে । উচু জাত নিচু জাতের ঘরে খাবে না - উচু জাত নিচু জাতের ঘরে খেলে তাকে সমাজ চ্যুত করা এর ভয়াবহ পরিনতি আজ সুস্থ মনের হিন্দু মাত্রেই হারে হারে টের পাচ্ছে ,কনে দেখা – বিয়ের সময় কনে দেখার নামে হাটে গিয়ে গরু বাছাই একই পর্যায়ের , এটা মেয়েদেরকে অপমানিত করার মারাত্মক ধরন । খাদ্য গ্রহন নিসিদ্ধ – খাদ্যের মধ্যে এতো বেশি নিষেধাজ্ঞা আর সেটা কেউ কোন কারনে পালন করতে না পারলে সমাজচ্যুত করা এর বিভীষিকাময় ফলাফল দেখা যায় যখন এদেশে ইসলাম প্রচার শুরু হয় । তাদের কথায় ঘ্রাণেই অর্ধেক ভোজন তাই কোথাও গরুর মাংস রান্না হলে সেটার গন্ধ কোন হিন্দুর নাকে গেলেই তাকে বিদায় , যার ফল আজ বিশ্ব হিন্দু শূন্য হবার পথে । এর ধারাবাহিকতা আজও চলছে , কেউ বলছে নিরামিষ না খেলে হিন্দু ধর্ম পালন করা যায় না , কেউ বলছে অন্য কারো হাতের রান্না খাবে না , কেউ বলছে গরুর মাংস খেলে আর হিন্দু থাকা যায় না । সনাতন ধর্ম তো কারো কেনা সম্পত্তি নয় এটা বিশ্ব জনীন , এই খাবারের নিষেধাজ্ঞা মেনেই যদি হিন্দু ধর্ম পালন করতে হয় নইলে না , তাহলে যে সব দেশে শাক সবজি উৎপাদন হয় না তারা কি হিন্দু ধর্ম পালন করতে পারবেনা ? এতে করে কি ধর্মটাকে গণ্ডির ভেতর আবদ্ধ করে রাখা নয় ? এই গণ্ডি বদ্ধ করে রাখার ফলেই আজ সাড়া বিশ্ব হিন্দু শূন্য হবার উপক্রম । ---- সংহিতা মুলত আইন গ্রন্থ , মুলত এই সংহিতা প্রণেতারা ব্রাম্মন্য বাদ প্রতিষ্ঠা করার জন্য কুরানের মত আইনকে ধর্মীয় বিধান বলে মানুষকে ভয়ের মধ্যে রেখে তা পালন করতে বাধ্য করায় । রাজাকে ধর্মের ভয় দেখিয়ে নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধি করাই ছিল এদের মুল উদ্দেশ্য , এরা ছিল অলস পরবিত্ত লোভী । এরা অলস ছিল বলেই শূদ্রদেরকে অমানুষের শ্রেণীতে রাখে , ধর্মের দোহাই , নরকের ভয় দেখিয়ে এদেরকে অমানবিক সব আইন দিয়ে আটকে রাখে যাতে তারা কোনদিন মাথা তুলতে না পারে , তাই শূদ্র আর নারীকে এক পর্যায়ে রাখে তাদের লেখা পড়া বন্ধ করে দেয় আসলে তারা এই বৃহৎ জনগুষ্টিকে ভয় পেত তারা জানত যে এরা সত্যি জানতে পারলে এই বংশানুক্রমিক ব্রাম্মন্য বাদের বারোটা বাজাবে , তাই তাদের এইভাবে পঙ্গু করে রাখে ।
চলমান ----
হিন্দু ধর্মের পতনের কারন ----- এই সকল মনুবাদির দলের কারনে হিন্দু সমাজে সতীদাহ প্রথা চালু হয় আর তা এমন এক পর্যায়ে যায় যে বিভিশিখা রূপ ধারন করে কত লক্ষ কোটি জীবন্ত নারীকে যে এভাবে হত্যা করা হয়েছে তার হিসাব নাই এই পৈশাচিকতার এখন দেখি যে নারী দায় আমাদেরকে আজো বহন করে বেড়াতে হচ্ছে ।
বৈদিক ঋষিদের নাম ভাঙ্গিয়ে মনুর দল হিন্দুদের কি ধোঁকা দিয়েছে তার নমুনা দেখি বৈদিক যুগে নারীরা কি আসলেই শিশু অবস্থায় স্বামীর সেবা আর সারা দিন হাড়ি পাতিল মাজা , লেপা পুছার কাজই করত তার প্রমান । আদিকালে ঋষিগণ যোগ বলে ঈশ্বর কত্রিক যে মন্ত্র পান তাই বৈদিক মন্ত্র , এই ঋষিদের মধ্যে বিশ্ববারা , রোমশা , লপামুদ্রা, জুহু,পউলমি , কাক্ষীবতী, ঘোষা , জরিতা , শ্রদ্ধা , কামায়নী আরও অনেক মহিলা ঋষি ছিলেন । সাম বেদে নোধা , গোপায়না, সিকতা , নিবাবরি এমন অনেক নারী আজো অমর হয়ে আছেনা । তারা ব্রম্মবাদিনী, স্বয়ং ঈশ্বর নারীকে মন্ত্র দান করেছেন অথচ মনুর দল সেই নারী দেরকেই বেদ পাঠে অনধিকারী করে রাখে আজ মাত্র কবছর হল ভারতের নারীরা আন্দোলন করে এই প্রথা বন্ধ করে , সত্য প্রতিষ্ঠা করেছে । বড়বা প্রাথিতেয়ী , আপালা , কঠী নামক সুপণ্ডিত নারীদের কথা অনেকেই জানেন।
বৈদিক যুগে নারীদের পবিত্র ব্রম্মসুত্রের দিয়ে দীক্ষিত করা হত , অর্থাৎ তাদের উপনয়ন হত তারা ব্রম্মগায়ত্রী মন্ত্র উচ্চারন করতেন পবিত্র অগ্নি আধান করতেন একজন পুরুষের সমান ছাড়া কম নয় , যা আজ আমরা চিন্তাই করতে পারিনা । ব্রহ্মবাদিনী আর সদ্যবধু নামে নারীদের দুইটা ভাগ ছিল , একটা পবিত্র উৎসবের মাধ্যমে ব্রম্মসুত্রের দ্বারা উপনীত করে যাদের বিয়ে হত তারাই সদ্য বধু । ইরানের আরজ শাখায়ও এটার প্রচলন ছিল যার ধারাবাহিকতায় আজো ইরানের জরত্রস্তুদের মধ্যে নওজোত ( নব জন্ম ) প্রথা চালু আছে । ব্রম্মবাদিনীরা বিয়ে করতেন না তারা পুরুষের ন্যায় ব্রহ্মচর্য পালন করতেন । উপকুরবান ব্রহ্মচারীরা গুরুগৃহে অধ্যয়ন শেষে পিতৃ গৃহে গিয়ে বিয়ে করে গার্হস্থ ধর্ম পালন করতেন । মহাভারতের পাণ্ডব মাতা কুন্তিও ব্রম্ম সুত্র দিয়ে ভূষিত হয়েছিলেন। ৭ শতাব্দীতেও ভারতের অনেক জায়গায় এই প্রথা চালু থাকলেও মনুবাদিদের প্রাভাব এত বেশি মাত্রায় বিস্তার লাভ করে যে শেষ পর্যন্ত বেদ দূরে থাক নারী শিক্ষাই বন্ধ হয়ে যায় ।
বৈদিক যুগে কাশকৃৎস্ন , আপিশালা , ঔধমেধা এদের মত বহু নারী অধ্যাপিকা ছিলেন , বৈয়াকরণ আপিশালি গোষ্ঠীর ব্যাকরণ যারা পড়ত তাদের বলা হত আপিশালা আর ঔধমেদির ছাত্রীদের বলা হত ঔধঅমেধা বা ঔধমেধির ছাত্রী। বিদুষী গার্গী আজও অমর হয়ে আছেন , যাজ্ঞ বল্ক আর গার্গীর তর্ক যুদ্ধের কথা সর্বজন বিদিত । যাজ্ঞ বল্কের দুই স্ত্রী মৈত্রেয়ী ও কাত্যায়নী দুজনই বিদুষী ছিলেন । বৈদিক যুগের পরেও বিদুষী বা তপস্বিনী নারীদের উল্লেখ আছে । জনক রাজার সভায় তপস্বিনী ভিক্ষুণী সুলভার আধ্যাত্মিক আলোচনা বা রাজা রামের সাথে দেখা কড়তে আসা ঋষি শবরী , দ্রউপদির শিক্ষার কথা সবাই জানে । খৃষ্টের জন্মের ৪০০ বছর আগে মেগাস্থিনিস ভারত ভ্রমণকালে বহু সুপণ্ডিত নারী চির কৌমার্য অবলম্বন করে শাস্ত্রচর্চা করতেন এবং ঋষিদের সাথে শাস্ত্রবিচার করতেন বলে উল্লেখ করেন। বহু ব্রহ্মচারিণীর কথা বৈদিক সাহিত্য, রামায়ন , মহাভারতে উল্লেখ আছে । ব্রহ্মচারিণী আর ব্রহ্মবাদিনীর মধ্যে পার্থক্য এই যে ব্রহ্মচারিণীরা ব্রহ্মচর্য পালন শেষে গারহস্তে প্রবেশ করতেন আর ব্রহ্মবাদিনীরা চির কৌমার্য গ্রহন করতেন , কোথাও কারো বাধা বাধা ছিল না ।
নাচ, গান,বাজনা যদি নারী পুরুষ সবাই করত কিন্তু নারীদের জন্য তা প্রায় স্ত্রীলোকের শিক্ষার একটা অংশ ধরা হত। যজ্ঞের সময় মহিলারাই সাম গান করত , বৈদিক যুগে মা বাবা শুধু পুত্র নয় একটা বিদুষী কন্যা সন্তান লাভের জন্যও নানা পন্থা অবলম্বন করত এটা ব্রিহদারন্যক উপনিষদে উল্লেখ আছে ।
বৈদিক যুগে নারীদের অস্ত্র চালনা যুদ্ধ বিদ্যা শিক্ষা তা বেদেই প্রমান পাওয়া যায় , এমন কি রাজতন্ত্রের যুগেও রাজ মহিষীদের যুদ্ধ করার কথা জানা যায়। রাজা নমুচির স্ত্রী অতি ভয়ঙ্করি এবং দীর্ঘ স্থায়ী যুদ্ধে অংশ গ্রহন করেছিলেন। ঋক বেদে উল্লেখ আছে রাজা খেলের রানী বিশপলার বীরত্ব পূর্ণ বর্ণিত আছে , যুদ্ধ করতে গিয়ে তিনি উরুতে গুরুতর আঘাত পেলে অস্ত্র প্রচার করে তার উরু ফেলে দিয়ে লৌহ নির্মিত কৃত্তিম উরু সংযোজন করা হয় এতে এটাই প্রমানিত হয় যে তৎকালীন সময়ে যেমন ছিল নারীর সমান অধিকার তেমনি ছিল উন্নত শল্য চিকিৎসা যা বর্তমানের মতই কৃত্তিম অঙ্গ সংযোজনের ব্যাবস্থা । মুদ্গলানী ছিলেন ভয় লেশ শূন্য রণপণ্ডিত , সামরিক প্রশিক্ষক ও রন চাতুর্যের উজ্জল দৃষ্টান্ত । সুভদ্রাও যুদ্ধা ছিলেন , অনার্যদের সৈন্য বাহিনীতে বহু নারী সৈন্য থাকত , মেগাস্থিনিসের ভাষ্য মতে চন্দ্র গুপ্তের প্রাসাদ রক্ষী তরবারিধারিণী ও অস্ত্র বিদ্যায় পারদর্শী সুদক্ষা বলবতি রমণী বাহিনীর উল্লেখ করেছেন। খৃষ্ট পুঃ দ্বিতীয় শতকে পতঞ্জলি তার মহাভাশ্যে শাক্তিকি নামে বর্শা বা বল্লম নিক্ষেপ কারিণী নারীদের উল্লেখ করেছেন।
এই আলোচনায় এটা পরিস্কার যে বৈদিক যুগে সর্বতোমুখী স্ত্রী শিক্ষার প্রমান ও সমধিক উন্নত ছিল । কিন্তু এই মনুর আইন নারীর সমুন্নত প্রতিষ্ঠা ভূমিকে ভাঙতে শুরু করে নারীর অবস্থান এমন অবস্থায় গিয়ে দারায় যে সুদ্রের মত তারাও উপনয়ন ও বেদ পাঠে অনধিকারী হয়ে যায় , আর এটার জন্য মুলত সামাজিক ও রাজনৈতিক কারন দায়ী যা পরবর্তীতে আলোচনা করব।
চলমান ------

সাত শতাব্দীতে ওইসকল ব্রাম্মন্য বাদীরা সমুদ্র যাত্রা নিষিদ্ধ করে বৈশ্য অর্থাৎ ব্যাবসায়ীদের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন বন্ধ করে দিয়ে দেয় । দ্বাদশ শতাব্দীতে জীমূতবাহন উত্তরাধিকার আইন দায় ভাগ রচনা করে প্রবর্তন করে তার কুফল আমরা আজও বহন করে যাচ্ছি ।
শূদ্রঃ- বৈদিক যুগে নারীরা জ্ঞান বিজ্ঞান , ললিতকলার পাশাপাশি তুলা থেকে সুতা তইরি,কাপর রঙ করা,ঝুরি বানানো সহ বেতের কাজ , সুগন্ধি তৈরি, কামার , কুমার, স্বর্ণকার, তাতি, ধোপা, কৃষিকাজ প্রায় সব ধরণের শ্রম ও বিলাসিতার কাজই নারী স্বাধীনভাবে করে আসছিল কিন্তু মনুবাদীর দল এইসব পেশাকে এক শ্রেণীর কাজ হিসাবে ধার্য করে আইন চালু করে । তাতে মেয়েদের অর্থনৈতিক ভাবে পঙ্গু করে দিয়ে তাদের দাসত্বের শৃঙ্খলে বন্দি করে ফেলে , আর ওদিকে এইসব পেশাকে নিম্ন শ্রেণীর কর্ম হিসাবে চালু করে । এদিকে শূদ্র নাম দিয়ে কৃষক , কামার , কুমার, তন্তুবায় , স্বর্ণকার , মালাকার, ধোপা প্রত্যেককে আইন করে আলাদা করে দেয় এবং এই সকল কর্ম জীবীদের সভ্য সমাজ থেকে দূরে ঠেলে দিয়ে তাদের উপর চালায় সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় অকথ্য নির্যাতন। শেষ পর্যন্ত ঐ নারী ও শূদ্র দেরকে জীবনের মত অশিক্ষিত ও দরিদ্র করে ফেলে যার কুফল হিন্দুরা আজও বহন করে যাচ্ছে ।
ব্রাম্মন্য বাদ প্রতিষ্ঠা আর তাদের তৈরি কোঠর জতিভেদ প্রথার নামে নির্যাতনের ফলে, নারী নিগ্রহের ফলে যখনই এদেশে অন্য যে কোন জাতিভেদ প্রথাহীন ধর্মীও মতবাদ এসে আহ্বান জানিয়েছে তখনই হিন্দুরা দলে দলে সেইসব ধর্মের আশ্রয় নিয়েছে
এবং এখনো তা চলছে , এই মনুবাদীরা যে প্রথা চালু করেছিল তার অভিশাপের খেসারত হিন্দুরা আজও দিয়ে যাচ্ছে , হিন্দুদের মধ্যে ধর্ম হীনতা আর ঐক্য হীনতার অন্যতম কারণই হচ্ছে মনুবাদীদের আত্মকেন্দ্রিক আইন ।
মনুবাদিদের করাল গ্রাস থেকে হিন্দুদের রক্ষা করতে আজ এতো বছর ধরে অনেক জ্ঞানী জন সত চেষ্টা করেও পূর্বের বৈদিক যুগের অবস্থায় আজও হিন্দুদের ফিরিয়ে আনতে পারেন নাই। কালা পাহাড়ের (কালা চাঁদ রায় ১৫৬৩-১৫৭২ ইং)মত অনেকেই এই ধর্ম ত্যাগ করে নানাভাবে প্রতিশোধ নিয়েছে । আবার গৌতম বুদ্ধ , বঙ্কিম ,রবিন্দ্রনাথ,রাজা রামমোহন ,ঈশ্বরচন্দ্র , রামদাস, লালন , রামকৃষ্ণ, বিবেকানন্দ , আউল চাঁদ, হরিচাদ ঠাকুর , লোকনাথ ব্রহ্মচারী , শ্রী চৈতন্য দেব ইত্যাদি কেউ সাহিত্য দিয়ে , কেউ ধর্ম বানী দিয়ে কেউ বিদ্রোহ করে জুগ জুগ ধরে চেষ্টা করে করে চলছেন মনুবাদের হাত থেকে হিন্দু ধর্মকে রক্ষা করার জন্য কিন্তু আজো মনুবাদীর জাল থেকে হিন্দুরা বেড়িয়ে আসতে পারছে না ।
তাই বলি , হে বিশ্ব সনাতনির দল বেরিয়ে আস মনুবাদের খাঁচা থেকে , মুক্ত বিহিঙ্গের ন্যায় বিচরণ কর বৈদিক আদর্শে , এক বৈদিক পতাকা তলে মিলিত হও , বজ্র কণ্ঠে আওয়াজ তোল বল আমরা সনাতন ।