"হিন্দু প্রথা" বিষয়শ্রেণীতে অন্তর্ভুক্ত নিবন্ধসমূহ
এই বিষয়শ্রেণীতে অন্তর্ভুক্ত মোট ৩টি পাতার মধ্যে ৩টি পাতা নিচে দেখানো হল।গ
- গর্ভাধান
প
- পূজা
ষ
- ষোড়শ সংস্কার
গর্ভাধান
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
হিন্দুধর্ম |
---|
হিন্দু • হিন্দুধর্মের ইতিহাস |
হিন্দু পুরাণ প্রবেশদ্বার |
এটি স্ত্রীর দ্বিতীয় বিবাহরূপ সংস্কার। গর্ভাধান সংস্কারে স্ত্রীর প্রথম রজোদর্শনের ষোলো দিনের মধ্যে স্বামী পবিত্র হয়ে সন্ধ্যায় সূর্যার্ঘ্য প্রদান করে যথাবিধি বহ্নিস্থাপনের পর পঞ্চগব্য দ্বারা স্ত্রীকে শোধন করে সন্তান উৎপাদনার্থ গ্রহণ করেন।
গার্হ্যসূত্র মতে, এই সংস্কারের সূচনায় স্ত্রী যথাবিধি সুসজ্জিত হন এবং স্বামী সৃষ্টি সংক্রান্ত বৈদিক স্তোত্র উচ্চারণ করতে করতে দেবগণকে আহ্বান জানান, যাতে তাঁরা তাঁর স্ত্রীকে গর্ভধারণে সহায়তা করেন। অতঃপর নারীপুরুষের যৌনক্রিয়া সংক্রান্ত স্তোত্রগুলি উচ্চারণ করতে করতে তাঁরা আলিঙ্গন করেন। স্বামী পুরুষের উৎপাদন ক্ষমতা সংক্রান্ত স্তোত্র উচ্চারণ করতে করতে স্ত্রীর দেহে নিজ শরীর ঘর্ষণ করেন। আলিঙ্গনের পর পূষণের নিকট প্রার্থনার মাধ্যমে গর্ভস্থাপনের কাজ শুরু হয়। স্বামী স্ত্রীর দক্ষিণ স্কন্ধের উপর থেকে ঝুঁকে তাঁর স্ত্রীর বক্ষ স্পর্শ করেন "হে সুবিন্যস্ত কেশধারী, তোমার হৃদয় বাস করে স্বর্গে, বাস করে চন্দ্রে, আমি তাহাকে জানি, তাহা আমাকে জানুক। আমি যেন শত শরৎ বাঁচিয়া থাকি।"
পরিচ্ছেদসমূহ
- ১ পুংসবন
- ২ তথ্যসূত্র
- ৩ পাদটীকা
- ৪ বহিঃসংযোগ
পুংসবন
গর্ভিণীর ২য় বা ৩য় মাসে কর্তব্য সংস্কার বিশেষ। গর্ভের ৩য় মাসে রবি, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবারে নন্দা ও ভদ্রা তিথিতে পূর্ব ভাদ্রপদ, উত্তর ভাদ্রপদ, পূর্বাষাঢ়া, উত্তরাষাঢ়া, হস্তা, মূলা, শ্রবণা, পুনর্বসু, মৃগশিরা, পুষ্যা ও আর্দ্রা নক্ষত্রে পূর্ণচন্দ্র থাকলে এবং যুতযামিত্রবেধ ও দশযোগভঙ্গ না হলে লগ্নের নবমে ও পঞ্চমে এবং লগ্ন ৪র্থ, ৭ম ও দশমে শুভগ্রহ ও ৩য়, ৬ষ্ঠ, ১০ম, একাদশে পাপগ্রহ অবস্থান করলে গর্ভিণীর চন্দ্র ও তারাশুদ্ধি হলে কুম্ভ, মিথুন, সিংহ, ধনুঃ ও মীনলগ্নে পুংসবন কর্তব্য।তথ্যসূত্র
সুবলচন্দ্র মিত্র, সরল বাঙ্গালা অভিধান, নিউ বেঙ্গল প্রেস প্রাইভেট লিমিটেড, কলিকাতা, ১৯৮৪।পূজা (সংস্কৃত: पूजा) হিন্দুদের পালনীয় একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান। হিন্দুধর্মে দেবতা, বিশিষ্ট ব্যক্তি অথবা অতিথিদের পূজা করার রীতি প্রচলিত রয়েছে। স্থান ও কালভেদে বিভিন্ন প্রকার পূজানুষ্ঠান এই ধর্মে প্রচলিত। যথা, গৃহে বা মন্দিরে নিত্যপূজা, উৎসব উপলক্ষ্যে বিশেষ পূজা অথবা যাত্রা বা কার্যারম্ভের পূর্বে কৃত পূজা ইত্যাদি। পূজানুষ্ঠানের মূল আচারটি হল দেবতা ও ব্যক্তির আশীর্বাদ পাওয়ার জন্য তাঁদের উদ্দেশ্যে বিশেষ উপহার প্রদান। পূজা সাধারণত গৃহে বা মন্দিরে অনুষ্ঠিত হয়। পূজার বিভিন্ন প্রকারভেদও রয়েছে। দুর্গাপূজা বা কালীপূজার মতো উৎসবগুলি প্রকৃতপক্ষে পূজাকেন্দ্রিক উৎসব।
পরিচ্ছেদসমূহ
- ১ ঘরের পূজা
- ২ মন্দিরের পূজা
- ৩ উপচার
- ৪ কয়েকটি প্রসিদ্ধ পূজা
ঘরের পূজা
অনেক হিন্দুগৃহেই নির্দিষ্ট ঠাকুরঘর বা উপাসনাস্থল রয়েছে। ঠাকুরঘরে দেবদেবীর ছবি বা মূর্তি রাখা থাকে। এই ঘরেই কুলদেবতা (পারিবারিক দেবতা) ও ইষ্টদেবতার (নিজস্ব দেবতা) নিত্যপূজা হয়ে থাকে। ঘরের নিত্যপূজা খুব সাধারণভাবে করা হয়ে থাকে। এই পূজায় দেবতার উদ্দেশ্যে ধূপ, দীপ, জল ও ফল উৎসর্গ করা হয়। পূজার পর ছোটো করে আরতিও করা হয়ে থাকে। পূজার সময় জপধ্যান ও দেবদেবীর মন্ত্র ও স্তবস্তুতি পাঠের প্রথা রয়েছে।মন্দিরের পূজা
মন্দিরের পূজা বিস্তারিতভাবে করা হয়ে থাকে। অনেক মন্দিরেই দিনে একাধিকবার পূজা অনুষ্ঠিত হয়। এই পূজা সাধারণত পুরোহিত সম্পাদনা করে থাকেন। তাছাড়া, মন্দিরের দেবতা অতিথি দেবতা নন, তিনি মন্দিরের অধিবাসী। তাই তাঁর পূজায় সেই দিকটির কথা মনে রাখা হয়। উদাহরণস্বরূপ, মন্দিরে সকালে দেবতাকে জাগরিত করা হয়, তাঁকে আবাহন করা হয় না। অঞ্চল ও সম্প্রদায় ভেদে মন্দিরের পূজায় নানান প্রথা লক্ষিত হয়। মন্দিরের পূজায় পুরোহিতই সকলের হয়ে পূজা নিবেদন করেন।উপচার
ঘরের বা মন্দিরের পূর্ণাঙ্গ পূজায় একাধিক উপচার বা পূজাদ্রব্য দেবতাকে উৎসর্গ করার প্রথা রয়েছে। এই উপচারগুলি অঞ্চল, সম্প্রদায় বা সময় ভেদে ভিন্ন ভিন্ন হয়। পূজার কয়েকটি সাধারণ উপচার হল আবাহন, আসন, স্বাগত, পাদ্য, অর্ঘ্য, আচমনীয়, মধুপর্ক, স্নান বা অভিষেক, বস্ত্র, অনুলেপনা বা গন্ধ, পুষ্প, ধূপ, দীপ, নৈবেদ্য, চাঁদমালা, মালা, বিল্বপত্র, প্রণাম ও বিসর্জন।কয়েকটি প্রসিদ্ধ পূজা
- মূল নিবন্ধ: হিন্দু উৎসবগুলির তালিকা
- দুর্গাপূজা
- কালীপূজা
- সরস্বতী পূজা
- শিবরাত্রি
- দোলযাত্রা
- রথযাত্রা
- সত্যনারায়ণ পূজা
- গণেশ চতুর্থী
- হোম
- যজ্ঞ
- পূজা (বৌদ্ধধর্ম)
ষোড়শ সংস্কার
সংস্কার (সংস্কৃত: संस्कार) হিন্দুদের পালনীয় ষোলোটি প্রধান বৈদিক ধর্মীয় আচার। হিন্দুধর্মের বাইরেও জৈনধর্ম ও বৌদ্ধধর্মের কোনো কোনো শাখাসম্প্রদায়ে এই সব আচার-অনুষ্ঠানের মান্যতা রয়েছে।
এই সংস্কারগুলি গর্ভাবস্থা, শিশুর জন্ম, শিক্ষা, বিবাহ ও মৃত্যুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। সংস্কারসমূহের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।। গার্হ্যসূত্র মতে সংস্কারের সংখ্যা ১২ থেকে ১৮টি। পরবর্তীকালে ১৬টি সংস্কার মান্যতা লাভ করে।এগুলিকেই ষোড়শ সংস্কার বলা হয়। এই সংস্কারগুলি হল: গর্ভাধান, পুংসবন, সীমন্তোন্নয়ন, জাতকর্ম, নামকরণ, নিষ্ক্রমণ, অন্নপ্রাশন, চূড়াকরণ, কর্ণভেদ, বিদ্যারম্ভ, উপনয়ন, বেদারম্ভ, কেশান্ত ও ঋতুশুদ্ধি, সমাবর্তন, বিবাহ ও অন্ত্যেষ্টি।
এই সংস্কারগুলি গর্ভাবস্থা, শিশুর জন্ম, শিক্ষা, বিবাহ ও মৃত্যুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। সংস্কারসমূহের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।। গার্হ্যসূত্র মতে সংস্কারের সংখ্যা ১২ থেকে ১৮টি। পরবর্তীকালে ১৬টি সংস্কার মান্যতা লাভ করে।এগুলিকেই ষোড়শ সংস্কার বলা হয়। এই সংস্কারগুলি হল: গর্ভাধান, পুংসবন, সীমন্তোন্নয়ন, জাতকর্ম, নামকরণ, নিষ্ক্রমণ, অন্নপ্রাশন, চূড়াকরণ, কর্ণভেদ, বিদ্যারম্ভ, উপনয়ন, বেদারম্ভ, কেশান্ত ও ঋতুশুদ্ধি, সমাবর্তন, বিবাহ ও অন্ত্যেষ্টি।
No comments:
Post a Comment