শিকড়বিহীন বৃক্ষ
এই post বাংলাদেশি তরুন হিন্দু সমাজের প্রতি--আসলেই কি আমরা শিকড়বিহীন বৃক্ষের মত হয়ে যাচ্ছি?? যারা নিজেদের ধর্ম,ঐতিহ্য,সংস্কৃতি সম্পর্কে একেবারেই অজ্ঞ ।বলা হয়ে থাকে হিন্দু সন্তানেরা মেধাবী হয়ে থাকে;বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়,মেডিকেল,বুয়েট এর ভর্তি পরীক্ষা তার প্রমাণ । তারপরও হিন্দু সমাজ কেন এত দুর্বল?? নিজেদের শিকড় না চেনাই কি এর মূল কারণ ??
একটি গাছের সৌন্দর্য তার সবুজ পাতা,ফুল,ফল।কিন্তু সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হল তার শিকড়;যা দেখা যায় না,সৌন্দর্য বাড়ায় না কিন্তু গাছটিকে বাচিয়ে রাখে।আমাদের ধর্ম, ঐতিহ্য,সংস্কৃতি সেই শিকড়স্বরূপ।আমাদের অধিকাংশের ধর্ম জ্ঞান ছোটবেলাই মায়ের কোলে শুয়ে রামায়ণ-মহাভারত শোনা থেকে ৯-১০শ্রেণীর বই পর্যন্ত সীমাবদ্ধ। ঐতিহ্য,সংস্কৃতি জ্ঞান শূণ্যই বলা চলে।হিন্দু মা-বাবারা সন্তানের লেখাপড়ার ব্যাপারে আবার অতিশয় সচেতন;তাই ধর্ম শিক্ষা অপেক্ষা পাঠ্যবই পড়ার প্রতি বেশি গুরুত্ব দেন,একদিনের পড়ার ক্ষতির কথা ভেবে মন্দিরে বা ধর্মীয় অনুষ্ঠানে নিয়ে যান না।
ফলে দেখা যায় সন্তানটি পরীক্ষায় ভাল ফল করে ভাল কোথাও পড়ার সুযোগ পায় বটে কিন্তু হয়ে পড়ে আত্মসম্মান জ্ঞানহীন একজন মানুষ।অন্যান্যধর্মাবলম্বীরা যখন নিজেদের ঐতিহ্য,সংস্কৃতি,ধর্ম নিয়ে গর্ব বোধ করে তখন সে দেখে তার গর্ব করার মত কিছুই নেই।সে নিজেকে হীন,দুর্বল ভাবতে শুরু করে।নিজের দুর্বলতা ঢাকতে অনেকে আবার সেক্যুলার,সাম্যবাদী ইত্যাদি তকমা গায়ে লাগায়।অনেকে অন্যধর্মের প্রতি আক্রিষ্ট হয়।
নামের শেষের পদবীটাই তার একমাত্র ধর্মীয় পরিচয় বহন করে।তাই সে যখন সমাজের কর্তা ব্যক্তি হয় তখন স্বজাতির প্রতি তার কোন টান বা দায়বদ্ধতা থাকে না।নিজের ধর্ম নিয়ে কটুক্তি করলে তার গায়ে লাগে না,মন্দির ভাংলে তার কিছু যায় আসে না,স্বজাতির নির্যাতনে সে থাকে নীরব।
তাই বাংলাদেশে অনেক প্রতিষ্ঠিত হিন্দু ব্যবসায়ী,রাজনিতিবিদ,চিকিতসক,প্রকৌশলী,প্রশাসক থাকা সত্ত্বেও প্রতিদিন হিন্দুরা নির্যাতিত হয়;দিন দিন বিলুপ্তির পথে। তাই নিজেদের ধর্ম ঐতিহ্য,সংস্কৃতি জ্ঞান আমাদের আত্মসচেতন করবে,আত্মসচেতনতা বাড়াবে আত্মবিশ্বাস;যা অন্যায় আর নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ,প্রতিরোধ করতে শিখাবে।আমরা মাথা উচু করে চলতে পারব।
## Pinakpani Biswas , RMC , rajshahi
-------------------------
লেখাটি পড়ে আপনার মতামত জানান ।
এই post বাংলাদেশি তরুন হিন্দু সমাজের প্রতি--আসলেই কি আমরা শিকড়বিহীন বৃক্ষের মত হয়ে যাচ্ছি?? যারা নিজেদের ধর্ম,ঐতিহ্য,সংস্কৃতি সম্পর্কে একেবারেই অজ্ঞ ।বলা হয়ে থাকে হিন্দু সন্তানেরা মেধাবী হয়ে থাকে;বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়,মেডিকেল,বুয়েট এর ভর্তি পরীক্ষা তার প্রমাণ । তারপরও হিন্দু সমাজ কেন এত দুর্বল?? নিজেদের শিকড় না চেনাই কি এর মূল কারণ ??
একটি গাছের সৌন্দর্য তার সবুজ পাতা,ফুল,ফল।কিন্তু সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হল তার শিকড়;যা দেখা যায় না,সৌন্দর্য বাড়ায় না কিন্তু গাছটিকে বাচিয়ে রাখে।আমাদের ধর্ম, ঐতিহ্য,সংস্কৃতি সেই শিকড়স্বরূপ।আমাদের অধিকাংশের ধর্ম জ্ঞান ছোটবেলাই মায়ের কোলে শুয়ে রামায়ণ-মহাভারত শোনা থেকে ৯-১০শ্রেণীর বই পর্যন্ত সীমাবদ্ধ। ঐতিহ্য,সংস্কৃতি জ্ঞান শূণ্যই বলা চলে।হিন্দু মা-বাবারা সন্তানের লেখাপড়ার ব্যাপারে আবার অতিশয় সচেতন;তাই ধর্ম শিক্ষা অপেক্ষা পাঠ্যবই পড়ার প্রতি বেশি গুরুত্ব দেন,একদিনের পড়ার ক্ষতির কথা ভেবে মন্দিরে বা ধর্মীয় অনুষ্ঠানে নিয়ে যান না।
ফলে দেখা যায় সন্তানটি পরীক্ষায় ভাল ফল করে ভাল কোথাও পড়ার সুযোগ পায় বটে কিন্তু হয়ে পড়ে আত্মসম্মান জ্ঞানহীন একজন মানুষ।অন্যান্যধর্মাবলম্বীরা যখন নিজেদের ঐতিহ্য,সংস্কৃতি,ধর্ম নিয়ে গর্ব বোধ করে তখন সে দেখে তার গর্ব করার মত কিছুই নেই।সে নিজেকে হীন,দুর্বল ভাবতে শুরু করে।নিজের দুর্বলতা ঢাকতে অনেকে আবার সেক্যুলার,সাম্যবাদী ইত্যাদি তকমা গায়ে লাগায়।অনেকে অন্যধর্মের প্রতি আক্রিষ্ট হয়।
নামের শেষের পদবীটাই তার একমাত্র ধর্মীয় পরিচয় বহন করে।তাই সে যখন সমাজের কর্তা ব্যক্তি হয় তখন স্বজাতির প্রতি তার কোন টান বা দায়বদ্ধতা থাকে না।নিজের ধর্ম নিয়ে কটুক্তি করলে তার গায়ে লাগে না,মন্দির ভাংলে তার কিছু যায় আসে না,স্বজাতির নির্যাতনে সে থাকে নীরব।
তাই বাংলাদেশে অনেক প্রতিষ্ঠিত হিন্দু ব্যবসায়ী,রাজনিতিবিদ,চিকিতসক,প্রকৌশলী,প্রশাসক থাকা সত্ত্বেও প্রতিদিন হিন্দুরা নির্যাতিত হয়;দিন দিন বিলুপ্তির পথে। তাই নিজেদের ধর্ম ঐতিহ্য,সংস্কৃতি জ্ঞান আমাদের আত্মসচেতন করবে,আত্মসচেতনতা বাড়াবে আত্মবিশ্বাস;যা অন্যায় আর নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ,প্রতিরোধ করতে শিখাবে।আমরা মাথা উচু করে চলতে পারব।
## Pinakpani Biswas , RMC , rajshahi
-------------------------
লেখাটি পড়ে আপনার মতামত জানান ।
No comments:
Post a Comment