আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি ।। আমি হিন্দু এটাই কি আমার অপরাধ ।। কেন আমাকে মালাউন বলা হই
কেন আমাকে আমার দেশে হতে হয় দিতীয় শ্রেনীর নাগরিক ।। কেন আমার ঘর পরানো হই ।। কেন আমার সম্পত্তি কে সত্রু সম্পত্তি বানানো হই আমার পরিচয় কি একজন হিন্দু তাই ।। ৩ কোটি হিন্দু দের কি অপরাধ যে তাদের কে ভয় করে দিন কাটাতে হই
সভাপতির ডেস্ক থেকে বাংলাদেশ জাতিয় হিন্দু মহাজোটে : রিপন দে
ঢাকা ৪ঠা মার্চ : দেলোয়ার হোসেন সাইদীর ফাঁসীর রায় ঘোষনার পর থেকে দেশের বিভিন্ন জায়গায় হিন্দুদের বাড়ি-ঘর ও মন্দিরে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ শুরু হয়েছে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই এই রায় সরকার ও আইনের ব্যাপার, হিন্দুরা ঘোষনা করেনি, এমনকি যুদ্ধাপরাধিদের বিচারের দাবীতে চলমান আন্দোলনের নেতৃত্তের ফ্রন্ট লাইনে উল্লেখযোগ্য কোন হিন্দু নেই। আমরা সব সময় যে কোন ন্যায় বিচারের পক্ষ্যে, পরিতাপের বিষয় এ দেশে অনেক ক্ষেত্রেই হিন্দুরা ন্যায় বিচার পায়না। সংখ্যালঘুদের জীবন, সম্পদ ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়ীত্ত সরকারের। সংখ্যালঘুদের বাড়ি ঘর, মন্দির পুরিয়ে দেওয়ার পর কেবল সমবেদনা জানিয়ে আগামী ইলেকশনে ভোট প্রত্যাশা করার হীন মানসীকতা থেকে সরকার কে বের হয়ে আসতে হবে, আমরা রাজনীতির ফাঁদে পড়তে চাইনা, নিরাপত্তা চাই ও শান্তি চাই। এর ব্যাত্তয় হলে এ দেশের তিন কোটী সংখ্যালঘু সম্প্রদায় একতা বদ্ধ হয়ে রাস্তায় নামতে বাধ্য হবে। আমরা হামলা কারী ও আমাদের নিরাপত্তা প্রদান কারী প্রশাসন ঊভয়কেই হোসিয়ারী করে বলতে চাই, আমাদের শান্তিতে থাকতে দিন, আমরা ভীন গ্রহ থেকে এই দেশে উড়ে এসে জুড়ে বসিনি এটা আমাদের পৈত্রিক দেশ, আমাদের উপর আর কোন অন্যায় আমরা বরদাসত করবনা। এক হও মানবতা .
অপ্রিয় সত্য কথন ও সহজ সমীকরণ!!!
*===========*=========*========*
এটা জলের মত পরিষ্কার, ধরে নেওয়ার দরকার নেই, বিএনপি জ়ামাত আমাদের চিহ্নিত শত্রু তাই এদের নিয়ে আলোচনা করে পুরানু কাসুন্দী ঘেটে কাল ক্ষেপন করতে চাইনা। তবে আওয়ামিলীগ কি?? যদি বলি আওয়ামিলীগ দুধ কলা দিয়ে পুসা কাল সাপ, কতটা ভুল বললাম চলুন দেখি বিবেচনা করে। ইতিহাস দেখুন ভাল করে, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর পরই বঙ্গবন্ধু কট্টর পন্থি ইসলামি সংগঠন ওআইসি এর সদস্য হওয়ার জন্য দৌড়িয়েছিলেনন এবং সদস্য পদ নিয়েছিলেন। যেসব হিন্দুরা দেশ ছেড়ে ভারতে গিয়েছেন তাদের সম্পত্তি হয়েছে শত্রু সম্পত্তি। বাঙ্গালি জাতিয়তাবাদের ভিত্তিতে দেশ স্বাধীন হতে না হতেই প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থা থাকতেও মাদ্রাসা বোর্ড করেছেন ইসলামী চেতনা ও ভাবধারা সম্পন্ন কেডার তৈরি করার জন্য। রমনা কালী বাড়ি ও আনন্দময়ী আশ্রম বু্লড্রেজার দিয়ে গুড়িয়ে দিয়ে সেই সম্পত্তি সরকারের করে নিয়েছিলেন। আবার জাতীয়তাবাদের দোহাই দিয়ে সংখ্যালঘুদের রিজাররভেশন উঠিয়ে দিয়েছিলেন, যাই হোক তিনি ছিলেন জাতির পিতা, তাঁর কাজগুলোকে আমরা ভুল ধরতে পারিনা, হয়ত আমাদের পাওনা ছিল। এর পর ৭৫ এর বিভীষিকা… এর প্রায় এক দশক পর হাসিনা বুর আগমন, ক্ষত বিক্ষত হৃদয়, এতিম , আমাদের মত সংখ্যালঘু হয়ে। লাল পাড়ে টাংগাইলের শাড়ি পড়ে দরদ আর মমতা মাখা মুখ। তিনি আওয়ামিলীগের রাজনীতির অগ্রভাগে আসলেন, সাদরে গ্রহন করেছিল হিন্দু সমাজ, তাঁর পাশে দাড়িয়েছিল, নিজেদের করে নিয়েছিল। ৯০ এর দশকের গোড়ার দিকে দিকে শহীদ জননী জাহানারা ইমাম ব্যপক জন প্রিয় হয়ে উঠেছিলেন, গণ মানুষের অবিসংবাদিত নেত্রীতে পরিণত হয়ে যাচ্ছিলেন, আমাদের হাসিনা বুর জন্য যেটা হয়ত ছিল সমীকরণের ভুল ফলাফল, তাঁর নেত্রী হয়ে উঠার পিছনে বিরাট বাঁধা। হাসিনা বুর ততকালিন ব্যক্তিগত সহকারী “মতিউর রহমান রেন্টুর” বহুল আলোচিত সমালোচিত আত্মস্বীকারোক্তি মূলক জনপ্রিয় বই “আমার ফাঁসী চাই” হাটে হাড়ি ভেঙে দিয়েছিল।ওই বইটি থেকে জানা যায় কিভাবে আমাদের প্রিয় হাসিনাবুবু ভারতের বাবরী মসজিদের ঘটনার প্রেক্ষিতে, তাঁর ততকালীন ব্যক্তিগত সহকারীকে টাকা দিয়ে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে সারা দেশে হিন্দুদের বাড়ি-ঘর আর মন্দিরে আগুন জ্বালানোর নির্দেশ দেন। এবং হয়েছিল তাই, হিন্দুদের বাড়ী ঘর জ্বালিয়ে দেশে একটা অস্তিতিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল। হাসিনা বুবু তখন হিন্দুদের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন, সহানোভুতি দিয়েছিলেন, বুঝিয়েছিলেন আওয়ামিলীগ আর তিনি ক্ষমতায় আসলে এসব বন্ধ হবে!! এখেলায় তিনি সফল হয়েছিলেন।( “আমার ফঁসী চাই” বইটি ৯৬ সালে আওয়ামিলীগ সরকার নিষিদ্ধ ঘোষনা করে।) শহীদ জননী জাহানারা ঈমাম নেত্রী হননি, হতে পারেননি, তারপর প্রিয় হাসিনা বুবু আমাদের দেশ নেত্রী, আমাদের গর্ব! ৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত ক্ষতায় ছিলেন, পাওয়া না পাওয়ার হিসেব আমাদের সবার জানা। ২০০৮ এ লগিবৈঠা দিয়ে আসলেন এর পর তিনি ধরিত্রী নেত্রী। জিয়া, এরশাদ রষ্ট্র ধর্ম ইসলাম করেছিলেন আর আমাদের প্রাণ প্রিয় হাসিনা বু সেটাকে অমরত্ত দিলেন, মানে কেউ কোনদিন এটা কে পরিবর্তন করতে পারবেনা, এ যেন ধর্ম নিরপেক্ষতা আর অসম্প্রদায়িকতার কফিনে শেষ পেড়েক। প্রশ্নও করতে পারবেনা এটা নিয়ে। এর বিরুদ্ধে কথা বললে দেশ দ্রোহী । হিন্দুরা যতই বল জাতিয়তাবাদ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, কপালে খালি শুণ্য (০)। , ৭১ এ ধনে জনে হিন্দুদের সবই গেছে, ১০০% স্বাধীনতার পক্ষের একটা জাতিগোষ্ঠি বরাবর নিগৃহিত। সংবিধান আমাদেরকে ২ নাম্বার নাগরিক বানিয়ে দিয়েছে। মানা না মানা নিজেস্ব ব্যপার। মাদ্রাসা বোর্ডে বিএনপিজামাত জোট সরকারের থেকে হাসিনা সরকারের বরাদ্দ অনেক বেশি, এই মাদ্রাসার ছাত্র গুলো বের হয়ে কি সুশিল সমাজের প্রতিনিধী হবে??? ২০১২ সালে পাথরঘাটা, হাঠাজারি, বাগের হাট, দিনাজপুর চিচির বন্দরে নির্বিচারে বিনা উস্কানীতে হিন্দু দের বাড়ি ঘর পুড়াল, লুট করল, মন্দির ভাংল, আমাদের হাসিনা বুবু একটা বিবৃতি পর্যন্ত দিলেননা। রামুর ঘটনায় দৌড়ে গেলেন পাহাড়ে, কারণ পাছে ভিক্ষা বন্ধ হয়ে যায় দাতা দেশের, হিন্দুদের পাশে কেন দাড়াবেন?? কে আছে হিন্দুদের?? বিশ্বজিত হত্যা হল ছাত্রলীগের হাতে, হাসিনা আপা দায় ত নিলেন ই না, পরিবার কে শান্তনা দেওয়ার জন্যও একবার গেলেন না বিশ্বজিতের পরিবারের কাছে। এর কারণ কি বিশ্বজিত হিন্দু ছিল, হিন্দুরা বাঁচলেই কি আর মরলেই কি??? ব্লগার রাজিবের বাড়িতে যাওয়ার সময় হয় কারন সে আগে মুসলমান পরে দেশপ্রেমিক ব্লগার, আর বিশ্বজিত ছিল আগে হিন্দু পরে খেটে খাওয়া গোবেচারা। একটা কথা আমাদের নেত্রী প্রায় ই বলেন "স্বজন হারানোর ব্যথা আমি বুঝি" তা হয়ত বুঝেন কিন্তু বাড়ি ঘর আর ধর্মীয় উপাসনালয় পোড়ানোর ব্যথা আপনি বুঝেন না, বোন, মা, মেয়ে ধর্ষনের ব্যথা আপনি বুঝেননা। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ঘটে যাওয়া সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিচার আপনার সরকার করবে বলেছিলেন, করেছেন ?? করেননি । সেই নির্যাতনের বিচার হলে, আজ যারা হিন্দুদের বাড়ি- ঘর, মন্দির পুরাচ্ছে নির্বিচারে, তারা একবার ভাবত, এর বিচার হবে একদিন। এতটা সহিংসতা অন্তত হতনা। সোজা সাপটা সমীকরণ, না বুঝার কিছুই নেই ... বিশাল এক রাজনৈতিক গেম্বলিং হচ্ছে।। হিন্দুরা মার খেলে ২ টা দশা হতে পারে * ১) কম দামে জায়গা জমি বিক্রি করে ভারতে বা অন্য দেশে সাধ্যানুসারে মাইগ্রেট করা।*২) মাথা নিচু করে অত্যাচার বরদাস্ত করা। যদি *প্রথমটা হয় তবে লাভ আওয়ামিলীগের , নিজেদের সরকার থাকাতেও এত নির্যাতন? বিএনপি জামাত আসলে ত কচুকাটা!!! তাই ভোট টা আওয়ামিলীগেই দিতে হবে এং যে কোন মূল্যে আবার আওয়ামিলীগকে ক্ষমতায় আনতে হবে। আর যদি *২য় টা হয় তাহলেও লাভ আওয়ামিলীগের ই পানির দরে যে জায়গা বিক্রি হবে, অথবা এই ঘোর বিপদের দিনে যে আওয়ামিলীগ নেতা হিন্দু পরিবারকে অনেক দয়া করে রাতের আধাঁরে বর্ডার পার করে দিয়ে আসবে, জায়গা সমপত্তি পাবে সেই আওয়ামিলীগ এর স্থানীয় নেতা। ইতিহাস তাই বলে ।। না হলে আওয়ামিলীগের প্রতিটি উয়ার্ড পর্যায়ে পর্যন্ত কমিটি আছে, প্রসাশনের পাশাপাশি দলীয় কর্মীরা কেন সংখ্যালঘুদের পাশে দড়ায়নি, কেন রাতের আধারে, প্রকাশ্য দিবালোকে বাড়ি-ঘর মন্দিরে অগ্নীসংযোগকারী সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করে তাদের গণ ধুলাই দেয়নি, কোন যুক্তিতে সরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন পরিস্থিতি অনুকোলে????? আজ আমাদের গভির ভাবে ভাবনার সময় এসেছে...চারদিকে শত্রু বেষ্টিত আমরা , ডানে, বামে, সামনে, পিছনে ... কেবল উপরে ঈশ্বর ভরসা। এখনো ২ কোটির উপর হিন্দু আছে বংলাদেশে, নিতান্তই এই সংখ্যাটা কম নয়, অনেক শক্তিশালি দেশের মোট জনসংখ্যার থেকেও বেশি। যদি একবার এক হয়ে যেতে পারি, ভেদাবেদ ভুলে অস্তিত্ত রক্ষার সংগ্রামে নামতে পারি, হলফ করে বলতে পারি ভোটের রাজনি্তী যতদিন থাকবে আওয়ামিলীগ, বিএনপি, জাতিয় পার্টি, জামাত হিন্দুদের পায়ের কছে ধর্না দিবে। ভিক্ষা চাইবে।। আমাদের মেধা আর মনন কে কাজে লাগাতে হবে, আমাদের যে বিশুদ্ধ দেশপ্রেম আছে, আমাদের মঝে যে সততা আছে, আমাদের মাঝে যে নিষ্ঠা আছে শুধু যদি সমন্বয় করতে পারি, ঈশ্বরের আশীর্বাদ আমাদের মাঝে ছড়িয়ে পরবে। তার আগে আমাদের আজকের এই ঘোর বিপদ অতিক্রম করতে হবে্, একসাথে মিলিত হয়ে। জামাত হোক, বি এনপি হোক আর আলীগ হোক যে আমার উপাসনালয় ভাংবে , আমার ঘর পুড়াবে সে সন্ত্রাসি, সে আমার অস্তিত্তের শত্রু। এদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে, এদেরকে নিশ্চিন্নহ করতে হবে। ১০০ জন মিলে ঘর পুরাতে আসলে সেই জ্বলন্তঘরের সাথে অন্তত ওদের একজন কে পুড়িয়ে দিতে হবে। আত্ম রক্ষার্থে পুলিশ গুলি ছুড়ে, আমাদের কাছে ত আত্ম-রক্ষার জন্য কিছু নেই, বাশের লাঠি আর উদের জ্বালিয়ে দেওয়া আগুন ই আমাদের ভরসা। ঘুরে দাড়ানোর সময় এসেছে, কেউ আমাদের পাশে দাড়াক আর নাই দাড়াক ২ কোটী এক হয়ে যেতে হবে। জাগো ভাই জাগো, চল মরলে লড়াই করে মরি, বাঁচলে সম্মানের সাথে বাঁচি... হরি ওম।
{বিদ্রঃ অন্ধ আওয়ামিলীগ প্রেমিদের কছে এডভান্স ক্ষমা চাচ্ছি, দেয়ালে পিঠ ঠেকে বুক আর পিঠ এক হয়ে যাচ্ছে, আর পারছিলাম না তাই উগরে দিলাম!!!}
No comments:
Post a Comment