Friday, March 8, 2013

বাঙালি হিন্দু এবং অনান্য হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হয়ে যাওয়া অত্যাচার











 কাশ্মীরি হিন্দু  পন্ডিত দের উপর অত্যাচার 








৮ মার্চ ২০১৩ কোলকাতা : জামায়াত-শিবির ক্যাডারদের এমন হুমকির মুখে বাঁশখালী পৌরসভার জলদী গ্রামের ধোপাপাড়ার এক গৃহবধূ তার হাতে থাকা শাঁখাও ভেঙে ফেললেন। তবু নিস্তার পাননি। তার মতো আরো কয়েকজন গৃহবধূর ওপর নির্যাতন চালিয়ে ক্ষান্ত হয়নি ওরা। আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয় একে একে সাতটি বসতঘর ও আশ্রম। এই দৃশ্য দেখে ওই পাড়ায় শীলকূপ থেকে বেড়াতে আসা দয়ালহরি (৬০) প্রথমে টয়লেটে আত্মগোপন করেন। এক পর্যায়ে পাশের পুকুরে ডুব দিয়ে বাঁচার চেষ্টাও চালান। রেহাই মিলল না। পুকুর থেকে উঠিয়ে উপর্যুপরি লাঠির আঘাতে পিটিয়ে মেরে ফেলা হল তাকে।
বৃহস্পতিবার সাঈদীর ফাঁসির রায় ঘোষণার পর বাঁশখালীতে জামায়াত-শিবির ক্যাডারদের তাণ্ডবের এতটুকুন বর্ণনা দিয়েই কান্নায় ভেঙে পড়লেন ধোপাপাড়ার বাসিন্দারা। আর কথা বলার শক্তি পেলেন না। ধোপাপাড়ার মতো উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নারকীয় তাণ্ডব চালায় কয়েক হাজার ক্যাডার। বৃহস্পতিবার বিকেলে ও শুক্রবার ভোরে সশস্ত্র হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগে উপজেলা সদর এখন ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে।"
সূত্র: ( http://www.kalerkantho.com/index.php?view=details&type=gold&data=news&pub_no=1170&cat_id=1&menu_id=118&news_type_id=1&index=0#.UTOSejfmfMw )

শুধু বাশখালি নয়, সারা দেশে জামাত শিবিরের তান্ডবে বিশেষত হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর জামাত শিবিরের আগ্রাসনে এক ভয়বাহ বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়েছে, ভীষণ আতংকে আছে মানুষ। অনেক জায়গায় নিজেদের মতো করে প্রতিরোধও করছেন তারা। গতকাল নীলফামারির পলাশবাড়ি, খোকশাবাড়ি, লক্ষীচাপ ইউনিয়নের হিন্দু সম্প্রদায়েরর মানুষরাও এমন হামলার আশংকায় রাত পার করেছেন। এক বন্ধুর মাধ্যমে আজকে খবর পাওয়া গেল বেইলি ব্রিজ উপড়ে ফেলে জেলা সদরের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে জামাত-শিবির। আশাপাশের মাদ্রাসা থেকে সংগঠিত আক্রমণের আশংকা করছেন তারা আজকেও।

রাষ্ট্রের দ্বায়িত্ব তাদের সবার সর্বোচ্চ নিরাপত্তার ব্যাবস্থা করা এবং দোষী আক্রমণ সংগঠকদের খুজে বের করে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা।কিন্তু এখন আর রাষ্ট্রের কাছে কোন দাবি জানাই না। যে যেভাবে পারুন বাঁচুন।
সেই ৭১২ সাল থেকে মহান বৈদিক ভূমিতে অসুরদের আক্রমন শুরু।অসুরের নাম মোহাম্মদ বিন কাসিম।এরপর থেকেই একের পর এক উপর্যুপরি হামলা।চিরন্তন বৈদিক সভ্যতাকে ধ্বংস করার জন্য কত ব্যর্থ প্রচেষ্টা,কত অক্লান্ত শ্রম ওই আরব দস্যুদের।কিন্তু তারা পারেনি।তারা হয়তো লাখ লাখ সনাতনীকে হত্যা করেছে,লাখ লাখ হিন্দুকে জোড়পূর্বক ধর্মান্তরিত করেছে,কিন্তু পারেনি বৈদিক ধর্মকে বিনাশ করতে।বরং তার দৃড় সত্যতা বারবার প্রমানিত হয়েছে বিশ্ববাসীর কাছে,সত্যকে ধ্বংস করার জন্য মিথ্যার এই নিরন্তর প্রচেষ্টা বিশ্ববাসী অবলোকন করেছে।কিন্তু এইতো শেষ নয়!আমরা কি আর্যসভ্যতার উত্তরসুরী হিসেবে আমাদের করনীয় কর্তব্য সম্পাদন করতে পেরেছি?এমনকি আমাদের কি করনীয় তাও কি আমরা জানি বা জানতে চেয়েছি?আমাদের করনীয় দুটি-
১.নিরীহ মানুষের উপর নির্বিচার এই অত্যাচার এর প্রতিরোধ করা,ধর্মযুদ্ধ করা ঠিক যেমনা যোগেশ্বর শ্রীকৃষ্ণ করেছিলেন কৌরবদের অন্যায় অত্যাচার রুখতে।
২.এই পদক্ষেপ হতে পারত সবচেয়ে যুগান্তকারী ও সফল পদক্ষেপ।অনার্য দস্যুদের কখনো কি আমরা আর্যধর্মের মহান নীতি শিখিয়েছি?শিখিয়েছি কি বেদ এর শান্তি,সাম্য ও অহিংসার বানী?তাহলে হয়তো তারা শুদ্ধ হতে পারত!তারা মহান বৈদিক ধর্মের ছায়ায় এসে হিংসার,যুদ্ধের জীবন ভূলতে পারত!প্রতি বছর আর্যসমাজ,VHP,অরবিন্দ,ইসকন সহ বিভিন্ন সংগঠনসমূহে হাজার হাজার মানুষ বৈদিক ধর্ম গ্রহন করছে,আশ্রয় নিচ্ছে বেদ এর প্রচারিত সুশীতল শান্তির ছায়ায়।আমরা প্রত্যেক সনাতনী যদি এরুপ ধর্মপ্রচার এর কাজ করতাম তাহলে হয়তো পৃথিবীতে এত অনাচার,অন্যায় হতে পারতনা।দস্যুরা খুঁজে পেত সঠিক পথ।এজন্যই পবিত্র বেদ উপদেশ প্রদান করেছে-

বিজানহীহ্যার্যান্যেচ দস্যবো বহিস্মতে রন্ধয়া শাসদব্রতান্।
শাকী ভব যজমানস্য চোদিতা বিশ্বেত্তা তে সধমাদেষু চাকন।।

ঋগবেদ ১.৫১.৮

বঙ্গানুবাদ-
যাহারা আর্য বা শিষ্ট/মহত্‍ তাহাদিগকে জান এবং যাহারা দস্যু বা পরপীড়ক তাহাদিগকেও জানিয়া ধর্মকার্য সাধনের জন্য তাহাদের অধর্মকে বিনাশ কর।ধর্মহীন মানুষকে শিক্ষা দান কর,সঙ্গে সঙ্গে শুভকর্ম সম্পাদক মনুষ্যগনকে উত্‍সাহ দান কর ও নিজে শক্তিমান হও।সুখপূর্ন স্থানে তোমার ক্ষমতায় সর্ব প্রকারের শুভকর্ম নিষ্পন্ন হোক ইহাই আমার ইচ্ছা।

ভাবার্থ-পরমাত্মা মানবকে উপদেশ দিচ্ছেন যে যাহারা মহত্‍ ও শিষ্ট বৈশিষ্ঠ্য বা ধর্মযুক্ত তারাই আর্য এবং যারা পরপীড়ক বৈশিষ্ঠ্য বা ধর্মযুক্ত তারাই দস্যু।সেই ধর্মহীনদের ধর্মদান কর,নিজের ক্ষমতাবলে শুভকর্ম সম্পাদন কর তাহলে নিজেই সুখী হবে।অজ্ঞানী ও মূর্খ মানুষকে জ্ঞানদানের মাধ্যমে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনাটা মহত্‍ দায়িত্ব।

সুতরাং বেদজ্ঞান অর্জন করুন,অন্যকে জানান।অনার্য বা দস্যু লোকদের আর্য বা মহত্‍পথে ফিরিয়ে আনুন।এভাবেই উন্মোচিত হতে পারে বিশ্ব শান্তির দুয়ার।

ওঁ শান্তি শান্তি শান্তি


সোর্স : বাঙালী হিন্দু পোস্ট

No comments:

Post a Comment