মানবতার বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধ এবং সংখ্যালগুদের আকুতি
আমাদের জাতীয় সংসদের মাননীয়া বিরোধী দলীয় নেতা ও বিএনপি’র চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া গতকাল (৪/৩/২০১৩) দেশের সকল মানুষকে সংখ্যালগু স¤প্রদায় তথা হিন্দুদের জানমালের নিরাপত্তায় সবাইকে এগিয়ে আসার অনুরোধ জানিয়েছেন। ঠিক এ মহুর্তে দেহ মনে শত আক্রান্ত ও ক্ষত বিক্ষত এদেশের আপামর হিন্দু জনসাধারানের পক্ষ থেকে আমি ধন্যবাদ জানাই বেগম খালেদা জিয়াকে তার এ আহবানের জন্য। সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফেরার অন্ততঃ তিন দিন পরে হলেও তিনি বুঝতে পেরেছেন এদেশের হিন্দুদের বাড়ী ঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, মন্দির ভাঙ্গা, অগ্নি সংযোগ সহ হিন্দুদের বিরুদ্ধে মানবতার বিরুদ্ধে জঘণ্য অপরাধ গুলি একতরফা সংঘঠিত হচেছ। তিনি অতি দেরীতে হলেও বা¯Íবতা অনুধাবন করতে পেরেছেন বলে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে দেশের সংখ্যা লগু তথা হিন্দু রায় আহবান জানিয়েছেন। তবে দেশের অন্যান্য সাধারণ মানুষের মতো এদেশের হিন্দুরা স্বস্তি পেত এবং আরো বেশী খুশি হতে পারতো তিনি যদি সিঙ্গাপুর থেকে ঢাকায় ফেরার সাথে সাথে যে প্রেস রিলিজ দিয়েছিলেন ঐ প্রেস রিলিজে এ ব্যাপারে জোরালো বক্তব্য থাকতো এবং তিনি অন্ততঃ তার সংগঠনের তৃণমূল পর্যায়ে নেতাকর্মীদের এ বিষয়ে প্রতিরোধ করার আহবান জানাতেন। তাহলে গত বৃহস্পতিবার হতে চলা এ তান্ডব অদ্যাবধি এতটা বাড়ত বলে আমার মনে হয়। পাশাপাশি তিনি অতি সহজে এদেশের আক্রান্ত হিন্দু সমাজ মনে আসন নিতে পারতেন । যা আগামী নির্বাচনে একটা বড় ধরনের প্রভাব পড়তে পারতো।
গত বৃহস্পতিবার জামাতায় নেতা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর রায় ঘোষিত হবার মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যে নোয়াখালীর রাজগঞ্জ, দত্তের হাট মাইজদী, চট্টগ্রামের বাঁশখালী সহ সারা দেশে সংখ্যা লগু হিন্দুদের উপর মধ্যযুগীয় যে তান্ডব লীলা হয়েছে এবং দেশের অন্যান্য অঞ্চলে চলছে সে বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করতেন এবং মানবীয় দিক বিবেচনা করে এ সকল কর্মকান্ড বন্দ এবং যারা করবেন তাদের প্রতিরোধ করার জন্য তাঁর দল ও জোটের নেতা কর্মীদের নির্দেশ দিতেন, তাহলে অধিক কার্যকর হবার সাথে সাথে দেশ ও আন্তর্জাতিক মহলে তার ভাব মূর্তি অনেক উজ্জল হত বলে আমি বিশ্বাস করি।
বাংলাদেশে সংখ্যা লগু হিন্দুরা এ ভাবে আক্রান্ত আজ কোন নতুন বিষয় নয়। আমরা যদি একটু পেছনে ফিরে যাই তাহলে দেখি, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তি যুদ্ধের পর স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৯০ সালে প্রথম হিন্দু নির্যাতন হয় সেসময়ের মতাশালী প্রেসিডেন্ট এরশাদ বিরোধী আন্দোলনকে অন্য দিকে ফেরানোর জন্য কাজটি করা হয়েছে বলে বিজ্ঞজনেরা মনে করেন। দ্বিতীয়বার একই ঘটনা সংঘটিত হয় ১৯৯২ সালে বর্তমান বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম জিয়া ও তাঁর দল ক্ষমতা থাকাকালীন। আমি যদি ভুল না করে থাকি তাহলে বলছি এদেশের নাগরিক হিসাবে নিরীহ হিন্দু স¤প্রদায়ের জান, মাল, সম্ভ্রম রায় সেসময়ের মতাশীন সরকার তথা বিএনপি কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহনে যথেষ্ঠ কার্পণ্য করেছেন। এরপর বেগম জিয়ার নেত্রীত্বে ২০০১ সালে যখন বিএনপি ও চারদলীয় জোট মতায় আসার পর একযোগে সারা দেশে হিন্দু নির্যাতন ও নিপীড়ন শুরু হয় রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতায়। একটি নিরপরাধ হিন্দু ছেলে শৈবাল সাহা পার্থকে নিয়ে সে সময়ের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা গুলিই কি ই না করেছেন। যে এদেশের হিন্দু স¤প্রদায়ের মানুষ গুলিকে শৈবাল সাহা পার্থকে দিয়ে কি বার্তা দিতে চেয়েছেন তা তারাই ভাল বলতে পারবেন । কোন সেই অজানা কারণে বেগম জিয়া মতার দণ্ড মুলে থেকে নিশ্চুপ ছিলেন তা অনেকের মত আজ অবধি অন্যদের মতো আমার কাছেও অজানা রয়ে গেছে।
এবার আসি কথিত হিন্দু বান্ধব বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকারের সময়ে হিন্দুদের অবস্থা বিষয়ে। একটা অলিখিত ধারণা এদেশের রাজনৈতিক মহলে বিদ্যমান, তাহলো হলো এদেশের সংখ্যা লগু হিন্দুদের ভোট নাকি শুধু আওয়ামীলীগের বাক্সে যায়। তা সত্বেও দেখা গেছে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদান কারী ও অস¤প্রাদায়িক চেতনার দাবীদার সেই আওয়ামীলীগ মতায় বিগত চার বছরে এমন কোন মাস যায়নি যে মাসে ফেইজবুক, ইন্টারনেট, মোবাইল যোগাযোগের মাধ্যমে দেখা কিংবা শুনতে পাওয়া যায়নি যে দেশের কোনো না কোন স্থানে হিন্দু মন্দির ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ হয়নি এমন খবর। ২০১২ সাল তো ইতোমধ্যে এদেশের হিন্দু ও বৌদ্ধ স¤প্রদায়ের কাছে ইতিহাস হয়ে থাকবে সাতীরা, দিনাজপুরের চিরিরবন্দর, চট্টগ্রামের হাটহাজারী আর রামু সহ সমগ্র দণি চট্টগ্রামে যে তান্ডব হয়েছে এর জন্য। আর এখন ২০১৩ সাল, গত ২৮ ফেব্র“য়ারী ২০১৩ইং তারিখ বৃহস্পতিবার মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর রায় ঘোষিত হবার পর থেকে অদ্যাবধি সারা দেশে অন্যান্য সহিংসতার পাশাপাশি দেশের হিন্দু স¤প্রদায়ের বাড়ী ঘর, মন্দির, ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর, অগ্নি সংযোগ, নির্যাতন ও নারী সম্ভ্রম হারানো ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটে চলছে । টেলিভিশন মিড়িয়ার মাধ্যমে এ সকল মধ্যযুগীয় ঘটনার খবর যেটুকু জনগনের সম্মূখে তুলে ধরা হচ্ছে, প্রকৃত য়তি এর চাইতে বহুগুন কম সেটা স্বয়ং মিডিয়ার কর্মীরা বিভিন্ন টকশো, লেখনি, ফেইজ বুক, টুইটার এর মাধ্যমে জানা যায়। মিড়িয়া গুলি মনে করছে, প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরলে নতুন নতুন এলাকা আক্রান্ত হবার সম্ভবনা থাকবে। তথাপি বা¯Íবে কী হচ্ছে? মিড়িয়া যে উদ্দেশ্যে প্রকৃত সংবাদ পরিবেশন করছে চাচ্ছেন না, তাসত্বেও প্রতিদিন এদেশের নতুন নতুন এলাকা আক্রান্ত হচ্ছে।
বর্তমান সরকার বলছে হালে মানবতার বিরুদ্ধে এধরনের অবস্থা করছে স্বাধীনতা বিরুদ্ধবাদীরা। তেমনি বিরোধী দল বিএনপি বলছে এটা সরকার করছে। অন্যদিকে কোন কোন মিড়িয়ার মাধ্যমে জামায়াত নেতারাদের বক্তব্যে জানা যায় এটা করছে সরকারী দলের লোকজন। আসলে কোনট সত্য? প্রকৃত সত্য কথাটি প্রতিটি রাজনৈতিক নেতানেত্রীরা জানেন, আর এদেশের অসহায় মানুষ গুলিও বোঝেন। এদেশে যখনই কোন না কোন রাজনৈতিক সমস্যা দেখা দিয়েছে, তখনি সংখ্যা লগুদের উপর খড়গ নেমে এসেছে। এবং এ খড়গ আপনাদের হাতে সংরতি করে রেখেছেন আপনারার যারা পরস্পর পরস্পরকে রাজনৈকিত ভাবে দোষারোপ করছে, এবং ব্যবহার হচ্ছে আপনাদের প্রত্যেকের হাত দিয়েই। আপনারা কেহই এর দায় এড়াতে পারবেন না। একদিন আপনাদের বিবেকের কাছে নচেৎ পরকালে হলেও আপনাদেরকে জবাব দিতে হবে।
কি দোষ এদেশের হিন্দুদের। এদেশের হিন্দুদের জন্ম নেয়াই কী আজন্ম পাপ। দোহাই আপনাদের, আপনারার আমাদেরকে এভাবে তিল তিল করে আমাদের বিশ্বাসকে মারবেন না। পবিত্র ইসলাম ধর্মেতো আছে মানুষ হলো আশরাফুল মাকলুকাত। আপনারা প্রত্যেকেই তো ধার্মিক। সুতরাং ধর্ম বিরুদ্ধ এ কাজ গুলি বন্ধ করতে আপনাদের বাঁধা কোথায়? আমরা হিন্দু হলেও তো মানুষ। মাননীয় প্রধান মন্ত্রী ও বিরোধী দলীয় নেতা, শুধু আপনার দুজনই পারেন মানবতার বিরুদ্ধে এধরনের জঘন্য অপরাধ গুলি বন্ধ করতে। দোহাই আপনাদের, আপনারা আমাদেরকে বাঁচান, এ মাতৃভূমিকে আমরা ভালবাসি, আমাদের বাঁচতে দিন ও থাকতে দিন। পরমেশ্বর আপনাদের মঙ্গল করবেন।
অরুন চন্দ্র মজুমদার
ঢাকা, ০৫/০৩/২০১৩ইং
আমাদের জাতীয় সংসদের মাননীয়া বিরোধী দলীয় নেতা ও বিএনপি’র চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া গতকাল (৪/৩/২০১৩) দেশের সকল মানুষকে সংখ্যালগু স¤প্রদায় তথা হিন্দুদের জানমালের নিরাপত্তায় সবাইকে এগিয়ে আসার অনুরোধ জানিয়েছেন। ঠিক এ মহুর্তে দেহ মনে শত আক্রান্ত ও ক্ষত বিক্ষত এদেশের আপামর হিন্দু জনসাধারানের পক্ষ থেকে আমি ধন্যবাদ জানাই বেগম খালেদা জিয়াকে তার এ আহবানের জন্য। সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফেরার অন্ততঃ তিন দিন পরে হলেও তিনি বুঝতে পেরেছেন এদেশের হিন্দুদের বাড়ী ঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, মন্দির ভাঙ্গা, অগ্নি সংযোগ সহ হিন্দুদের বিরুদ্ধে মানবতার বিরুদ্ধে জঘণ্য অপরাধ গুলি একতরফা সংঘঠিত হচেছ। তিনি অতি দেরীতে হলেও বা¯Íবতা অনুধাবন করতে পেরেছেন বলে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে দেশের সংখ্যা লগু তথা হিন্দু রায় আহবান জানিয়েছেন। তবে দেশের অন্যান্য সাধারণ মানুষের মতো এদেশের হিন্দুরা স্বস্তি পেত এবং আরো বেশী খুশি হতে পারতো তিনি যদি সিঙ্গাপুর থেকে ঢাকায় ফেরার সাথে সাথে যে প্রেস রিলিজ দিয়েছিলেন ঐ প্রেস রিলিজে এ ব্যাপারে জোরালো বক্তব্য থাকতো এবং তিনি অন্ততঃ তার সংগঠনের তৃণমূল পর্যায়ে নেতাকর্মীদের এ বিষয়ে প্রতিরোধ করার আহবান জানাতেন। তাহলে গত বৃহস্পতিবার হতে চলা এ তান্ডব অদ্যাবধি এতটা বাড়ত বলে আমার মনে হয়। পাশাপাশি তিনি অতি সহজে এদেশের আক্রান্ত হিন্দু সমাজ মনে আসন নিতে পারতেন । যা আগামী নির্বাচনে একটা বড় ধরনের প্রভাব পড়তে পারতো।
গত বৃহস্পতিবার জামাতায় নেতা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর রায় ঘোষিত হবার মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যে নোয়াখালীর রাজগঞ্জ, দত্তের হাট মাইজদী, চট্টগ্রামের বাঁশখালী সহ সারা দেশে সংখ্যা লগু হিন্দুদের উপর মধ্যযুগীয় যে তান্ডব লীলা হয়েছে এবং দেশের অন্যান্য অঞ্চলে চলছে সে বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করতেন এবং মানবীয় দিক বিবেচনা করে এ সকল কর্মকান্ড বন্দ এবং যারা করবেন তাদের প্রতিরোধ করার জন্য তাঁর দল ও জোটের নেতা কর্মীদের নির্দেশ দিতেন, তাহলে অধিক কার্যকর হবার সাথে সাথে দেশ ও আন্তর্জাতিক মহলে তার ভাব মূর্তি অনেক উজ্জল হত বলে আমি বিশ্বাস করি।
বাংলাদেশে সংখ্যা লগু হিন্দুরা এ ভাবে আক্রান্ত আজ কোন নতুন বিষয় নয়। আমরা যদি একটু পেছনে ফিরে যাই তাহলে দেখি, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তি যুদ্ধের পর স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৯০ সালে প্রথম হিন্দু নির্যাতন হয় সেসময়ের মতাশালী প্রেসিডেন্ট এরশাদ বিরোধী আন্দোলনকে অন্য দিকে ফেরানোর জন্য কাজটি করা হয়েছে বলে বিজ্ঞজনেরা মনে করেন। দ্বিতীয়বার একই ঘটনা সংঘটিত হয় ১৯৯২ সালে বর্তমান বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম জিয়া ও তাঁর দল ক্ষমতা থাকাকালীন। আমি যদি ভুল না করে থাকি তাহলে বলছি এদেশের নাগরিক হিসাবে নিরীহ হিন্দু স¤প্রদায়ের জান, মাল, সম্ভ্রম রায় সেসময়ের মতাশীন সরকার তথা বিএনপি কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহনে যথেষ্ঠ কার্পণ্য করেছেন। এরপর বেগম জিয়ার নেত্রীত্বে ২০০১ সালে যখন বিএনপি ও চারদলীয় জোট মতায় আসার পর একযোগে সারা দেশে হিন্দু নির্যাতন ও নিপীড়ন শুরু হয় রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতায়। একটি নিরপরাধ হিন্দু ছেলে শৈবাল সাহা পার্থকে নিয়ে সে সময়ের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা গুলিই কি ই না করেছেন। যে এদেশের হিন্দু স¤প্রদায়ের মানুষ গুলিকে শৈবাল সাহা পার্থকে দিয়ে কি বার্তা দিতে চেয়েছেন তা তারাই ভাল বলতে পারবেন । কোন সেই অজানা কারণে বেগম জিয়া মতার দণ্ড মুলে থেকে নিশ্চুপ ছিলেন তা অনেকের মত আজ অবধি অন্যদের মতো আমার কাছেও অজানা রয়ে গেছে।
এবার আসি কথিত হিন্দু বান্ধব বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকারের সময়ে হিন্দুদের অবস্থা বিষয়ে। একটা অলিখিত ধারণা এদেশের রাজনৈতিক মহলে বিদ্যমান, তাহলো হলো এদেশের সংখ্যা লগু হিন্দুদের ভোট নাকি শুধু আওয়ামীলীগের বাক্সে যায়। তা সত্বেও দেখা গেছে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদান কারী ও অস¤প্রাদায়িক চেতনার দাবীদার সেই আওয়ামীলীগ মতায় বিগত চার বছরে এমন কোন মাস যায়নি যে মাসে ফেইজবুক, ইন্টারনেট, মোবাইল যোগাযোগের মাধ্যমে দেখা কিংবা শুনতে পাওয়া যায়নি যে দেশের কোনো না কোন স্থানে হিন্দু মন্দির ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ হয়নি এমন খবর। ২০১২ সাল তো ইতোমধ্যে এদেশের হিন্দু ও বৌদ্ধ স¤প্রদায়ের কাছে ইতিহাস হয়ে থাকবে সাতীরা, দিনাজপুরের চিরিরবন্দর, চট্টগ্রামের হাটহাজারী আর রামু সহ সমগ্র দণি চট্টগ্রামে যে তান্ডব হয়েছে এর জন্য। আর এখন ২০১৩ সাল, গত ২৮ ফেব্র“য়ারী ২০১৩ইং তারিখ বৃহস্পতিবার মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর রায় ঘোষিত হবার পর থেকে অদ্যাবধি সারা দেশে অন্যান্য সহিংসতার পাশাপাশি দেশের হিন্দু স¤প্রদায়ের বাড়ী ঘর, মন্দির, ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর, অগ্নি সংযোগ, নির্যাতন ও নারী সম্ভ্রম হারানো ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটে চলছে । টেলিভিশন মিড়িয়ার মাধ্যমে এ সকল মধ্যযুগীয় ঘটনার খবর যেটুকু জনগনের সম্মূখে তুলে ধরা হচ্ছে, প্রকৃত য়তি এর চাইতে বহুগুন কম সেটা স্বয়ং মিডিয়ার কর্মীরা বিভিন্ন টকশো, লেখনি, ফেইজ বুক, টুইটার এর মাধ্যমে জানা যায়। মিড়িয়া গুলি মনে করছে, প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরলে নতুন নতুন এলাকা আক্রান্ত হবার সম্ভবনা থাকবে। তথাপি বা¯Íবে কী হচ্ছে? মিড়িয়া যে উদ্দেশ্যে প্রকৃত সংবাদ পরিবেশন করছে চাচ্ছেন না, তাসত্বেও প্রতিদিন এদেশের নতুন নতুন এলাকা আক্রান্ত হচ্ছে।
বর্তমান সরকার বলছে হালে মানবতার বিরুদ্ধে এধরনের অবস্থা করছে স্বাধীনতা বিরুদ্ধবাদীরা। তেমনি বিরোধী দল বিএনপি বলছে এটা সরকার করছে। অন্যদিকে কোন কোন মিড়িয়ার মাধ্যমে জামায়াত নেতারাদের বক্তব্যে জানা যায় এটা করছে সরকারী দলের লোকজন। আসলে কোনট সত্য? প্রকৃত সত্য কথাটি প্রতিটি রাজনৈতিক নেতানেত্রীরা জানেন, আর এদেশের অসহায় মানুষ গুলিও বোঝেন। এদেশে যখনই কোন না কোন রাজনৈতিক সমস্যা দেখা দিয়েছে, তখনি সংখ্যা লগুদের উপর খড়গ নেমে এসেছে। এবং এ খড়গ আপনাদের হাতে সংরতি করে রেখেছেন আপনারার যারা পরস্পর পরস্পরকে রাজনৈকিত ভাবে দোষারোপ করছে, এবং ব্যবহার হচ্ছে আপনাদের প্রত্যেকের হাত দিয়েই। আপনারা কেহই এর দায় এড়াতে পারবেন না। একদিন আপনাদের বিবেকের কাছে নচেৎ পরকালে হলেও আপনাদেরকে জবাব দিতে হবে।
কি দোষ এদেশের হিন্দুদের। এদেশের হিন্দুদের জন্ম নেয়াই কী আজন্ম পাপ। দোহাই আপনাদের, আপনারার আমাদেরকে এভাবে তিল তিল করে আমাদের বিশ্বাসকে মারবেন না। পবিত্র ইসলাম ধর্মেতো আছে মানুষ হলো আশরাফুল মাকলুকাত। আপনারা প্রত্যেকেই তো ধার্মিক। সুতরাং ধর্ম বিরুদ্ধ এ কাজ গুলি বন্ধ করতে আপনাদের বাঁধা কোথায়? আমরা হিন্দু হলেও তো মানুষ। মাননীয় প্রধান মন্ত্রী ও বিরোধী দলীয় নেতা, শুধু আপনার দুজনই পারেন মানবতার বিরুদ্ধে এধরনের জঘন্য অপরাধ গুলি বন্ধ করতে। দোহাই আপনাদের, আপনারা আমাদেরকে বাঁচান, এ মাতৃভূমিকে আমরা ভালবাসি, আমাদের বাঁচতে দিন ও থাকতে দিন। পরমেশ্বর আপনাদের মঙ্গল করবেন।
অরুন চন্দ্র মজুমদার
ঢাকা, ০৫/০৩/২০১৩ইং
No comments:
Post a Comment