Saturday, July 13, 2013

কিছু অসাধারণ বই ডাউনলোড করুন

এখানে বেশ কিছু অসাধারণ বই এর কালেকশন আছে ডাউনলোড করে পড়ুন এবং হিন্দুত্ববাদী আন্দোলন গড়ে তুলুন, আজকে হিন্দুরা গত পৃথিবীতে অত্যাচারিত নিপীড়িত শোষিত । তাদের কোনো ধর্মীয় চিন্তা ভাবনা না থাকার জন্যই তাদের এত অধোগতি হয়েছে । কিন্তু এই অবস্থার জন্য হিন্দুদের সত্রু যত তা না দায়ী তার থেকে বেশি দায়ী কিন্তু হিন্দু রা নিজেরাই । তাই সমস্ত হিন্দুকে পৃথিবীতে একজোট হতে হবে একজনের উপর যদি নেপাল এ অত্যাচার করে তাহলে যেন অন্য হিন্দু দেশ থেকে সমর্থন পৌছায় , যদি পাকিস্তান এর হিন্দু দের কিছু হই তাহলেও কিন্তু যেন পুরো পৃথিবীর হিন্দুরা সেটার জন্য কথা বলে । নিরবতা আমাদের একটা বড় সত্রু যার ফলে আমাদের যারা সত্রু যারা হিন্দুত্ব কে ধংশ করতে উঠে পরে লেগেছে তাদের কাজটা আরো সহজ হয়ে যাই । এটা কিন্তু বিশাল কোনো সমস্যা না এটা একটা সামাজিক অবক্ষয় । এর জন্য যুব সমাজ সাথে সাথে আবাল বৃদ্ধ বনিতা সবাইকে যে যেমন পারে তাকে সেই ভাবে এগিয়ে আসতে হবে এবং কাজ করতে হবে । বাঙালি হিন্দু বার্তা লাগাতার সেই কাজ ই করে যাবে । যারা আপনারা লিখতে পারেন তেনারা কিন্তু আমাদের ব্লগ এর ভলান্টিয়ার হতে পারেন । আগামী দিনে আমরা অনেক কিছু করবার পরিকল্পনা নিয়েছি । ঠিক আছে আমাদের নিচে প্রদত্ত লিংক গুলি থকে বাংলা বই ডাউনলোড করুন । আর মেইল id iufecontact@gmail.com এখানে কন্টাক্ট করতে পারেন যারা এই ব্লগ এ লিখতে চান।


বই গুলির ডাউনলোড লিংকস :

http://hinduebooks.blogspot.in/

http://bangla-books-database.blogspot.in/

http://www.hindubookbd.blogspot.in/

Friday, July 12, 2013

সৌজন্যে: জাগো হিন্দু

কোলকাতা মুম্বাইয়ের চলচ্চিত্র গুলো ইদানিং চরম সেকুলারিজমের উদাহরণ রাখছে । মুম্বাই চলচ্চিত্র এ ক্ষেত্রে পিতার ভূমিকায় অবতীর্ণ । প্রায় প্রতিটা মুভিতে আল্লাহ, মওলা, ইনশাল্লাহ শিরোনামে দু একটা গান আছে । যেন মসজিদ, দরগা ছাড়া ভারতে কোন লোকেশনই নাই যেখানে শ্যুটিং হতে পারে । অপরদিকে যদিওবা হিন্দুদের দেবদেবী বা মন্দির উপস্থাপিত হয়, তা হয় হাসির খোড়াক নয়তো ভন্ডামীর উদাহরণ । ভারতীয় মিডিয়া প্রত্যেকটা খাতে নিজ সংস্কৃতির বারোটা বাজিয়ে পাকিস্তানি সংস্কৃতির গুনগান করছে, যেন সেকুলার মানেই হিন্দুত্ব বিসর্জন আর অন্যের সেবা

ইসলামের আগা-গোড়া

মানুষ তার মানবতার স্বার্থে জেগে উঠে। মতবাদ, চিন্তা এগুলা মানুষের দ্বারা যেমন সৃষ্টি ঠিক সেইভাবে মানুষই বাতিল করে দেয়। ঠিক যেভাবে -ইসলাম কে নিষিদ্ধ বা বাতিল ঘোষনা করা হয়েছে। আমরা আরবী-ফারসী, কোরআন, হাদীস না যেনে ইসলাম গ্রহন করি এবং ইসলামের আগা-গোড়া জানবার পরেই ইসলাম থেকে অঘোষিত চলে আসি -প্রকাশ্যে ইসলাম ত্যাগ করা নিষিদ্ধ। শাস্তি মৃত্যুদন্ড। কেওই কোন কিছু আকড়ে থাকে না। সবার উপর মানুষের ‘মন’ সত্য তাহার উপর কেও নাই।
==================================================
আমরা মুসলমানেরা ইসলামের আগা-গোড়া সবকিছু জানার পর নিজের ইচ্ছাতেই ইসলাম থেকে সড়ে আসি। আমাদের প্রতিটা ইসলাম পরিবার থেকে বিধর্মীদের শিক্ষালয় স্কুলকলেজবিশ্ববিদ্যালয় –এ পাঠানো হয়, ইসলামিক শিক্ষালয় মাদ্রাসতে ভর্তি করানো হয় না এবং এটা আমাদের নিজেদের ইচ্ছাতেই ঘটে। বিধর্মীদের শিক্ষালয় স্কুলকলেজবিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে তাদের শিক্ষা গ্রহন করার লাগিয়া আমরা মুসলমানেরাই বিধর্মীদের ‘পা’ চাটি। বিধর্মীরা কিন্তু আমাদের বাধ্য করে না, আমাদের নিজেদের ইচ্ছাতেই তা করে থাকি। আমরা অঘোষিত ইসলাম ত্যাগ করে চলছি। তবে আমাদের ইসলাম থেকে সড়ে আসাটা, এখন এমন এক পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে যে, এটা আর অঘোষিত না বরং প্রকাশ্য।
==================================================
আমরা ইসলামের চূড়ান্ত মার্কেটিং করে বিধর্মীদের ইসলাম গ্রহনে বাধ্য করি, কিন্তু ইসলাম গ্রহনকারী ঐ বিধর্মীটা যখন ইসলামের নাড়িনক্ষত্র জানতে পারে তখন আবার আমাদের মতই ইসলাম থেকে সড়ে আসে। সরাসরি ইসলাম ত্যাগ করা যায় না বলেই আমারা মুসলমানেরা অঘোষিত ইসলাম ত্যাগ করি। এটা সত্যিই হাস্যকর ও চরম বিনোদন। গিনিপোকের মত খালি বাচ্চা পয়দা করে সেই বাচ্ছার নাম আরবী-ফারসী অক্ষরে রেখে ইসলামের প্রসার ঘটিয়ে চলছি এবং আমাদের মুসলামন বাচ্চারা-ই ইসলামের শত্রু হয়ে চলছে -প্রকাশ্যে।
==================================================
হিন্দু মালুরা বাংলাদেশে নতুন ঘরবাড়ি নির্মাণ করলে আমরা মুসলমানেরা খুশি হই। হিন্দু সম্পত্তি ঘরবাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান হলো সরকারী সম্পত্তি। আমারা মুসলমানেরা যে যেমনে পারবো তেমনে লুট করে খাবো। হিন্দু নারীদের ক্ষেত্রে বলা আছে, “তোমারা হিন্দু মেয়েদের জোর করে বা ফুসলিয়ে নিয়ে আসতে পারলেই সে যুদ্ধলব্ধ সম্পদে ভাষান্তরে ‘গণিমতের মাল’ হয়ে যাবে। কারণ যে সব দেশে যতদিন অমুসলমান শাসক থাকবে ততদিন সে সব দেশে যুদ্ধরত দেশ। ওখানে মুসলমান ও অমুসলমানদের মধ্যে অঘোষিত যুদ্ধ চলবে। পাকিস্তানের অংশ হিসেবে পূর্ববঙ্গ যুদ্ধরত দেশ ছিল, স্বাধীন বাংলাদেশ আজ একটা যুদ্ধলব্ধ দেশ সুতরাং হিন্দু মেয়েদের ধরে আনতে পারলেই সে গণিমতের মাল তাকে অনায়াসে নিকা করে যত পারো বারবার তালাক দেওয়ার মাধ্যমে পরিবারের সকলে ভোগ করো। যুদ্ধ লব্ধ মহিলাকে দাসী রাখতে পারলে এবং বাজার থেকে দাসী কিনতে পারলেই কেবল তাদের সাথে যৌন সহবাস করা যাবে, আর মালুদের বৌ, মেয়েরা যুদ্ধলব্ধ মহিলা। তাইলে কি দাড়ালো, মালুদের ব্যবসাপ্রতিষ্টান, জায়গা সম্পত্তি হলো সরকারী যে যেভাবে পারো দখল করো। আর মালুদের বৌ ও মেয়েরা গণিমতের মাল।
==================================================

আমাদের মুসলমান পুরুষরা হিন্দু নারীদের যৌনদাসী বানিয়ে রাখতে পারবে কিন্তু আমরা মুসলমান নারীরা হিন্দু পুরুষদের যৌনদাস বানিয়ে রাখতে পারবো না! হিন্দু নারী ‘গণিমতের মাল’ অর্থাৎ যুদ্ধলব্ধ অর্জিত সম্পত্তি। হিন্দু পুরুষদের জায়গা সম্পত্তি আমাদের মুসলমান পুরুষদের লুটের মাল। কিন্তু হিন্দু পুরুষ আমাদের মুসলমান মেয়েদের জন্য বৈধ করা হয় নাই তাদের জায়গা সম্পত্তিও আমরা মুসলমান মেয়েরা ভোগ করতে পারি না। হিন্দু পুরুষ ভোগ করতে চাইলে খৎনা করিয়ে, কলমা পড়িয়ে তারপর ভোগ করতে হবে কিন্তু কলমা ও খৎনা করালে ঐ মালু (হিন্দু) তো আর হিন্দু থাকলো না মুসলমান হয়ে গেলো! হিন্দু পুরুষ যদি মুসলমান হয়ে যায় তাইলে কি আর ঐ আবেগ বা নেশা কাজ করবে? আমরা মুসলমান মেয়েরা হিন্দু পুরুষদের যৌনদাস বানিয়ে রাখতে চাই এবং হিন্দু পুরুষের জায়গা সম্পত্তি ও ব্যবসাপ্রতিষ্টানের লুট করা মালের ৫০% ভাগ চাই। আমাদের মুসলমান পুরুষরা পাবে ৫০% আর আমরা মুসলমান মেয়েরা পাবো ৫০% সাথে হিন্দু পুরুষ। আইন চাই! বাধ্যতামূলক আইন।
==================================================
বাংলাদেশে ইসলাম কায়েমের চেষ্টা করলে আমার মুসলমান মেয়েরা কি বিষপানে আত্মহত্যা করবো নাকি ইসলাম কবুল করবো? বাংলাদেশের কোটি কোটি মুসলমান নারী, যারা বিধর্মীদের শিক্ষালয় স্কুলকলেজবিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা গ্রহন করেছে। ১০০% মুসলমান নারী, সঙ্গীত, চারুকলা (হিন্দুদের মত ছবি, মূর্তি, পেইন্টিং) ফুলের ব্যবহার, পহেলা বৈশাখ, একুশে ফ্রেব্রুয়ারী, বসন্ত উৎসব, ইউরোপ দেশে ভ্রমন ও বসবাস, হিন্দু বাবুদের মত ক্লিন সেভার ছেলে অথবা হিন্দু ঋষিদের মত দাড়ি চুল ওয়ালা পুরুষ পছন্দ করে। আমরা মুসলমান মেয়েরা কি করবো, যদি ইসলাম কায়েমের চেষ্টা করা হয় বাংলাদেশে? ==================================================
আরবী-ফারসী অক্ষরের নাম-ই হলো আমাগো সবচাইতে বড় সম্পদ। আওয়ামীলীগ আর বিএনপি যাই আসুক না কেন আমরা হইলাম মুসলমান। আরবী-ফারসী হরফে আমাগো নাম থাকলে আর কোন ভাবনা নাই। আওয়ামীলীগ ও বিএনপি দুই পার্টিই আমাগো হাতের মুঠায়। আমরা হইলাম আত্মীয়-স্বজন। লুটতরাজ, ধর্ষণ, হিন্দু সম্পদ বেদখল করা, হিন্দু বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্টান লুট করা, হিন্দু পুরুষের বৌ ও মেয়ে গণিমতের মাল হিসাবে আমাদের মুসলমান পুরুষদের ভোগ করা ইত্যাদি সব কাজ আমাদের মুসলমানদের নিকট জায়েজ বা আইন সঙ্গত কারণ আমাদের আছে -সবচেয়ে বড় শক্তি আরবী-ফারসী নাম। আমরা মুসলমান। কি কন মিয়া ভাইয়েরা?
==================================================
একবার যদি আমাগো কপালে মুসলমানের সিল পইড়া যায় যে আমারা হইলাম মুসলমান তাইল ইসলাম জাহানের মতো আমাগো বাংলাদেশটাও পৃথিবী থাইক্কা বিচ্ছিন্ন হইয়া যাইব। এমনেতেই মালুরা দেশ ছাড়তে ছাড়তে মালুর (হিন্দু) সংখ্যা ‘নাই’ –তে আইসা ঠেকছে। তার উপর যদি, আমেরিকা কইয়া ফালায় ‘বাংলাদেশ হইল ইসলাম রাষ্ট্র’ তাইলে -‘ভারতবর্ষের ভিতরে বাংলাদেশ হইব নতুন ইসলাম জাহান”। কোরআন, হাদিস আর ইসলামের ইতিহাস লইয়া থাকতে হইব এবং সেই সাথে গোটা বিশ্ব হইতে আমাগো বিচ্ছিন্ন হইয়া যাওয়া লাগবো। মালুগো (হিন্দু) দেশ আমাদের মুসলমান ভাইয়েরা দখল কইরা ফালাইতাছে, মালুগো কোনো হুশ-ই নাই।
==================================================
জরিপের ১০০% রায় ভারতের দিকে। ইউরোপ, আমেরিকা, দক্ষিণ এশিয়া অর্থাৎ পৃথিবীর ১০০% নারী ভারতে ভ্রমন করতে আগ্রহী। শুধু তাই না, পৃথিবীর সকল নারীরা (ইসলাম জাহান বাদে, কেননা ইসলাম জাহানে নারীদের স্বাধীনতা কই!) হিন্দু সাধু, হিন্দু পুরুষ ও হিন্দু কালচারের প্রতি চরম আসক্তি হয়ে উঠেছে। কিন্তু জরিপের ১০০% রায় ইসলাম জাহানের বিপরীতে গিয়েছে। নারীরা ইসলাম জাহানে জীবন ধারন করতে ঘৃণা করে।
==================================================
আমরা ইসলামের কিছুই মানি না এটা যেমন সত্য আবার হিন্দু নারী ও ছেলেদের ইসলামে ধর্মান্তর করার জন্য আমাদের আপ্রাণ চেষ্টা থাকে -এটাও সত্য। এর পিছনে বিরাট কালো এক রাজনৈতিক কারণ আছে, আমরা আরবী-ফারসী নাম নিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা চাই --ইসলাম চাই না। শেখ হাসিনা সরকার থাকতে ইসলাম কায়েম সম্ভব হইল না! আমরা কেমনে আশা করি, খালেদা জিয়ার সরকার এলে ইসলাম কায়েম হইবো?
==================================================
মুসলমান মেয়েদের মধ্যে একটা জরিপ:
(১) শতকরা কতজন সঙ্গীত, চারুকলা (হিন্দুদের মত ছবি, মূর্তি, পেইন্টিং ইত্যাদি), ফুলের ব্যবহার, পহেলা বৈশাখ, একুশে ফ্রেব্রুয়ারী, বসন্ত উৎসব, বিধর্মীদের শিক্ষালয় স্কুলকলেজবিশ্ববিদ্যালয়, ইউরোপ দেশে ভ্রমন ও বসবাস, ক্লিন সেভার ছেলে অথবা হিন্দু ঋষিদের মত দাড়ি-চৃল ইত্যাদির স্বপক্ষে রায় দিবে?

(২) শতকরা কতজন ইসলামিক কালচারের স্বপক্ষে রায় দিবেন। কতজন ইসলাম জাহান (আফগান, পাকিস্তান, সৌদি, ইরান, ইরাক, সিরিয়া ইত্যাদি) -এ গিয়ে বসবাস করতে রাজি হবেন? (উল্লেখ্য আমরা মুসলমান হওয়া সত্বেও আমাদের ছেড়ারা ইসলাম জাহানের নারীদের নিকা করতে পারবেন না কিন্তু আমরা মুসলমান মেয়েরা ঠিকই ইসলাম জাহানের পুরুষদের দাসীত্ব (বান্দিগিরী) করতে পারবো বিনিময়ে আমাদের কে দেনমহর দেওয়া হবে 'খাজুর আর দুইখান দুম্বা') ...ওয়াক থু ...ওযাক থু ...ওয়াক থু। হিন্দু ছেলে তো আর আমাগো কপালে জোটবো না তাই ঐ ইসলাম জাহানের পুরুষদের বান্দিগিরী করা ছাড়া তো আর কোন উপায় দেখতেছি না। ==================================================
হে আপনাদেরকে-ই বলছি, খেয়াল করুন: বাংলাদেশ থাইকা হিন্দুরা পালায়, এর প্রথম কারণ হইল --আমাগো মুসলমান ছেড়াগো হাত হইতে হিন্দু মাইয়াগো রক্ষা করার লাইগা। আর দ্বিতীয় কারণ হইল, হিন্দু পোলাগো যাতে মুসলমান ছেড়িগোর লগে নিকা না হয়, তার লাইগা। আমরা মুসলমানেররা হিন্দুদের ঈর্ষা করি, মুটেও অপছন্দ করি না। যদি অপছন্দই করতাম তাহলে আমরা মুসলমানেরা ইসলামিক কালচার মেনে চলতাম। কিন্তু আমাদের মুসলমানদের বিপরীত চরিত্র দেখতে পাওয়া যায়। আমরা পহেলা বৈশাখ থেকে শুরু করে স্কুলকলেজবিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা সকল কিছুই বিধর্মীদের সংস্কৃতি অনুশরণ করি। হিন্দুদের যদি ঘৃণাই করতাম তাহলে আমরা কেন ঐ সকল কালচার ফলো করি। হিন্দুরা সব কিছু সহ্য করতে পারে যেমন হিন্দু সম্পতি বেদখল, হিন্দু পুরুষ হত্যা, হিন্দুদের দোকান ও ঘরবাড়ি লুটতরাজ কিন্তু হিন্দু নারী ধর্ষণ অথবা হিন্দু পুরুষ জোড় পূর্বক মুসলমান মেয়ের সাথে নিকা এবং সেই সাথে ইসলামে কনভার্ট করা -এ সহ্য করার ক্ষমতা হিন্দুদের নাই। বাধ্য হয়েই হিন্দুরা দেশ ত্যাগ করে। তারাই আমাদের মুসলমানদের পাশে বসতে চায় না। আর জায়গা সম্পত্তি, টাকা পয়সা, ক্যারিয়ার এগুলা তো হিন্দুরা ইন্ডিয়াতে গিয়েই আবার নতুন করে গড়তে পারে কিন্তু হিন্দুদের ছেলে-মেয়েদের কি তারা আর ফিরে পায়! ==================================================
ইসলাম জাহানে ধর্ষণের মতো যৌনাপরাধ প্রমান করতে চারজন পুরুষ সাক্ষীর প্রয়োজন হয়। এটা কোন ভাবেই স্বাভাবিক ব্যাপার নয় যে, কোনো পুরুষ অন্য চারজন পুরুষের সামনে এই জঘন্য যৌনপরাধ করবে। কিন্তু বাংলাদেশে কোনো মেয়ে থানাতে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ করলেই সেই পুরুষকে দোষারুপ করা হয়। ==================================================
আমরা মুসলমানেরা নিজেরাই ইসলাম মানি না। হিন্দুরা নিজের ইচ্ছাতেই ভারতে চলে যায়। হিন্দুরা একবার গেলে আর ফিরে না। আমরা মুসলমানেরা হিন্দুদের পাশে বসতে চাই কিন্তু হিন্দুরা আমাদের ঘৃণা করে। তাই তারা ভারতে চলে যায়। আমরা মুসলমানেরা কোরআন, মাদ্রাসায় পড়ি না। হিন্দুদের মত সঙ্গীত, মূর্তি গড়া, পহেলা বৈশাখ, একুশে ফ্রেব্রুয়ারী, বসন্ত উৎসব, স্কুলকলেজবিশ্ববিদ্যালয় ইত্যাদি অনুসরণের মাধ্যমে হিন্দুদের সমকক্ষ হতে চাই। হিন্দুদের সাথে আত্মীয়তা করতে চাই। কিন্তু হিন্দুদের বেশী ঘৃণা -আমাদের মুসলমানদের উপর। তাই তারা ভারতে -দেয় দৌড়। ভারত থেকে কোন মুসলমান ইসলাম জাহানে যাবে কি? হিন্দুরা যেহেতু হিন্দুরাষ্ট্রে চলে যায়।
==================================================
আমাদের সকল মুসলমানদের জানা আছে যে, ইসলাম কেও ত্যাগ করতে পারে না। যদি ত্যাগ করি তাহলে –শাস্তি মৃত্যুদন্ড। তাই বাংলাদেশের সকলে আরবী-ফারসী নাম রেখেছে তাদের নিরাপত্তার জন্য। কিন্তু কেওই ইসলাম, কোরআন-সূন্নাহ্ এর কিছুই মানে না। আরবী-ফারসী নাম বহন করাটা নিরাপদ বাংলা নামের চাইতে। এটা শুধু বাংলাদেশে না, ইসলাম জাহানের দিকে তাকিয়ে দেখুন, চারিদিকে একই অবস্থা। আমাদের মুসলমান ভাইয়েরা শাহাদত বরণ করে ইসলাম জাহানের পথে পথে লাশ হয়ে পড়ে আছে আর আমাদের মুসলমান বোনেরা পাইকারী দরে ধর্ষণ হচ্ছে। ==================================================

আর কয়দিন পরে মনে হয় আমাগো হিন্দুদের পায়খানা প্রস্রাব টাকা দিয়া কিনে খেতে হবে। সৌদি ইসলাম জাহান থেকে তো খালি খাজুর পাঠায় সাথে জমজমকুপের পানি কিন্তু আমরা তো সৌদির খাদ্য খাই না। হিন্দুরা তো বাংলাদেশে নাই, তারা এখন ভারতে। ভারতে গিয়া আমাগো মুসলমানের লাইগা পায়খানা প্রস্রাব পাঠাইবো...! আর ঐ পায়খানা প্রস্রাব আমরা মুসলমানেরা টাকা দিয়া কিনিয়া খইমু। ওয়াক থু ওয়াক থু ওয়াক থু। ইসলাম জাহানের নারীগো আমাদের মুসলমান পুরুষেরা নিকা করতে পারে না। ওয়াক থু ওয়াক থু ওয়াক থু। আপনারা কয়টাকা দামের হিন্দুগো পায়খান প্রস্রাব খাইবেন? আমি কিন্তু খাজুর খাইয়া থাকমু। হিন্দুগো গু-মুত খাইতে পারুম না। কল্পনা করতে পারেন? আমরা মুসলমান। আমাদের আব্বা-আম্মা, ভাই-বোট, ছেলে-মেয়েরা টাকা দিয়ে কিনে হিন্দুদের পায়খানা প্রস্রাব খাইতেছে। ‘আমাদের মুসলমানদের প্রতিটা পরিবারের খাবারের ডাইনিং টেবিলে হিন্দু বাবুদের পায়খানা প্রস্রাব সাজানো, এবং সেই পায়খানা প্রস্রাব আমরা মুসলমানেরা খাইতেছি!” । কি আর করার, আমাগো লাইগা তো আর ইসলাম জাহানের খাজুর নাই। তাছাড়া আমাদের ইসলাম জাহানে-ই ৭০% হিন্দুদের খাদ্য যায়, এবং সেই খাদ্য খাইয়া-ই বেঁচে আছি। ==================================================
আমার এক বান্ধবী কইছিল 'হিজাব' পরিধেয় নারীদের নাকি দেখতে ভীষন সেক্সি লাগে। ঘটনাটা তাইলে খুইলা কই। বান্ধবীর গায়ে বোখরা দেখে আমরা আর সকল বান্ধবীরা তো টাসকি খাইয়া গেছি। জিগাইলাম:- কি রে, তুই বোখরা কবে থেকে পড়ছ? নিকাহ্ এর পরের দিন থাইকা 'হিজাব' ধরছি। কিন্তু কেন? ওর জামাই নাকি হিজাব লইতে কইছে। কিন্তু তোর জামাই তো ইসলামিক মাইন্ডেড না, ওরে তো আমরা চিনি। বান্ধবিটা কইল:- বিষয়টা আসলে তা না। বিষয়টা হইল। পুরুষদের কাছে নাকি বোখরা পড়া মেয়েরা দেখেতে অনেক সেক্সি লগে। তাই বোখরা পড়তে কইছে। এডা আবার কেমন কথা? ==================================================
সৌদি, ইরান, ইরাক, আফগান, কুয়েত ইত্যাদি প্রতিটা ইসলাম রাষ্ট্রের তুলনায় বাংলাদেশটা কি ভাল রয়েছে না? কেননা ঐ সকল ইসলাম রাষ্ট্রের আমাদের মুসলিম ভাইযেরা রাস্তায় মরে পরে থাকে; কিন্তু বাংলাদেশে এখনও শুরু হয় নাই তবে শুরু হতে যাচ্ছে। কিন্তু আমাদেরকে কে করুনা করবে --সৌদি নাকি আমেরিকা? ==================================================
সৌদি, ইরান, ইরাক, আফগান, কুয়েত ইত্যাদি প্রতিটা ইসলামরাষ্ট্রে হিন্দুদের জন্য মন্দির, মূর্তিপূজা, অগ্নিপূজা, শাস্ত্রীয় সঙ্গীত, নিরামিষ খাদ্য ইত্যাদি হিন্দু সংস্কৃতির ব্যবস্থা গ্রহন করাকে আপনি কি যুক্তসঙ্গত মনে করেন? হিন্দুরা আমাদের মুসলিমদের জন্য তাদের রাষ্ট্রের বিভিন্ন স্থানে স্থনে মসজিদ-মাদ্রাসা নির্মান, গরুর মাংস খাওয়ানোর ব্যবস্থা, হ্জ্ব পালনের ব্যবস্থা এমন কি কোরানের বাংলাও করে দিয়েছে এই হিন্দুরা! আমাদের ইসলাম রাষ্ট্রগুলিতে কি সম্ভব হিন্দুদের জন্য মন্দির, মূর্তিপূজা, অগ্নিপূজা, শাস্ত্রীয় সঙ্গীত, নিরামিষ খাদ্য ইত্যাদি হিন্দু সংস্কৃতির ব্যবস্থা করে দেয়া? আমরা মুসলিমরা ক্রমশঃ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছি বিধর্মীদের আদর্শের কাছে! ==================================================

আজকে এক মুসলিম ভাই আরেক মুসলিম ভাইকে কাফের ফতুয়া দিয়ে জবাই করি। আমরা মুসলিম মেয়েরা আমাদের মুসলিম ছেলেদের ঘৃণা করি। আমাদের মেয়েদের পক্ষ থেকেই আমরা এক তালাক, দুই তালাক এবং তিন তালাক দেই। আমাদের মুসলিম মেয়েদের মধ্যে ১০০% যারা বিধর্মীদের মত (হিন্দু) পড়াশুনা, ক্লিন সেভার, সংগীত ইত্যাদি পছন্দ করি; মাদ্রাস এবং ইসলামিক কালচারের আদলে তৈরী মুসলিম পুরুষদের আমরা মেযেরা পছন্দ করি না। কিন্তু কেন? ==================================================
কোন বিদেশী শব্দকে বাংলা শব্দের অর্থের মিল করতে চাইলে শব্দেরদ্বয়ের কার্যপ্রনালীগত আদর্শগত ইত্যাদি ক্ষেত্রে মিল আছে কিনা তা লক্ষ্য রাখতে হবে। আরবী/ইসলাম শব্দ নিকার সাথে সংস্কৃত/বাংলা/হিন্দুদের শব্দ বিবাহ বা বিয়ের মধ্যে কোন প্রকার মিল নাই। নিকাহ্ এর বাংলা কোন ভাবেই বিয়ে/বিবাহ্ নয়। কারণ দুইটার আদর্শগত কার্যগত ইত্যাদি প্রতিটা ক্ষেত্রে এদের দুইজনের দুই মেরুতে অবস্থান। বিয়ে/বিবাহ হইল একটা সংস্কৃত শব্দ যা হিন্দুদের মূল ধর্মগ্রন্থ বেদকে আশ্রয় করে এর আনুষ্ঠানিকতা হয়ে থাকে। আগুন,দেবদেবতা,সংগীত,পূজা অর্চনা,ফুল,মূর্তি, ইত্যাদি ভারতীয় সংস্কৃতি মেনে করা হয়। এটা হিন্দুদের কাছে একটা ব্রত। কিন্তু নিকা/নিকাহ দেনমহরের মাধ্যমে হয়ে থাকে, বাসর রাতে বিবির শরীর ভোগ করতে যাওয়ার আগে বিবিকে অর্থ/টাকা/দেনমহর দিতে হয়। আমাদের মুসলমানরা তালাকের মাধ্যমে পুন পুন নিকাহ করতে পারি। এবং সর্বপরি নিকা ইসলামিক নীতি অনুযায়ী হয়ে থাকে। আমরা মুসলমানেরা নিকা/নিকাহ এর পরিবর্ততে বিয়ে/বিবাহ বলে থাকি। এর কারণ, নিকাহ্ বলতে আমাদের আত্মসম্মানে বাধে তাই নিকাহ্‌কে বিবাহ বলি। হিন্দুরা নিকাহকে পতিতাবৃত্তির সাথে তুলনা করে এবং মুসলমানেরা সেই লজ্জাতেই নিকাহ্ কে বিবাহ বলে। কিন্তু কোন মতেই নিকাহ্ এর বাংলা অর্থ বিয়ে বা বিবাহ হয় না। হিন্দুরা নিকাকে পতিতাবৃত্তি মনে করে সেই লজ্জাতে ৯৮% আমরা মুসলমানেরা নিকাহ্ বা নিকা উচ্চারণ করতে ঘৃণা করি, লজ্জা পাই, আমাদের মুসলমানদের আত্মসম্মানে বাধে। গর্বের সাথে, দাওয়াতের চিঠিতে বিবাহ এর পরিবর্তে নিকাহ্ লিখুন এবং কয় টাকা দেনমহরের বিনিময়ে আপনার মুসলমান মেয়েকে নিকা দিতেছেন সেটাও উল্লেখ করুন। আরবী/ইসলাম/কোরআন/মাদ্রাসা/ইসলামিক কালচার ঘৃণা করলে চলবে না। হিন্দুরা কি বললো তা গায়ে মাখলে চলবে না।
আমার এক বান্ধবীর আব্বা মসজিদ ও মাদ্রাসাতে টাকা দান করে আবার ছেলে-মেয়েদের বিধর্মী শিক্ষালয়ে পড়াশুনা করায়। ইসলামিক শিক্ষালয় মাদ্রাসাতে পড়ায় না, ইন্টারনেট, রেডিও, টিভি ইত্যাদি বিধর্মীদের মিডিয়া যাদের নিত্য সঙ্গী, তারা সৌদি আফগান ইরান সিরিয়া পাকিস্তানে যেতে যতটাই অপছন্দ ও ঘৃণা করে তার থেকে অধীক পছন্দ ও সুখী থাকে বিধর্মীদের দেশে দেশে (আমেরিকা, সুইজারল্যান্ড, জার্মান ইত্যাদি) ঘুরতে। এটা আবার কোন তরিকা? যে ব্যক্তি তাদের ছেলেমেয়েকে ইসলাম শিক্ষালয় মাদ্রাসা ও ইসলাম দেশে পাঠাতে ঘৃণা করে, সে লোক কি করে মসজিদ ও মাদ্রাসাতে টাকা দান করে? আমরা বিধর্মীদের দেশে যেতে পারলে, মসজিদ্ ও মাজারে সিন্নি চড়াই অথবা গরু কোরবানি দেই কিন্তু আফগান, পাকিস্তান, ইরান, সিরিয়া, সৌদি, সুদান ইত্যাদি ইসলাম দেশে যাবার কথা শুনলে আমাদের মনের অবস্থা কেমন হয়? ওয়াক থু...! ওয়াক থু...! ওয়াক থু...! আমেরিকা না আফগান, কোনটা? ==================================================
আমরা বাঙ্গালী কিন্তু মুসলমান...! মুসলমান হবার কারণে আমরা মুসলমান মেয়েরা হাতে শাখা, পড়নে ঢাকাই শাড়ি আর সিঁথিতে সিঁন্দুর পড়তে পারি না। আমরা মুসলমান বলেই বাংলা সংস্কৃতির পরিবর্তে আমাদের ইসলামিক কালচার ফলো করতে হয়। বাংলাদেশটা যখন পূর্ব-পাকিস্তান ছিল তখনই ভাল ছিল...! দেশ স্বাধীন না হতো, সেটাই ভালো ছিল...! কেননা আমরা তো মুসলমান তাই বাংলা সংস্কৃতি আমাদের জন্য না; আমাদের জন্য হল ইসলামিক কালচার; বোখরা পড়ে ঘরে বসবাস করা আর রাস্তাঘাটে মরে পড়ে থাকা। আজকে পাকিস্তান, আফগান, ইরান, ইরাক, সৌদি, বাহারাইন, সুদান প্রভৃতি ইসলামিক রাষ্ট্রের মত ইসলামিক কালচারের practice করতে করতে আত্মঘাতি বোমার আঘাতে রাস্তা-ঘাটে মরে পড়ে থাকতাম আর মৃত্যুর পর আমাদের জন্য থাকতো নিশ্চিত বেহেস্ত...! তাই নয় কি? আজকে খবরে দেখলাম বাগদাদে গাড়ি বোমায় কমপক্ষে ৬০ এর অধীক সংখ্যক লোকের মৃত্যু হয়েছে এবং তারা নিশ্চিত এখন বেহেস্ত রয়েছেন...! কেন দেশ স্বাধীন হলো? ==================================================
হেফাজতে ইসলাম গতকাল আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে বাইতুল মোকারমের কোরআন ও সূন্নাহ্ এর বইয়ের দোকান। আরে মিয়া, আজকাল কোরআনের বিধান কি কেও মেনে চলে? আগুন লেগে তো কাগজ পুড়তেই পারে, আর ঐ কাগছের মধ্যে আরবী-ফারসী অথবা বাংলা ইংরেজিতে যাই লেখা থাকুক তাও পুড়তে বাধ্য। কোরআনের বিধান না মানবার মধ্য দিয়েই তো সত্যি কারের কোরআন অনেক আগেই পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। শুধু শুধু হেফজতদের দোষারুপ করে লাভ কি? আমারা যখন আমাদের সন্তানদের মাদ্রাসাতে পড়াতে অথবা কোরআন সূন্নাহ মেনে চলতে ঘৃণা ও অপমান বোধ করি তখন কিছু হয় না। কোন মেয়ে -ছেলেটা মাদ্রাসতে পড়েত চায় একবার বলবেন কি?
==================================================
আমাদের প্রতিটা মুসলমান মেয়েদেরই স্বপ্ন থাকে একজন হিন্দু পুরুষের সাথে যদি প্রেম করতে পারতাম! হিন্দু পুরুষরা আজীবন একটা মেয়েকে কি করে সংসারে বেঁধে রাখে, কি করে আজীবন তৃপ্তি দিয়ে যায় --এ বিষয় নিয়ে তো রীতিমত আমার বান্ধবীদের সাথে তর্ক চলে। হিন্দু ছেলে দেখলেই আমাদের জিহবা দিয়া লালা ঝড়ে! তেতুলের নাম শুনার পর ও দেখার পর জিহবা যেভাবে ভীজে উঠে ঠিক সেভাবেই হিন্দু ছেলের নাম শুনলে ও দেখলে, আমাদের মুসলমান মেয়েদের সেই রকম অবস্থা হয়। কিন্তু কি আর করার হিন্দু ছেলেরা তো হিন্দু মেয়েদের-ই পছন্দ করে, তাছাড়া আমরা মুসলমান মেয়েরা অতটা কালচারালও না যে হিন্দু ছেলেদের সাথে বন্ধুত্ব করবো! মুসলমান ছেলে নিকা করলে কয়েক মাস পরেই আমরা মুসলমান মেয়েরা ১তালাক, ২তালাক, ৩তালাক দিয়ে আরেকটার কাছে নিকা বসি, এইভাবে নিকা কেবলি করেই যাই কিন্তু জীবনে তৃপ্তি পাই না। হিন্দু ছেলে যে কত লোভনীয় বস্তু মুসলমান মেয়েদের কাছে, তা কেবলি আমারা মুসলমান মেয়েরাই 'ফিল' করি! ==================================================
বান্ধবীদের সাথে কথা হইল, আমরা মুসলমান মেয়েরা কত খারপ! চড়া মূল্যের দেনমহরের বিনিময়ে মুসলমান ছেলেদের কাছে নিকা বসা সত্ত্বেও নিকার আগে আমরা ছেলেদের হাজারটা শর্ত জুড়ে দেই। একবার ভাবেন তো! আমরা মুসলমান মেয়েরা এত চড়া মূল্যের দেনমহরের বিনিময়ে, এত মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে নিজেদের শরীরটা তাদেরকে দেয়ার পরেও কি আমাদের হাজারটা শর্ত দেওয়া উচিৎ? আমরা তো মোটা অংকের দেনমহর পাই, তবুও আমাদের আর কি চাওয়া থাকতে পারে? কাবিনের সময় অর্ধেক টাকা লই আবার তালাকের সময় বাকী টাকা আদায় কইরা ছাড়ি, না দিলে তো জেল হাজত আছেই। মাদ্রাস পড়ুয়া ছেলে আমাদের পছন্দ না স্কুলকলেজবিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছেলে পছন্দ, হিন্দু বাবুদের মত ক্লিন সেভার অথবা হিন্দু ঋষিদের মত লম্বা চুলদাড়িগোঁফ থাকা ছেলেদের পছন্দ, আমাদের মুসলমান মেয়েদের আরো কত হাজারটা ঢঙ্গ আছে যে, শুনলে মাথা ঘুড়ায়। কিন্তু কয়দিন পর পরেই দেনমহরের পাওনা টাকা আদাই কইরা তালাক দেই তারপর আবার আরেকটার কাছে নিকা বসি ঐ একই ভাবে চড়া মূল্যের দেনমহরের বিনিময়ে। ওয়াক থু! ওয়াক থু! ওয়াক থু! ==================================================
একটা মানবিক আবেদন। আমাদের মুসলমান মেয়েদের হিন্দু বিধর্মীদের সাথে সম্পর্ক গড়ার স্বাধীনতা নাই। তাছাড়া ইসলামে জন্ম গ্রহন করা কোন ব্যক্তি অন্য ধর্মে যাওয়ার অনুমতি নাই, যদি কেও যায় তাহলে তার শাস্তি মৃত্যুদন্ড! কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। হিন্দুদের ধর্মীয় আচার নীতি সংগীত, পেইন্টিং, আর্কিটেক বিশেষ করে এদের মন্দিরগুলো, ফুল, প্রদীপ ও আগুন পুজা ইত্যাদি আনুষ্ঠানিকতা যা মেয়েদের কাছে খুবই লোভনীয়। ইসলাম অথবা খৃষ্টান ধর্মে তা অনুপস্থিত, হিন্দুদের মত মিউজিক, পেইন্টিং ইত্যাদি চারুকলা শিল্প নাই। হিন্দু ছেলেরা ধীর সম্পূর্ণ। এরা মেধাবী। এদের ধর্মীয় সংস্কৃতি একটা ক্রিয়েটিভিটি কার্যক্রম , যা একজন নারীকে খুব তারাতারি আকর্ষণ করে। এদের যৌনসক্ষমতাতে গভীরত, শান্ত ও গাঢ়তা রয়েছে যা ইসলাম খৃষ্টান ইহুদি খৎনা করা পুরুষেদের অনুপস্থিত। খৎনা না করাতে হিন্দু পুরুষ স্বতন্ত্র। খৎনা না করার কারণে হিন্দু পুরুষের যৌনসক্ষমতা স্বাভাবিক ও প্রকৃতিগত, খৎনা করা ছেলেদের মত এরা কৃত্রিম Artificial নয়। খৎনা একটা Artificial system যা প্রকৃতি বিরোধ। ইত্যাদি নানা কারণে হিন্দু পুরুষের বৌ স্বামীভক্তি হয়। সত্য কথা হল মেয়েদের কৃত্রিমতা অপছন্দ কিন্তু মিউজিক, পেইন্টিং ইত্যাদি চারুকলা শিল্প অত্যন্ত লোভনীয় ও পছন্দের বিষয়।
বাংলাদেশে এমন একটা আইন পাশ করা উচিত -হিন্দু ছেলেদের সাথে বাধ্যতামূলকভাবে মুসলমান মেয়েদের বিয়ে হতে হবে তা না হলে হিন্দু ছেলে ভারতে চলে যেতে হবে। এত খারপ লাগে যখন দেখতে পাই হিন্দু মেয়েরা আমাদের চোখের সামনে শাখা সিঁদুর পড়ে ঘুরে, তার ওপর হিন্দু পুরুষের প্রতি মেয়েদের স্বামীভক্তি দেখলে মাথায় আগুন জ্বলে। আরে এতই বা তোদের কি যৌনসুখ দেয় যে আজীবন ঐ হিন্দু পুরুষটারে মাথায় তুলে রাখছ। আমাগো মুসলমান ছেড়ারা তো তিনমাসের বেশী লাস্টিং করে না, তালাকের উপরেই রাখি। হিন্দু পুরুষ খৎনা করায় না, যার ফলে মেয়েদের আকর্ষণ একটু বেশীই অর্থাৎ এরা কৃত্রিম না প্রাকৃতিক। খৎনা বিষয়টা বড্ড অপ্রকৃতি আমাদের মেয়েদের কাছে টানে না। কিন্তু খৎনা না করা পুরুষ --এটা বেশ ফিল করি। আইনটার পাশ চাই!
==================================================
হিন্দু বিধর্মীরা যদি আমাদের মুসলমানদের ইসলাম জাহান সৌদি, আফগান, ইরান, পাকিস্তান, সিরিয়া ইত্যাদি দেশে ছেঁড়ে দিয়ে আসে তাহলে আমরা মুসলমানেরা কি বিষপানে আত্মহত্যা করবো? কেননা ইসলাম জাহানের মেয়েদের কে আমাদের মুসলমান আব্বা-চাচা-ভাই-মামুরা নিকা করতে পারবে না; চাকর হয়ে থাকতে হবে কিন্তু মুসলমান মুসলমান ভাই ভাই --এটা আবার কোন তরীকা! কোরআন ও সূন্নাহ থেকে আমরা মুসলমানেরা ক্রিকেট খেলাতে জয়ী, নোবেল পুরুষ্কার পাওয়া যা কিনা বিধর্মীদের কাছে নিজেকে বিক্রি করে দেওয়া, বিধর্মীদের শিক্ষালয় (স্কুলকলেজবিশ্ববিদ্যালয়) থেকে এ+ পাওয়া, ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারা, রেডিও-টিভি ইত্যাদি সকল বিধর্মীদের জিনিজ ব্যবহার করতে ও গ্রহন করতে আমরা মুসলমানেরা প্রচন্ড আগ্রহী। আমরা মুসলমানেরা যখন ইন্টারনেন, রেডিও, টিভিতে ইসলামের দ্বীনের দাওয়াত দেই তখন বিধর্মীরা রঙ্গ করে --ইসলাম এখন বিধর্মীদের প্রযুক্তির উপর ভর করে চলে। ইসলাম সত্যতা প্রমান করতে হলে আমাদের মুসলমানদেরকে বিজ্ঞানের কছে জবাবদিহিতা করতে হয়, কিন্তু ইন্টারনেট, রেডিও, টিভি ছাড়া আমাদের গতি কই, আমরা মাদ্রাসা শিক্ষা গ্রহন না করে অতী গৌরবের সাথে বসবাস করতে পারি কিন্তু ইন্টারনেট, রেডিও, টিভি বিধর্মীদের শিক্ষা (স্কুলকলেজবিশ্ববিদ্যালয়) গ্রহন ছাড়া এক মুহূর্ত ও বেঁচে থাকতে পারি না! =================================================
আমরা মুসলমান। হিন্দুরা আমাদের জন্য তাদের দেশে গরুর গোস্ত খাওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছে। তাদের দেশের স্থানে স্থানে আমাদের মুসলমানদের জন্য মসজিদ মাদ্রাসা নির্মাণ করে দিয়েছে। হজ্ব উমরাহ্ পালনের ব্যবস্থা করে দিয়েছে। হিন্দুর নিরাপদ খাদ্য খেয়ে বেঁচে আছি, কিন্তু আমাদের নিজেদের ইসলাম জাহানে আমরা মুসলমান ভাইয়েরা রাস্তায় মরে পড়ে থাকি আর আমাদের মুসলমান বোনেরা পাইকারী দরে ধর্ষিত হই। হিন্দুর দেশে নিরাপদে আর আমরা আমাদের নিজ ইসলাম জাহানে শহীদ হয়ে পড়ে থাকি রস্তা ঘাটে। ==================================================
ধূতি পড়া অবস্থায় কোনো পুরুষ দেখলে আমাদের মেয়েদের একটা লোভ চলে আসে। হিন্দুদের কামশাস্ত্র সাহিত্যধারার প্রাচীনতম ও সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ কামসূত্রের কথা মনে পড়ে। সেদিন এক হিন্দু বান্ধবীর বিয়েতে দেখলাম তার 'বর' ধূতি পড়েছে। একদম পিওর ও প্রকৃতিক ফিলিংস হলো। আমাদের খুব আসক্তি হয়, লোভ জাগে। আবেগ আর ধরে না রাখতে পেরে পোস্টটা করলাম, তোমাদের সাথে কথাটা শেরার করতে পেরে মনটা অনেক হালকা হলো। হিন্দুদের প্রতিটা অনুষ্ঠান আমাদের প্রত্যেকটা মেয়েদের কাছে এতো আকর্ষণ, কি আর বলবো। তাদের এই সকল অনুষ্ঠান থেকে,আমরা মুসলমান মেয়েরা বঞ্চিত তাই পহেলা বৈশাখ, বসন্ত উৎসব, বর্ষাবরণ, শরৎ উৎসব ইত্যাদি অনুষ্ঠানে শত বাঁধা-বিপত্তি ঝাঁটিয়ে বিদায় করে হুমড়ি খেয়ে অংশগ্রহন করি। ধূতি পড়লে ছেলেদের চরম লাগে। ছেলেদের ধূতি পড়াতে, মেয়েদের আবেগ ৯৮% আকৃষ্ট করে। প্যান্ট,লুঙ্গি,পায়জামা ইত্যাদি পোশাক ফার্মের মুরগীর মত লাগে। বড্ড ফেইক মনে হয়। ==================================================

ধূতি পড়া অবস্থায় কোনো পুরুষ দেখলে আমাদের মেয়েদের একটা লোভ চলে আসে। হিন্দুদের কামশাস্ত্র সাহিত্যধারার প্রাচীনতম ও সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ কামসূত্রের কথা মনে পড়ে। সেদিন এক হিন্দু বান্ধবীর বিয়েতে দেখলাম তার 'বর' ধূতি পড়েছে। একদম পিওর ও প্রকৃতিক ফিল হলো। আমাদের খুব আসক্তি হয়, লোভ জাগে। আবেগ আর ধরে না রাখতে পেরে পোস্টটা করলাম, তোমাদের সাথে কথাটা শেরার করতে পেরে মনটা অনেক হালকা হলো। হিন্দুদের প্রতিটা অনুষ্টান আমাদের প্রত্যেকটা মেয়েদের কাছে এতো আকর্ষণ, কি আর বলবো। আমরা মুসলমান মেয়েরা বঞ্চিত তাই পহেলা বৈশাখ, বসন্ত উৎসব, বর্ষাবরণ, শরৎ উৎসব ইত্যাদি অনুষ্ঠানে হুমড়ি খেয়ে অংশগ্রহন করি। ধূতি পড়লে ছেলেদের চরম লাগে। ==================================================
আমরা মুসলমান নারীরা হিন্দু পুরুষদের ধরে ধরে ধর্ষণ করার হুমকি দিলাম! তারপর ঐ ধর্ষণ করার ভিডিও You Tube -এ পাঠানো হবে। মুসলমান মেয়েদের হাতে হিন্দু পুরুষ ধর্ষণ --এই ভিডিও দেখে হিন্দু নারীরা যখন দলে দলে আত্মহত্যা করেবে তখন আমরা মুসলমান মেয়েরা আনন্দ করবো। আমরা মুসলমান মেয়ে বলে, হিন্দু ছেলেরা, আমাদের মুসলমান মেয়েদের সাথে সম্পর্কে করে না তার উপর চোখের সামনে যখন দেখতে পাই হিন্দু মেয়েদের হিন্দু পুরুষের প্রতি এতো স্বামীভক্তি তখন আমাদের মুসলমান মেয়েদের সারা শরীর হিংসার বিষে নীল হয়ে যায়। ওয়াক থু! আমরা মুসলমান মেয়েরা নিকাহ্ করার এক সপ্তাহের মধ্যেই, কেমন যেন একটা অরুচি চলে আসে মুসলমান ছেলেদের প্রতি। তিন মাসের মধ্যে সংসারে অশান্তি শুরু, তারপর চারমাসের মধ্যে তালাক দেওয়ার প্রবনতা কিন্তু চোখের সামনে হিন্দু নারীদের হিন্দু ছেলেদের প্রতি এমন স্বামীভক্তি দেখে আমাদের মুসলমান মেয়েদের মাথায় আগুন ধরে যায়। দৈনিক খবরের কাগজের পাতা খোলার সাথে সাথেই চোখে পড়বে --ধর্ষণ! ধর্ষণ! ধর্ষণ! মুসলমান মেয়েদের হাতে হিন্দু পুরুষ ধর্ষণ ও সেই ধর্ষণের ভিডিও You Tube তে ছাড়া হয়েছে। হা হা হা...! একসময় সত্যই তা ঘটবে। ঐ মালুর বৌ, ডেডাইয়ার বৌ সাবধান, বেশী স্বামীভক্তি দেখাইবি তো তোর জামাইরে আমরা মুসলমান মেয়েরা মিলে ধর্ষণ করমু। ==================================================
তোমাদের কে বলছি:-হিন্দুরা আমাদের মুসলমানদের যে কোন সময় শেষ করে দেবার ক্ষমতা রাখে। সাবধান। খৃষ্টান-ইহুদি সবাই আমাদেরকে কুত্তার মত গুলি করে মারছে। খৃষ্টানরা আমাদের নবী মুহাম্মাদ নিয়া অশ্লিল পর্নো ছবিকেও হার মানায় এমন জঘন্য ছবি বানায়, পবিত্র কোরআন শরীফ প্রকাশ্যে আগুনে পুড়ায়। কুত্তার বাচ্চা খৃষ্টানরা আমাদের নবী মুহাম্মদের নামে প্রস্রাব করে। শুয়রের বাচ্চা খৃষ্টান, আমাদের পবিত্র কোরআন শরীফের বইয়ের পাতা টয়লেট পেপার হিসাবে ব্যবহার করে। মুসলমান মেয়েদের পইকারীদরে ধর্ষণ করে। খৃষ্টানরা সারা দুনিয়ার মুসলমানদের উপর এত অত্যাচার করার পরেও এরা রাজার হালে আমাগোর বাংলাদেশে ঘুরে বেড়ায় এবং মুসলমানেরা মাদ্রাসতে পড়তে ঘৃণা করে স্কুলকলেজবিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে সর্বোচ্চ সম্মান বোধ করে। কিন্তু হিন্দুরা তাদের রাষ্ট্রে আমাদের আশ্রয় দিয়েছে। বাংলাদেশ পাকিস্তান থেকে হিন্দু বণ্যার পানির মত চলে যায়। কিন্তু হিন্দুদের রাষ্ট্র থেকে আমরা মুসলমানরা এক পা ও বের হই না। হিন্দুরা যদি চায় এই মুহূর্তে আমাদের সব মুসলমান মেরে ফেলবার ক্ষমতা রাখে, মেরে ফেলতে বেশী পরিশ্রম করা লাগবে না এদের। হিন্দুদের আশ্রয়ে থেকে, এদের নিরাপদ খাদ্য খেয়ে, এদের বাতাস, পানি, পর্বত, গাছপালা সব কিছু গ্রহন করে, ইসলাম পালন, মসজিদ, মাদ্রাস ও গরুর গোস্ত খাওয়া সহ বেঁচে আছি সুখে। আমাদের ইসলাম জাহানের দিকে একবার তাকান তো, সেখানে আমরা মরে পড়ে আছি দুঃখে। ==================================================
আমাদের ইসলাম, ইমান ও আমরা মুসলমান...! বাংলাদেশের আকাশে বাতাসে এত জীনা ও ব্যভিচার। দুর্ধর্ষ লুটতরাজ এবং সীমাহীন দুর্নীতি। ট্রাফিক জ্যাম, লোডশেডিং, দ্রব্যমূল্যের উদ্ধগতি ইত্যাদি আমরা বাংলাদেশের মুসলমানেরা এত দুর্ভাগা হওয়া স্বত্ত্বেও। ইসলাম জাহানে গিয়ে আমাদের জীবন ধারণ পরিচালনা করতে ঘৃণা করি। আল্লার বাণী বা ইসলামী সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করতে শহীদ হওয়ার প্রতিযোগীর দৌড়ে নাম লেখানোর কথা শুনলেই আমরা ভেড়া হয়ে যাই। হিন্দুর নিরাপদ খাদ্য খেয়ে বেঁচে আছি এবং শাহাদত কবুল না করে বির্ধমীর গোলামি করছি। মুমিন মুসলমানদের বলছি --আপনার আম্মা যদি বেঁচে থাকেন, যদি আপনার নিকা করা বিবি থাকেন, যদি আপনার কন্যা সন্তান থাকে, যদি আপনার বোন থাকে, তাদের গিয়ে জিজ্ঞাসা করুন -- তারা কি ইসলাম জাহান আফগান, পাকিস্তান, সৌদি, ইরান, ইরাক, সিরিয়া গিয়ে তাদের জীবন ধারণ করতে রাজি কিনা? তাদের কে যদি আফগান, পাকিস্তান, সিরিয়া ইত্যাদি ইসলাম জাহানে নিয়ে ছেঁড়ে দিয়ে আসা হয় তাহলে আমি নিশ্চিত --তারা আত্মহত্য করবে তবুও ইসলাম জাহানে গিয়ে জীবন ধারন করবে না, কিন্তু বাংলাদেশের আকাশে বাতাসে জীনা ও ব্যভিচার! আমরা মুসলমানেরা ইসলমা কত ঘৃণা করি, তাই না? কিন্তু অদ্ভূত ইসলামকে ঘৃণা করবার জন্য হিন্দু বিধর্মীরা কিন্তু আমাদের জোড় করছে না, আমরা মুসলমানেরা আমাদের নিজেদের ইচ্ছাতেই ইসলাম ঘৃণা করি। শাহাদত কবুল করার কথা শুনলেই আমাদের মুসলমানদের টয়লেট পায়। ==================================================
যুক্তি কে যুক্তি দিয়ে মোকাবেলা করতে শিখুন, গালাগাল দিয়ে না। বিজ্ঞান, যুক্তি-তর্ক, সত্যের আলো, বাস্তাবতা এগুলার সামানে আপনার ইমান ধ্বংশ হবেই তাই বলে গালাগাল দেওয়াতে আপনার নিজের পরাজয়টা স্পষ্ট থেকে আরো স্পষ্টতর করে তোলে। তাই আপনাদের বলছি- ইমান আর বিজ্ঞান এক না এবং সত্য আর মিথ্যা এই দুয়ের মধ্যে পার্থক্য আছে। যদি পুরুষের যৌনাঙ্গ লম্বা মোটা ইত্যাদির সাহায্যেই আমরা মেয়েরা সুখী হতাম তাইলে ইসলাম গ্রহন করার জন্য আমাদের ফতুয়া দেয়ার প্রয়োজন হত না, ঐ লম্বা মোটা যৌনাঙ্গের লোভেই আমার নারীরা নিজের ইচ্ছাতেই ইসলাম গ্রহন করতাম কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন --শক্তি প্রয়োগ ছাড়া নিজেদের ইচ্ছাশক্তিতে কখনও মেয়েরা ইসলামের আচরনীতি পালন করে না। আমাদের মুসলমান মেয়েদের অন্য ধর্মের ছেলেদের সাথে সম্পর্ক না গড়ার জন্য আমাদের মুসলমান মেয়েদের উপর কঠোর নিদের্শ রয়েছে যদি সম্পর্ক গড়ি তাহলে শাস্তি -মৃত্যুদন্ড। হে ভাল কথা, আশা করি না আপনার যৌনাঙ্গ একটা কুকুরের যৌনাঙ্গ অথবা হাতির যৌনাঙ্গ চেয়ে বড় ও মোটা। যদি বৃহৎ যৌনাঙ্গই মেয়েদের সুখী করতে পারতো তাহলে ঐ হাতীর সাথেই নারীরা অর্থাৎ আপনার আম্মা, বোন, কন্যা সেক্স করতো। আর হিন্দুরা সঙ্গীত, ছবি আকা, মূর্তী গড়া, ফুল, প্রদীপ ইত্যাদি চারুকলার চর্চা না করে তাদের যৌনাঙ্গ হাতীর মত লম্বা ও মোটা করতো --নারীদের খুশী করবার জন্য। সত্যকে গ্রহন করুন। বাস্তবতা মেনে নিন। মনে রাখবেন আপনার আম্মা, মেয়ে, বোন তারাও কিন্তু নারী। আপনার আব্বা নিশ্চই একধিকবার নিকাহ্ করেছেন। আপনার আম্মার মনে হয় একাধিক বার নিকাহ্ হয়েছে। এখন বলুন তো কেন? কি জবাব দিবেন? হিন্দু মেয়েরা এতো স্বামী ভক্তি হয় কেন অর্থাৎ হিন্দু পুরুষের বৌ? কোন হিন্দু মেয়েটা মুসলমান ছেলের সাথে পালিয়ে এসে আজীবন সংসার করেছে, একবার বলবেন কি? কিন্তু আমাদের সমাজের অনেক মুসলমা পরিবারের মেয়ে আছে যারা হিন্দু ছেলের সাথে আজীবন সংসার করে চলেছে স্বগৌরবে ও তৃপ্তি সহকারে। আমাদের মুসলমানদের সংসার টিকে না কেন? সত্য, বাস্তাব, বিজ্ঞানের আলো, যুক্তি-তর্ক এগুলো দ্বারা আপনার ইমান তাসের দেশের মত ধসে যাবে। সাবধান কিন্তু! আপনাদেরকে বলছি Be careful শহীদ হয়ে যাবেন কিন্তু, একেবারে সরাসরি বেহেস্তে চলে যাবেন। ইসলাম জাহানের রাষ্ট্রসমূহের দিকে তাকিয়ে দেখুন তো একবার। প্রতি মিনিটে মিনিটে আপনার মতই আমাদের মুসলমান ভাইয়েরা শহীদ হচ্ছেন। নিজের ওজন মাপতে শিখুন। ==================================================
আমাদের মুসলিমদের কিসমত "লেজে-গোবরে" একাকার! আমরা জাতীয় কবি মোহাম্মদ কাজী নজরুল ইসলামকে চাই আবার বিশ্ব কবি শ্রী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকেও চাই। আমরা শাস্ত্রীয় সঙ্গীত, পহেলা বৈশাখ, একুশে ফেব্রুয়ারি, বসন্ত উৎসব, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা, চারুকলার শিক্ষা ইত্যাদি বাংলা ও বাঙ্গালি সংস্কৃতি চাই আবার "ইসলামও" চাই অর্থাৎ আমরা সোনার বাংলা চাই আবার আফগানিস্তানও চাই। আমরা বাংলা ভাষা রক্ষার্তে "ভাষা আন্দোলন" করি আবার আমাদের নিজ ও নিজো সন্তানদের নাম "আরবি-ফারসি" ইসলামিক নাম রাখি। আমরা হিজাব চাই আবার শাড়িও চাই অথবা কন্যার আম্মা হিজাব পড়ে কিন্তু কন্যা শাড়ি পড়ে। হিজাব পরিধেয় আম্মাকে ইসলামিক মাইনডেড পুরুষেরা ভালোবাসবেন আর শাড়ি পরিধেয় কন্যাকে হিন্দুত্ববাদি/বাঙ্গালি মাইনডেড পুরুষেরা ভালোবাসবেন। আমরা গরুর মাংস খাই/চাই আবার গরুর দুধও চাই/খাই। ভারতীয় বাংলা চ্যানেলের সিরিয়ালগুলো এবং সে সকল চ্যানেলের পুরুষদের বাচন/কথন/উক্তি (চমৎকার ভাবে গুছিয়ে কথন), সঙ্গীত ইত্যাদি প্রতিটা বিষয়ের ব্যাপারে আমাদের ঘরের মেয়েদের ঘোর নেশা আবার আমাদের মুসলিম পুরুষদের ডঃ জাকের নায়েকের "পিস" টিভি সহ ইসলামিক চ্যানেল চাই এবং সেই সাথে ইন্ডিয়ান কমার্সিয়াল ফ্লিম তো রয়েছেই। আমরা মক্কা-মদিন চাই আবার সিঙ্গাপুর, হংকং,ব্যাংকোক, সুইজারল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও চাই। ছিঃছিঃছিঃ! ওয়াক, থু! ওয়াক, থু! ওয়াক, থু! ==================================================
[[মহান ইসলাম ধর্ম নিয়ে আমি সুখে আছি । আমাকে যদি একহাতে চাঁদ আর এক হাতে সূর্য এনে দিয়ে বলা হয় ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করতে আমি করবো না... আমি মহান ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করে ৩ বেলা চাইনিজ আর পোলাম কোর্মা খেতে যাবো না]] আমাদের মুসলমানের মধ্যে এই ধরণের ডায়লগ যারা দেন তাদেরকে বলছি:- আপনাকে কোন বিধর্মী টা বলেছে ইসলাম ত্যাগ করতে, একবার বলবেন কি? আপনার এই ধরনের ন্যাকা ন্যাকা কথা যদি কোন হিন্দু অথবা ইহুদি বলতো তাহলে তা মেনে নেওযা যেতো কেননা আমাদের চেষ্টাই থাকে তাদের ইসলামের পথে নিয়ে আসার জন্য। ইসলামের প্রধান দায়িত্বই হলো 'দীনের দাওয়াত' দেওয়া। বিধর্মীদের নিকট ইসলামের প্রচার ও প্রসার ঘটানো, আমরাই বিধর্মীদের (হিন্দু-ইহুদি-খৃষ্টান) সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাই ইসলামের দিকে নিয়ে আসার জন্য। ইসলাম বিশ্বে কখনো আপনি দেখতে পাবেন না যে, হিন্দুদের জন্য মন্দির, খৃষ্টানদের জন্য চার্চ অথবা ইহুদিদের জন্য তাদের ধর্মীয় চর্চার আয়োজন করতে। চাইনিজ আর পোলাও-কোর্মা খেতে আপনি আগ্রহী কি নাকি ইসলাম জাহানের খাদ্য "খাজুর" খেতে আগ্রহী সেটা আপনার ব্যাপার, তবে আমরা মুসলমানেরা কিন্তু বিধর্মীদের খদ্য খেয়ে, বিধর্মীদের আশ্রয়ে থেকে, বিধর্মীদের পানি পান করে, বিধর্মীদের হাওয়াতেই বেড়ে উঠছি এবং সেই সাথে বিধর্মীদের ইসলামের পথে নিয়ে আসবার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। অর্থাৎ বিধর্মীদের খেয়ে বিধর্মীদেরই সর্বনাশ করছি, তাই নয় কি? একটা বিষয় জানা প্রয়োজন আপনাদের। বিষয়টি হলো:- হিন্দুরা এবং ইহুদিরা কিন্তু ধর্মান্তর করে না। সুতরাং আপনাকে চাঁদে নিয়ে যাওয়া, ভাত-চাইনিচ ইত্যাদি খাবারের লোভ দেখেয়ি বিধর্মীরা আপনাকে ইসলাম ত্যাগ করতে বলবে-- এমন ধরণের ভয় থেকে আপনি সম্পূর্ণ মুক্ত। আরে মিয়া! হিন্দু যদি হওয়া-ই যেতো তাহলে ভারতবর্ষে ইসলাম অথবা খৃষ্টান বলে কিছু থাকতো না; হিন্দু হ‌ওয়া যায় না বলেই তো যত সমস্যা। দেখেতে কি পান না? ভারত নাকি কি সব ধর্মনিরপেক্ষতার দেশ। ==================================================

[[মনে রাখবেন অন্য মুসলিম কি করলো, অন্য মুসলিম রাষ্ট্র কি করলো তা দিয়ে মহান ইসলাম ধর্মের বিচার করা যাবে না। আমাকে দেখতে হবে কোরআন আর সুন্নাহ্ আমাকে কি শিক্ষা দিলো, মনে রাখবেন একমাত্র ইসলাম ধর্মই শান্তির ধর্ম ,ইসলাম মানবতার ধর্ম]] আমাদের মুসলমানের মধ্যে এই ধরণের ডায়লগ যারা দেন তাদেরকে বলছি:- এটা কি ধরণের কথা কইলেন মিয়া ভাইয়েরা? অন্য মুসলিম কি করলো মানে? এর অর্থ কি? আরে মিয়া, মাথায় কিছু আছে? যেখানে ইসলামের জন্ম, যারা আমাদের কাছে ইসলাম নিয়ে এসেছে, তাদের আচরণ যদি ধ্বংসাত্মক হয়, খোদ ইসলাম জাহানে আমাগো মুসলমান ভাইয়েরা নিরাপদ না; কিন্তু বিধর্মীদের রাষ্ট্রে আমরা সবচেয়ে নিরাপত্তা পাই - তাহলে আমরা তো সেখানে কিছুই না, আমরা তো সেখানে আতী নগন্য। আমাদের কথা কে শুনবে বলুন? সেই আরব থেকে ইসলাম এসে আমাদেরকে আমাদের পূর্বপুরুষদের ধর্ম ত্যাগ করতে বলল, তখন আমরা "কোরান-সূন্নাহ্,আরবী-ফারসী" কিছুই জানি না, কেবল জানি ইসলামের হাতে তরবারি, তারাতারি যে যেভাবে পেরেছে আমাদের পূর্ব পুরুষরা তরবারির ভয়ে ইসলামের কাতারে (লাইনে) দাড়িয়েছে। আমাদের দেশে এখনো একটা কথা প্রচলন আছে শুনে থাকবেন নিশ্চই "হু..ই...ন...না মুসলামান" আপনার কথা শুনে মনে হলো, ভারতবর্ষ থেকে ইসলাম আরববিশ্বে গেছে; আরববিশ্ব থেকে ভারতবর্ষে আসে নাই। আপনার কথা শুনে যে কেও-ই মনে করবেন, ভারতবর্ষই হলো ইসলামে জনক। আপনারা মিয়া একটা চরম বিনোদন।
==================================================
[[আপনি যখন তরুন তখন আপনি প্রচুর নারীদের সাথে অবাদে মেলেমেশা করেছেন, লুটতরাজ, চুরি ইত্যাদি কাজে লিপ্ত ছিলেন। এখন আপনি তওবা করে ইসলামের পথে ফিরে এসেছেন।]] আমাদের মুসলমানের মধ্যে এই ধরণের ডায়লগ যারা দেন তাদেরকে বলছি:- বাহা! কত চমৎকার। সারা জীবন আপনি খুন, ধর্ষণ, লুটতরাজ ইত্যাদি কাজ করতে করতে জীবনের এই শেষ সময়ে এসে তওবা করে নিজেকে শুদ্ধ করে নিয়েছেন। এ কেমন নীতি? আপনি কি জানানে এ ধরণের নিময়-নীতি রাষ্ট্রদর্শনের ভাষায় কত ভয়ানক! কত নিঃকৃষ্ট। কত হীন! কত ঘৃন্য! কিসের তওবা, আপনাকে এই আধিকার কে দিলো? কার কাছে তওবা করেছেন আপনি? আপনি সমাজ রাষ্ট্রের যে সর্বনাশ করেছেন আপনার ঐ তওবানীতির মাধ্যমে সেই সর্বনাশ কিসেতে পূরন হবে? আহাম্মাক কোনখানকার...! এই সকল তওবানীতি পরিবার, সমাজ তথা রাষ্ট্রকে সন্ত্রাসবাদ ও অকার্যকর করে তুলবে। যৌবনে যখন শক্তি থাকবে তখন ফূর্তি, ধর্ষন, লুটতরাজ করে যাবেন তারপর এক সময় তওবা করে মাফ চেযে নেবেন বাহঃ-- এই ধরণের নিয়মনীতির মাধ্যমে সমাজ রসাতলে যাবে! নতুন প্রজন্ম সন্ত্রাসী কাজে উৎসাহ পাবে; কেননা যত ধর্ষন, লুটতরাজ, খুন ইত্যাদিই করি না কেন এক সময় তওবার মাধ্যমে তো মাফই পাওয়া যায়। ছিঃ ছিঃ ছিঃ...! ভুল নীতির বিনাশ নিশ্চিত। চারপাশ তাকিয়ে দেখুন, নিজের ওজন মাপতে শিখুন। আমরা মুসলিম রাস্তাঘাটে মরে পড়ে থাকি, এবং আমরা তা নিজেরাই নিজেদেরকে হত্যা করছি। ==================================================
তাহলে কি ইসলামে এমন প্রযুক্তি ও বাহুবল লুকিয়ে আছে,যে বাহুবলের নিকট পৃথিবীর সকল ধনী রাষ্ট্রের মারণাস্ত্র, বোমা, অস্ত্রসম্ভার, ব্যবসা বাণিজ্য প্রভৃতি মার খাবে এক ম্যাজিকের মতো ? আরবী-ফারসী নাম ব্যবহৃত ছাড়া আর কিভাবে ইসলাম রয়েছে আমাদের ভিতর বলুন তো একবার।
==================================================
ইসলামের নীতিবল যদি বোমা ও বুলেটের চেয়ে শক্তিশালী হতে হয় তবে তাও প্রমাণ করতে হবে কাজে কর্মে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে নীতিবলকে কার্যকরী করতে হলে “শক্তি” ছাড়া কোন আদেশ কার্যকরী হয় না। অর্থাৎ আপনাকে আপনার পরিবারের মধ্যে ইসলামের চর্চা শুরু করতে হলে তাদের বিরুদ্ধে তরবারি নিতে হয়। ভালবেসে নিজের ইচ্ছেশক্তির জোড়ে পরিবারের কেও কিন্তু ইসলাম চর্চা করে না, তাই নয় কি? জোর করা বা চাপিয় দিয়ে মনের বিরদ্ধে কতদিন টিকে থাকা যায়, একবার বলুন তো! আপনি যখন বৃদ্ধ হয়ে যাবেন, আপনার কন্যা সন্তান তখন যৌবনে পদার্পণ করবেন -- বৃদ্ধ পিতার হাতে তরবারি দেখে সেই কন্যা সন্তান 'অগ্নিকন্যা' হয়ে আপনাকে আপনার তররারি সমেত চিরতরে উপড়ে ফেলবে, তাই নয় কি? ==================================================
মুসলমান রাষ্ট্রে আমাদের চরিত্র অমুসলিমদের চেয়ে ও খারাপ, কিংবা কোরআনের ভাষা অনুযায়ী মুসলিম রাষ্ট্রের সরকার বা কর্ণধার প্রকৃত মুসলিম আদর্শের অনুসারী নয়, এই ঝগড়া তর্ক করে আমরা অমুসলিমদের কিছুতেই বুঝাতে পারবো না যে, ইসলামী আর্দেশর নীতি থেকে বিচ্যুতি হওয়ার কারণেই আজকের বিশ্ব-মুসলিমদের অবস্থা এই চরমে। এখন স্বাভাবিক প্রশ্ন আসতে্ পারে ইসলাম অকার্যকর বলেই ইসলাম থেকে মুসলিমদের বিচ্যুতি ঘটেছে, সেক্ষেত্রে আপনার এ বক্তব্য [[এক মাত্র কুরআন সমস্ত মানব জাতির জন্য এবং সর্ব শেষ ধর্ম গ্রন্থ।]] কি দিয়ে জোড়া তালি দিবেন বলুন তো একবার। আমরা আমেরিকার স্বপ্ন দেখি, আধুনিক ইওরোপ রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখি, আগামী বিশ্বের পরিচালক 'ভারত-চীনের' কর্ম কান্ড নিয়ে ভেবে সময় পার করি কিন্তু আফগান, পাকিস্তান, ইরান, ইরাক, সুদান, বাহারাইন, সৌদির মক্কা-মদিনা নিয়ে কি কেও স্বপ্ন দেখি? ==================================================

বিশ্বের অমুসলিমরা বিশেষ করে ভারত, ইউরোপ, আমেরিকা, ক্যানাডা, সাউথ আফ্রিকা, দক্ষিণ আমেরিকা ইত্যাদি দেশের সরকারগুলো যদি মুসলামানদের ঘৃণা বা অপছন্দ করে থাকে তাহলে তাদের দেশে স্থানে স্থানে মসজিদ, মাদ্রাসা ইত্যাদি নির্মাণ করার জন্য উদার ভাবে অনুমতি দেয় কেমনে ? ইসলামিক রাষ্ট্রসমূহে কি গীর্জা কিংবা হিন্দু মন্দির ইত্যাদি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব, অথবা কোরআন সূন্নাহ্ কি তা মেনে নেবে, যদি না নেয়, তাহলে আপনার ঐ বক্তব্য [[আমি বিশ্বাস করি সব ধর্ম গ্রন্থ আল্লাহ পাঠিয়েছে রাসুলদের মাধ্যমে তাদের গোত্রের নির্দেশিকা সরুপ।]] কোন যুক্তি দিয়ে জোড়া তালি দিবেন? ==================================================
[[উদাহারন হিসেবে বলতে পারি ১৯৪৭ সালে ভারতে মুছলমানের সংখ্যা ছিল শতকরা ২১ ভাগ, ২০১২ সালে শতকরা ৩২ ভাগ। বাংলাদেশে ১৯৭১ সালে শতকরা ৮৫ ভাগ মুছলমান,২০১২ মুছলমানের সংখ্যা শতকরা ৯০ ভাগ। এই ভাবে পৃথিবীর সকল দেশেই বাড়ছে।]] আমাদের মুসলমানের মধ্যে এই ধরণের ডায়লগ যারা দেন তাদেরকে বলছি:- আপনি আসলে বোকা না আপনি হলেন একটা আহাম্মক। স্বল্প বুদ্ধি সম্পন্ন একজন। আপনার এই উদাহরন কোনো অমুসলিমদের শুনাইয়েন না -- আপনার জাত চিনে ফেলবে এরা, প্রশ্নের উত্তার না দিয়ে ঐ অমুসলিমরা ইসলামকে নিয়ে মজা করবে, মুচকি মুচকি হাসবে। গিনিপোকের মত খালি বাচ্চা পয়দা করে সেই বাচ্ছার নাম আরবী-ফারসী অক্ষরে রেখে ইসলামের প্রসার ঘটিয়ে চলছি এবং আমাদের মুসলামন বাচ্চারা-ই ইসলামের শত্রু হয়ে চলছে -প্রকাশ্যে। মসলমান মেয়েটি তার মুসলমান পিতাকে জবাই করে; মুসলমান বোন তার মুসলমান স্বামী-কে হত্যা করে। চারপাশ তাকিকে দেখুন, আমরা নিজেরাই নিজেদেরকে মারছি। এবং নিজের ওজন মাপতে শিখুন। হে ভাল কথা, আপনার একটা বিষয় জানা প্রয়োজন। হিন্দুরা ধর্মান্তর করে না। হিন্দুদের পরিবারের সন্তান জন্মদানের মধ্য দিয়েই এদের ধর্মে প্রবেশ করা যায়। ভারত কেবল ইসলামকে না, সকল ধর্ম কে আশ্রয় দেয়। এটা যতটা না সরল উদ্দেশ্য তার থেকে রাজনৈতিক কৌশল। আপনি জেনে থাকবেন নিশ্চই, পৃথিবীর কূট-বুদ্ধি সম্পন্ন শ্রেষ্ঠ মেধামী পুরুষ যদি কেও থেকে থাকে তাহলে ঐ হিন্দু পুরুষের মাথায়ই তা রয়েছে। আল্লহ্ হিন্দু পুরুষদের উন্নত জাতের মাথা দিছে।
==================================================
বিশ্বে এমন কোন মুসলিম দেশ বিগত কয়েক শতাব্দিতে এমন ভাবে গড়ে উঠেনি, যেটা অমুসলিমদের চোখে একটা মডেল বা আদর্শ হয়ে আছে। আজকের মধ্যপ্রাচ্যে যে সমস্ত দেশগুলো গায়েবী খনিজ সম্পদে ধনী হয়েছে বলে গর্ব করে, তাদের মধ্যেও বহু আদর্শ নেই। তাদের ধনী হওয়ার পেছনে পাশ্চাত্যের বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তি ব্যতীত অন্য কোন প্রযুক্তির অবদান নেই। ইসলাম শুধু পরকালের বাণী নিয়েই আছে, তাই নয় কি ?
==================================================
ইহুদি খৃষ্টানরাই কি দাজ্জাল? যদি তাই হয়, তাইলে Nobel Prize, ক্রিকেট খেলা (আজকাল মুসলমান মহিলারাও খেলে), বিধর্মীদের শিক্ষালয় স্কুলকলেজবিশ্ববিদ্যালয়, ইন্টারনেট, রেডিও, টিভি ইত্যাদি বিধর্মীদের, যাদের কে দাজ্জাল বলা হয়, তাদের জিনিষগুলো আমাদের কাছে এত সম্মানের কেন? Nobel Prize পেলে অথবা ক্রিকেট খেলাতে জিততে পারলে অথবা স্কুলকলেজবিশ্ববিদ্যালয় থেকে এ+ পেতে পারলে আমাদের এত আনন্দ হয়, যেন আমরা ইসলাম কায়েম কইরা ফালাইছি। কথায় কথায় আমরা কই, আল্লাহ্! আমার মেয়েটা যেনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হইতে পারে, Nobel Prize পায় হা হা হা...! এ আবার কোন তরীকা? দাজ্জালের পায়ের কাছে মাথা নুয়াবার লাইগা আমরা আল্লাহ্ এর কাছে প্রার্থনা করি! হা হা হা...!

আমাগো মুসলমান ছেড়াগো এক্কেবারে ‘এতিমের চাইতেও খারপ অবস্থা”

আমাগো মুসলমান ছেড়াগো এক্কেবারে ‘এতিমের চাইতেও খারপ অবস্থা”। আমরা যারা বিধর্মীদের শিক্ষালয় স্কুলকলেজবিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করি, সাধারণত কেমন পুরুষ পছন্দ করি। আমাদের মুসলমান ছেড়ারা সেটার যাচাই-বাছাই না করে, আমাদের মুসলমান মেয়েদের পাশে এসে বসতে চায়; খালি ফোন নাম্বার চায়। মেয়েদের তৃপ্তি দেওয়া কি এতই সহজ, এই বিষয়টা ১০০% মেয়েদের মনের উপর নির্ভরশীল অর্থাৎ ঐ মেয়েটা কি পছন্দ করে ইত্যাদি। ইসলামিক শিক্ষালয় মাদ্রাস পড়ুয়া অথবা ইসলামিক কালচার অনুশারী আমাদের মুসলমান ছেলেরা বিধর্মীদের শিক্ষালয় স্কুলকলেজবিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া মুসলমান মেয়েদের সাথে বন্ধুত্ব করার জন্য তাদের আপ্রান চেষ্টা থাকে (ফোন নাম্বার চায়) –এর ফলে ঐ সকল মেয়েদের জীবন ধ্বংস হয়; পাইকারী দরে ‘তালাকের চুক্তি’ স্বাক্ষর হয়। মেয়েদের তৃপ্তির বিষয়টা ১০০% তার মনের উপর নির্ভরশীল। মেয়ে যদি চারুকলা (হিন্দুদের মত ছবি, মূর্তি, পেইন্টিং ইত্যাদি), ফুল, পহেলা বৈশাখ, বসন্ত উৎসব, একুশে ফেব্রুয়ারী, সঙ্গীত, বিধর্মীদের শিক্ষালয় স্কুলকলেজবিশ্ববিদ্যালয়, ইউরোপ দেশে ভ্রমন ও বসবাস, হিন্দু বাবুদের মত ক্লিন সেভার অথবা হিন্দু ঋষিদের মত দাড়ি, চুল ও গোঁফ ইত্যাদি পছন্দ করে তাহলে অবশ্যই সেই মুসলমান ছেলেটিকে তার ব্যবস্থা করতে হবে তা নইলে “কুপা ছামছু, লাগা লাত্থি দে তালাক”। তাই সকল মুসলমান ভাইদের নিকট অনুরোধ করছি -আমাদের পায়ে আপনার মাথা ঠেকানোর আগে আপনার ওজন মাপতে শিখুন।আপনার যোগ্যতা আছে তো?

 Photo: আমাগো মুসলমান ছেড়াগো এক্কেবারে ‘এতিমের চাইতেও খারপ অবস্থা”। আমরা যারা বিধর্মীদের শিক্ষালয় স্কুলকলেজবিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করি, সাধারণত কেমন পুরুষ পছন্দ করি। আমাদের মুসলমান ছেড়ারা সেটার যাচাই-বাছাই না করে, আমাদের মুসলমান মেয়েদের পাশে এসে বসতে চায়; খালি ফোন নাম্বার চায়। মেয়েদের তৃপ্তি দেওয়া কি এতই সহজ, এই বিষয়টা ১০০% মেয়েদের মনের উপর নির্ভরশীল অর্থাৎ ঐ মেয়েটা কি পছন্দ করে ইত্যাদি। ইসলামিক শিক্ষালয় মাদ্রাস পড়ুয়া অথবা ইসলামিক কালচার অনুশারী আমাদের মুসলমান ছেলেরা বিধর্মীদের শিক্ষালয় স্কুলকলেজবিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া মুসলমান মেয়েদের সাথে বন্ধুত্ব করার জন্য তাদের আপ্রান চেষ্টা থাকে (ফোন নাম্বার চায়) –এর ফলে ঐ সকল মেয়েদের জীবন ধ্বংস হয়; পাইকারী দরে ‘তালাকের চুক্তি’ স্বাক্ষর হয়। মেয়েদের তৃপ্তির বিষয়টা ১০০% তার মনের উপর নির্ভরশীল। মেয়ে যদি চারুকলা (হিন্দুদের মত ছবি, মূর্তি, পেইন্টিং ইত্যাদি), ফুল, পহেলা বৈশাখ, বসন্ত উৎসব, একুশে ফেব্রুয়ারী, সঙ্গীত, বিধর্মীদের শিক্ষালয় স্কুলকলেজবিশ্ববিদ্যালয়, ইউরোপ দেশে ভ্রমন ও বসবাস, হিন্দু বাবুদের মত ক্লিন সেভার অথবা হিন্দু ঋষিদের মত দাড়ি, চুল ও গোঁফ ইত্যাদি পছন্দ করে তাহলে অবশ্যই সেই মুসলমান ছেলেটিকে তার ব্যবস্থা করতে হবে তা নইলে “কুপা ছামছু, লাগা লাত্থি দে তালাক”। তাই সকল মুসলমান ভাইদের নিকট অনুরোধ করছি -আমাদের পায়ে আপনার মাথা ঠেকানোর আগে আপনার ওজন মাপতে শিখুন।আপনার যোগ্যতা আছে তো?

"হিন্দুরা হিন্দু বানায় না। অর্থাৎ এরা কনভার্ট করে না।

"হিন্দুরা হিন্দু বানায় না। অর্থাৎ এরা কনভার্ট করে না। হিন্দু হওয়া সম্ভব না, যদিনা হিন্দুর ঘরে জন্ম হয়। একমাত্র হিন্দুর ঘরে জন্মানোর মাধ্যমেই হিন্দু হওয়া সম্ভব"। পক্ষান্তরে "ইসলাম কেও ত্যাগ করতে পারে না, কেও যদি ইসলাম ত্যাগ করে তাহলে তার শাস্তি মৃত্যু দন্ড"। পাডা-পুতার ঘষাঘষি মরিচের বেহাল দশা। দুইজনের মৌলবাদীত্ব দুই রকম। ইসলামের অবস্থা যদি দক্ষিন মেরুতে হয় তাহলে মালুদের (হিন্দু) অবস্থান উত্তর মেরুতে। হা!হা!হা!


Friday, July 5, 2013

যবে থেকে আমি এই ফেসবুকে এসেছি তবে থেকে দেখছি কিছু বাংলাদেশী নাগরিক ভারত বিরোধী প্রচারে ভীষণ ভাবে ব্যস্ত । তাদের বক্তব্য ঃ



১) ভারত নাকি স্বার্থপর দেশ তাই ভারতের প্রতিবেশীরা ভারতকে পছন্দ করে না !!!

২) ভারতের সংস্কৃতি একেবারে যাচ্ছেতাই , ভারতীয়রা নিজের সংস্কৃতি নাকি একেবারেই হারিয়ে ফেলেছে আর ভারতের সিনেমা , নাটক , টি.ভি. সিরিয়াল নাকি বাংলাদেশে অপসংস্কৃতি তৈরি করছে !!!

৩) ভারতের মেয়েরা নাকি বেশ্যা , তাঁরা নাকি একধিক পুরুষের প্রতি অনুরক্ত । এই কারনে নাকি
ভারতে এইডসের রুগির পরিমান বেশি !!!

৪) ভারত নাকি বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক ভাবে চাঙ্গা হতে দিচ্ছে না । বাংলাদেশের উন্নতির অন্তরায়
নাকি ভারত নামের এই দেশটি !!!

৫) ভারতের গৌরবের সময় ছিল নাকি মুসলমানদের আমলে ! তাই একদিন না একদিন ভারতে
নাকি আবার মুসলমান শ্বাসন প্রতিষ্ঠিত হবে ( ইনশাআল্লাহ ) !!!

৬) ভারত নাকি ইন্দো-বাংলাদেশ বর্ডারে প্রচুর পরিমানে বাংলাদেশী মানুষ খুন করছে !!!

৭) ভারত নাকি ইচ্ছেকরে বাংলাদেশে মাদক পাচার করছে যাতে করে বাংলাদেশী যুবকেরা ধংসের
দিকে ধাবিত হয় !!!

8) ইসরাইল যেমন প্যালেস্টাইনের শত্রু তেমনই নাকি ভারতও বাংলাদেশের শত্রু !!!

৯) ভারত নাকি ঘোরতর ইসলাম বিরোধী !!!

১০) ভারত বাংলাদেশকে নাকি মরুভুমি করে দেওয়ার প্ল্যান করেছে কারন ভারত বিভিন্ন ড্যাম
বসিয়েছে ইন্দো বাংলা বর্ডারে !!!

১১) ভারত নাকি বাংলাদেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রন করছে কারন বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যাঙ্কে
নাকি বাংলাদেশী হিন্দুরা বসে আছে উচ্চ আধিকারিকদের পদে ( যেহেতু হিন্দু মানেই ভারতীয়
দালাল বা ভাদা ) !!!

১২) ভারত নাকি ( অখন্ড ভারত ) হওয়ার দিকেই এগোচ্ছে এবং অদূর ভবিশ্যতে নাকি
বাংলাদেশকে নিজের অঙ্গরাজ্য করার কথাই ভাবছে !!!

১৩) ৭১এর বাংলাদেশের স্বাধিনতার লড়াইতে নাকি ভারতের নাক গলানোটা নাকি নিছকই
ব্যক্তিগত স্বার্থে ! পাকিস্তানের সাথে বিরোধিতাই নাকি মূল কারণ !!!

১৪) ভারতের বাঙ্গালীরা নাকি হিন্দিভাষী ভারতীয়দের পা চাটা কুকুরের মতন ! ভারতীয় বাঙ্গালিদের নাকি ভারতে কোন সম্মানই নেই !

এবার আপনারাই বলুন আমাদের কি বলা উচিত এবং কি করা উচিত ? কারন আমরা ভারতীয় এবং ভারতকে রক্ষা করাই আমাদের প্রথম এবং প্রধান ধর্ম । যে দেশটা আমাদের
আসলেই কোন কাজে লাগে না , যে দেশটার জন্য আজ আমাদের দেশ অত্যাধিক জনসংখ্যায়
ভুগছে , যে দেশটার কারনে আজ আমাদের দেশ নতুন করে সন্ত্রাসী হামলার মুখোমুখি হছে , যে দেশটার কারনে আমরা আসল ভারতীয়রা নিজের জায়গা , জমি , কাজ , অন্ন সব হারাতে বসেছি , যে দেশটার মানুষ ক্রমাগত আমাদের দেশকে অহেতুক আক্রমন করে চলেছে ! এবার বলুন এদের সাথে আমাদের কিরকম ব্যবহার করা উচিত ?



এই  ফেইসবুক  গ্রুপ থেকে এই তথ্য নেওয়া হয়েছে  http://www.facebook.com/groups/indiabangladesh/

Wednesday, July 3, 2013

বাঙালী ফেসবুকার হিন্দু



ফেসবুকে প্রোফাইল ইনফোর 'Religious Views' এর কলামটা বড়ই বিচিত্র জিনিস। এই কলামের ক্ষেত্রেই সর্বাধিক বৈচিত্র দেখা যায়। একজন হিন্দুর স্বাভাবিক ভাবেই এই কলামে হিন্দু, হিন্দুইজম, বা সনাতন লেখা থাকার কথা। কিন্তু বাস্তব উল্টো। আমাদের বহু প্রচার সত্বেও আজও বহু হিন্দুই তাদের প্রফাইলে হিন্দু লেখেনা। অনেকে সরাসরি atheist, humanist ইত্যাদি লিখে মহা উদার সাজেন। আর বাকিরা থাকেন একটু চুপেসারে। এনারা হলেন মাঝামাঝি ঝুলে পড়া ব্যক্তি। লাফ দিতেও ভয় করে, আবার ওঠারও ক্ষমতা নেই। এনারা মূলত যা লেখেন-
1) secular hindu
2) hindu, but respect all religions
3) hindu by born, but i'm not interested about it.
4) hindu but liberal
ইত্যাদি।
তা দেখে নেওয়া যাক এগুলো কতটা যুক্তি সঙ্গত।
1)প্রথম কথা সেকুলার হিন্দু মানে কি? সেকুলার মানে হল ইহজাগতিক। কিন্তু হিন্দু ধর্ম এই ধরনের সীমাবদ্ধতায় বিশ্বাস করেনা। ধর্মের প্রয়োগ জীবনের প্রতি পদে। ধর্মই মানুষকে ধারন করে। ধর্মকে বাদ দিয়ে ভারতে কিছুই সম্ভব নয়। ধর্মকে ভুলে যাওয়াই হিন্দুর অবক্ষয়ের মূল কারন। ফলে সেকুলার হিন্দু কথাটাই স্ববিরোধি।
.
2)দ্বিতীয় কথাটি আরো অদ্ভুত। আপনি হিন্দু ঠিক আছে। কিন্তু আপনি তা সত্বেও অন্য সমস্ত ধর্মকে সম্মান করেন, এটা কি না বললে জানা যায়না? আমরা অন্য ধর্মকে শুধু সহ্যই করিনা, তাকে আশ্রয়ও দিই। শুধু তাই নয় আমরা পৃথিবীর সমস্ত ধর্মকেই সত্য মনে করি। হিন্দু কি এতটাই নীচে নেমে গেছে যে তার উদারতাকে আলাদাভাবে জানাতে হবে? পূণ্যভূমী ইজরায়েল থেকে বিতাড়িত হয়ে ইহুদিরা বহুদেশে ছড়িয়ে পড়েছিল। ইওরোপ, ইরান, রাশিয়া, সর্বত্রই তারা কিরকম নির্যাতন সহ্য করেছিল, ইতিহাস তার সাক্ষী। কিন্তু ব্যতিক্রম ছিল কেবল আমাদের ভারতবর্ষ। মুসলমান শাসকদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে হিন্দুরা তাদের রক্ষা করে গেছে। ইরান থেকে বিতাড়িত জরাথ্রুষ্টের মতালম্বী পার্সীদের আজও আমরা আশ্রয় দিয়ে রেখেছি এবং তারা পূর্ন নাগরিক হিসেবেই বর্তমানে ভারতে বাস করে। হিন্দু ধর্ম স্বাভাবিক ভাবেই উদার। তাই শুধু হিন্দু বললেই যথেষ্ঠ।
.
3) ও 4) এই ব্যক্তিরা আবার অতি স্মার্ট। এনারা হিন্দু পরিবারে জন্মেছেন। সেটা এনাদের কাছে একটি ডিসকোয়ালিফিকেশন। তাই এনারা সর্বদা প্রমান করতে ব্যস্ত থাকেন যে তাঁরা কত উদার! এজন্য নিজ ধর্মকে নিন্দা ও অপমান থেকে শুরু করে লাভ জেহাদে আক্রান্ত হয়ে শেষ করেন।


পরিশেষে বলি, আপনি হিন্দু পরিচয় যদি রাখতেই চান, তবে এত লজ্জা বা হীনমন্যতা কিসের? নাকি ভয় পান পাছে কেউ উদার নন বলে বসে? নাকি সর্বদা তথাকতিথ সাম্প্রদায়িকতার ভয় পান? আপনি হিন্দু, এটা গর্বের সাথে বলতে কোন লজ্জা, ঘৃণা, ভয় পাওয়াযার তো কারন নেই। তাহলে সমস্যাটা কি? মনে রাখবেন, 10000 বছরের পুরোনো সুমহান ঐতিহ্যের উত্তরাধিকারি আপনি। পৃথিবীর প্রাচীনতম সংস্কৃতির অংশ আপনি। তো আপনার মনে এই জড়তা কিসের? জেগে উঠুন অর্জুন, শিবাজী, রানী লক্ষ্মী , নেতাজীর তেজে।
গর্বের সাথে বলুন আমি হিন্দু।

ধ্রুবজ্যোতি পাঠক

ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় প্রতীক কি?



হয়ত বলবেন ইন্দোনেশিয়ার সুপরিচিত কোন বস্তু যা এ মুহুর্তে ঠিক মনে করতে পারছেন না? প্রকৃতপক্ষে ইন্দোনেশিয়ার কোন বস্তু নয় বরং সনাতন ধর্মের অতি পরিচিত আরাধ্য মুখ গরুড় পাখি যা ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় প্রতীকে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। উল্লেখ্য ভগবান শ্রীবিষ্ণুর বাহন হল এই গরুড় পাখি।

http://en.wikipedia.org/wiki/National_Emblem_of_Indonesia

জাকির শিষ্যদের (ছাগুদের ) কিছু হাস্যকর মায়াকান্না এবং তার ইতিবৃত্ত



বিভিন্ন সময় যখন হিন্দুদের পেইজসমূহে হিন্দু ধর্মগ্রন্থগুলো সম্পর্কে দেয়া জাকির নায়েকের মিথ্যা রেফারেন্সগুলো পরিস্কারভাবে খন্ডন করা হয় তখন নিরুপায় ও পরাজিত জাকির শিষ্যরা সেখানে এসে ম্যত্‍কার শুরু করে এবং কিছু খোঁড়া যুক্তি দেখায়।দেখে নেই তাদের সেসকল যুক্তিসমূহের সার্থকতা কতটুকু।

যুক্তি ১.জাকির নায়েক তো হিন্দুদের গুরু শ্রী শ্রী রবিশঙ্কর এর সাথে বিতর্ক করেছে এবং জয়লাভ করেছে।রবিশঙ্কর তো আপনাদের চেয়ে বেশী জানেন।উনি যখন জাকির নায়েকের ভূল দেখাতে পারেনি তো আপনারা কে?

প্রতিযুক্তি- প্রথমেই আমাদের জানতে হবে যে শ্রী শ্রী রবিশঙ্কর কে। ১৯৫৬ সালে তামিল নাড়ু তে জন্ম নেয়া রবিশঙ্কর মূলত Art of living নামক পৃথিবীর বৃহত্তম "হিউমেনিটারিয়ান&এডুকেশনাল এনজিও" এর প্রতিষ্ঠাতা যিনি একজন যোগ বিশেষজ্ঞ এবং পতঞ্জলি যোগসূত্র দ্বারা উদ্বুদ্ধ একজন দার্শনিক নেতা। বজ্রাসন ও সুখাসন এর মাধ্যমে কৃত সূদর্শন ক্রিয়া এর একজন অনন্য পরিচালক তিনি যার মাধ্যমে তিনি পৃথিবীতে বিদ্যমান হানাহানি ও মূল্যবোধের অবক্ষয় এর অবসান ঘটাতে চান। তিনি কখনোই একজন হিন্দুধর্ম বিশারদ নন এবং একজন বেদজ্ঞানী তো নন বটেই! ( http://en.wikipedia.org/wiki/Ravi_Shankar_%28spiritual_leader%29 )

দ্বিতীয়ত,জাকির নায়েকের সাথে শ্রী শ্রী রবিশঙ্করের আসলেই কোন বিতর্ক হয়েছিল কি? ভিডিওটি যারা দেখেছেন তারা জানেন যে সেটি ছিল "Concept of GOD in Hinduism&Islam" শীর্ষক আলোচনা সভা। কিন্তু ধূর্ত জাকির পুর্ব প্রস্তুতি অনুযায়ী সেখানে কাদিয়ানী লেখক মাওলানা আব্দুল্লা হক বিদ্যার্থীর বই থেকে হুবহু তোতা পাখির মত মুখস্ত উদ্ধৃতি দেন যে পবিত্র বেদ এ মোহাম্মদ এর কথা বলা আছে! অপরদিকে রবিশঙ্করের লেখা একটি বই দেখিয়ে তিনি বলেন যে ভবিষ্য পুরানে মোহাম্মদ এর কথা বলা আছে।
একজন ব্যক্তি যিনি বেদ সম্বন্ধে জ্ঞান রাখেন না তার সামনে তোতাপাখির মত রেফারেন্স আওড়ালে কিভাবে প্রমানিত হয় যে জাকির ঠিক বলেছেন?
অপরদিকে ভবিষ্য পুরানে মোহাম্মদ সম্পর্কে বলা হয়েছে ঠিক কিন্তু কি হিসেবে? একজন 'অসুর' ,'পিশাচ' ও 'ধর্মদূষক' হিসেবে।

যুক্তি ২. জাকির শিষ্যরা বলে থাকে জাকির যদি ভূল ই হয় তবে হিন্দুধর্মীয় নেতারা তাকে ধরিয়ে দিচ্ছেনা কেন?

প্রতিযুক্তি. এবারে জাকিরের আসল ভন্ডামীটা ধরা পড়ে। বিখ্যাত বৈদিক সংগঠন আর্যসমাজ এর আজমীর পরোপকারিনী সভার পক্ষ থেকে ২০০৪ সাল থেকে এই পর্যন্ত চারবার অফিসিয়ালি ইমেইল এর মাধ্যমে IRF এর জাকির নায়েককে বিতর্কের জন্য আহবান জানানো হয়।কিন্তু ভীত ও ধূর্ত নায়েক জানেন যে বিখ্যাত বেদ গবেষনা সংগঠন আর্যসমাজের পন্ডিতগনের বেদ এর প্রতিটি অক্ষর পর্যন্ত মূখস্থ।তাঁদের সামনে বেদ নিয়ে অপপ্রচার চালানো সম্ভব নয়।

চতুর্থবার বিতর্কের চ্যলেন্জ জানানোর পর IRF এর পক্ষ থেকে মাওলানা আব্দুল্লাহ তারিক কে পাঠানো হয় বিতর্কে অংশগ্রহনের জন্য।তখন আর্য সমাজের পন্ডিত মাহেন্দ্র পাল আর্য (যিনি নিজেও ৩০ বছর আগে ইসলাম ধর্ম ত্যগ করে হিন্দুধর্মে ধর্মান্তরিত হন) আব্দুল্লাহ তারিককে শোচনীয়ভাবে পরাজিত করেন।
(জাকির নায়েকের প্রতিষ্ঠান IRF কে করা ইমেইলটি এখানে দেখুন-
http://www.aryasamaj.org/newsite/node/717)

এখন কথা হল IRF এর অনুষ্ঠানসমূহে ভন্ড জাকির যখন হিন্দুধর্ম সম্পর্কে বিভিন্ন দাবী করেন তখন সেখানে কোন হিন্দুশাস্ত্রবিশারদদের আমন্ত্রন জানানো হয়না কেন?তিনি কি জানেন না যে খালি মাঠে গোল দিলে তা কাউন্ট করা হয়না?

পরাজিত ও ভন্ড বরাহ জাকির এবং তার শাবকদের থেকে সতর্ক থাকুন।

সবাই শেয়ার করুন ##

--------------------
post courtsy : VEDA, The infallible word of GOD

শিকড়বিহীন বৃক্ষ

শিকড়বিহীন বৃক্ষ

এই post বাংলাদেশি তরুন হিন্দু সমাজের প্রতি--আসলেই কি আমরা শিকড়বিহীন বৃক্ষের মত হয়ে যাচ্ছি?? যারা নিজেদের ধর্ম,ঐতিহ্য,সংস্কৃতি সম্পর্কে একেবারেই অজ্ঞ ।বলা হয়ে থাকে হিন্দু সন্তানেরা মেধাবী হয়ে থাকে;বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়,মেডিকেল,বুয়েট এর ভর্তি পরীক্ষা তার প্রমাণ । তারপরও হিন্দু সমাজ কেন এত দুর্বল?? নিজেদের শিকড় না চেনাই কি এর মূল কারণ ??

একটি গাছের সৌন্দর্য তার সবুজ পাতা,ফুল,ফল।কিন্তু সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হল তার শিকড়;যা দেখা যায় না,সৌন্দর্য বাড়ায় না কিন্তু গাছটিকে বাচিয়ে রাখে।আমাদের ধর্ম, ঐতিহ্য,সংস্কৃতি সেই শিকড়স্বরূপ।আমাদের অধিকাংশের ধর্ম জ্ঞান ছোটবেলাই মায়ের কোলে শুয়ে রামায়ণ-মহাভারত শোনা থেকে ৯-১০শ্রেণীর বই পর্যন্ত সীমাবদ্ধ। ঐতিহ্য,সংস্কৃতি জ্ঞান শূণ্যই বলা চলে।হিন্দু মা-বাবারা সন্তানের লেখাপড়ার ব্যাপারে আবার অতিশয় সচেতন;তাই ধর্ম শিক্ষা অপেক্ষা পাঠ্যবই পড়ার প্রতি বেশি গুরুত্ব দেন,একদিনের পড়ার ক্ষতির কথা ভেবে মন্দিরে বা ধর্মীয় অনুষ্ঠানে নিয়ে যান না।

ফলে দেখা যায় সন্তানটি পরীক্ষায় ভাল ফল করে ভাল কোথাও পড়ার সুযোগ পায় বটে কিন্তু হয়ে পড়ে আত্মসম্মান জ্ঞানহীন একজন মানুষ।অন্যান্যধর্মাবলম্বীরা যখন নিজেদের ঐতিহ্য,সংস্কৃতি,ধর্ম নিয়ে গর্ব বোধ করে তখন সে দেখে তার গর্ব করার মত কিছুই নেই।সে নিজেকে হীন,দুর্বল ভাবতে শুরু করে।নিজের দুর্বলতা ঢাকতে অনেকে আবার সেক্যুলার,সাম্যবাদী ইত্যাদি তকমা গায়ে লাগায়।অনেকে অন্যধর্মের প্রতি আক্রিষ্ট হয়।

নামের শেষের পদবীটাই তার একমাত্র ধর্মীয় পরিচয় বহন করে।তাই সে যখন সমাজের কর্তা ব্যক্তি হয় তখন স্বজাতির প্রতি তার কোন টান বা দায়বদ্ধতা থাকে না।নিজের ধর্ম নিয়ে কটুক্তি করলে তার গায়ে লাগে না,মন্দির ভাংলে তার কিছু যায় আসে না,স্বজাতির নির্যাতনে সে থাকে নীরব।

তাই বাংলাদেশে অনেক প্রতিষ্ঠিত হিন্দু ব্যবসায়ী,রাজনিতিবিদ,চিকিতসক,প্রকৌশলী,প্রশাসক থাকা সত্ত্বেও প্রতিদিন হিন্দুরা নির্যাতিত হয়;দিন দিন বিলুপ্তির পথে। তাই নিজেদের ধর্ম ঐতিহ্য,সংস্কৃতি জ্ঞান আমাদের আত্মসচেতন করবে,আত্মসচেতনতা বাড়াবে আত্মবিশ্বাস;যা অন্যায় আর নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ,প্রতিরোধ করতে শিখাবে।আমরা মাথা উচু করে চলতে পারব।

## Pinakpani Biswas , RMC , rajshahi
-------------------------
লেখাটি পড়ে আপনার মতামত জানান ।

প্রস্তাবিত দেবোত্তর সম্পত্তি আইনের বিরুদ্ধে ঢাকায় গণবিক্ষোভের খবর... আসামের যুগশঙ্খ পত্রিকায়






বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের উদ্যোগ বাংলাদেশে ২৮ শে জুন মহা উদ্দমে এক গণ বিক্ষব পালিত হলো ঢাকা তথা বাংলাদেশের রাজধানীতে । এই বিক্ষব কর্মসূচি কে ফলপ্রসু করে তোলেন বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের নেতারা । প্রায় ৫ হাজার এর উপরে লোকের জমায়েত প্রমান করে যে বাংলাদেশের হিন্দুরা এই দেবোত্তর সম্পত্তি আইনের পক্ষে খুশি নই ।

আমরা হিন্দুরা আজ কোন পর্যায়ে পৌঁছে গেছি !




আমরা হিন্দুরা আজ কোন পর্যায়ে পৌঁছে গেছি !




জোকসের নামে নিজ ধর্মকে নিজেরায় ছোট করি।দেবদেবী নিয়ে মজা করি দর্শক হাঁসানোর জন্য।মীরাক্কেলের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বেশ কয়েকবার দেবদেবী নিয়ে হাঁসি তামাশা করা হয়েছে।




কিন্তু কেন? ধর্ম তো মজা করার জিনিস নয়।আজ আমরা বাংলাদেশের সংসদে ধর্ম অবমাননা নিয়ে প্রতিবাদ জানালাম।কিন্তু আজ কোথায় প্রতিবাদ জানাবো? যেখানে হিন্দুরা নিজেরায় নিজেদের ধর্ম নিয়ে ঠাট্টা মশকরা করে লোক হাঁসায়।এখন যদি কোনো বিধর্মী একই ভাবে দেবদেবী নিয়ে ঠাট্টা মশকরা করে তবে আমাদের বলার কিছু থাকবে না।

মীরাক্কেল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতীয় হিন্দুদের ধর্মপ্রীতি বোঝা যায়।আসলে এরা বোঝেই না কি বললে ধর্ম অবমাননা করা হয় বা জানেই না ধর্ম অবমাননা কি।

আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন কিছুদিন আগে মীরাক্কেলে জামিল নামের একজন বাংলাদেশী বাংলাদেশ ক্রিকেট নিয়ে জোকস বলেছিল।জোকসগুলা দিয়ে নিঃসন্ধে বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমকে ছোট করা হয়েছে।তাই বাংলাদেশের সব মানুষ মীরাক্কেলের পেইজে গিয়ে এর প্রতিবাদ জানায় এবং তার ফলস্বরূপ জামিল সরাসরি মীরাক্কেল অনুষ্ঠানে হাত জোড় করে মাফ চায়।

অথচ আজ দেবদেবী নিয়ে ব্যঙ্গ করে জোকস বললেও কেউ এর প্রতিবাদ তো দূরের কথা উল্টা বিনোদিত হচ্ছে।তাহলে বোঝা যায় আমাদের ধর্মের চেয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমের মর্যাদা বেশি।

আজ কেন আমাদের ধর্মের এই অবস্হা? এর পেছনে দায়ী কারা? বিধর্মীরা নাকি আমরা? অবশ্যই আমরা।

এক ইনোসেন্স অফ মুসলিম সিনেমার জন্য সারা বিশ্বের মুসলিম এক হয়ে কিভাবে এর প্রতিবাদ করল তা একটি নজির হয়ে থাকবে।ওই ছবি দ্বারা নবী মুহাম্মদকে ব্যঙ্গ করা হয়েছিল।মুসলিমদের প্রতিবাদে সেই ছবির পরিচালক আজ জেলে।আর অন্যদিকে আমরা নিজেরা নিজেদের ধর্ম নিয়ে ব্যঙ্গ করে মজা লুটছি।

কিছুদিন আগে মীরাক্কেলে এই অপূর্ব শ্রীকৃষ্ণ সেজে ব্যঙ্গ করেছিল।যেখানে একটা জোকস আমার এখনো মোটামুটি মনে আছে।
জোকসটা এমন ছিলঃ "এক মেয়ের সাথে প্রেম করায় কৃষ্ণকে একজন ছাতা দিয়ে পিটিয়েছে তাই কৃষ্ণের উদরে ব্যাথা" এমনিভাবে ইঙ্গিত করা হয়েছিল সেই জোকসটিতে। আর গতকাল মহাদেবকে নিয়ে যা করল তাতো সবাই দেখলেন।গতকালের দুইটা জোকস ছিল এইরকমঃ যে ছেলেরা মেয়েদের মাথায় তোলে এর পেছনে দোষ নাকি মহাদেবের।কারণ তিনি পার্বতীকে মাথায় রেখেছেন।আবার আর একটা ছিল এইরকমঃ কোলকাতার মানুষের পাইখানা চাপলে তারা ভোলে বাবার নাম স্বরণ করে।এছাড়া শিবের মাথায় জল ঢালা নিয়ে এবং মা কালীকে নিয়েও জোকস বলা হয় সেখানে।

আসলে এখানে তো শুধু মীরাক্কেলের দোষ দেওয়া ভুল।এইসব জোকস যারা সাপোর্ট করে তারাও সমান দোষী।

যারা এসব সাপোর্ট করে তাদের বলে দিতে চায় ধর্ম তোমাদের নিজেস্ব সম্পদ নয় যে যা খুশি তাই করবা।আমরা এর প্রতিবাদ চালিয়ে যাব যতদিন পর্যন্ত এসব বন্ধ না হয়।

হিন্দু যোদ্ধা











তথ্য সুত্র : আমি হিন্দু





শ্রীনিবাস রামানুজন—গণিতের মহত্তম এক শিল্পী


শ্রীনিবাস রামানুজন—গণিতের মহত্তম এক শিল্পী


শ্রীনিবাস রামানুজন (ডিসেম্বর ২২, ১৮৮৭ – এপ্রিল ২৬, ১৯২০) অসামান্য প্রতিভাবান একজন ভারতীয় গণিতবিদ। খুব অল্প সময় বাঁচলেও তিনি গণিতে সুদূরপ্রসারী অবদান রেখে গেছেন। প্রথাগত শিক্ষা না থাকলেও সম্পূর্ণ নিজের প্রচেষ্টায় তিনি গণিতের বিভিন্ন শাখায়, বিশেষ করে গাণিতিক বিশ্লেষন, সংখ্যাতত্ত্ব, অসীম ধারা ও আবৃত্ত ভগ্নাংশ শাখায়, গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।


গণিতে অবদান :

গণিত ক্ষেত্রে, পর্যবেক্ষণ ও প্রমাণের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। রামানুজন এমন অনেক গাণিতিক সূত্রের উদ্ভাবন করেন যেগুলো বহুকাল পরে প্রমাণ হয়। প্রমাণ করতে গিয়ে গবেষণার অনেক নতুন দিকের সূচনা হয়। রামানুজন \pi এর অনন্ত ধারা উদ্ভাবন করেন। রামানুজনের \pi এর ধারা \pi সম্পর্কীয় সকল ধারাকে এত দ্রুত একত্রিত করেছে যে, আধুনিক এল্গারিদমেরর সকম ক্ষেত্রে তার ধারা-ই ব্যবহৃত হয়। উদাহরণস্বরুপ,

\frac{1}{\pi} = \frac{2\sqrt{2}}{9801} \sum^\infty_{k=0} \frac{(4k)!(1103+26390k)}{(k!)^4 396^{4k}}

তাঁর সংজ্ঞা তাঁকে কিছু ইতিপূর্বে অজানা অভেদ প্রতিপাদন করতে সাহায্য করেছে। উদাহরণস্বরূপ,

\left [ 1+2\sum_{n=1}^\infty \frac{\cos(n\theta)}{\cosh(n\pi)} \right ]^{-2} + \left [1+2\sum_{n=1}^\infty \frac{\cosh(n\theta)}{\cosh(n\pi)} \right ]^{-2} = \frac {2 \Gamma^4 \left ( \frac{3}{4} \right )}{\pi}

সকল \theta -র মানের জন্য, যেখানে \Gamma (z) হলো গামা ফাংশন। \theta^0, \theta^4 এবং \theta^8 এর সহগ সমীকৃত করার মাধ্যমে অধিবৃত্তীয় ছেদকের কিছু তাৎপর্য্যপূর্ণ সূচক পাওয়া যায়।

তত্ত্ব এবং উদ্ভাবন :

রামানুজনের উদ্ভাবন সমূহ ছিল তাৎপর্যপূর্ণ। রামানুজনের নিজের মৌলিক উদ্ভাবনসমূহ এবং হার্ডির সাথে তাঁর গবেষণার ফসলসমূহ নিম্নরূপঃ

উচ্চতর যৌগিক সংখ্যাসমূহের বৈশিষ্ট্য।
বিভাজন ফাংশন এবং এর অসীমতট সম্পর্কীয় তত্ত্বসমূহ।

নিম্নোক্ত ক্ষেত্রেও তাঁর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে:

গামা ফাংশন
মডুলার রূপ (Modular forms)
রামানুজনের অবিচ্ছিন্ন ভগ্নাংশসমূহ (Ramanujan's continued frations)
অপসারী ধারা (Divergent series)
অধিজ্যামিতীয় ধারা (Hypergeometric series)
মৌলিক সংখ্যা তত্ত্ব। রামানুজনের মৌলিক সংখ্যা সমূহ ১৯১৯ সালে রামানুজন কর্তৃক প্রকাশিত হয়।
মক থেটা ফাংশন (Mock theta functions)

তিনি ছিলেন একজন ধর্মপ্রাণ হিন্দু। ধর্মীয় অনুশাসন পালনে তিনি যথেষ্ট কঠোরতা অবলম্বন করতেন। তিনি নিরামিষভোজী ছিলেন।











তথ্য সুত্র : আমি হিন্দু