Sunday, August 11, 2013

চট্টগ্রামের ভাটিয়ারিতে চলন্ত ট্রেনে দুর্বৃত্তের ঢিলে এক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী নিহত হয়েছেন।

চট্টগ্রামের ভাটিয়ারিতে চলন্ত ট্রেনে দুর্বৃত্তের ঢিলে এক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী নিহত হয়েছেন।

ঈদের পরদিন শনিবার রাতে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী তূর্ণা নিশিথা ট্রেনে এ ঘটনা ঘটে।

রেলওয়ে থানার এসআই ওমর ফারুক জানান, নিহত প্রীতি দাশ (২৪) সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক শেষ করে চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপত্য বিভাগে লেখাপড়া করছিলেন।

নগরীর আগ্রাবাদ এলাকার গেজেটেড অফিসার্স কলোনিতে শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন প্রীতি। ঈদের পরদিন স্বামীর সঙ্গে ফিরছিলেন তার কর্মস্থল ঢাকায়।

প্রীতির স্বামী মিন্টু দাশ ঢাকায় একটি বেসরকারি ব্যাংকে মানবসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা। ১৬ মাস আগে তাদের বিয়ে হয়।

মিন্টুর বন্ধু বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) আবদুল্লাহ আল মামুনও তাদের সঙ্গে ওই ট্রেনে ছিলেন।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মামুন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, রাত ১১ টায় ট্রেন ছাড়ার আধাঘণ্টা পর ভাটিয়ারি ভাঙ্গা ব্রিজ এলাকা পার হওয়ার সময় বাইরে থেকে দুর্বৃত্তরা চলন্ত ট্রেনে ঢিল ছোড়ে। সেটি সরাসরি প্রীতির মাথায় লাগলে তিনি সংজ্ঞা হারান।

পরে সীতাকুণ্ড স্টেশনে ট্রেন থামিয়ে দ্রুত সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয় প্রীতিকে। সেখান থেকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এসআই ওমর ফারুক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের সদস্যরা প্রীতির লাশ নিয়ে গেছে। ট্রেনে ঢিল ছোড়ার বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

Wednesday, August 7, 2013

অনেকদিন পরে কিছু সামান্য ঘটনা শেয়ার করছি।

Bangali Hindu Post (বাঙ্গালি হিন্দু পোস্ট)
একজন হিন্দু ভাইয়ের দেয়া একটি স্ট্যাটাস-

অনেকদিন পরে কিছু সামান্য ঘটনা শেয়ার করছি।
কিছুদিন আগে আমি আমার এক পরিচিত আন্টির মেয়ের জন্মদিনে আমন্ত্রিত ছিলাম।তাদের পরিবারটি এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবার।সেই অনুষ্ঠানে উনার বোনেরা আর দুলাভাইও ছিল। সেখানে আমি ছাড়াও আরও হিন্দু আমন্ত্রিত ছিল তাই গোমাংস রান্না হয়নি। তো খেতে বসেছি, সেই সময়ে আন্টির বোন বলল, তুমি গরু খাওনা!!!? আমি বললাম না। তিনি তখন বললেন আমার বাসায় অনেক হিন্দু আসেগরু খেতে, তারা বাসায় গরু নিয়ে যেতে পারে না তো তাই ফোন করে গরু রান্না করতে বলে এবং এসে খেয়ে যায়। এইকথা বলে সবাই হাসাহাসি শুরু করল। কিছু বললাম না কারণ এইসব কথা আমার মন বিচলিত করতে পারেনা। বলা শুরু করল যে হিন্দুরাও গরু খায়।
তখন একটি কথা বলতে চেয়েছিলাম যে, মিসেস আন্টি সেই গরু খাওয়া হিন্দুটি কিন্তু শুকর ও খায়। গরু খায় তাই খুশি হলেন, আর শুকর খাওয়ার কথাটা বললেন না??

বললাম না কিছুই। কমন সেন্স যাদের কম তাদের সাথে কথা নাবাড়ানোই ভালো।

যেই লোক গরু খেল সে হিন্দু নয়, যে লোকটি শুকর খায় সে মুসলিম নয়, তার জন্ম পরিচয় ধর্ম পরিচয় তাহলে কোনটা?? এইটা বোঝার ক্ষমতা যার নাই তার কি কমন সেন্স আছে???
অপরদিকে আমি গরু শুকর দুটিই খাইনা সেক্ষেত্রে আমি সকল ধর্মের সকল কালের।
এখানেই শেষ হতে পারত। কিন্তু শেষ হয়নি। এরপর বলল হিন্দুরা গরুর মাংস খায়না কিন্তু দুধ খায়। তারপর অট্টহাসিতে ফেটে পড়ল!! এখনও সেই হাসিটা কানে ঝাঁই ঝাঁই করে বাজে! আমি সন্দেহে পরে গেছিলাম যে এই মহিলা আসলেই নারী? নাকি অন্যকিছু? তার আবার দুটি সন্তান আছে!!!!
সেইমহিলা কি তার সন্তানদেরকে নিজের বুকের দুগ্ধ পান করাননাই?? নিশ্চয়ই করিয়েছেন। তাহলে এখন যদি তার সন্তানেরা তার স্তনের মাংস খায় তখন তার কেমন লাগবে??

মা হয়েও এই কথাটা বুঝেনা। গরুর দুধকে গরুর মাংসের সাথে গুলিয়ে ফেলল, কিন্তু নিজের দুধকে নিজের মাংসের সাথে গুলিয়ে ফেলল না!!!!
এই হল সেই মহিলার কান্ড।
মনে মনে হাসতে হাসতে আমার পেট ফেটে গিয়েছিল।
আমি শিওর যে কোন হিন্দু যদি এরকম কিছু করত তাহলে অবশ্যইতাদের সম্পর্কে ফাটল ধরত। কিন্তু আমার প্রিয় ধর্মীয়গ্রন্থগুলো তা হতে দেয়নি। আমি গর্বিত।

স্ট্যটাসটি পড়ে এডমিনের মতামত-
আপনার স্ট্যটাস পড়ে খুশি হতে পারলাম না,কেননা অবশ্যই যুক্তিগুলোকে আপনার উনার সামনেই উপস্থিত করা দরকার ছিল।আপনি বললেন কমনসেন্সহীন লোকের কাছে এসব বলে লাভ নেই।কিন্তু ধারনাটা নিতান্তই ভূল।এক্ষেত্রে হুমায়ুন আহমেদের একটা বইয়ে তাঁর উল্লেখিত একটা গল্প বলি-
একবার মহর্ষি কাশ্যপ এর কাছে এক লোক এসেছে দীক্ষা নিতে।তখন মহর্ষি বললেন,তুমি যদি আজকের দিনেরমধ্যে একটি ভাল কাজ করতে পার তবে আমি তোমায় দীক্ষা দেব।তখন ওই লোকটি ভাল কাজ করতে বের হল।খুঁজতে খুঁজতে সে একটি অসুস্থ ধুঁকতে থাকাকুকুরকে দেখতে পেল।তখন সে ভাবল একে মেরে ফেললে সে আর অসুখের কষ্ট পাবেনা যাকে ডাক্তারি ভাষায় Mercy killingবলা হয়।তখন এই ভেবে সে একটাপাথর দিয়ে মাথায় বারি মেরে কুকুরটিকে মেরে ফেলল।তারপরসে মুনিগৃহে ফিরে তাঁকে একথা বলল যে সে এক পশুকে যন্ত্রনা থেকে মুক্তি দিয়ে এসেছে।তখন মহর্ষি বললেন যাও,স্নান করে এস।আমি তোমায়দীক্ষা দেব। এ পর্যায়ে এসে পাঠকদের প্রশ্ন,ওই লোকতো মূলত খারাপ কাজই করেছে কুকুরটিকে মেরে কেননা ভাল কাজ হত যদি সে সেবা করে সে কুকুরটিকে ভাল করে তুলত।তাহলে মহর্ষি তাকে দীক্ষা দিতে রাজী হলেন কেন?উত্তরটা হল,যে ভাল কাজ করে তার দীক্ষার প্রয়োজন হয়না।যে খারাপ কাজ করে তারইদীক্ষার প্রয়োজন।

মোরাল-যার কমনসেন্স আছে তাকে শেখানোর দরকার নেই,যার নেই তাকেই শেখানো দরকার।

৬০ আসন সংরক্ষণের দাবি সংখ্যালঘুদের

 
 
 
ঢাকা,মঙ্গলবার ৬ আগস্ট ২০১৩, ২২ শ্রাবন ১৪২০ , ঢাকা,মঙ্গলবার
অনলাইন প্রতিবেদক
৬০ আসন সংরক্ষণের দাবি সংখ্যালঘুদের
আগামী নির্বাচনে ৬০টি আসন সংখ্যালঘুদের জন্য সংরক্ষণের দাবি করেছেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খৃস্টান ঐক্য পরিষদ। একই সঙ্গে সরকারের কাছে জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন ও মন্ত্রণালয় গঠনের অনুরোধ জানানো হয়।আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত এ দাবি জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ড. নিম চন্দ্র ভৌমিক, অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, হিউবাট গোমেজ, সুনন্দ প্রিয় ভিক্ষু ও ড. উৎপল কুমার সরকার প্রমুখ।তিনি বলেন, 'বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক ও ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃত পাওয়া পূর্ব পর্যন্ত সংবিধানে সংখ্যালঘুদের স্বার্থরক্ষার বিধান সংযোজন করতে হবে।' তিনি আরও বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে ধর্মীয় এবং সাম্প্রদায়িকতার কোনো ধরনের ব্যবহার করতে দেয়া যাবে না। পাঁচটি সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে ধর্মীয় এবং সাম্প্রদায়িকতার ব্যবহারের ফলে মহাজোটের প্রার্থী হেরেছে।
Comments-অনেক পরে হলেও বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের দাবির সংগে একমত হল বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খৃস্টান ঐক্য পরিষদ নেতারা

কামদুনি তে ছাত্রী ধর্ষণ এবং হিন্দু সংহতির প্রতিবাদ

বিশ্বের সবথেকে বড় গদা.....গুজরাটে বসানো হচ্ছে ।

নিউজিল্যান্ডে সনাতন ধর্ম : কিছু তথ্য

* নিউজিল্যান্ডে সনাতন ধর্ম fastest growing religions । ১৯৯৬ তে হিন্দুজনগোষ্ঠীর সংখ্যা ছিল ২৬,০০০ । ২০০১ সালে তা দাড়ায় ৪০,০০ । সর্বশেষ ২০০৬ সালের হিসাবমতে ৬৫,০০০ অথাৎ এই কয়েক বছরে হিন্দু সংখ্যা ৬২ % বৃদ্ধি পেয়েছে ।

* শুধু তাই নয় হিন্দুরা নিউজিল্যান্ডে সর্ববৃহৎ সংখ্যালঘু সম্প্রদায় । ১.৭ % । খ্রিস্টানদের পরেই অবস্থান ।

* নিউজিল্যান্ডে ইসকন সহ বিভিন্ন সনাতন সংগঠনের ভালো উপস্থিতি আছে । রাজধানী ওয়েলিংটন সহ বিভিন্ন জায়গায় অসংখ্য মন্দির আছে ।

* বলতে গেলে নিউজিল্যান্ডের হাসপাতালগুলো পরিচালনা করে হিন্দুরাই । হিন্দু ডাক্তার , ইন্জিনিয়ারদের ছড়াছড়ি নিউজিল্যান্ডে !!

* ২০০৮ সালে একটি কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয় যার থিম ছিল "Sustaining New Zealand Communities with Yoga, Meditation and Ayurveda".

* ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জন কিস ভাগবতগীতা গ্রহন করছেন । সম্প্রতি তিনি একটি মন্দির দর্শন করে অভিভূত হন এবং সনাতন ধর্ম সম্পর্কে জানার আগ্রহ প্রকাশ করেন ।
-------------------------
শেয়ার করে তথ্যগুলো ছড়িয়ে দিন

৩ ই জুন ডেকান ক্রনিকলে প্রকাশিত 'ওম;শুধু একটি মন্ত্র ই নয়,ঔষধ ও বটে' শীর্ষক প্রবন্ধটি পড়ুন-



চেন্নাই: আব্দুল কাদের প্রতিদিন সকালে গিলনগর পার্কে মর্নিং ওয়ার্ক করাকালীন সময়ে ৩০ বার করে ওঁ জপ করেন যা তার একিউট আরথ্রাইটিক পেইন নিরাময়ে ব্যপক ভূমিকা রেখেছে বলে তিনি জানান।

"একিউট আর্থ্রাইটিক পেইন এর কারনে আমাকে চেয়ারে বসে প্রার্থনা করতে হত যা আমার দীর্ঘসময় দাড়িয়ে কাজ করার পেশার ফল।ধন্যবাদ যোগাসন,প্রাণায়ম এবং ওঁ জপকে।আমি এখন হাঁটু নিচে রেখে নামাজ পড়তে পারছি।"-৫০ বছর বয়স্ক MMDA কলোনীতে বসবাসরত এ ব্যক্তি উত্তেজনার সাথে Govt. yoga and naturopathy hospital এ তার অভূতপুর্ব আরোগ্যের কথা এভাবেই ব্যক্ত করেন।

"যখন ডাক্তার আমায় বলেন যে ওঁ জপ শুধু ধর্মীয় কিছু নয় বরং এটা এখানে চিকিত্‍সাকার্যে ব্যবহৃত হচ্ছে তখন আমি তা করতে রাজী হই এবং আমি খুশি যে আমি এটা করেছি।"-ডেকান ক্রনিকলকে বলেন তিনি।

যোগ হসপিটালের এসিস্টেন্ট প্রফেসর ড.কানিমোঝি এমনকি ক্যন্সার রোগীদের জন্যেও অন্যান্য Naturopathy medicine এর সাথে সাথে ওঁ জপ এর পরামর্শ দেন।তিনি বলেন,"ওঁ জপ স্ট্রেস হরমোন নিঃসরনকে নিয়ন্ত্রন করে ব্যথা নিবারক হিসেবে কাজ করে।এটি বৈজ্ঞানিক কেননা এটি নিউরো এবং সাইকোলিঙ্গুয়িস্টিক প্রভাব তৈরী করে যার মাধ্যমে পুরো শরীরে ইতিবাচক প্রভাব তৈরী হয়।“

হসপিটালটিতে প্রচুর মুসলিম এবং খ্রিষ্টান রোগী রয়েছেন যারা এই ওঁ জপ,যোগাসন ও প্রাণায়ামের মাধ্যমে পেইন,স্ট্রেস,ইনসমনিয়া, সাটারিং ও স্পিচ ডিফিকাল্টি জনিত নানা রোগ থেকে নিরাময় লাভ করেছেন।

একই হসপিটালের ৫৫ বছর বয়স্ক রোগী এডওয়ার্ড যিনি একজন সিনিয়র আর্মি অফিসার।তিনি একবছরেরও অধিক সময় ধরে এনকাইলোসিং স্পন্ডিলাইটিস এ ভুগছিলেন।তিনি আরেকটি উদাহরন যিনি ওঁ জপ,যোগ ও প্রানায়ামের মাধ্যমে এই রোগ থেকে মুক্তি করেছেন।
"দুই মাস এগুলো অনুশীলন করার পর তিনি এখন তার জয়েন্টসমূহ ভাঁজ করতে পারছেন এবং তার ঘুমের সমস্যাসমূহও দুরীভূত হয়েছে।"-ওঁ জপ ও অন্যান্য প্রাকৃতিক উপাদানের মাধ্যমে রোগ নিরাময়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন ড. পি প্রভু।

ওঁ জপ করুন,ঐহিক ও পরমার্থিক শান্তি নিশ্চিত করুন।
ওঁ শান্তি শান্তি শান্তি

http://www.deccanchronicle.com/130603/news-current-affairs/article/aum-medicine-not-just-mantra
---------------------------
## VEDA, The infallible word of GOD

বিলবোর্ড সমাচার !!!



একবার এক রাজ্যের রাজা ভাবলো, তার আমলের উন্নয়নের কথা দেশের মানুষকে জানানো দরকার...কাহিনী হইল, উনার কথা কেউ শুনে না... তাইসে মন্ত্রীকে বললো, "সারাদেশে উন্নয়নের কথা লিখে আর পাশে আমার একখান ছবি দিয়ে ইয়া বড় বড় বিলবোর্ড লাগাও !! "মন্ত্রী তাড়াতাড়ি কাজে নেমে পড়লো...অতঃপর এক সপ্তাহ পর এক রাতে রাজা সাধারণ মানুষের বেশ ধরে শহর ঘুরে বিলবোর্ড দেখতে চাইলো!! শহরে ঘুরতে ঘুরতে হঠাৎ রাজা দেখলো, একটা বিলবোর্ডের সামনে প্রচুর মানুষ হা করে দাঁড়ায়ে আছে !! রাজা ওই ভীড়ের মাঝে গিয়ে হাসিমুখে বিলবোর্ড দেখতেছিলো ...এমন সময় ওইখানের একজন বলে, "ভাই!!এইহানে কী লেখছে, পড়তে পারেন ??" রাজা জিজ্ঞেস করলো, "কেন আপনারা পারেননা ??" ঐ লোক বললো, "নাহ !! এইহানের কেউই লেহাপড়া জানে না ...তাই তো চাইয়া আছি !!"রাজা গম্ভীরভাবে বিলবোর্ড পড়লো, "শিক্ষা খাতে রাজার অসামান্য অবদান ...দেশে শিক্ষিতের হার এখন ৯৯.৯৯%!!" এইকথা শুনে মানুষজন হো হো করে হাসতে লাগলো ... একজন বললো, "হালায় কয় কি !!" মন্ত্রী দ্রুত রাজাকে ওইখান থেকে সরায়ে নিয়ে আসলো !!

আরো কিছুদূর যেতে যেতে হঠাৎ গাড়ি থেমে গেলো ... রাজা জিজ্ঞেস করলো, "হইলো কী ??" মন্ত্রী বললো,"ইয়ে মানে...সামনের দিকটায় আর গাড়ি যাবে না...রাস্তা খারাপ ... দুই মাস ধরেকাটা...সাথে ড্রেনের ময়লা ... বাজে অবস্থা !!"রাজা বললো, "ঐ রাস্তার উপরের বিলবোর্ডটায় কি লেখা ?? "মন্ত্রী আমতা আমতা করে বললো, "সড়ক ও যোগাযোগ খাতে রাজার উন্নয়নের জোয়ার ...দেশের ৯০% রাস্তাই এখন পিচঢালা ও রাজার শেভ করা গালের মত মসৃণ !!" রাজা বিব্রত হইয়া কাশি দিলো ...আবারো অন্যদিকে তাদের যাত্রা শুরু হইল!!

এবার রাজা একটা বিলবোর্ড দেখায়ে জিজ্ঞেস করলো, "কী ব্যাপার !! এই বিলবোর্ডেরলেখা দেখা যাচ্ছে না কেন?? অন্ধকারকেন ?? "মন্ত্রী বলল,"মহারাজ !! আসলে এই এলাকাতে লোড শেডিং চলতেছে, তাই লাইট জ্বলছে না!!" রাজা বললো,"এইটা কীসের বিলবোর্ড ছিলো ?? "মন্ত্রী গোমড়া মুখে বললো, "বিদ্যুৎখাতে রাজার ৯৯.৯৯% সাফল্য ...দেশে বিদ্যুতের মেগাওয়াটের বাম্পার ফলন ..."লোড শেডিং" নামক কোন শব্দই রাজার ডিকশনারিতে নাই!!" ঘুটঘুটে অন্ধকারে রাজা বা মন্ত্রী কারোর চেহারাই দেখা যাচ্ছিলো না... নিশ্চয়ই তাদের চেহারায় ১% হলেও লজ্জা আর অপমানের ছাপ ছিলো !! এই লজ্জা বা অপমান বোধটাই হাসিনার মতো রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে নাই...আলো বা অন্ধকার কখনোই তাদের চেহারায় এইসব লজ্জার ছাপ দেখতে পাওয়া যায় না ...সেসব দেশের আমজনতার চেহারায় উল্টা লজ্জা আর অপমান দেখতে পাওয়া যায় ...শুনতে পাওয়া যায় অনেক বেশি হতাশার দীর্ঘশ্বাস !

-ফ্যানপোস্ট

আসিফ মহিউদ্দিন ১ মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেলেও তার জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে সংশয় কাটছে না

নতুন করে এক মাসের অন্তবর্তীকালীন জামিন পেয়েছেন আসিফ মহীউদ্দিন।
মহানগর দায়রা জজ আদালতের মাননীয় বিচারক জহুরুল হক আজ এই জামিন মঞ্জুর করেন। আসিফের পক্ষে শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া ও এ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন
তসলিম। এর আগে আসিফের আইনজীবী চৌধুরি সানাউল হকের দায়িত্বহীন এবং কিছুটা রহস্যময় আচরণের কারণে আসিফকে জেলে যেতে হয়।
সানাউল হক আসিফ এবং তার আত্মীয়দের ভুল তথ্য দেন যার প্রেক্ষিতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জামিনের মেয়াদ বাড়িয়ে নেয়া যায়নি। নিজের ভুল ঢাকতে এরপর তিনি যা করেন সেটা ন্যাক্কারজনক।
তিনি পিটিশনে উল্লেখ করেন যে আসিফ হাজির হতে চায়নি, তিনি জোর করে শেষ পর্যন্ত তাকে কোর্টে হাজির করেছেন।
তার এই বক্তব্য ডাহা মিথ্যা। আসিফ প্রতিবাদ করায় তিনি তার আইনজীবী হয়েও এজলাসে আসিফের উপর চড়াও হন এবং আসিফকে বেয়াদপ ব্লগার বলে অভিহিত করেন। হাজিরার আগের দিন সানাউল হক আসিফের বোনদের জানান, সকল কাগজপত্র প্রস্তুত আছে এবং তিনি যথাযথভাবে তা হাজির করবেন।
আশ্চর্যজনকভাবে তিনি প্রয়োজনীয় কোনো কাগজই কোর্টে জমা দেননি যার সবকিছুই তার ফাইলে আছে। এর প্রেক্ষিতে আদালত মূলত: প্রয়োজনীয়
কাগজপত্রের অনুপস্থিতিকে দায়ী করে আসিফের জামিন বাতিল করেন।
এরপর চৌধুরি সানাউল হককে বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু তিনি নানান টালবাহানা চালাতে থাকেন। তার ফাইল থেকা কাগজ পত্র গুলি দিতে গড়িমসি করেন
এবং নো অবজেকশন সার্টিফিকেট দেবেন না বলে জানান। যাহোক শেষ পর্যন্ত
তাকে বাদ দেয়া যায় এবং নো অবজেকশন সার্টিফিকেট ছাড়াই অন্য আইনজীবীরা আজকের শুনানীতে অংশ নেন । 
 

ইউনিভার্সিটি অফ ইন্দোনেশিয়া লোগো ব্যবহার করতেছে ভগবান বিষ্ণুর বাহন গড়ুর পাখির এবং সিদ্ধিদাতা গনেশের প্রতিকৃতি ।

ইউনিভার্সিটি অফ ইন্দোনেশিয়া লোগো ব্যবহার করতেছে ভগবান বিষ্ণুর বাহন গড়ুর পাখির এবং সিদ্ধিদাতা গনেশের প্রতিকৃতি ।
please like রথ যাত্রা

Monday, August 5, 2013

বাংলাদেশী এক জিহাদী ভাইয়ের খোলা চিঠি

Tarzan Ramim
বাংলাদেশী এক জিহাদী ভাইয়ের খোলা চিঠি,

----------x---------

আমেরিকার ধংস না দেখা পর্যন্ত আমার জিহাদ চলবে

আমেরিকার গলিতে গলিতে ইহুদিদের কবর দিয়ে মানুষকে দেখিয়ে দেব মুসলমানদের রক্ত কত গরম

আর ইন্ডিয়া কে বলছি, সময় থাকতে আমাদের আসাম মিজুরাম কলকাতা ফিরিয়ে দে !!! নইলে জোর করে কেড়ে নিব !!! আমরা আসাম মিজুরাম আর কলকাতা নিয়ে ইসলামিক বাংলাদেশ গড়ে তুলব

আর যদি একটা মুসলমান বাংলাদেশির বুকে বিএসএফ গুলি চালায়, মুম্বাই এ অবস্থিত আমারিকান আর ইউরোপিয়ান এম্বেস্সী তে বোমা হামলা করা হবে যার দায়িত্ব হিন্দদের নিতে হবে

পোস্ট: বালক
 

হিন্দু বিরোধী শক্তি চাইছে হিন্দু সংহতির হিন্দু ভীর গোপাল পাঠা দিবস বানচাল করতে


Saturday, August 3, 2013

হিন্দু এক হও
• রাজাবাজারে হাত-পা কাটা হিন্দু মেয়েদের চুল দিয়ে বেঁধে উলঙ্গ করে সব ঝুলিয়ে রেখেছিল। - প্রাক্তন পঃবঃ পুলিশের ডি জিগোলক বিহারী মজুমদার,আই পি এস, ‘ছেচল্লিশের আতঙ্কের দিনগুলি’ (১৯৪৬এর কলকাতা গণহত্যা)
• নোয়াখালিতে গেলাম ১৯৪৬ খৃঃ এ স্বেচ্ছাসেবকের কাজেসেখানে অনেক হিন্দু মহিলাদের মাটিতে চিৎ করে শুইয়ে মুসলিম লীগের গুণ্ডারা পায়ের বুড়ো আঙ্গুল দিয়ে সিঁথির সিঁদুর মুছে দিয়ে হাতের শাঁখা ভেঙ্গে তাদের স্বামী ও পুত্র-কন্যাদের হত্যা করে ওই হিন্দু মহিলাদের জোর করে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত করে লীগ গুণ্ডারা বিয়ে করত। - রবীন্দ্রনাথ দত্ত, ‘দ্বিখণ্ডিত মাতাধর্ষিতা ভগিনী’, পৃঃ ৫
• সিলেটে (বাংলাদেশ) অগ্রগামী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ১০৮তম বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে হিন্দু ছাত্রীদের জন্য খাসি ও মুর্গির মাংস আলাদা ভাবে থাকার কথা ছিল কিন্তু পরিকল্পিত ভাবে গরুর মাংস খাওয়ায়। এঘটনা জানুয়ারী২০১২এর ঘটনাদৈনিক স্টেটসম্যান০২/০১/২০১২
• ভোরের সঙ্গে সঙ্গে হাওড়া পোল পার হয়ে হাওড়া থেকে দলে দলে আস্তে শুরু করল মারাত্মক অস্ত্র সজ্জিত অবাঙ্গালী মুসলমান গুণ্ডা এবং স্থানীয় মুসলমান গুণ্ডা মিশে গেলে চৌরঙ্গী-চিৎপুরে অপেক্ষমাণ সৈনিকদের সঙ্গে শুরু হল প্রলয়কাণ্ড ...... আগুনে জ্বলতে লাগল হিন্দুর স্থাবর অস্থাবর সবকিছু। - দি লাস্ট ডেস অব বৃটিশ রাজ’, লিওনার্ড মোসলে
• দাঙ্গায় পাকিস্তানে ৫০ হাজার হিন্দু-শিখ মহিলার গর্ভপাত করা হয় ও ৭৫ হাজার শিশুকে গোপনে হত্যা করা হয়। - উর্বশী বুটালিয়াদ্যা আদার সাইদ অব সাইলেন্ট ভয়েস ফ্রম দ্যা পার্টিশন অব ইন্ডিয়া
 
 


• নোয়াখালি হিন্দু নিধনের পরে সরকার এডওয়ার্ড স্কিপার সিম্পশন নামক প্রাক্তন বিচারপতি দিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে। রিপোর্টে বলা হচ্ছে এক এলাকার তিনশোর বেশী এবং অপর এক এলাকায় চারশোর বেশি হিন্দু রমণীকে ধর্ষণ করা হয়
• দুহাজার আট সালে বাংলাদেশের সেকুলার সরকার ক্ষমতায় এলেও বাংলাদেশের অবস্থায় বাস্তবিক কোন পরিবর্তন আসেনি। বাংলাদেশে প্রতিবছর গড়ে ষোল হাজার হিন্দু মহিলা অপহৃত হন এবং বাধ্য হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করছে। দুহাজার এগারো সালে এখনো এই সংখ্যা কমেনি বটে। বাংলাদেশের সাংবাদিকসাহিত্যিক ও চিত্র পরিচালক এবং উইক ব্লিজ পত্রিকার সম্পাদক সালাউদ্দিন শোয়েব চৌধুরীর সাক্ষাৎকারআমার দেশ পত্রিকা১৯/০৩/২০১১,ঢাকা
• হিন্দু জাতির স্বত্ব ও স্বাধীনতার উপর যে সকল আক্রমণ হইতেছে সর্বপ্রকার উপায়ে তাহার প্রতিরোধের জন্য হিন্দুদিগকে একতা বধ্য হইতে বললে কোন অপরাধ হয়ইহা আমরা মনে করি না। - ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়,হান্ডবিল২৭/১০/১৯৪৫
• আসামে বাঙ্গালী হিন্দু উদ্বাস্তু যারা ইসলামিক বাংলাদেশ থেকে এসেছে তাদের ডি (ডাউটফুল বা সন্ধেয়জনক) ভোটার বলে চিহ্নিত করা হচ্ছে। স্মরণ থাকতে পারে আসাম থেকে রাজ্যসভায় নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বিরোধী কংগ্রেস নেতা হিসেবে ভাষণে (১৮/১২/২০০৩) বলেছিলেন ভাগ্যহীন হিন্দুদের নাগরিকত্ব প্রদানের প্রক্রিয়াকে অধিকতর সহজ করে তোলা উচিত
• যখন মুসলমানরা প্রথমে এদেশে এসেছিল তখন প্রবীনতম মুসলমান ঐতিহাসিক ফেরিস্তার মতে ভারতে তখন ৬০ কোটি হিন্দু ছিলেন এখন আমরা ২০ কোটিতে পরিণত হয়েছি। - স্বামী বিবেকানন্দ, “প্রবুদ্ধ ভারত”, এপ্রিল ১৮৯৯
• সাইবেরিয়ায় টোমস্ক আদালত গীতা নিষিদ্ধ করার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। - ২৮/১২/২০১২
• ভারতের প্রাক্তন গভর্নর জেনারাল ওয়ারেন হেস্টিংস বলেছিলেন বৃটিশ সাম্রাজ্য ভবিষ্যতে থাকুক বা না থকুক গীতা চির ভাস্কর হয়ে থাকবে। - এস এন সাহ, ‘গীতা ও কম্যুনিস্ট ম্যানিফেস্টো
• ১৯৭৫ সালে তুরস্ক সরকার গীতা নিষিদ্ধ করেছিল। ওখানে কম্যুনিস্ট অফিসে পুলিশ গীতা ও কম্যুনিস্ট ম্যানিফেস্টো পেয়েছিল কিন্তু পরবর্তী কালে ভুল বুঝতে পেরে গীতার উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়
• সৌদি আরবে গীতা-গ্রন্থসাহেব-মূর্তিপূজা নিষিদ্ধ আছে
• গীতা কথাটি উল্টালে হয় ত্যাগী এটাই গীতার মূল কথা – শ্রী রামকৃষ্ণ দেব
• হিন্দুপ্রধান রাজ্যে মুসলমান-খৃষ্টান হয়েছে যেমন বিহারে আব্দুল গফুর,মহারাষ্ট্রে আব্দুর রহমান আন্তুলেরাজস্থানে বরকতুল্লাআসামে আনোয়ারা তৈমুরকেরালায় এন্টোনিকর্ণাটকে অস্কার ফার্নান্ডেজইত্যাদি কিন্তু হিন্দু সংখ্যালঘিষ্ঠ রাজ্যে যেমন কাশ্মীরনাগাল্যান্ডমেঘালয়মিজোরাম এ কখনো হিন্দু মুখ্যমন্ত্রী হয়নি বা ভবিষ্যতে হওয়ার সম্ভাবনাও নেই
• গৈরিক বস্ত্র পরে স্বামী বিবেকানন্দ যদি বিশ্বে এত খ্যাতি পেতে পারেন তবে আমি কেন কোট প্যান্ট পড়ব? – বাল্যকালে নেতাজী সুভাষ তাঁর পিতাকে এই কথা বলেছিলঅর্চনা২০১১পৃঃ ৪৬
• হিন্দু সম্প্রদায়ের নানা জাতপাতের কূটকচালি থাকায় অস্পৃশ্যতা থাকায় তথাকথিত নিচবর্ণের হিন্দুরা ধর্মান্তরিত হয়ে মুসলমান ও খৃস্টান ধর্ম গ্রহণ করে এবং ধর্মান্তরিত হওয়ার পিছনে একটা আসা ছিল যে তাদের আর্থিক উন্নতি হবে এবং অলিখিত প্রতিশ্রুতি ছিল তাদের জীবনের রংটাই পালটে দেওয়া হবে। ...... ইসলাম ও খৃষ্টান ধর্মে জাতপাতের বিচার নেই বলা হয়তপশীল জাতি ও উপজাতিদের সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয় তাহলে মুসলমানদের জন্য সংরক্ষণের প্রশ্ন উঠছে কেন? – ঝাড়গ্রাম বার্তাসম্পাদকীয়,পৃঃ ২২৬/০১/২০১২
• এলেক্সি জেলেনিন মস্কো থেকে কর্ণাটকে শ্রী অর্ধনারীশ্বরের মন্দিরে এসে কনে পোলিনা কোনিয়েনপোর সঙ্গে হিন্দু মতে বিবাহ করেন। কনে শাড়ি পরে বিয়ে করে। বর কনেকে মঙ্গলসূত্র পড়িয়ে দেন ও সপ্তপদী পরিক্রমা করেন গত ২০/১১/২০১১তে। বর বলেন তিনি দেবতা গণেশের পূজারী এবং মস্কোতে গণেশ উপাসনা করেন। বর চিত্র নির্মাতা এবং কনে এনিমেশন স্টুডিয়োর মালিক। - স্বস্তিকা২৬/১২/২০১১
• হিন্দু ধর্মে অশ্বত্থ গাছকে শ্রদ্ধার সাথে পূজা করা হয়। কারণ এই গাছ সকল তীর্থের আধার স্থল। এই বৃক্ষের নিচেই মস্তক মণ্ডন ও নানা সংস্কারের কাজ সম্পন্ন করা হয়। এই বৃক্ষই একমাত্র দিন ও রাত্রি উভয় সময়েই অক্সিজেন প্রদান করে। গীতায় শ্রীকৃষ্ণ এই বৃক্ষকে তাঁর বিভূতিসম্ভূত বলে বর্ণনা করেছেন। বিষ্ণুর ঐশ্বর্য এই বৃক্ষের মাধ্যমে প্রকাশিত। - বিশ্ব সংবাদ কেন্দ্র,কলকাতা
• গুরু আধ্যাত্মিক পথের দিশারী। গুরু শব্দের অর্থ যিনি শিষ্যকে এই সৃষ্টি থেকে বিরত করে পূর্ণ জ্ঞানের উদয় করিয়ে ব্রহ্মানন্দের আস্বাদ ঘটিয়ে অবিদ্যার উচ্ছেদ করে ইশ্বরাভিমুখি করান। তিনিই প্রকৃত গুরু
• সস্তা বলেই বিদেশী জিনিষ পড়তে হবে এ চিন্তা ঠিক নয়। - আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়অর্চনা২০১১পৃঃ ৪৫
• আমাদের দেশে মদ্যপান কুসংস্কারের পরিচয় ......... আমি জাতীয়তাবাদের দাবী নিয়ে এসে বিজাতীয় পোশাক পড়ে কি করে আমার দেশের পোশাককে অবমাননা করি? – গান্ধীজী ইংল্যান্ডে বলেছিলেনঅর্চনা২০১১পৃঃ ৪০
• সারা দেশ জুড়ে সংঘ নির্দেশ না দিলেও স্বয়ংসেবকরা স্বেচ্ছায় দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলনে (আন্না হাজারের সাথে) যোগ দিয়েছেন। - আর এস এস এর সরসঙ্ঘচালক শ্রী মোহন ভাগবতপাটনা২০১২
• যাগযজ্ঞের ক্ষেত্রে জীব হত্যা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন বুদ্ধদেবতিনি প্রয়োজনে জীবহত্যাকে সমর্থন করেছিলেন। - ডঃ আম্বেদকরবুদ্ধা এন্ড হিস ধম্মাপৃঃ ৩৪৫
• শুনতে হয়তো ভাল লাগবে না কিন্তু জেনে রেখএই যে খৃষ্টনীতিক্যাথলিক চার্চ সবই বৌদ্ধ ধর্ম থেকে নেওয়া। - স্বামী বিবেকানন্দ২১ ফেব্রুয়ারী,ডেট্রয়েট ভাষণহিন্দু ও খৃষ্টান১৮৯৪
• রামকৃষ্ণ মিশনের প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি স্বামী রঙ্গনাথনন্দজী ১৯৮৫ তে দিল্লীতে এ বি ভি পির উদ্বোধন বক্তব্যে বলেন যদি বাইরে গিয়ে বলি যে এগারো হাজার ছাত্রের সবাই নীরবতা ও শিষ্টাচার বজায় রেখেছে তাহলে কেউ বিশ্বাস করবে না। আমি দৃঢ়ভাবে বলছি এই সুশৃক্ষল দেশপ্রেমিক ছাত্র সংগঠন আমাদের দেশের গর্ব। পরের দিন ডেকরেটাররা দেখে আশ্চর্য হয়ে যায় যে সেখানে একটুকরো সিগারেট পড়ে নেই। আর এস এসের আদর্শে উদ্বুদ্ধ এই ছাত্র সংগঠনের সদস্য সংখ্যা ১৩ লাখপৃথিবীর সর্ববৃহৎ এই ছাত্র সংগঠন
• পৃথিবীতে এত সোনা আর কোথাও নেই যা ভারতবাসীদের কাছে আছেসোনার পরিমাণ ১৮০০০ টনদাম চল্লিশ লক্ষ কোটি টাকা। - ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিল
• গুজরাটে দেশি বা বিদেশি মদ কেনা বেচা বন্ধ। বিষ মদ প্রস্তুতকারীদের মৃত্যু দণ্ডের বিধান আছে
• দশ গ্রাম গাওয়া ঘি থেকে একশ টন সমান অক্সিজেন পাওয়া যায়। - অখিল ভারতীয় গো সেবা সংস্থার মুখ্য অধিকর্তা শঙ্কর লাল
• ভারতের অখণ্ড কম্যুনিস্ট পার্টি বলত যে রবীন্দ্রনাথ বুর্জোয়া কবি,বিবেকানন্দ বেকাররামকৃষ্ণ মৃগী রুগীবঙ্কিমচন্দ্র সাম্প্রদায়িকনেতাজী সুভাষ জাপানী প্রধানমন্ত্রী তোজোর পোষা কুকুর
• কংগ্রেস সভাপতি আচার্য্য কৃপালনির স্ত্রী সুচেতা কৃপালনি নোয়াখালিতে নারী উদ্ধার করতে যায়। দাঙ্গার খলনায়ক গোলাম সরোয়ার ফতোয়া দিলযে সুচেতাকে ধর্ষণ করতে পারবে তাকে বহু টাকা দেওয়া হবে এবং গাজী উপাধিতে ভূষিত করা হবে। সুচেতা সবসময় পটাসিয়াম সাইনাইড ক্যাপসুল গলায় ঝুলিয়ে রাখত। - রবীন্দ্রনাথ দত্ত, ‘দ্বিখণ্ডিত মাতাধর্ষিতা ভগিনী’, পৃঃ ৬
• মাইকেল মধুসূদনকে রামকৃষ্ণ দেব বলেছিলেন তুমি পেটের জন্য ধর্ম ত্যাগ করে ভাল করনি
• পলাশীর যুদ্ধে যত লোক নিহত হয়েছেগ্রেট ক্যালকাটা কিলিঙে তার থেকে বেশি লোক নিহত হয়। - গভর্নর জেনারাল লর্ড ওয়েভেলতাঁর রোজনামচায়,০৩/১১/১৯৪৬
• ১৫ মার্চ২০০৫ বৃটিশ পার্লামেন্টের বৈদেশিক বিষয়ক সিলেক্ট কমিটি তার রিপোর্টে জানাচ্ছে যে বাংলাদেশে ধর্ষিতা রমণীদের মধ্যে ৯৮.৭% হিন্দু যদিও সেদেশের শতকরা ১০এরও কম মানুষ আজ হিন্দু ধর্মাবলম্বী যা প্রছন্নভাবে প্রমাণ দেয় যে সেখানে হিন্দুদের অবস্থা হিটলারের নাজী জার্মানির থেকেও খারাপ। শুধু ২০০১ সালেই ২ কোটির মধ্যে ৪০ লক্ষ হিন্দু আক্রান্ত১৪৩০ এর উপর হিন্দু মহিলা গণধর্ষিতা৩৮০০০ পরিবার বাস্ত্যুচূত১৫৫ মন্দির ধ্বংস ও ৪৫৮১ হিন্দু ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ভস্মীভূত করা হয়
 

কালীঘাট মন্দির ,কলকাতা






কালীঘাট মন্দির কলকাতার একটি প্রসিদ্ধ কালীমন্দির এবং একান্ন শক্তিপীঠের অন্যতমহিন্দু তীর্থক্ষেত্র। এই তীর্থের পীঠদেবীদক্ষিণাকালী এবং ভৈরব বা পীঠরক্ষক দেবতানকুলেশ্বর। পৌরাণিক কিংবদন্তি অনুসারে,সতীর দেহত্যাগের পর তাঁর ডান পায়ের চারটি (মতান্তরে একটি) আঙুল এই তীর্থে পতিত হয়েছিল। কালীঘাট একটি বহু প্রাচীন কালীক্ষেত্র। কোনো কোনো গবেষক মনে করেন, "কালীক্ষেত্র" বা "কালীঘাট" কথাটি "কলকাতা" নামটির উদ্ভব। জনশ্রুতি, ব্রহ্মানন্দ গিরি ও আত্মারাম ব্রহ্মচারী নামে দুই সন্ন্যাসী কষ্টিপাথরের একটি শিলাখণ্ডে দেবীর রূপদান করেন। ১৮০৯ সালে বড়িশার সাবর্ণজমিদার শিবদাস চৌধুরী, তাঁর পুত্র রামলাল ও ভ্রাতুষ্পুত্র লক্ষ্মীকান্তের উদ্যোগে আদিগঙ্গারতীরে বর্তমান মন্দিরটি নির্মিত হয়েছে। পরবর্তীকালে মন্দিরের কিছু পোড়ামাটির কাজ নষ্ট হয়ে গেলে সন্তোষ রায়চৌধুরী সেগুলি সংস্কার করেন।বর্তমান এই মন্দিরটি নব্বই ফুট উঁচু। এটি নির্মান করতে আট বছর সময় লেগেছিল এবং খরচ হয়েছিল ৩০,০০০ টাকা।মন্দির সংলগ্ন জমিটির মোট আয়তন ১ বিঘে ১১ কাঠা ৩ ছটাক; বঙ্গীয় আটচালা স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত মূল মন্দিরটির আয়তন অবশ্য মাত্র ৮ কাঠা।মূল মন্দির সংলগ্ন অনেকগুলি ছোটো ছোটো মন্দিরে রাধাকৃষ্ণ, শিব প্রভৃতি দেবতা পূজিত হন।



কালীঘাট কলকাতার শক্তিপূজার ইতিহাসে শুধুই একটা মন্দির নয়! এখনকার মন্দিরটার বয়স হোক না মাত্র দুশো বচ্ছর; স্থানমাহাত্ম্যেই সে মাত করে দিয়েছে সব্বাইকে। এখানেই যে প্রস্তরীভূত হয়েছে সতীর ডান পায়ের কড়ে আঙুল- কালীঘাট তাই একান্নটি শক্তিপীঠের মধ্যে অন্যতম। এর খ্যাতির সবচেয়ে পুরনো নমুনা তাই মন্দির সংলগ্ন চত্বর থেকে উদ্ধার হওয়া গুপ্তরাজা প্রথম কুমারগুপ্তর মুদ্রা; অপেক্ষাকৃত নবীন কবি বিজয়গুপ্তর ‘মনসাভাসান’ আর মুকুন্দরামের ‘কবিকঙ্কণ চণ্ডী’-তেও এর জয়জয়কার! এই মন্দিরসংলগ্ন গঙ্গার হাত ধরেই কলকাতার বাণিজ্য শুরু; একসময়ে বণিকদের প্রথম কলকাতায় পা ফেলার জায়গাও এই কালীঘাট।

ইতিহাস বলছে, এত মাহাত্ম্য থাকা সত্ত্বেও কালীঘাটে কিন্তু কোনও জাঁকালো মন্দির ছিল না। থাকবেই বা কী করে? গভীর বনের মধ্যে, খরস্রোতা নদীর পাড়ে মুখ লুকিয়ে ছিল সতীদেহর টুকরো আশ্রয়কারী কালীক্ষেত্র; পূজা দিতে হলে যেতে-আসতে হত বনপথে বাঘের মুখ বাঁচিয়ে। এসব উৎপাত আস্তে আস্তে লোকসমাগমে তফাত গেলে প্রথম মন্দির তৈরি করে দেন রাজা মানসিংহ; মতান্তরে রাজা বসন্তরায়- সেই ষোড়শ শতাব্দীর শুরুতে। তা, অত দিনের পুরনো স্থাপত্য- সে আবার থাকে নাকি? তাই ঝড়ে-জলে সেই মন্দিরের বেহাল দশা হলে আজকের মন্দিরটি তৈরি করে দেন কলকাতার সাবর্ণ-পরিবার। সেই মতো কাজ শেষ হলে জোড়বাংলা রীতির মন্দিরটি মুখ দেখায় ১৮০৯ সালে। এরও কিছু পরে ১৮৩৫ সাল নাগাদ তৈরি হয় নাটমন্দির; সৌজন্যে বিখ্যাত জমিদার কাশীনাথ রায়। পরে পরে যোগ হয় মন্দিরসংলগ্ন বিখ্যাত ষষ্ঠীতলা; ১৮৮০ সালে গোবিন্দদাস মণ্ডলের উদ্যোগে। এই ষষ্ঠীতলার সেবার অধিকার কেবল নারীদেরই- এমনটাও কলকাতার আর কোনও কালীবাড়িতে নেই। হাড়কাঠতলা, কাককুন্ড- মন্দির তৈরির শুরু থেকেই ছিল; এখনও স্বমহিমাতে যথাস্থানেই আছে।

তবে কালীঘাটের আসল খ্যাতি যে দেবীর জন্য, সে কিন্তু বঙ্গ-উপাস্যা শ্যামার মতো আদপেই নয়। কালীঘাটের কালীমূর্তি ভাস্কর্যের জন্যই আলাদা করে চোখ টেনে নেয়। বিরাট বড় টানা-টানা তিনটি চোখ, রক্তমাখা কপাল আর হাতকয়েক লৌল জিহ্বায় কালিকা বিরাজ করেন এই মন্দিরে। চতুর্ভুজা দেবীর এক হাতে অজ্ঞানতা-তমসা ছেদনকারী খড়্গ; অন্য হাতে অহংরূপী অসুরের ছিন্ন মুণ্ড- প্রবাদ মানলে অসুররাজ শুম্ভর মুণ্ড! বাকি দুই হাতে অভয়মুদ্রা ও বরদমুদ্রা। শক্তিপীঠের নিয়ম মেনে দেবীমন্দিরের অদূরেই নকুলেশ্বর শিবের আবাস। নকুলেশ্বর দর্শন না করলে প্রথামাফিক দেবীও প্রসন্ন হন না।
কালীঘাট কালীমন্দিরের কষ্টিপাথরের কালীমূর্তিটি অভিনব রীতিতে নির্মিত। মূর্তিটির জিভ, দাঁত ও মুকুট সোনার। হাত ও মুণ্ডমালাটিও সোনার। মন্দিরে মধ্যে একটি সিন্দুকে সতীর প্রস্তরীভূত অঙ্গটি রক্ষিত আছে; এটি কারোর সম্মুখে বের করা হয় না। প্রতি বছর পয়লা বৈশাখ, দুর্গাপূজা ও দীপান্বিতা কালীপূজার দিন মন্দিরে প্রচুর ভক্ত ও পু্ণ্যার্থীর সমাগম ঘটে।
কালীঘাট মন্দিরের নিকটেই পীঠরক্ষক দেবতা নকুলেশ্বর শিবের মন্দির। ১৮৫৪ সালে তারা সিং নামে জনৈক পাঞ্জাবি ব্যবসায়ী বর্তমান নকুলেশ্বর মন্দিরটি নির্মাণ করিয়েছিলেন। শিবরাত্রি ওনীলষষ্ঠী উপলক্ষ্যে এই মন্দিরে প্রচুর ভক্ত সমাগম হয়। কালীমন্দিরের পশ্চিম দিকে রয়েছে শ্যাম রায়ের মন্দির। ১৮৪৩ খ্রিস্টাব্দে বাওয়ালির জমিদার উদয়নারায়ণ মণ্ডল এই মন্দিরটি নির্মাণ করিয়েছিলেন। এখানে রামনবমী ও দোলযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। ১৮৬২ সালে শবদাহের জন্য মন্দিরের অদূরে নির্মিত হয় কেওড়াতলা মহাশ্মশান। বাংলার বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে এই শ্মশানে। এখানকার শ্মশানকালী পূজা বিখ্যাত।


আদি শঙ্কর বা শঙ্করাচার্য


                                                      
                                                                     আদি শঙ্কর বা শঙ্করাচার্য  
                        কালাডি গ্রামে আদি শঙ্করের জন্মস্থান

আদি শঙ্কর (৭৮৮-৮২০ খ্রিস্টাব্দ) ছিলেন একজন ভারতীয় দার্শনিক। ভারতীয় দর্শনের অদ্বৈত বেদান্ত নামের শাখাটিকে তিনি সুসংহত রূপ দেন। তাঁর শিক্ষার মূল কথা ছিল আত্মও ব্রহ্মের সম্মিলন। তাঁর মতে ব্রহ্ম হলেননির্গুণ
আদি শঙ্কর অধুনা কেরল রাজ্যের কালাডিগ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি সারা ভারত পর্যটন করে অন্যান্য দার্শনিকদের সঙ্গে আলোচনা ও বিতর্কে অংশগ্রহণের মাধ্যমে নিজের দার্শনিক মতটি প্রচার করেন। তিনি চারটি মঠ প্রতিষ্ঠা করেন। এই মঠগুলি অদ্বৈত বেদান্ত দর্শনের ঐতিহাসিক বিকাশ, পুনর্জাগরণ ও প্রসারের জন্য বহুলাংশে দায়ী। শঙ্কর নিজে অদ্বৈত বেদান্ত দর্শনের প্রধান প্রবক্তা হিসেবে খ্যাত।এছাড়া তিনি হিন্দু সন্ন্যাসীদের দশনামী সম্প্রদায় ও হিন্দুদের পূজার সন্মত নামক পদ্ধতির প্রবর্তক।
সংস্কৃত ভাষায় লেখা আদি শঙ্করের রচনাবলির প্রধান লক্ষ্য ছিল অদ্বৈত তত্ত্বের প্রতিষ্ঠা। সেযুগে হিন্দু দর্শনের মীমাংসাশাখাটি অতিরিক্ত আনুষ্ঠানিকতার উপর জোর দিত এবং সন্ন্যাসের আদর্শকে উপহাস করত। আদি শঙ্কর উপনিষদ্‌ ও ব্রহ্মসূত্রঅবলম্বনে সন্ন্যাসের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি উপনিষদ্‌, ব্রহ্মসূত্র ও ভগবদ্গীতার ভাষ্যও রচনা করেন। এই সব বইতে তিনি তাঁর প্রধান প্রতিপক্ষ মীমাংসা শাখার পাশাপাশি হিন্দু দর্শনের সাংখ্য শাখা ও বৌদ্ধ দর্শনের মতও খণ্ডন করেন।
প্রচলিত মত অনুসারে, শঙ্কর বিজয়ম নামক বইগুলিতে শঙ্করের জীবনকথা লেখা আছে। এই বইগুলি আসলে মহাকাব্যের আকারে পদ্যে লেখা ইতিহাস-সম্মত জীবনী ও প্রচলিত কিংবদন্তির মিশ্রণ। এই জাতীয় কাব্যধারায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তিনটি বই হল মাধব শঙ্কর বিজয়ম (মাধবের লেখা, ১৪শ শতাব্দী), চিদবিলাস শঙ্কর বিজয়ম (চিদবিলাসের লেখা, ১৫শ থেকে ১৭শ শতাব্দী) ও কেরলীয় শঙ্কর বিজয়ম (কেরল অঞ্চলে প্রচলিত, রচনাকাল ১৭শ শতাব্দী)।



শঙ্কর এক রক্ষণশীল হিন্দু পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর বাবার নাম ছিল শিবগুরু ও মায়ের নাম আর্যাম্বা। তাঁরা অধুনা কেরল রাজ্যের অন্তর্গত কালাডি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। জনশ্রুতি, শঙ্করের বাবা-মা অনেক দিন ধরেই নিঃসন্তান ছিলেন। তাই তাঁরা ত্রিশূরেরবৃষভচল শিবমন্দিরে পুত্রকামনা করে পূজা দেন। এরপরআর্দ্রা নক্ষত্রের বিশেষ তিথিতে শঙ্করের জন্ম হয়।শঙ্কর যখন খুব ছোট, তখন তাঁর বাবা মারা যান। এই জন্য শঙ্করের উপনয়নে দেরি হয়। পরে তাঁর মা উপনয়ন করান। শঙ্কর ছেলেবেলা থেকেই খুব বিদ্বান ছিলেন। মাত্র আট বছর বয়সে তিনি চারটি বেদআয়ত্ত্ব করে নেন।


                                                    শিষ্যদের সাথে আদি শঙ্কর (রাজা রবি বর্মার আঁকা ছবি)


সাত বছর থেকে শঙ্কর সন্ন্যাস গ্রহণের দিকে ঝুঁকেছিলেন। কিন্তু তাঁর মা তাঁকে অনুমতি দিতে চাইছিলেন না। শেষে তিনি খুব আশ্চর্যজনকভাবে মায়ের অনুমতি পান। কথিত আছে, একদিন তিনি পূর্ণা নদীতে স্নান করছিলেন। এমন সময় একটি কুমির তাঁর পা কামড়ে ধরে। শঙ্করের মাও সেই সময় পূর্ণার তীরে উপস্থিত ছিলেন। তিনি মা-কে বলেন, মা যদি সন্ন্যাস গ্রহণের অনুমতি দেন, তাহলে কুমিরটি তার পা ছেড়ে দেবে। ছেলের প্রাণ বাঁচাতে মা তাঁকে সন্ন্যাস গ্রহণের অনুমতি দিলেন। তার পর থেকে কোনোদিন পূর্ণা নদীকে কোনো কুমিরকে দেখা যায়নি
শঙ্কর কেরল ত্যাগ করে গুরুর খোঁজে উত্তর ভারতের দিকে রওনা হলেন। নর্মদা নদীর তীরেওঙ্কারেশ্বরে তিনি গৌড়পাদের শিষ্য গোবিন্দ ভগবদপাদের দেখা পান। গোবিন্দ শঙ্করের পরিচয় জানতে চাইলে, শঙ্কর মুখে মুখে একটি শ্লোক রচনা করেন। এই শ্লোকটিই অদ্বৈত বেদান্ত তত্ত্ব প্রকাশ করে। গোবিন্দ তা শুনে খুব খুশি হন এবং শঙ্করকে শিষ্য হিসেবে গ্রহণ করেন।
গোবিন্দ শঙ্করকে ব্রহ্মসূত্রের একটি ভাষ্য লিখতে এবং অদ্বৈত মত প্রচার করতে বলেন। শঙ্করকাশীতে আসেন। সেখানে সনন্দন নামে এক যুবকের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়ে যায়। এই যুবকটি দক্ষিণ ভারতের চোল রাজ্যের বাসিন্দা ছিল। সে-ই প্রথম শঙ্করের শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। কথিত আছে, কাশীতে বিশ্বনাথ মন্দির দর্শন করতে যাওয়ার সময় এক চণ্ডালের সঙ্গে শঙ্করের দেখা হয়ে যায়। সেই চণ্ডালের সঙ্গে চারটি কুকুর ছিল। শঙ্করের শিষ্যরা চণ্ডালকে পথ ছেড়ে দাঁড়াতে বললে, চণ্ডাল উত্তর দেয়, "আপনি কী চান, আমি আমার আত্মকে সরাই না এই রক্তমাংসের শরীরটাকে সরাই?" শঙ্কর বুঝতে পারেন যে, এই চণ্ডাল স্বয়ং শিব এবং তার চারটি কুকুর আসলে চার বেদ। শঙ্কর তাঁকে প্রণাম করে পাঁচটি শ্লোকে বন্দনা করেন। এই পাঁচটি শ্লোক "মণীষা পঞ্চকম্‌" নামে পরিচিত।বদ্রীনাথে বসে তিনি তাঁর বিখ্যাত ভাষ্য (টীকাগ্রন্থ) ও প্রকরণগুলি (দর্শনমূলক প্রবন্ধ) রচনা করেন।
আদি শঙ্করের সবচেয়ে বিখ্যাত বিতর্কসমূহের মধ্যে অন্যতম ছিল আচার-অনুষ্ঠান কঠোরভাবে পালনকারী মন্দন মিশ্রের সঙ্গে তর্ক। মন্দন মিশ্র এ দৃষ্টিভঙ্গি ধারণ করতেন যে গৃহস্থের জীবন একজন সন্ন্যাসীর জীবনের থেকে অনেক শ্রেয়। সে সময়ে ভারতব্যাপী এ দৃষ্টিভঙ্গিকে ব্যাপকভাবে সম্মান করা হতো।এতদনুসারে তার সাথে আদি শঙ্করের বিতর্ক করা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। মন্দন মিশ্রের গুরু ছিলেন বিখ্যাত মীমাংসা দার্শনিক কুমারিলা ভট্ট। শঙ্কর কুমারিলা ভট্টের সাথে একটি বিতর্ক চান এবং তার সঙ্গে প্রয়াগে দেখা করেন যেখানে তিনি তার গুরুর বিরুদ্ধে করা পাপের জন্য অনুশোচনা করার জন্য নিজেকে একটি মৃদু জ্বলন্ত চিতাতে সমাহিত করেছিলেন: কুমারিলা ভট্ট তার বৌদ্ধ গুরুর নিকট মিথ্যা ছলে বৌদ্ধ দর্শন শিখেছিলেন একে অসত্য/অমূলক বলে প্রতিপন্ন করার জন্য। বেদ অনুসারে কেউ গুরুর কর্তৃত্বের অধীণে থেকে তাঁর অজ্ঞাতসারে কিছু শিখলে তা পাপ বলে বিবেচিত হয়।সুতরাং কুমারিলা ভট্ট তার পরিবর্তে আদি শঙ্করকে মহিসমতিতে (বর্তমানে বিহারের সহরসা জেলার মহিষী নামে পরিচিত) গিয়ে মন্দন মিশ্রের সাথে দেখা করে তার সঙ্গে বিতর্ক করতে বলেন।



পনের দিনের অধিক বিতর্ক করার পর মন্দন মিশ্র পরাজয় স্বীকার করেন, যেখানে মন্দন মিশ্রের সহধর্মিণী উভয়া ভারতী বিচারক হিসেবে কাজ করেন। উভয়া ভারতী তখন আদি শঙ্করকে 'বিজয়' সম্পূর্ণ করার জন্য তার সঙ্গে বিতর্কে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য আহ্বান জানান। পরিশেষে তিনি উভয়া ভারতীর সকল প্রশ্নের উত্তর দেন; এবং উভয়া ভারতী বিতর্কের পূর্ব-সম্মত নিয়মানুসারে মন্দন মিশ্রকে সুরেশ্বরাচার্য সন্ন্যাসী-নাম ধারণ করে সন্ন্যাস গ্রহণ করার অনুমতি দেন।                                        

আদি শঙ্কর তারপর তাঁর শিষ্যদের সাথে নিয়ে মহারাষ্ট্র ওশ্রীশৈলম ভ্রমণ করেন। শ্রীশৈলে তিনি শিবের প্রতি ভক্তিমূলক স্তোত্রগীত শিবানন্দলাহিড়ী রচনা করেন।মাধবীয়া শঙ্করাবিজয়াম অনুসারে যখন শঙ্কর কপালিকাদ্বারা বলি হতে যাচ্ছিলেন, পদ্মপদাচার্যের প্রার্থনার উত্তরস্বরুপ ভগবান নরসিংহ শঙ্করকে রক্ষা করেন। ফলস্বরুপ আদি শঙ্কর লক্ষ্মী-নরসিংহ স্তোত্র রচনা করেন।[
তারপর তিনি গোকর্ণ, হরি-শঙ্করের মন্দির এবং কোল্লুড়েমুকাম্বিকা মন্দির ভ্রমণ করেন। কোল্লুড়ে তিনি এক বালককে শিষ্য হিসেবে গ্রহণ করেন যে বালকটিকে তার পিতামাতা বাকশক্তিহীন বলে মনে করতেন। শঙ্কর তার নাম দেন হষ্টমালাকাচার্য ("বৈঁচি-জাতীয় ফল হাতে কেউ", অর্থাৎ যিনি নিজেকে পরিষ্কারভাবে উপলব্ধি করেছেন) পরবর্তীতে তিনি সারদা পীঠপ্রতিষ্ঠা করতে শৃঙ্গেরী ভ্রমণ করেন এবং তোতাকাচার্যকে তাঁর শিষ্য বানান। এরপর আদি শঙ্কর অদ্বৈত দর্শনের বিরোধিতা করা সকল দর্শন অস্বীকারের দ্বারা এর প্রচারের জন্য দিগ্বিজয় ভ্রমণ শুরু করেন। তিনি দক্ষিণ ভারত হতে কাশ্মীর অভিমুখে ভারতের সর্বত্র এবং নেপাল ভ্রমণ করেন এবং পথিমধ্যে সাধারন মানুষের মাঝে দর্শন প্রচার করেন এবং হিন্দু, বৌদ্ধ ও অন্যান্য পন্ডিত ও সন্ন্যাসীদের সাথে দর্শন বিষয়ে তর্ক করেন।
মালায়ালী রাজা সুধনভকে সঙ্গী হিসেবে নিয়ে শঙ্কর তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং বিদর্ভের মধ্য দিয়ে যান। এরপর তিনি কর্ণাটকের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন যেখানে তিনি একদল সশস্ত্রকাপালিকার সামনে পড়েন। রাজা সুদনভ তার সঙ্গীদের নিয়ে প্রতিরোধ করেন এবং কাপালিকাদের পরাজিত করেন। তারা নিরাপদে গোকর্ণে পৌঁছান যেখানে শঙ্কর বিতর্কে শৈবপন্ডিত নীলাকান্তকে পরাজিত করেন।
সৌরাষ্ট্রের (প্রাচীন খাম্বোজা) দিকে অগ্রসর হয়ে এবং গিরনার, সোমনাথ ও প্রভাসার সমাধিমন্দিরসমূহ ভ্রমণ শেষে এবং এ সকল স্থানে বেদান্তের শ্রেষ্ঠত্ব ব্যাখ্যা করে তিনি দ্বারকাপৌঁছান। উজ্জয়িনীর ভেদ-অভেদ দর্শনের প্রস্তাবক ভট্ট ভাস্কর হতগর্ব হলেন। উজ্জয়িনীর সকল পন্ডিত (অবন্তী নামেও পরিচিত) আদি শঙ্করের দর্শন গ্রহণ করলেন।
এরপর তিনি বাহলিকা নামক এক জায়গায় দার্শনিক বিতর্কে জৈনদের পরাজিত করেন। তারপর তিনি কাম্বোজা (উত্তর কাশ্মীরের এলাকা), দারোদা ও মরুভূমিটিতে অবস্থিত অনেক এলাকার কয়েকজন দার্শনিক এবং তপস্বীর উপর তাঁর বিজয় প্রতিষ্ঠা করেন এবং প্রকান্ড পর্বতচূড়া অতিক্রম করে কাশ্মীরে প্রবেশ করেন। পরবর্তীতে তিনি কামরুপে এক তান্ত্রিক নবগুপ্তের সম্মুখীন হন।

                                                      ভারতের কেদারনাথে কেদারনাথ মন্দিরের পিছনে তাঁর সমাধি মন্দিরে আদি শঙ্কর                                 



আদি শঙ্কর কাশ্মীরে (বর্তমানে পাকিস্তান-দখলকৃত কাশ্মীর)সারদা পীঠ ভ্রমণ করেন। মাধবীয়া শঙ্করাবিজয়ম অনুসারে এ মন্দিরে চারটি প্রধান দিক থেকে পন্ডিতদের জন্য চারটি দরজা ছিল। দক্ষিণ দরজা (দক্ষিণ ভারতের প্রতিনিধিত্বকারী) কখনই খোলা হয়নি যা নির্দেশ করত যে দক্ষিণ ভারত থেকে কোনো পন্ডিত সারদা পীঠে প্রবেশ করেনি। সকল জ্ঞানের শাখা যেমনমীমাংসা, বেদান্ত এবং অন্যান্য হিন্দু দর্শনের শাখাসমূহে সকল পন্ডিতকে বিতর্কে পরাজিত করে আদি শঙ্কর দক্ষিণ দরজা খোলেন; তিনি সে মন্দিরের সর্বোৎকৃষ্ট জ্ঞানের সিংহাসনে আরোহণ করেন।তাঁর জীবনের শেষদিকে আদি শঙ্কর হিমালয়ের এলাকাকেদারনাথ-বদ্রীনাথে যান এবং বিদেহ মুক্তি ("মূর্তরুপ থেকে মুক্তি") লাভ করেন। কেদারনাথ মন্দিরের পিছনে আদি শঙ্করের প্রতি উৎসর্গীকৃত সমাধি মন্দির রয়েছে। যাহোক, স্থানটিতে তাঁর শেষ দিনগুলির বিভিন্ন পরম্পরাগত মতবাদ রয়েছে। কেরালীয়া শঙ্করাবিজয়াতে ব্যাখ্যাকৃত এক পরম্পরাগত মতবাদ তাঁর মৃত্যুর স্থান হিসেবে কেরালার থ্রিসুরেরবদাক্কুন্নাথান মন্দিরকে নির্দেশ করে।কাঞ্চী কামাকোটি পীঠের অনুসারীরা দাবি করেন যে তিনিসারদা পীঠে আরোহণ করেন এবং কাঞ্চীপুরমে (তামিলনাড়ু) বিদেহ মুক্তি লাভ করেন।
                                              শৃঙ্গেরী সারদা পীঠ এ সারদা মন্দির, শৃঙ্গেরী

আদি শঙ্কর হিন্দু ধর্মের পথপ্রদর্শক হিসেবে কাজ করার জন্য চারটি মঠ প্রতিষ্ঠা করেন। এগুলো দক্ষিণে কর্ণাটকের শৃঙ্গেরীতে, পশ্চিমে গুজরাটের দ্বারকায়, পূর্বে ওড়িশার পুরীতে এবং উত্তরেউত্তরখন্ডের জ্যোতির্মঠে (জোসিরমঠে)। হিন্দু পরম্পরাগত মতবাদ বিবৃত করে যে তিনি এসব মঠের দায়িত্ব দেন তাঁর চারজন শিষ্যকে যথাক্রমে: সুরেশ্বরা, হষ্টমালাকাচার্য, পদ্মপদ এবংতোতাকাচার্য। এ চারটি মঠের প্রত্যেক প্রধান প্রথম শঙ্করাচার্যের নামানুসারে শঙ্করাচার্য ("পন্ডিত শঙ্কর") উপাধি গ্রহণ করেন।

সেই সময় হিন্দুধর্ম নানাভাবে পিছিয়ে পড়েছিল। শঙ্করাচার্য সেই পিছিয়ে পড়া হিন্দুধর্মকে পুনরায় জাগিয়ে তোলার ব্যাপারে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেন। তাঁর প্রচারকার্যের ফলে ভারতে বৌদ্ধধর্ম ও জৈনধর্মের প্রভাব কমতে শুরু করে। মাত্র বত্রিশ বছর বেঁচেছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁর হিন্দুধর্ম সংস্কারের কথা আজও লোকে সশ্রদ্ধ চিত্তে স্মরণ করে।তিনি হারিয়ে যাওয়া বেদান্ত উদ্ধার করেন এবং সে সকলের ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ লিপিবদ্ধ করেন।যার ফলে ভারতে বৌদ্ধ দর্শনের বিলোপ ঘটে এবং আবার জেগে উঠে হিন্দু তথা বৈদিক দর্শন। তাঁর আরেকটি বড় অবাদান পঞ্চ দেবতার পূজা বিধান করা। যার ফলে হিন্দু সমাজে বিভিন্ন মতবাদের ঐক্য সাধন হয়।সম্ভবত কেউ স্বীকার করুক আর নাই করুক পৃথিবীর ইতিহাসে হিন্দু সভ্যতার সব থেকে বড় বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠে তাঁর হাত ধরে। এরপর ঠিক একিরকম ভাবে স্বামী বিবেকানন্দ জাগিয়ে তুলেছিলেন হিন্দু দর্শনকে সারা প্রথিবিতে। তাই আমাদের উচিত প্রতি মুহূর্তে শঙ্করাচারজের এই অবদান কে স্মরন করা। কিন্তু দুঃখের কথা হল হিন্দু জাতি কেন জানি সত্যিকারের  মহৎ মানুষ গুলোকে স্মরণ করতে কার্পণ্য বোধ করে।  

যাদব দাসের কথা মনে আছে?



২০০৫ সালের ৮ ডিসেম্বর জঙ্গি সংগঠন জামাআ’তুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) আত্মঘাতী বোমা হামলায় রক্তাক্ত হয় নেত্রকোনার সাংস্কৃতিক অঙ্গন।

জেলা শহরের অজহর রোডে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর কার্যালয়ের সামনে জঙ্গিদের বর্বোরিচত হামলায় নিহত হন উদীচীর শিল্পী-সংগঠক খাজা হায়দার হোসেন ও সুদীপ্তা পাল শেলী, মোটর গ্যারেজের কর্মচারী যাদব দাস, গৃহিণী রানী আক্তার, ভিক্ষুক জয়নাল, রিকশাচালক আপ্তাব উদ্দিন, ব্যবসায়ী রইছ মিয়া এবং কাফি নামের এক আত্মঘাতী কিশোর। হামলায় আহত হন আরো অর্ধশতাধিক।
৮ ডিসেম্বর ২০০৫। সকাল ১০টা। পরদিন ৯ ডিসেম্বর নেত্রকোনা মুক্ত দিবস উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মহড়ার প্রস্তুতি চলছিল উদীচী কার্যালয়ে। এমন সময় উদীচী ও পার্শ¦বর্তী শতদল সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর মাঝখানের খোলা জায়গায় লাল রঙের কৌটাসদৃশ একটি ‘বস্তু’ দেখতে পান স্থানীয় লোকজন। কৌটার ওপর একটি চিঠি। ঘটনা বুঝতে কারো বাকি রইলো না। কারণ ১৭ আগস্টের সিরিজ বোমা হামলার পর থেকে দেশজুড়েই তখন ‘বোমা আতঙ্ক’। খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও দমকল কর্মীরা এসে নিষ্ক্রিয় করলেন বোমাটি। বোমার খবর পেয়ে শত শত মানুষ জড়ো হলেন অজহর রোডের উদীচী কার্যালয়ের সামনে। ছুটে এলেন উদীচীর শিল্পী, কর্মীরাও। আর সেই মোক্ষম সুযোগটিকেই কাজে লাগালো আত্মঘাতী জঙ্গিরা। শত শত মানুষের ভিড়ের মধ্যে একটি বাই-সাইকেল নিয়ে ঢুকে গেল এক আত্মঘাতী কিশোর। কিছু বুঝে ওঠার আগেই (১০টা ৪০ মিনিটের সময়) বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হলো তার সাইকেলে বহন করা দ্বিতীয় বোমাটি। বোমার স্পি¬ন্টারের আঘাতে মুহূর্তেই ছিটকে পড়লো ৫০-৬০ জন। রক্তের বন্যা বইয়ে গেল। নিথর পড়ে রইলো আহত-নিহতরা। অজহর রোডের মানুষের কাতার গিয়ে পৌঁছল সদর হাসপাতালে। অবশ্য সেই আত্মঘাতী কিশোরের পরিচয় মিলেছিল ঘটনার অনেক পর, মামলার তদন্তের পর্যায়ে।
দুপুরের দিকে ঘটনা ভিন্ন দিকে মোড় নিতে শুরু করলো। বলাবলি হতে লাগলো হাসপাতালের বারান্দায় পড়ে থাকা একজন ‘আত্মঘাতী জঙ্গি’। তার নাম যাদব দাস। যাদবকে ‘হিন্দু জঙ্গি’ হিসেবে আবিষ্কার করে সরকারের দায়িত্বশীল সূত্র থেকে মিডিয়ার সামনে বলা হলোÑ ‘ইটস এ নিউ ডাইমেনশন ইন জঙ্গিবাদ’। তাকে হিন্দু প্রমাণ করতে বারবার ওপড়ে টেনে তোলা হলো তার নিম্নাঙ্গের কাপড়টি। সচেতন ও বিবেকবান মানুষদের মনে প্রশ্ন ওঠলোÑ ‘হিন্দু যাদব’ জঙ্গি হতে যাবে কেন? ততোক্ষণে কারো বুঝতে বাকি রইলো নাÑ ঘটনা কোনদিকে গড়াচ্ছে। অবশেষে জনতা রাস্তায় নামলো। উত্তাল হয়ে ওঠলো নেত্রকোনা। স্বাধীনতার পর এমন নেত্রকোনা আর দেখেনি কেউ। মিডিয়া কর্মীরাও সোচ্চার ভূমিকা রাখলো (অবশ্য দুয়েকটি পত্রিকা বাদে)। যাদবের বৃদ্ধ বাবাকে থানায় এনে বন্দি করে রেখেও কোনো স্বীকারোক্তি মিললো না। শেষ পর্যন্ত সরকারের বক্তব্য প্রত্যাহার করে নেয়া হলো। দু’দিন পর বলা হলোÑ ‘যাদব ওয়াজ এন ইননোসেন্ট বয়’!

( সূত্রঃ উদীচী ট্র্যাজিডির ৬ বছর,সঞ্জয় সরকার, দৈনিক আজকের পত্রিকা, শুক্রবার : ৯ ডিসেম্বর ২০১১ )

এদিকে তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এই বোমা হামলার জন্য যাকে হিন্দু জঙ্গি বানিয়েছিলেন, সেই মোটর মেকানিক যাদব দাসের বৃদ্ধ পিতা সত্যেন দাস আর বৃদ্ধা মাতা আরতি দাস আবেগ তাড়িত কণ্ঠে বলেন, 'বোমা হামলায় আমাদের একমাত্র পুত্র যাদব নিহত হয়েছে। এই বোমা হামলার জন্য বাবর আমাদের যাদবকে দায়ী করছিল। আর সে সময় আমাদের উপর অত্যাচার নির্যাতন হইছে। রাইতের পর রাইত আমরা ঘুমাইতে পারি নাই। কিন্তু পরে আবার তারাই বলে যাদব নির্দোষ। এখন জঙ্গিদের ফাঁসি হইছে, হত্যাকারীর বিচার হইছে। কিন্তু আমরা যাদবের তো আর ফিরা পাইতাম না।'

(সূত্রঃ সকল হত্যাকাণ্ডের বিচার করেই জঙ্গিদের ফাঁসি কার্যকর করা উচিত ছিল,শ্যামলেন্দু পাল, মার্চ ৩১, ২০০৭, শনিবার )

এখনও মনে আছে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী দৈনিক আমার দেশ বিএনপি সরকারকে সমালোচনা করে ‘হিন্দু জঙ্গি’ যাদবকে নির্দোষ ঘোষণা করার জন্য। তাদের মতে হিন্দুদের ভোটের জন্যই বিএনপি সরকার হিন্দু জঙ্গিদের ধরছে না।

ঐ বোমা হামলায় ৯ জন নিহত ও কমপক্ষে ৫০ জন আহত হয়েছিল। ২০০৮ সালের ১৭ ফেব্রয়ারী ঢাকায় দ্রুত বিচার আদালত-২ এই বোমা হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে সালাউদ্দিন, আসাদুজ্জামান এবং ইউনূসকে মৃত্যুদণ্ড দিলেও আজ পর্যন্ত তা কার্যকর হয়নি। এদিকে জেএমবির আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতাদের এখনো চিহ্নিত করতে পারেনি পুলিশ।

সাংবাদিক অজয় দাশগুপ্ত তার ‘সময়ের কথা-সকালের শতচ্ছিন্ন কাঁথায় বিকেলে জোড়াতালি’
প্রবন্ধে লিখেছিলেন, “২১ আগস্টের (২০০৪) ঘটনার পরপরই যদি বিএনপি-জামায়াতে ইসলামী নেতৃত্ব 'জজ মিয়া' উপাখ্যান তৈরির পরিবর্তে প্রকৃত অপরাধীদের খুঁজে বের করায় মনোযোগী হতো, তাহলে হয়তো ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট ৬৩ জেলায় একযোগে বোমা হামলা হতো না। পরের কয়েকটি মাস দেশের আরও কয়েকটি জেলাও আত্মঘাতী বোমাবাজদের হামলায় নরককুণ্ডে পরিণত হতো না। এ ধরনেরই একটি হামলা হয়েছিল নেত্রকোনা জেলায় ৮ ডিসেম্বর (২০০৫)। নিহতদের একজনের নাম যাদব দাস_ পেশায় মোটর মেকানিক। বাবর সাহেব মুহূর্ত দেরি না করে বললেন, 'যাদব দাসই আত্মঘাতী হামলাকারী। অতএব, নতুন ডাইমেনশন'। তার স্পষ্ট ইঙ্গিত :'একজন হিন্দু যেহেতু হামলা চালিয়েছে, তাই দেশব্যাপী ১৭ আগস্টের বোমা হামলা ও পরবর্তী আত্মঘাতী হামলার পেছনে আওয়ামী লীগ রয়েছে এবং কান টানলে যেমন মাথা আসে, তেমনই রয়েছে ভারত! প্রকৃতপক্ষে যাদব দাস নিহত হয়েছিল ঘটনাস্থল দিয়ে সাইকেল চালিয়ে যাওয়ার সময়। বিএনপি-জামায়াতে ইসলামী নেতৃত্ব যে শতচ্ছিন্ন কাঁথা নরম সুতা দিয়ে জোড়াতালি দিতে চেয়েছিল! এটা কি কেবলই গদি আঁকড়ে থাকার জন্য, নাকি বিরোধটা আদর্শেরও? ”


যাদব ভাই আমার মাফ করে দিও। মরেও তোমার সম্মান আমরা রক্ষা করতে পারি নাই। তোমাকে আরেক শৈবাল সাহা পার্থ বানানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। তবে সচেতন মানুষ তা ব্যর্থ করে দেয়।

এ নিয়ে তখন ডেইলি স্টারের একটি লেখা পড়ুন

লাভ জিহাদের পরবর্তী পরিনাম (ধারাবাহিক, কেইসষ্টাডি-৭)




এ বিষয়টি নিয়ে প্রথমপর্ব লেখার শুরুর আমি আমার নেট বন্ধুদের নিকট অগ্রিম ক্ষমা চেয়ে নিয়েছিলাম এজন্য যে কোন সত্যিকারের ঘটনাপুঞ্জি কথামালা লেখার মাধ্যমে তুলে ধরার যে যোগ্যতা থাকা দরকার, তা আমার নেই বলে আমি মনে করি। এমতাবস্থায় আমার অপরিপক্ক লেখামালায় কোন শব্দচয়ন যদি কারো মনে আঘাত দেয় সেজন্য তা আমার জন্য অপরাধ বৈকি। সে অপরাধরোধ থেকেই মা চাওয়া মূল কারণ। আরো অনুরোধ করেছিলাম পোষ্ট গুলি পড়ে যাদের নিয়ে লেখা গুলো লিখছি সে সব ভিকটিম গুলোকে কোন বন্ধু যেন গালিগালাজ না করেন। কিন্তু দেখলাম অনেকেই আমার অনুরোধ রাখেনি।

লেখার শুরুতে তিনটি পর্বে মেয়ে ভিকটিমের বিষয়ে লিখেছিলাম। দেখলাম অনেক ছেলেবন্ধু ভিকটিম সে সব হতভাগ্য বোনদেরকে একতরফা গালিগালাজ করেছেন। এরপর ধারাবাহিত তিনটি পর্বে লিখেছিলাম ভিন্ন ভিন্ন বয়েসী ছেলেদের নিয়ে, দেখছি এখানেও গালিগালাজ চলছে। সুতরাং মন্তব্যে জায়গায় গালি গালাজ না করবার জন্য আবারো অনুরোধ করছি। আমি পুনরায় অনুরোধ করছি, আপনারা লেখা গুলি পড়ে গালিগালাজ না করে আমাকে মতামত পাঠান এ বিষয়ে লেখা চালিয়ে যাব কি না, কিংবা বস্তুনিষ্ঠ লেখার মান কিভাবে আরো উন্নতিন করা যায়। আমি আমার সকল বন্ধুদের অবগতির জন্য জানাচ্ছি, এ পোষ্ট গুলি পড়ার পর যদি কারো মনে যদি একটু খানি সচেতনতা অনুভব হয়, তাহলে আমি সার্থক বলে মনে করি। যাহোক, আজ হতে পরবর্তী কটি পর্বে পুনরায় কিশোরী মেয়েদের ভালবাসায় আটকে যাওয়ার কাথা আপনাদের জানানোর চেষ্টা করছি।

প্রায় সব বড় ছোট সকল কবি সাহিত্যিকদের লেখামালায় কিশোরীদের কথা নানা ভাবে এসেছে। রবিঠাকুরতো বলেই ফেলেছেন “কিশোরীর প্রথম প্রেম টেকে না, তবে এপ্রেম পরবর্তী জীবনের কোন কালেই নাকি ভুলে না। তিনি আরো বলেছেন, যে সকল পুরুষ মানুষ যদি কোন কিশোরীর প্রথম প্রেম পেয়েছেন কিংবা অনুভব করতে পেছেছেন, সে পূরুষকে ভাগ্যবানই বলতে হবে। কেননা, ঐ পুরুষটিকে কিশোরী সারা জীবন মনে রাখে। আধুনিক বিজ্ঞানও নাকি তাই বলে। কিশোরী মন নিয়ে নানান গবেষনাও হয়। গবেষনা পত্রে প্রায় একটি মজার ব্যাপার লক্ষ্য করা যায়, তাহলো কিশোরীরা প্রায়ই মধ্য বয়স্ক পূরুষের প্রেমে পড়েন। এরকারণ হলো কিশোরী মন হয় স্বপ্নচারী, আর স্বপ্নচারী মন সর্বদা চমৎকারিত্বে আকৃষ্ট হয়। কম বয়েসী পূরুষ থেকে বেশী বয়স্ক পূরুষ সে চমৎকারিত্ব প্রদর্শনে পারদর্শী হয় । সম্ভবতঃ একারনেই কিশোরীরা অধিকবয়স্ক পূরুষের প্রেমে পড়ে।

আমরা যদি ইতিহাসের দিকে লক্ষ্য করি, তাহলে দেখতে পাব পাকিস্তানের জনক কায়েদে আযম জিন্নাহ স্বয়ং ৪০ বছরের অধিক বয়সে তার সমবয়েসী অগ্নি উপাসক বন্ধুর কিশোরী মেয়েকে রতিকে পটিয়ে বিয়ে করে সেই সময়ে জিন্নাহ অমুসলিম বন্ধু মহলে ধিক্কৃত হয়েছিলেন। কথিত আছে, কিশোরী রতির বাবার সাথে বন্ধুত্বে সুবাধে অমুসলিম রতিদের বাড়ীতে জিন্নাহ সাহেবের অবাধে যাতায়াত ছিলো। জিন্নাহ সাহেব যখন মেয়েটিকে প্রথম বন্ধু বাড়ীতে আবিস্কার করেন, তখন মেয়েটির বয়স ছিলো চৌদ্দ বছর। তবে ঐ সময়ের বিখ্যাত এ আইনজ্ঞ মানুষটি কিশোরীটিকে পটিয়ে সাথে সাথে ধর্মান্তর করিয়ে বিয়ে করে ফেলেননি। বরং তিনি রতির বয়স ১৮ হওয়া অবধি ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করেছিলেন এবং যেদিন রতির বয়স আঠারতে উন্নীত হলো, সেদিনই কায়েদে আযম জিন্নাহ সাহেব রতিকে কোর্টে হাজির করিয়ে এফিডেফিডের মাধ্যমে ধর্মান্তরের ঘোষনাপত্রে স্বাক্ষর করিয়ে কাবিন নামায় স্বাক্ষর করায়\ এঘটনাটি ভারত পাকিস্তান স্বাধীনতা পূর্ব ঘটনা এবং এটি ঐ সময়ের মুসলিম যুব সমাজে ভীষন ভাবে উদ্ভীপ্ত করেছিলো। অনেকেই বলেন, কাযেদে আযম জিন্নাহ সাহেব কর্তৃক বহু ভাবে অসম এ বিয়ের সাথে নাকি সে ১৯৪৭ সালের টু নেশন থিউরী তথা দ্বিজাতি তত্বের একটা সম্পর্ক আছে। আপনাদের জানার জন্য আমি একটু খোলাসা করেই বলি।

আমরা কম বেশী সবাই ভালো করেই জানি ১৭৫৭ সালে বাংলার আম্রকাননে লড ক্লাইভ ও নবাব সিরাজের বাহিনী যুদ্ধের ফলাফলের মাধ্যমে ভারতবর্ষের স্বাধীনতা ইংরাজদের হাতে চলে যায়। বাংলার ইতিহাসখ্যাত এ যুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিলেন নবাবে প্রধান সেনাপতি মীর জাফর আলী খা, যিনি একজন খাঁটি মুসলিম ছিলেন। অন্য দিকে মীর মদন ও মোহন লাল নামীয় নবাবের আরো দুজন হিন্দু সেনাধ্যক্ষ ছিলো যারা, যুদ্ধ করতে করতে গিয়ে প্রাণ বির্ষজন দিয়েছেন। ঠিক এর পরবর্তী ১৯৪৭ সালের অগাষ্ট পর্যন্ত ভারত বর্ষের হিন্দুদের ইতিহাস ছিলো ইংরাজদের বিরুদ্ধে নানা ভাবে বিদ্রোহ করিয়ে এদেরকে ভারত থেকে বিতাড়ন করার এবং ভারতবর্ষ মুক্ত করার চেষ্টার ইতিহাস। একারণেই ইংরাজদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে শহীদ স্বদেশীদের তালিকায় হিন্দু স্বদেশী শহীদ ব্যতীত মুসলিম শহীদ পাওয়া ভার। এর অন্যতম কারণ হলো, ঐ সময়ে মুসলিম আলেম ওলামারা ইংরেজী পড়তে চাইতেন না এবং মুসলিমদের ইংরেজী পড়তে নিরুৎসাহিত করতেন। হিন্দুরা বহু আগেই বুঝে গিয়েছিলো, ইংরেজীদের ভারত হতে তাড়াতে হলে ইংরাজদের বুঝতে হবে এবং এদেরকে বুঝতে হলে ইংরেজী শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়াটা খুব জরুরী। এ সত্য কথাটি তখকার মুসলিম সমাজ বুঝতে অনেক দেরী করে ফেলেছিলো। তবে বলে রাখা ভাল, গুটি কয়েক মুসলিম সে সময়ে বিলাত ফেরত ইংরাজী শিক্ষায় শিক্ষিত ছিলো এবং এরা ইংরেজী বিরোধী আন্দোলনের অংশীদার হয়েছিলো। ঐ গুটিকয়েকের মধ্যে কায়েদে আযম জিন্নাহ অন্যতম এবং তিনি ইংরাজ বিরোধী আন্দোলনের প্রায় প্রথম ও দ্বিতীয় সারীর নেতাদের দলে ছিলেন।

উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, মিঃ জিন্নাহ তার বন্ধুর কিশোরী কন্যার পেছনে প্রায় ৪ বছর সময়কাল লেগেছিলো। এ সময়ের মধ্যে তিনি স্বদেশী আন্দোলনে সম্পূর্ণ রুপে অনুপস্থিত ছিলেন\ রতির ১৮ বছর পূর্ণ এবং তাঁকে কোর্টে নিয়ে বিয়ে ও মধুচন্দ্রিমা পর্ব শেষ করে তিনি যখন রাজনীতির মাঠে ফেরেন, তখন ভারতবর্ষে ইংরাজ বিরোধী আন্দোলন অনেক দূরে চলে গেছিলো এবং ভারতবর্ষ প্রায় মুক্ত হবার পথে ছিলো। ঠিক ঐ সমুর্তে জিন্নাহ সাহেব তার সেই বিখ্যাত টু নেশন থিওরী এপ্লাই করেন, যা ঐ সময়ের মুসলিম সমাজকে আকৃষ্ট করেছিলো। টু নেশন থিওরী তখনকার সময়ের মুসলিম সমাজকে প্রচন্ড ভাবে আকৃষ্ট করবার পেছনে রতিকে ধর্মান্তরকরে নিকাহ করার ঘটনাও কাজ করেছে। কেননা, ঐ সময়ের মুসলিম যুবসমাজ বুঝে নিয়েছিলো, জিন্নাহ সাহেব তাদের আদর্শ হতে পারে। যাহোক, জিন্নাহ সাহেবের চমর সা¤প্রদায়িক থিওরী ঐ সময়ের সংখ্যা লগিষ্ট মুসলিম সমাজকে আকৃষ্ট করার ফলাফল ভারত ও পাকি¯Íান নামে দুটি বাষ্ট্রের জন্ম কম বেশী সবাই জানেন।

এখানে বলে রাখা ভাল যে, জিন্নাহ সাহেব টু নেশন থিওরী কতটা উপমহাদেশের মুসুলমানদের উন্নতির কথা চিন্তা করেছেন তা তর্কের বিষয়, তবে একটা বিষয় নিশ্চিত ভাবে বলা যায় যে, রাজনীতি মূল বিষয় হলো চকৎকারিত্বের মাধ্যমে জনসাধারনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা ও তাদের সমর্থন আদায় করা। গবেষকদের ধারণা মিঃ জিন্নাহ সে কাজটিই করেছিলেন এবং তিনি সফলও হয়েছিলেন। যদিও টু নেশন থিওরীর পয়দা আজকের পাকিস্তানকে অনেকে ফাক-ই-স্তান বলে গালি দেয় এবং জিন্নাহ সাহেবের সে থিওরীর যন্ত্রনায় নরম মাটির এ বাংলাদেশেও ধর্মীয় উন্মাদনায় মাঝে মধ্যে ত বিত হয়। যেমনটি আমরা দেখলাম গেল ৫ মার্চ হেফাজতি তান্ডব।। চলবে...

চিত্রগুপ্ত
১৯ মে ২০১৩